ফের একবার চূড়ান্ত বর্বরতার ছবি উঠে এল রাজ্যে। চোর সন্দেহে দুই যুবককে ইলেকট্রিক খুঁটিতে বেঁধে চলল গণধোলাই। কেউ মারলেও চাবুক দিয়ে, কেউ মারল চ্যালা কাঠ দিয়ে। বীরভূমের রামপুরহাট এর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।রামপুরহাটের কালীডাঙাতে অবস্থিত একটি কামারশালা থেকে প্রায়ই নাকি লোহা চুরি যাচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা জানা না গেলেও প্রায়ই কামারশালার কাছাকাছি দু'জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরপর রবিবার সকালে দুই যুবককে কালীডাঙার মোড়ে কয়েকজন মিলে ঘিরে ধরে। প্রথমে চুরি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, অস্বীকার করতে তাদের শুরু হয় মারধর। স্থানীয় ইলেকট্রিক খুঁটিতে বেঁধে চাবুক, চ্যালা কাঠ দিয়ে যে যেমন পারল মারল। সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই প্রহৃত ব্যক্তির মধ্যে একজন কালীডাঙারই বাসিন্দা, অন্যজন বানারহাট এর বাসিন্দা।ভাইরাল ভিডিও দেখে হতবাক পুলিশকর্মীরা। প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ না হয়েই গ্রামের মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিল। এমনকী, মাঝ রাস্তার মোড়ে তাদের গণপিটুনি চললেও এগিয়ে এলেন না কোনও পথচারী। অনেকেই আবার ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগও করল 'চোরেদের মারধর'। ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ৫ দিন আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ধুপগুড়ির গিলান্ডি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এভাবেই এক যুগল তরুণ-তরুণীকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগ ছিল, ওই যুগলের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যার জেরে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের দ্বারস্থ না হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। এদিন রামপুরহাটের ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours