৭১ বছরের কৃষ্ণা দাসকে নিয়ে থাকতেন মেয়ে বছর চল্লিশের সোমা দাস...

রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া এবার ট্যাংরায়। বৃদ্ধার দেহ আগলে রেখেছিলেন মেয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার শীল লেনের বাড়িতে ৭১ বছরের কৃষ্ণা দাসকে নিয়ে থাকতেন মেয়ে বছর চল্লিশের সোমা দাস। 

স্থানীয়দের দাবি, আত্মীয়-পরিজনদের সম্পর্ক রাখতেন না অবিবাহিতা মেয়ে। গতকাল রাতে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। রাতেই ট্যাংরা থানার পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 
এর আগে গত মার্চ মাসে, রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া উঠে আসে পাটুলিতে। সেখানে দেখা যায়, মৃত ছেলের দেহ আগলে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশকর্মীরা বাড়ির ভেতর পৌঁছতেই দেখতে পান এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। আর পাশে রয়েছে বাবা-মা ও বোন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,ওই বাড়ি ছেলে প্রিয়ঙ্কর রায়ের মৃত অবস্থায় বাড়ির একতলায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন,আর তারই আশপাশে রয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। 

বাবা ও মা পুলিশকে জানান তার ছেলে অসুস্থ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু ছেলে যে মৃত তা মানতেই চাইছেন না বাবা-মা। চিকিৎসকেরা পুলিশকে জানান অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৫ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে প্রিয়ঙ্করের। 

তার আগে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বেলুড়ে উঠে আসে রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া। দেখা যায়, ভাই-বোনের পচাগলা দেহ আগলে আর এক বোন। দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে জোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩ জনই মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। 
তারও আগে, ২০১৮ সালে সল্টলেকে উঠে আসে রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া।  ২ দিন ধরে মৃত মায়ের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে ছিলেন ছেলে। মৃতের ছেলেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি করেন প্রতিবেশীরা। 

সেই বছরই হরিদেবপুরে  উঠে আসে রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া। স্বামীর মৃতদেহের সঙ্গে বসবাস করতে দেখা যায় বৃদ্ধা স্ত্রীকে।  পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে অমরনাথ সান্যালের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। স্বামীর মৃতদেহের পাশে নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্ত্রী। পুলিশের অনুমান, ৩-৪ দিন আগেই মারা গেছেন অমরনাথ। 




Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours