সাম্প্রতিক ফর্ম নয়, নাম দেখেই জসপ্রীত বুমরাকে ফাইনালে খেলানো হয়েছিল। এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সাবা করিম এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফর্মে থাকা মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুরকে বসিয়ে প্রথম একাদশে নেওয়া হয় বুমরাকে। বাকি দুই পেসার ছিলেন ইশান্ত শর্মা এবং মহম্মদ শামি।
ফাইনালে ভারত ৮ উইকেটে হার মানে কিউয়িদের কাছে। দুই ইনিংসে একটাও উইকেট নিতে পারেননি জসপ্রীত বুমরা। পেস সহায়ক পরিবেশে বুমরা উইকেটশূন্য থাকার পরেই জোরালো সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
ভারতের হারের পরেই সাবা করিম ইন্ডিয়া নিউজ-কে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'দল বাছার সময় নির্বাচকরা মোটেই বর্তমান ফর্মের কথা মাথায় রাখেননি। নাম দেখেই দল গড়া হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্টে চোট পাওয়ার পরে একটাও লাল বলের ক্রিকেট খেলেনি বুমরা।'
এখানেই না থেমে সাবা করিম আরো বলেন, 'চোট থেকে ফিরে আসার পর বুমরা কেবলমাত্র সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছে, তা-ও আবার টি২০-তে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজেও নামেনি ও। টেস্ট ক্রিকেট বিচার করলে ও যে শুধু ফর্মে নেই, তা-ই নয়, পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার মধ্যেও নেই।'
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলেননি বুমরা। চেন্নাই টেস্টে খেলে বুমরা ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। আহমেদাবাদে তৃতীয় টেস্ট খেললেও বেশিক্ষণ হাত ঘোরানোর সুযোগ পাননি। তাই উইকেটও নেই তাঁর নামের পাশে। এই টেস্টের পরেই সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে বিয়ের কারণে ছুটি নেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাউদাম্পটনে উইকেট না পেলেও সাবা করিম মনে করছেন, দ্বিতীয় ইনিংসের শেষের দিকে নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন তিনি। তারপরে ক্যাচ ফেলার মত ঘটনাও ঘটে। সাবা করিম তাই বলছেন, ফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার থেকে শিক্ষা নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে আরো লাইন লেন্থ নিখুঁত রাখুন তারকা স্পিডস্টার।
'দ্বিতীয় ইনিংসের একটা স্পেলে আমার মনে হয় ও ছন্দ ফিরে পাচ্ছিল ধীরে ধীরে। সময় সময় ভাগ্যও ওকে সহায়তা করেনি। তবে দিনের শেষে ও যে সঠিক লেন্থ খুঁজে পায়নি, এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এটা কিন্তু ভারতের চিন্তার বিষয় হয়ে থাকবে। আসন্ন সিরিজে ওঁকে এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।'
Post A Comment:
0 comments so far,add yours