কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এবার চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যবাসীর। একেই ভ্যাকসিনের আকাল তো রয়েছেই তার ওপর আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টার লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর মিলছে কোভিডের টিকা। এখন যে টিকা আপনি নিচ্ছেন তা ভুয়ো না আসল তা কীভাবে বুঝবেন। সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় সংশয়। এখন কথা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পক্ষে কী আদৌ বোঝা সম্ভব যে তারা যে টিকা নিচ্ছেন সেটি আসল না ভুয়ো। এপ্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডের ভ্যাকসিন আসল না ভুয়ো তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু যেহেতু ভুয়ো ভ্যাকসিনের এই ভয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে কিছু পন্থা অবলম্বণ করা যেতে পারে।
১) ফোনে রেজিস্ট্রেশনের মেসেজ
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য দফতরে আপনার নাম রেজিস্ট্রেশনে হলে আপনার ফোন নম্বরে ঢুকবে একটি এসএমএস। সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন কোনও ভুয়ো কেন্দ্রে আপনি এসে পড়েননি। তবে অনেকসময় কিছুটা দেরিতে এসে পৌছয় এই এসএমএস। সেক্ষেত্রে ভয় থেকেই যাচ্ছে।
২) অ্যান্টিবডি টেস্ট
টিকাকরণ হওয়ার অন্তন ২-৩ সপ্তাহ পর অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে পারেন আপনি। তাতে অ্যান্টিবডি শরীরে আদৌ তৈরি হয়েছে কিনা তা জানা যাবে। ফলে আপনার টিকাকরণ যে ভুয়ো হয়নি তা বোঝা যাবে।
৩) টিকা ভাওয়াল পরীক্ষা
কসবার ভুয়ো টিকাকেন্দ্রে কোভিশিল্ডের যে ভাওয়াল ব্যবহার করা হয়েছিল তা ছিল আসল কোভিশিল্ডের ভাওয়ালের থেকে অনেকটাই ছোট। ভাওয়ালে ছিল না কোনও এক্সপাইরি ডেট। কিন্তু আদপে যে ভাওয়াল থেকে টিকা দেওয়া হয় সেটি সাধারণ জনতার সামনে খোলাই হয়না। যার ফলে মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় এটি আসল না নকল। সেক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে সরকারকে। সরকারের অন্তর্তদন্ত ছাড়া বোঝা অসম্ভব টিকা ভুয়ো না আসল। আমাদের ভয় দেখানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। শুধুমাত্র সতর্ক থাকুন আপনি। চোখ কান খোলা রাখুন। কোনওরকম সন্দেহ হলেই দ্বারস্থ হন থানার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours