বাড়ির গাড়িচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল তরুণীর। কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরে। বিয়েতে রাজি ছিলেন না কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। তারই জেরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে। ধরা পড়েছে অভিযুক্ত যুবক।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীগাছার কাজিপাড়ায়। পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর নাম পাপিয়া পরভিন (২০)। তাঁর বাবা আহাদুল ইসলামের ব্যবসাপত্র আছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজু সোনিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপিয়াদের বাড়ির গাড়ি চালাত প্রফুল্লকলোনির বাসিন্দা রাজু। পাপিয়াকে বেড়াচাঁপা কলেজে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসার সূত্রে দু'জনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়
এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি কারও পরিবার। শুরু হয় অশান্তি। মাস আটেক আগে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজুকে। সেই থেকে দু'জনের তেমন দেখা-সাক্ষাত্ও ছিল না। পুলিশের দাবি, জেরায় রাজু জানিয়েছে, ইদানীং বিয়েতে আপত্তির কথা জানাচ্ছিলেন পাপিয়া নিজেও। বাড়ছিল তিক্ততা। বুধবার রাতে রাজু এসেছিল বাড়িতে। দরজা খুলে দেন পাপিয়া। দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি বাধে। অভিযোগ, পাপিয়ার গলা টিপে ধরে রাজু। এক সময়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তরুণী। দেহ ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজু। ধস্তাধস্তির শব্দে পরিবারের একজনের ঘুম ভেঙে যায়। দেহ ফেলে রেখে পালায় রাজু। পাপিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ইদানীং অন্য গাড়ি চালাচ্ছিল রাজু। সেই গাড়ি নিয়ে বুধবার রাতে গিয়েছিল বিয়েবাড়িতে ভাড়া খাটতে। বরকে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে আসে পাপিয়াদের বাড়িতে। পাপিয়াকে খুন করে সেই গাড়ি নিয়েই ফিরেছিল বিয়েবাড়িতে। সকালে বর-বৌকে নিয়ে পৌঁছেও দেয়। তারপরে ফেরে নিজের বাড়িতে। সেখানে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours