সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি আজও অন্ধকার কুসংস্কারাচ্ছন্ন আচ্ছন্ন।সাপেরই কামড়ে মৃতদেহে পুণরায় প্রাণের সঞ্চার হবে,এমনটাই ধরে নিয়েই সাপের কামড়ে মৃতদেহ কলার ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো।ঘটনা প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের ছোটমোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিদাসপুর গ্রাম।গ্রামেরই এক বছর ১০ বয়সের কন্যাশিশু পূজা মৃধা। রাতে সে তার বাবা দীপ মৃধার পাশে ঘুমিয়ে ছিল। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ তার পায়ে কিছু একটা কামড় দেয়।কামড়ে জ্বালা যন্ত্রণায় কান্নাকাটি শুরু করে। সে তার বাবাকে ঘুম ভাঙিয়ে ডেকে তোলে। পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।


বুঝতে পারেন বিছানার মধ্যে সাপে কামড় দিয়েছে।গভীর রাতে ওই শিশু কে নিয়ে স্থানীয় মোল্লাখালি হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিত্‍সার জন্য। নদীবেষ্টিত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ হওয়া হাসপাতালে পৌঁছাতে প্রায় দুঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা ওই কন্যাশিশু কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এরপর শুরু হয় অন্ধকারাচ্ছন্ন কুসংস্কারের নাটক। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।কলার ভেলা তৈরী করে সাপের কামড়ে মৃত ওই কন্যাশিশুর দেহ নদীতে ভাসিয়ে দিলে পুণরায় প্রাণের সঞ্চার হবে। শুক্রবার সকালে গ্রামের মোড়ল মাতব্বররা কলার ভেলা তৈরী করে সুন্দরবনের হোগল নদীতে ঘটা করে ভাসিয়ে দেয় ওই কন্যাশিশুর দেহ।
সাপের কামড়ে মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours