রবিবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে গেলো ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের ভিতরে টেকনিক্যাল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ড্রোন থেকে ছোঁড়া আইইডির জেরেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। আর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগে পাকিস্তান বা অন্য দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতো ভারতে এসে। এখন স্থানীয় স্তরে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বড়ো গলায় বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে অশান্তি, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ। কিন্তু প্রতিদিন কোন না কোন ঘটনা ঘটছে। এটা বর্তয়ান বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, আজ থেকে দুই বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুক চিতিয়ে বলেছিলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ আর্টিকেল উচ্ছেদ করছি, এবার কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে। জাল ও কালো টাকার লেনাদেনা বন্ধ হবে। গোটা কাশ্মীরকে তিন চরটে পরিবার লুট করছে সেটাও বন্ধ হবে।
কাশ্মীরে চাকরি হবে, শিল্প হবে, কাশ্মীর উন্নত হবে। কাশ্মীরকে উন্নত করার নাম করে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জেলে পুরে দেওয়া হল। কিন্ত তারপরেও কাশ্মীরে সন্ত্রাস অব্যাহত। এদিন জম্মু-বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা তার প্রমাণ দেয় বলে উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী। উল্লেখ্য, এদিন ভোরে জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বায়ুসেনার বিমানঘাটির কাছেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতীয় বায়ু সেনার উচ্চ পদস্থ তদন্তকারী টিম গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।জানা গিয়েছে, পর পর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ দুটি মধ্যে সময়ের ব্যাবধান ছিলো মাত্র ৫ মিনিট। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এদিন বোমা বিস্ফোরনের খবর পেয়েই জম্মু বিমানবন্দরে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার পর অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি নিয়ে বিভিন স্তরের তদন্তে এমেছে ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনী। জম্মু বিমানবন্দর চত্বর জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বিমানবন্দর চত্বরকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই সন্দেহভাজন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইইডি বিস্ফোরক। তবে এই বিস্ফোরণে কেউ মারা যাননি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সুত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার পেট্রোল টিম দেখতে পেয়েছে ২৬ জুন রাতের অন্ধকারে কিছু উপর থেকে ফেলা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা ভারতের প্রথবার ড্রোন দিয়ে হামলার উদাহরণ হয়ে রইলো।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours