কৃষ্ণাদেবীর অসুস্থতাই কার্যত অনুঘটক হয়ে কাজ করেছিল রায় পরিবারের তৃণমূলের ঘরে ফেরায়। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলিয়ে আবারও মুকুল-শুভ্রাংশুদের তৃণমূলের কাছাকাছি এনেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  নিজে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মাতৃসমা কৃষ্ণা রায়কে । গলা জড়িয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন শুভ্রাংশুকে। তখনও গেরুয়া শিবিরেই পিতা-পুত্র। তবে তার জন্য তাগিদ দেখতে কোনও কসুর করেননি অভিষেক । সেদিনই সৌজন্যের এক নয়া নজির তৈরি হয়েছিল রাজনীতির আঙিনায়। মঙ্গলবার সেই কৃ্ষ্ণাদেবীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাই যাবতীয় ব্যস্ততা সরিয়ে বিকেলেই মুকুল রায়ের বাড়িতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৪.৪৩ মিনিটে রায় বাড়িতে প্রবেশ করেন তৃণমূল সাংসদ।

কৃষ্ণা রায় যখন হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুকুলজায়া তাঁর মাতৃসমা। হাসপাতালে মুকুল-পত্নীকে দেখে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ছোট থেকেই মুকুলজায়ার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণাদেবী তাঁর অত্যন্ত কাছের। মঙ্গলবার সেই মাতৃসমার মৃত্যুতেই শোকে কাতর অভিষেককে দেখা গেল মুকুল রায়ের বাড়িতে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভা থেকে সোজা মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রায় অধঘন্টা সেখানে ছিলেন তিনি।



করোনা  পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী। মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই তাঁকে বাইপাসের ধারে নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেটা ছিল মে মাসের মাঝামাঝি সময়। দীর্ঘদিন চিকিত্‍সার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিত্‍সকরা জানান, ফুসফুসের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। সেইমতো চিকিত্‍সকদের পরামর্শে কৃষ্ণাদেবীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইতে (Chennai)। সেখানেই তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা ছিল। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাদেবীর। মায়ের অন্তিম শয্যায় সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours