ভুয়ো টিকা দেওয়া প্রতারক দেবাঞ্জন দেব আইএএস ছিলেন না। এই কথা আগের থেকেই জানতেন তাঁর বাবা-মা। পুলিশি তদন্তে এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে। দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই একাধিক নতুন নতুন তথ্য রোজ উঠে আসছে পুলিশের হাতে। গতকাল দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশকিছু তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।
দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি, ডেবিড কার্ড, পাসবুক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে অক্ষয় কুমারের ছবি 'স্পেশ্যাল ২৬' দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই কায়দায় ভুয়ো কিছু অফিসার নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করেছিলেন দেবাঞ্জন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা কাণ্ডে আগেই পুলিশি জেরার মুখে পড়েন দেবাঞ্জন।কিন্তু তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পোক্ত প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তাই শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যান দেবাঞ্জন। তখন থেকেই দেবাঞ্জনের বাবা-মা জানতে পারেন ছেলে আদপে কোনও আইএএস অফিসার নয়। বরঞ্চ প্রতারক হিসেবেই দিন দিন নানান অপরাধমূলক কাজ করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরের লোক তো ছাড়, দেবাঞ্জন খোদ নিজের ঘরের লোককেও ছাড়েননি প্রতারণা করতে ছাড়েনি। নিজের মামা সন্দীপ মান্না, পেশায় আঁকার শিক্ষক, ভালো আঁকেন তাই ভাগ্নে আইএএস ভেবে কলকাতায় আঁকার প্রদর্শনী করতে অনুরোধ করেন। ডায়মন্ডহারবারের গোপাল দাস পাড়ায় থাকেন সন্দীপ মান্না। ভাগ্নেকে বলে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় আঁকার প্রদর্শনী করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সন্দীপ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রতারক ভাগ্নে প্রদর্শনের জন্য ৩৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা চেয়ে বসেন। তাই নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে ভাগ্নেকে ওই টাকা দেন সন্দীপ। ২০১৯ সালের জুন মাসে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours