June 2021
ফের দুঃসংবাদ বলিউডে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। দিন কয়েক আগেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা। এবার ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

গত দু'দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ফুসফুসে সংক্রমণ পাওয়ার পর আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিনেতার স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ এবং তাঁর ছেলেমেয়ে সব সময় তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে অভিনেতার ম্যানেজার জানিয়েছেন, 'গত ২ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। কিছুদিন আগেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ পাওয়ার পর, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি চিকি‌ত্‍সায় সাড়া দিচ্ছেন'।

নাসিরউদ্দিন শাহ তাঁর প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। ভারত সরকারের কাছে পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত তিনি। ২০২০ সালে তাঁর দুটি ছবি মুক্তি পায়- মি রক্সম এবং বন্দিস বন্দিত। এ বছরের শুরুর দিকে তাকে 'রামপ্রসাদ কি তেহরভি'তে দেখা গিয়েছিল। রুপোলি পর্দার পাশাপাশি থিয়েটারেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন বছর ৭০-এর এই অভিনেতা। অভিনেতার অসুস্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ অনুরাগী মহলে।
ভোটের আগেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এই কার্ডের জন্য।

বুধবার নবান্ন থেকে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'আমরা কথা রাখি। আগেই সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, ঐকশ্রী -সহ একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। ভোটের আগে পড়ুয়াদের জন্য যে ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা চালু করা হল। টাকার অভাবে আর কারও লেখাপড়া বন্ধ হবে না।' মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এই কার্ড।

জানা গিয়েছে, দশম থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, গবেষণা, ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে লোন পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাঁরা, সেক্ষত্রে কোচিংয়ের ফি-ও মেটানো যাবে এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। এছাড়া লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ, কোর্স ফি, হস্টেল ফি, বই কেনা যাবে। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রেও এই কার্ডের মাধ্যমে মিলবে ঋণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, শুধু রাজ্য বা দেশে নয়, বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও এই কার্ড থেকে মিলবে ঋণ। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card) সুবিধা পাওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা অনলাইনে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত ব্যাংক থেকেই মিলবে অর্থ।

উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সবুজ সাথী প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পড়ুয়া সাইকেল পেয়েছে। ভোটের জন্য কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল, তবে তা আবার শুরু হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে আরও ১২ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির ৩ লক্ষ পড়ুয়া ও ২০২০ সালের ৯ লক্ষ পড়ুয়া রয়েছে। এছাড়া তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে এবছরে দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে আট লক্ষের বেশি পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পেয়েছে। এবার যাঁরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠবে, নিয়ম অনুযায়ী তারা পাবেন ট্যাবের ১০ হাজার টাকা
দিল্লিতে ভয়াবহ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৪ জনের। দিল্লির সাহদরা এলাকায় গতকাল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারপরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক এলাকায়। সাহরদের ফর্স বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ৪ জন অগ্নিদদ্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান।

এক জায়গায় অনেকগুলো সিলিন্ডার মজুত করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হয়েছে। ৪ জনকে উদ্ধার করার আগেই তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। যদিও আগুন ছড়িয়ে পড়া আগেই েসটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁর চিকিত্‍সা চলছে।

চার জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিলিন্ডারের দোকানে আগুন লাগার কারণে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছে দমকল। দমকলের ৯টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের বর্বরতা! কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ এক চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে ফোনও এল লালবাজারে। মঙ্গলবার রিজেন্ট পার্ক থেকে এরকম একটি ফোন এসেছিল লালবাজারে। এক আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দা এক কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফোন করেন। অভিযোগ পেয়েই লালবাজারের তরফে যোগাযোগ করা হয় রিজেন্ট পার্ক থানায় শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত ওই চিকিত্‍সককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই চিকিত্‍সকের নাম এস রায়। বয়স ৬০। গত কয়েক বছর ধরে অরবিন্দ পার্কের কাছে দিদির বাড়িতে থাকেন তিনি।

অনিতা অধিকারী নামে এক মহিলার অভিযোগ, খাওয়ানোর নাম করে পাশের বাড়ির একটি কুকুরকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।


কিছুক্ষণ পরেই কুকুরের চিত্‍কার শুনতে পাওয়া যায় এবং খেয়াল করেন কুকুরটির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন করেন লালবাজারে। তারপরই রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। ওই বৃদ্ধের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পেট্রোল-ডিজেলের ( Petrol -diesel ) অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে ভবানীপুরে চালিয়েছিলেন টানা রিক্সা। এবার সেখানেই সওয়ার সাইকেলে। পৃথিবীর বহু দেশে বড় বড় শহরে সাইকেল আরোহীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র সাইকেল চলাচলের জন্য রয়েছে পৃথক লেন। এমন ছবি যদি দেখা যেত খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে? তিনি মন্ত্রী হলে এমন কিছু কি করতেন? মদন মিত্রের (Madan Mitra) জবাব, রেড রোডে একমাত্র সাইকেল চলাচলেরই অনুমতি দিতেন। শহর জুড়ে বানাতেন সাইকেল জোন। পেট্রোলের (Petrol) দাম ইতিমধ্যেই মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদের মতো শহরে ১০০ পেরিয়েছে। কলকাতাতেও সেঞ্চুরি হাঁকানো এখন সময়ের অপেক্ষা। ডিজেলের দামও ৯০-র ঘরে ঘোরাফেরা করছে।

জ্বালানির দামের এই বাড়বাড়ন্তে নাভিশ্বাস উঠেছে জনসাধারণের। এদিনই ভবানীপুরে পাঁচ তরুণীর হাতে ব্যাটারিচালিত সাইকেল তুলে দেন মদন মিত্র। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীদের হাতে এই সাইকেল দেওয়া হয়। বিধায়ক জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে লটারির মাধ্যমে ১০ জন তরুণীকে দেওয়া হবে সাইকেল।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল পরিস্থিতি। লকডাউন উঠেছিল, মানুষ আবার রাস্তায় বেরিয়েছিল। বাসের চাকা ঘুরেছিল, ফিরছিল চেনা ছন্দে । কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসে। আবার বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা, ট্রেন । গড়াচ্ছে না বাসের চাকাও। সবকিছু থমকে গিয়েছে আবার। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম ব্যস্ত শহর ঘাটাল। কিন্তু কড়া বিধিনিষেধ জারির পর থেকে বাসস্ট্যান্ডে সারি সারি দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস। স্বল্প দূরত্বের বাসগুলিরও একই হাল। সব এখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে। বাসে তালা-চাবি মেরে চলে গিয়েছেন বাসের চালক, কন্ডাকটর ও খালাসিরা।

কেউ কেউ এসে মাঝে মধ্যে ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। দেখে যাচ্ছেন তাঁদের বাস ঠিকঠাক আছে কি না।

আবার কেউ বৃষ্টির জন্য বাসের ক্ষতি যাতে না হয়, তাই বাসের ছাদের উপরে আস্তরণ দিয়ে যাচ্ছেন। চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। তার উপর লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজ়েলের দাম, সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে জ্বালানি। ফলে বাস পরিষেবা চালু হলেও লাভ হবে কি না,তা নিয়ে কুল কিনারা পাচ্ছেন না পরিবহণ কর্মী থেকে শুরু করে বাস মালিকরা। পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হয়ে উঠছে পরিবহণ কর্মীদের জন্য। একদিকে জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম, তার উপর আবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি। পরিবহণ কর্মীদের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাস অ্যাসোসিয়েশনগুলিও । পরিবহণ বন্ধ থাকায় অধিকাংশ বাসকর্মীই পেটের টানে কেউ রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে বা একশো দিনের কাজে তো আবার কেউ দিনমজুরির কাজে যুক্ত হয়েছেন।

ঘাটাল বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, তিনি যেন বাস মালিক ও শয়ে শয়ে কর্মীদের দুরাবস্থা নিয়ে কিছু ভাবেন। এই পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শুধু বাসকর্মীরাই নন,ওতপ্রোতভাবে রুজি রোজগারে জড়িত গ্যারেজ, যন্ত্রপাতির দোকান থেকে আরও অনেকে। তাদেরও রুজিতে টান পড়ছে।লোকাল ট্রেন আপাতত চালু হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জুলাই থেকে বাস পরিষেবা চালু হবে, তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
বিরল প্রজাতির এক ডলফিন ধরা পড়ল মৎস্যজীবীদের জালে। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীর কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত পিয়ালী নদী থেকে ধরা পরে এই ডলফিনটি।


কুন্দখালির পাঁচু সরদার মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশে পিয়ালি নদীতে জাল পাতেন। বুধবার সকালে জাল তোলার সময় দেখতে পান ডলফিন আটকে রয়েছে তাঁর জালে। তড়িঘড়ি সেটিকে উদ্ধার করে ডাঙায় নিয়ে আসলে তা দেখতে এলাকার মানুষের ভিড় জমে যায়। বিরল প্রজাতির ডলফিন উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা কুলতলী এলাকায়। ডলফিন দেখতে রীতিমত ভিড় জমে যায় এলাকায়।


এ বিষয়ে কুলতলি থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে। স্থানীয় সূত্রের খবর মুখে জাল জড়িয়ে থাকার কারণে মাছটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বনদফতরে খবর দেওয়ার পর বনদফতরের আধিকারিকরা এসে ডলফিন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যাতে ডলফিনটিকে সুস্থ করে গভীর সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কুলতলী থানার কুন্দ খালি গ্রামে বিরল প্রজাতির ডলফিন উদ্ধারকে ঘিরে প্রশাসনের তরফ থেকে তৎপরতার সাথে ডলফিনটিকে সুস্থ করার পাশাপাশি তাকে যথাযথ স্থানে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়েছে।


প্রেমের টান তো কোনও বাধাই মানে না। অবশ্য এ আবার যে সে বাধা নয়, একেবারে সীমান্তের কাঁটাতারের বাধা। তবে ভালবাসার দুর্নিবার টানে সেই সীমান্তের বাধা পেরিয়ে ভারতীয় যুবক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) যুবতীর সঙ্গে। চার হাত এক হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরতে গিয়েই অবশ্য 'কাহানি মে টুইস্ট'। যা মনে করিয়ে দিল বলিউডের বিখ্যাত রোম্যান্টিক সিনেমা 'বীর জারা'র কথা। কাঁটাতার পেরিয়ে ফেরার পথে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে পড়ে গ্রেপ্তার (Arrest) হয়ে গেল নবদম্পতি। কারওরই বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নেই। পরিচয় একটাই, দু'জনে এখন স্বামী-স্ত্রী, একে অপরের সাত জন্মের সঙ্গী।কিন্তু রাষ্ট্রের আইন সে কথা মানে না। আইনি পরিচয়পত্র না থাকায় আপাতত এই যুগল এখন বিচারাধীন বন্দি। কবে মুক্ত হয়ে ঘর বাঁধতে পারবে দোঁহে? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

জয়কান্ত চন্দ্র রায় নামে ২৪ বছর বয়সি ওই যুবকের বাড়ি নদিয়া (Nadia) শান্তিপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। আর অস্টাদশী যুবতীর বাড়ি বাংলাদেশের নেরাইল থানা এলাকার এক গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উভয়ের আলাপ-পরিচয়-বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং পরিণয়। একে অপরের পাশে থাকার চির অঙ্গীকার করে ফেলার পর কীভাবে তা সম্ভব, সেই পথ খুঁজতে থাকে উভয়েই। যুবক জয়কান্তের বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নেই। আর মেয়েটি তো কোনওদিন এসবের কথা ভাবেইনি। কারণ, সীমান্তের অপর পাড়ে তার অপেক্ষায় বসে থাকা কোনও যুবকের সঙ্গে সলে ঘর বাঁধার কথাই কল্পনা করেনি কখনও। কিন্তু প্রেমের টান যে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই দু'জনে ঠিক করেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। আর আইনি নথিপত্র ছাড়াই সেই কাজে পা বাড়ান জয়ন্ত।


পুলিশ ও বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরিকাকে বিয়ে করবেন বলে জয়কান্ত বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে যাওয়ার ঝুঁকি নেন। তারকনগরের বাসিন্দা এক দালালকে ধরে অবৈধ পথে এবছর ৮ মার্চ বাংলাদেশে চলে যান। ওপারে বাংলাদেশ তখন বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। ঠিক দু'দিন পর, ১০ মার্চ সামাজিক মতে তাদের বিয়ে হয়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নববধূকে নিয়ে গত ২৫ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশেই ছিলেন জয়কান্ত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, 'স্ত্রীকে নিয়ে একইরকমভাবে অবৈধ পথে ভারতে আসার জন্য রাজু মণ্ডল নামে এক বাংলাদেশি দালালকে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।' অবৈধপথে প্রায় চলেই এসেছিলেন ভারতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

নদিয়া জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের মধুপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ওই নবদম্পতিকে ধরে ফেলেন। বেআইনি অনুপ্রবেশ, বৈধ পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে যাওয়ার অভিযোগ-সহ একাধিক আইনে ভারতীয় নাগরিক জয়কান্ত এবং বাংলাদেশি নাগরিক সাগরিকাকে বিএসএফের জওয়ানরা গ্রেপ্তার করেন। ধৃত ওই দম্পতিকে তুলে দেওয়া হয় ভীমপুর থানার পুলিশের হাতে।

বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার সঞ্জয় প্রসাদ সিংহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'আমাদের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরা ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নিশ্চিত হন যে, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ধৃত ওই পুরুষ বৈধ পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। আবার বৈধ পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই একজন মহিলাকে তিনি নিয়ে ভারতে আসছিলেন। দুটোই গুরুতর অপরাধ। তাই দু'জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, 'দু'জনেই বর্তমানে বিচারবিভাগীয় বন্দি হিসেবে রয়েছেন। ফরেনারস ও পাসপোর্ট আইনে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দুজনে যে বিবাহিত, তা নিশ্চিত করা গিয়েছে।' বিচার ব্যবস্থায় এখন ওই নবদম্পতির কী শাস্তি হয়, সেটা বলবে ভবিষ্যত্‍।
জম্মু বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা (Drone Attack) থেকে শিক্ষা নিয়েছে দেশ। তাই শত্রুদের পাল্টা জবাব দিতে করা হবে নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবস্থা। শীঘ্রই “কাউন্টার-ড্রোন” নীতিও চালু হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সম্প্রতি জম্মুতে ঘটে যাওয়া ড্রোন হামলা ও আগামিদিনে এই ধরনের হামলা রুখতে কী কী পদক্ষেপের প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি উচ্চস্তরীয় বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval) প্রমুখ।

রবিবার জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোনের মাধ্যমে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আহত হন বায়ুসেনার দুই আধিকারিক। এরপর একাধিকবার জম্মুর বিভিন্ন মিলিটারি ক্যাম্পের কাছেও ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ক্রমাগত ড্রোন হামলার চেষ্টার পাল্টা জবাবেই নতুন নীতি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই বিষয়ে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে (জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাব) নিয়মিত কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম (Counter Drone System)-র প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থে এই বিষয়ে নতুন নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে”। সূত্র অনুযায়ী, ড্রোন হামলা রোখা ও পাল্টা জবাবের মতো যাবতীয় দায়িত্ব বায়ুসেনার হাতেই তুলে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে ড্রোন হামলা রোখার বিষয়ে কোনও একক নীতি নেই। সেই কারণেই বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে নতুন নীতি স্থির করা হবে। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেকটর, ইলেকট্রো-অপটিকাল ক্যামেরা, ইনফ্রারেড ক্যামেরা, র্যাডার, ড্রোন ধরার জাল, জিপিএস স্পুফার, লেজার ইত্যাদির ব্যবহার করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
ক্যানিং থানার আইসি আতিকুর রহমানের বদলি আটকাতে ক্যানিং থানার সামনে বিক্ষোভ গ্রামের মহিলাদের। এলাকায় থাকতে হবে থানার আইসি-কে। তাকে কোথাও বদলি করা যাবে না। এই দাবি নিয়ে প্রায় শতাধিক মহিলা মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাতে আসেন ক্যানিং থানাতে। তালদি, ক্যানিংয়ের আশপাশের এলাকা থেকে মহিলারা জড়ো হয়েছিলেন এই বিক্ষোভে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, মাত্র কয়েক মাস হল এখানে এসেছেন আইসি। এত তাড়াতাড়ি তাঁকে বদলি করা যাবে না। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তাঁকে থাকতে হবে। প্রায় ঘন্টা দু'য়েক ধরে বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যের ১১০ জন আইসি-কে বদলি করার নির্দেশ দেয় রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর।

সেই মতো বদলি হন ক্যানিং থানার আইসি আতিবুর রহমান। ক্যানিং থেকে তাকে পাঠানো হয়েছে কার্শিয়াং।
নামতে নামতে ১৬০০-র নীচে নেমে এল রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। তবে গত দু’দিন যাবত্‍ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আশা জাগাচ্ছে জেলায় জেলায় নিম্নমুখী সংক্রমণের গ্রাফ। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলায় মৃত্যু এখনও ঠেকানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার নতুন করে রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৬১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। গতকাল এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২। তার আগের দিন ২৯। অন্যদিকে, রাজ্যের বর্তমান সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২১ হাজার ১১৬ জন। রাজ্যে বর্তমান সুস্থতার হার ৯৭.৪১ শতাংশ। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন।


শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৩ হাজার ১৬৬ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশ।

দেখে নিন আপনার জেলায় করোনা সংক্রমণের ছবিটা ঠিক কেমন.

আলিপুরদুয়ার- গতকাল আক্রান্ত ২৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩৫ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

কোচবিহার- গতকাল আক্রান্ত ৯৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১০১ জন। মৃত্যু: সোমবার-১, মঙ্গলবার-০।

দার্জিলিং- গতকাল আক্রান্ত ১৬৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৫৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৭৪ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

কালিম্পং- গতকাল আক্রান্ত ৩০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২১ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

জলপাইগুড়ি- গতকাল আক্রান্ত ১০৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১২৬। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-৩।

উত্তর দিনাজপুর- গতকাল আক্রান্ত ২০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩০ জন। মৃত্যু: সোমবার-২, মঙ্গলবার-০।

দক্ষিণ দিনাজপুর- গতকাল আক্রান্ত ২২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২২ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

মালদহ- গতকাল আক্রান্ত ৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৪ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

মুর্শিদাবাদ- গতকাল আক্রান্ত ১৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৫ জন। মৃত্যু: সোমবার-১, মঙ্গলবার-২।

নদিয়া- গতকাল আক্রান্ত ৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১০৫ জন। মৃত্যু: সোমবার-১, মঙ্গলবার-২।

বীরভূম- গতকাল আক্রান্ত ২৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২১ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-১।

পুরুলিয়া- গতকাল আক্রান্ত ৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

বাঁকুড়া- গতকাল আক্রান্ত ৯৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৭৭ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

ঝাড়গ্রাম- গতকাল আক্রান্ত ৪১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৪৫ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

পশ্চিম মেদিনীপুর- গতকাল আক্রান্ত ১৬৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৩৭ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-১।

পূর্ব মেদিনীপুর- গতকাল আক্রান্ত ১১৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৮৯ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

পূর্ব বর্ধমান- গতকাল আক্রান্ত ৬৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫৬ জন। মৃত্যু: সোমবার-১, মঙ্গলবার-০।

পশ্চিম বর্ধমান- গতকাল আক্রান্ত ৬০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫১ জন। মৃত্যু: সোমবার-০, মঙ্গলবার-০।

হাওড়া- গতকাল আক্রান্ত ৯২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১২৫ জন। মৃত্যু: সোমবার-১, মঙ্গলবার-১।

হুগলি- গতকাল আক্রান্ত ৯১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১২৬ জন। মৃত্যু: সোমবার-৪, মঙ্গলবার-৫।

উত্তর ২৪ পরগনা- গতকাল আক্রান্ত ১৮৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৭৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৪৮ জন। মৃত্যু: সোমবার-৯, মঙ্গলবার-১১।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- গতকাল আক্রান্ত ৯৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১২৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১২৬ জন। মৃত্যু: সোমবার-৫, মঙ্গলবার-২।

কলকাতা- গতকাল আক্রান্ত ১৬৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৭৪ জন। মৃত্যু: সোমবার-৭, মঙ্গলবার-৭।
করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার দেশে হানা দিল সাইটোমেগালোভাইরাস। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে । দিল্লিতে ইতিমধ্যেই পাঁচজনের শরীরে সিভএম অর্থাত্‍ সাইটোমেগালোভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে । এ বিষয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিত্‍সক অনিল অরোরা জানান , সম্প্রতি দিল্লিতে ৫ জনের শরীরে সাইটোমেগালোভাইরাস হানা দিয়েছে । যাঁদের প্রত্যেকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পেটে ব্যাথা এবং মলের সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয় । ঘটনাকে ঘিরে রাজধানীতে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।


 ৫ জুলাই অবধি বাড়ল রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে চলবে সরকারি-বেসরকারি বাস। ছাড় পেল অটো-টোটা। তবে বন্ধ থাকছে ট্রেন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস। খুলছে বিউটি পার্লার, সেলুন। বাড়ছে বাজার খোলার সময়ও। সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্যান্য দোকান ১১ টা থেকে ৮ পর্যন্ত খোলা থাকবে। সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিস্তারিত আসছে….

 দেশে যে গতিতে টিকাকরণ চলছে তাতে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। করোনার মত মারণ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় টিকাকরণ। টিকার ওপরেই বেশি করে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি টুইট করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ভারতের টিকা অভিযান গতি বাড়িয়ে চলেছে!যারা এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের প্রতিশ্রুতি সকলের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান।

দেশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ। পাশাপাশি আশঙ্কা রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামী দিনগুলিতে ভ্যাকসিন সরবরাহে কোনোরকম খামতি থাকবে না। করোনা পরীক্ষার ওপরেও জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও তিনি ভ্যাকসিন দেওয়ার গতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।


আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে টুইট করে জানিয়ে দিলেন, ভারতে টিকা অভিযান গতি বাড়িয়ে চলেছে।প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া ধীমে গতিতে হচ্ছে এই অভিযোগ মিথ্যে। দ্রুত গতিতেই চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হিসেবে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত 32 কোটি ৩৬ লাখ মানুষ টিকার ডোজ পেয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ভারত-আমেরিকা, ফ্রান্স ,জার্মানি ইতালিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।




  ৮ তারিখ বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad Bill) বিল। সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেট পেশের পরের দিনই এই বিল পেশ করা হবে। পাশাপাশি, বিধানসভা অধিবেশনের পূর্ণাঙ্গ সূচি জানিয়ে দেন তিনি।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুলাই। ওইদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। পরের দু দিন - ৩ এবং ৪ জুলাই ছুটি। ৫ ও ৬ তারিখ রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক হবে। এর পর ৭ তারিখ দুপুর দুটোয় বাজেট পেশ। ৮ তারিখ বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে।



২০১১ সাল থেকেই বিধান পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনাও হয়েছে। একুশে ক্ষমতায় ফেরার পরই বিধান পরিষদ গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিপূর্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই প্রস্তাব পাশ হয়।

কী এই বিধান পরিষদ?
দেশের সংসদে যেমন লোকসভা (Lok Sabha) এবং রাজ্যসভা দুটি কক্ষ থাকে, তেমনি রাজ্য আইনসভাতেও দুই কক্ষের নিয়ম আছে সংবিধানে। আইনসভার নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ হিসেবে পরিচিত। তবে, এই বিধান পরিষদ রাজ্য সরকারগুলি চাইলে অবলুপ্ত করতে পারে, আবার তৈরিও করতে পারে। সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন জরুরি। বাংলাতেও ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ ছিল। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেস এবং যুক্ত ফ্রন্টের সরকার তা বাতিল করে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যাঁদের বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।



কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার সমস্যা আগেই দেখা দিয়েছিল। এবার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েও একই সমস্যায় পড়ছেন বহু ভারতীয়। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলিতেই নতুন '‌ভ্যাকসিন পাসপোর্ট'‌ এর নিয়মে কোভিশিল্ডকে অনুমোদন প্রাপ্ত ভ্যাকসিন বলে গণ্য না করায় সমস্যায় পড়ছেন বিদেশযাত্রী, বিশেষত পড়ুয়ারা। দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট প্রধান আদর পুনাওয়ালা। সোমবার সংস্থার সিইও টুইট করে জানান, '‌বহু ভারতীয়, যাঁরা কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছেন, তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। আমি সকলকে আশ্বস্ত করছি যে গোটা বিষয়টি শীর্ষস্তরে জানানো হয়েছে। 
আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টিকা নিয়ামক সংগঠন ও কূটনৈতিক স্তরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধান হয়ে যাবে।'‌
ভারতে কোভ্যাক্সিন তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল চলাকালীনই অনুমোদন পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি। কিন্তু কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে তা নয়। অন্যান্য দেশে কোভিশিল্ডের টিকাপ্রাপকরা সমস্যায় না পড়লেও সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিকিত্‍সা নিয়ামক সংগঠন মোট চারটি টিকায় অনুমোদন দিয়েছে। এতে ইউরোপে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও একই উপাদানে তৈরি ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় তৈরি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আগামী ১ জুলাই থেকে ইউরোপে ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হবে। টিকা নেওয়া থাকলে, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে বা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। করোনাকালে স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য প্রয়োজন পড়বে এই সার্টিফিকেটের। যাঁরা বিদেশ থেকে আসবেন, তাঁদের কাছেও এই সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বর্তমান নিয়মে কোভিশিল্ড প্রাপ্ত ভারতীয়রা কোনও সমস্য়ায় না পরলেও ১ জুলাইয়ের নতুন নিয়মে তাঁদের কোয়ারেন্টিন সহ অন্যান্য কোভিডবিধি মানতে হবে।


 এক বছরের মধ্যেই জোড়া ঘুর্নিঝড়ে কার্যত টালমাটাল পরিস্থিতি সুন্দরবনের। একদিকে যেমন জলঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী একাধিক এলাকা। ঠিক সেইরকম ভাবেই সেই দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে লোকালয়ে এসে পড়ছে বিভিন্ন বিষধর সাপ। কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয় এক কালকেউটে। আর এবার সন্দেশখালি।

কী উদ্ধার করা হয় সন্দেশখালি থেকে ?

এবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের খুলনা গ্রামে, সেখানে মত্‍স্যজীবীদের হাতে ধরা দেয় এক কিং কোবরা। বলাবাহুল্য এই নিয়ে এক সপ্তাহে প্রায় দুটি বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধার হয়। মত্‍স্যজীবী মতিরাম সর্দারের আটলে ১১ ফুট লম্বা কালো ও রুপালি রংয়ের এই কিং কোবরার ধরা পড়ার খবর পেয়েই তত্‍ক্ষনাত্‍, ঘটনাস্থলে আসেন, বন দপ্তরের কর্মীরা । এরপর তাঁরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়, এবং তাকে সুস্থ করে আবার ও গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে যায়।

কী বলছেন স্থানীয়রা ?

সাধারনভাবে বলা হচ্ছে, এই প্রজাতির সাপ গুলো গভীর জঙ্গলে বসবাস করে। কিন্তু, সদ্য ঘটে যাওয়া এই ঘুর্নিঝড়ের মত বড় বিপর্যয়ের ফলে, জঙ্গলের একদিকে নোনাজল অন্যদিকে জীবজন্তু পশুপাখি দের খাবার এর ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে।
যারজন্য ই, সুন্দরবন লাগোয়া জঙ্গল থেকে রায়মঙ্গল নদী পার হয়ে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে, এই রকম বিষধর সাপ গুলি। এমনটাই অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার ফলে খানিকটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে , সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।


 কলকাতা, ২৮ জুন: অসুস্থ সংগীতশিল্পী কবীর সুমন । শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে  ভর্তি তিনি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং গলায় ব্যাথা থাকায় রবিবার গভীর রাত থেকেই তিনি অসুস্থতা বোধ করতে থাকনে। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত তিনি চিকিত্‍সাধীন এবং হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল বলে জানা যায়। প্রবল গলায় ব্যাথা ছিল গত চারদিন ধরে। কোনও কিছু গিলতে খুব সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। রবিবার রাতে বারবারই হয়ে যাওয়ায় তত্‍ক্ষণাত্‍ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর করোনার পরীক্ষা (COVID-19) করানো হয়। এখনও রিপোর্ট মেলেনি। তাঁর চিকিত্‍সায় ২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল রাতে বছর ৭৮-র কবীর সুমনের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এই রিপোর্ট অনেক সময় ভুল আসে। সেকারণে, আরটিপিসিআর টেস্টও করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও মেলেনি। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। খেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। করোনার রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন চিকিত্‍সকেরা। আপাতত, অ্যান্টিবায়োটিক চলছে তাঁর।




 করোনার তৃতীয় তরঙ্গ রুখতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি এবং টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড চিকিত্‍সার ওষুধ আসতে চলেছে ভারতের বাজারে। যা করোনার চিকিত্‍সায় ব্যবহৃত হলে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হবেন বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরির তরফ থেকে ঘোষণা করা হল, টু-ডি-অক্সি-ডি-গ্লুকোজ অর্থাত্‍ টু ডিজি ওষুধ খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে দেশের বাজারে। প্রাথমিকভাবে দেশের টায়ার ওয়ান শহরগুলোতে পাওয়া যাবে এই ওষুধ। তারপর অন্যান্য অংশে এই ওষুধ সরবরাহ করবে সংস্থা।

করোনার দ্বিতীয় বর্ষে গত মাসেই এই ওষুধ স্বাস্থ্য মন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত হয়। ডিআরডিও এবং ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরির মিলিত উদ্যোগেই এই ওষুধ আসতে চলেছে ভারতে। এর কারণে করোনা চিকিত্‍সায় খুব দ্রুত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এই ওষুধের ব্যবহারে অক্সিজেন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তাও অনেকাংশে কমবে। সংস্থা থেকে ঘোষণা করা হয়েছে 'স্যাশেজ' আকারে আপাতত পাওয়া যাবে এই ওষুধ। একটি স্যাশেজের দাম ৯৯০ টাকা। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ওষুধের দামে ছাড় দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, টু ডিজি একধরনের ওরাল ওষুধ। চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়া এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধ পাওয়া যাবে না বলেও ঘোষণা করেছে সংস্থা। হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন করোনা রোগী, যাদের মাঝারি থেকে গুরুতর উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগে সুফল 

পাওয়া যাবে বলেও জানান হয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি করোনা অন্যান্য চিকিত্‍সাও চলবে।

 


বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা পুরসভার সামনে। কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে জমায়েত করেন তাঁরা। অভিযোগ, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি চলে বাম কর্মী-সমর্থকদের, গ্রেফতার করা হয় বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভ মিছিলের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বামেদের তরফে। এলিট সিনেমা হলের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল তাদের। সেইমতো সেখানেই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। তবে সেই বাধা সরিয়ে কলকাতা পুরসভার দিকে এগোতে থাকেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ পথ আটকালে শুরু হয় ঝামেলা। পুরসভার সামনে নকল সিরিঞ্জ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দাবি করা হয়, অনেক বড় কারসাজি রয়েছে এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নেপথ্যে। অনেকে যুক্ত রয়েছেন। এটা তো একটা দেবাঞ্জন বেরিয়েছে।

 আশঙ্কা, আরও অনেক দেবাঞ্জন লুকিয়ে রয়েছে বাংলায়। তদন্ত হলে সব বেরিয়ে যাবে। বিক্ষুব্ধ বাম কর্মী-সমর্থকরা এদিন জানান, পুরসভার ভিতরে ঢুকে কমিশনারের হাতে স্মারকলিপি জমা দেবেন তাঁরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার খবর পাওয়মাত্রই বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয় পুরসভার সামনে। তার পরেও নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে ধস্তাধস্তি চালায় বামেরা। এর পরেই পুলিশ বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, আগাম অনুমতি না নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য কাউকে পুরসভার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি এদিন সকালে সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনেও বিক্ষোভ করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকালে বামেদের ডাকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। যদিও স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছানোর আগেই বিরাট পুলিশ বাহিনী বাম কর্মীদের আটকে দেয়। সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার আগেই বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতিতে এসব করা যাবে না। তাই তাদের আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। কয়েক দিন আগে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পে টিকা নিয়ে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন খোদ সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তিনি জানান, টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর কাছে কোনও সার্টিফিকেট আসেনি। এমনকি রেজিস্ট্রশনের কোনও তথ্যও আসেনি মোবাইল নম্বরে। আর এতেই খটকা লাগে অভিনেত্রীর। এর পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশেও খবর দেন। তার পরেই সামনে আসে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নাম। যার সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গতকাল, রবিবার এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবীতে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভের ডাক দেয় বামফ্রন্ট। একই দাবিতে সোমবার স্বাস্থ্যভবনে ও পুরসভায় জমায়েত বিক্ষোভ করে তারা।

রাজর্ষি বন্দোপাধ্যায়; 

অধুনা বাংলাদেশের না বলা ইতিহাস 
খুলনা একসময় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হিন্দু অধ্যুসিত এলাকা ছিল । ১৯৬০ সালে আজকের বাংলাদেশ,অর্থাৎ তখনের পূর্ব পাকিস্থানের খুলনা জেলার আব্দুর সবুর খান রূপচাদ নামক একজন হিন্দুর জামি দখল করে তার উপরে ৫ তলা বাড়ি করেছিল। রুপচাদ কোর্টে মামলা করে আর সেই মামলায় জিতে যায়। এই পরাজয় আব্দুর সবুর খান মেনে নিতে পারেনি, সে জেদ পুষে রাখে। এরপর ১৯৬৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর কাষ্মীরের হজরত বাল মসজিদে রাখা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবীর বাল-মুবারক বা চুল চুরি হয়ে গেছ বলে উপমহাদেশে গুজব ছড়ালো। পাকি শাসক আইয়ুব খান বিবৃতি দিল: "এর ফলাফল হিসাবে হিন্দুদের উপর কি হবে আমি জানিনা, আমি কোন দায় নিতে পারবোনা।" ম্যাজিকের মত আবার কয়েকদিনের মধ্যেই ,২ জানুয়ারীতে বাল-মুবারক উদ্ধার হলো ! বাল-মুবারক পাওয়া গেলে কি হবে? ১৯৬৪ সালের ৩ জানুয়ারী থেকে ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত খুলনার হিন্দুদেরকে দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে হলা হলো এবং লিফলেট বিতরণ করা হলো । দিকে দিকে স্লোগান উঠলো:' একটা দুইটা হিন্দু ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর !' রাগ পুষে রাখা আব্দুর সবুর ময়দানে নামল । আব্দুর সবুর খানের নেতৃত্বে খুলনার জায়গায় জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমন নেমে এলো । রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হিন্দু হোস্টেলের উপর সারারাত ইট ছুড়ল জামাতি ইসলামীরা । আক্রমন কেবল খুলনাতেই সীমিত রইলো না ! ১৪ জানুয়ারী, ১৯৬৪, চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জগামী ট্রেন ঢাকার টঙ্গি এবং তেজগাও থামার পরে ট্রেন ঘিরে ফেলা হলো এবং হিন্দুদের ট্রেন থেকে নামতে বলা হলো । যারা নামল না, তাদেরকে লাগাতার খুন করা হলো !

ফেরত আসি খুলনার মূল ঘটনায় । মজিদ মিয়াঁ নামে সবুর খানের মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। সবুর খান ও চামকুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ তাদের দলের অন্যান্য সদস্যরা এই পরাজয়ের কারণ হিসেবে হিন্দুদেরকে দায়ী করে এবং হিন্দুদের প্রতি হুমকি,ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করে। এই সময়ের প্রেক্ষাপটেই কাষ্মীরের হজরত বাল মসজিদে রাখা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবীর বাল-মুবারক বা চুল চুরি হয়ে গেছ বলে উপমহাদেশে গুজব ছড়ানো হয়েছিল । হিন্দু নিকেশের জন্য এই সুযোগ সবুর খান স্বাদরে গ্রহণ করেছিল । হজরতবাল ঘটনার জন্য ১৯৬৪ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে, মুসলিমরা হিন্দুদেরকে পায়ে জুতো পরতে, মাথায় ছাতা ব্যবহার করতে কিংবা রিকশায় চড়তে বাধা দেয় । বিকাল চারটেতে খুলনায় হিন্দু নিধন শুরু হয়। টানা চার ঘণ্টা এই নারকীয় কর্মকান্ডের পর রাত আটটায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। প্রাদেশিক মুসলিমলীগ ৩ জানুয়ারিকে ‘কাশ্মীর দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করলো আর পরিস্থিতিকে আরও বিভীষিকাময় ও সন্ত্রস্ত হয়ে উঠলো। দৌলতপুর শিল্প এলাকায় এক বিশাল জনসভায় আব্দুস সবুর খান ভাষণ দিল। সবুর খান এই সুযোগে হিন্দু বিদ্বেষী এবং ভারত বিরোধী জ্বালাময়ী ভাষণ পেশ করলো । সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ থেকে প্রায় ২০,০০০ মুসলিম জনতা সেনহাটি (দিঘলিয়া উপজেলা), মহেশ্বরপাশা, পাবলা,চন্দনীমহল, দৌলতপুরসহ আশেপাশের হিন্দুপ্রধান জনবসতি গুলোর উপর তীব্র আক্রোশে আক্রমণ শুরু করে দিল । হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মস্থান লুট ও অগ্নিসংযোগ করা হলো । নির্মমভাবে হত্যা হলো বহু হিন্দু, লুট করা হলো মা বোনের সম্ভ্রম ! পরবর্তী চার দিন খুলনার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর লাগামহীন হত্যা,ধর্ষণ,অপহরণ, লুণ্ঠন, ধ্বংসের এক বন্য বীভৎসতা চলে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার মুসলিম শ্রমিকরা হিন্দুদের উপর এই জঘন্য,অমানবিক জিঘাংসা চালায় আর লোপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এদেরকে মারণাস্ত্র সরবারহ করে । খুলনা লঞ্চঘাটে কমপক্ষে ২০০-৩০০ হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ! মোংলা বন্দরে ৩০০ হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। লোপপুর বাজারে আব্দুস সবুর খান একটা জনসভায় বলেছিল, সে হিন্দুদের পিঠের চামড়া তুলে পায়ের জুতো তৈরি করবে। আব্দুল মোনায়েম খান, ভূতপূর্ব পূর্ব-পাকিস্তান আইনপরিষদের সদস্য এবং তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য কাজী আব্দুল কাদের এসব ঘটনায় স্পিকটি নট ! পাকিস্তানে গণমাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সম্পূর্ণভাবে কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। ফটো তোলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। দৈনিক ইত্তেফাক ও পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় কিছু সত্য ঘটনা প্রকাশের জন্য সেগুলোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।এর প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের পাঁচটি দৈনিক পত্রিকা তাদের ছাপানো বন্ধ করে দেয় !

খুলনাসহ সমগ্র আজকের বাংলাদেশে সেসময়ে দিন প্রতি ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ হিন্দু সর্বস্ব ত্যাগ করে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড় হত আর মাত্র ৩০০-৪০০ ভাগ্যবান হিন্দুই ভারতে প্রবেশের অনুমতি পেত। সংখাতীত দেশান্তরের কারণে পূর্ব-পাকিস্তানের একমাত্র হিন্দু গরিষ্ঠ জেলা খুলনাও মুসলিম গরিষ্ঠ জেলাতে রূপান্তরিত হলো ।

আলটিমেটলি অবিকৃত ইসলামের ঐশী কিতাব কোরানের ৯৮ নম্বর সুরার(সূরা আল বাইয়্যিনাহ) ৬ নাম্বার আয়াত বলছে :

" আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কা-র, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।"

রেফ: ১.Trivedi, Rabindranath (২৩ জুলাই ২০০৭)। "The Legacy of the plight of Hindus in Bangladesh - Part-VII: Bengali Muslims Fight Communalism in 1964"
২.Mukhopadhyay, Kali Prasad (2007). Partition, Bengal and After: The Great Tragedy of India. New Delhi: Reference Press. p. 48
৩.Bhattacharyya, S.K. (1987). Genocide in East Pakistan/Bangladesh. Houston: A. Ghosh (Publisher). p. 95.
৪. Roy, Tathagata (২০০১)। My People, Uprooted: A Saga of the Hindus of Eastern Bengal। Kolkata: Ratna Prakashan। পৃ: 220–221।
৫. Nevard, Jacques (২৪ জানুয়ারি ১৯৬৪)। "Riots Arouse Moslem Shame"
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে দেখা যেতে পারে। এই গ্রীষ্মে তৃতীয় স্তরের টুর্নামেন্টে মুলগ্রেভ ক্রিকেট ক্লাব নামক মেলবোর্নভিত্তিক কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে যুবিকে খেলতে দেখা যাবে জানা গেছে। শুধু যুবরাজ সিংই নন, ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লাবটি ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং ব্রায়ান লারার মতো সুপারস্টারদের সাথে চুক্তি করেছে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে মুলগ্রেভ ক্লাবটি শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনথ জয়সূর্যকে তাদের প্রধান কোচ হিসাবে দলে নিয়েছে। উপুল থরাঙ্গা, তিলকরত্নে দিলশানের মত তারকাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা। ক্রিক.কম.এইউ-কে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জানান, "আমরা দিলশানকে, সনথকে, থারাঙ্গাকে

আমরা এখন আরও কয়েকজন সম্ভাব্য খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছি। ক্রিস গেইল এবং যুবরাজ সিংয়ের সাথে আমাদের প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পাকা কথা হয়ে রয়েছে।"

"আমরা এখনও আমাদের সমর্থন করার জন্য আরও স্পনসর খুঁজছি। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা ক্রিকেটের প্রসারে কাজ করে যাবো" ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আরও জানান। ইসিএ'র টি-২০ কাপে নকআউট পর্বের আগে ৩টি প্রাথমিক ম্যাচ দেখা যাবে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির এই ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে।
লকডাউনে  কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক নাবালক। তবে বরাতজোড়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, আদতে অসমের বাসিন্দা বছর ১৭-এর ওই নাবালক। অভাব নিত্যসঙ্গী। তাই ছোটবেলায় পড়াশোনা ছেড়ে উপার্জনের তাগিদে পৌঁছে গিয়েছিল হায়দরাবাদে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তার কাজ চলে যায়। স্বাভাবিকভাবে চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে ভুগতে শুরু করে সে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কিশোর। সেই মতো হায়দরাবাদ থেকে চলে আসে কলকাতায়। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামে। সেখানে পৌঁছনোর পরই দুশ্চিন্তা গ্রাস করে তাকে।পরিবারের সদস্যদের কী বলবেন, কীভাবে অভাব ঘুচবে, কাজ পাবে কি না, এসব নিয়ে চিন্তা করছিল সে।
এরপরই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে

জানা গিয়েছে, ওই কিশোর ব্রিজে আসার পর থেকেই তার গতিবিধি সন্দেহ জনক মনে হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহূর্তে কোনও রকমে ওই কিশোরকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এরপরই তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জেরায় অনটনের কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ওই কিশোর। আপাতত তাকে হোমে রাখা হয়েছে।


গোটা দেশের সঙ্গে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত মাওবাদী শিবিরও। সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। মাওবাদীরা প্রথম দিকে নিজেদের শিবিরে কোভিড সংক্রমণের কথা একেবারেই স্বীকার করছিল না। তবে এখন তারাও আর সেই তথ্য চেপে রাখতে পারছে না।

মাওবাদীদের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, গত ২১ জুন কমিটির সম্পাদক ইয়াপা নারায়ণ ওরফে হরিভূষণের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। এর কিছু দিনের মাথায় ইন্দ্রাবতী এলাকায় রাজ্য কমিটির আর এক সদস্যও কোভিড-১৯-এ মারা গিয়েছে। সিদ্দাবোনা সারাক্কা ওরফে ভারতক্কা নামে ওই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।


শুধু এই দুই শীর্ষ নেতাই নয়, সাম্প্রতিক কিছু গোয়েন্দা আর পুলিশ রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জন মাওবাদীর। সংক্রমিতের সংখ্যাও প্রতি দিন বেড়ে চলেছে। ছত্তীসগঢ়ের এক মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার এসপি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর আছে আপাতত ২০ জন মাওবাদী জঙ্গলে করোনা আক্রান্ত।

প্রথমে করোনা সংক্রমণের কথা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বানানো বলে দাবি করেছিল মাওবাদী নেতৃত্ব। কিন্তু শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের একের পর এক মৃত্যুতে সংক্রমণ ছড়ানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে তারাও। পুলিশ বলছে, মাওবাদী শিবিরে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর মূলে হল দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিও বিপর্যস্ত। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে গিয়েই সংক্রমিত হচ্ছে মাওবাদীরা।
ভুয়ো টিকা দেওয়া প্রতারক দেবাঞ্জন দেব আইএএস ছিলেন না। এই কথা আগের থেকেই জানতেন তাঁর বাবা-মা। পুলিশি তদন্তে এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে। দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই একাধিক নতুন নতুন তথ্য রোজ উঠে আসছে পুলিশের হাতে। গতকাল দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশকিছু তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।

দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি, ডেবিড কার্ড, পাসবুক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে অক্ষয় কুমারের ছবি 'স্পেশ্যাল ২৬' দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই কায়দায় ভুয়ো কিছু অফিসার নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করেছিলেন দেবাঞ্জন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা কাণ্ডে আগেই পুলিশি জেরার মুখে পড়েন দেবাঞ্জন।কিন্তু তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পোক্ত প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তাই শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যান দেবাঞ্জন। তখন থেকেই দেবাঞ্জনের বাবা-মা জানতে পারেন ছেলে আদপে কোনও আইএএস অফিসার নয়। বরঞ্চ প্রতারক হিসেবেই দিন দিন নানান অপরাধমূলক কাজ করছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরের লোক তো ছাড়, দেবাঞ্জন খোদ নিজের ঘরের লোককেও ছাড়েননি প্রতারণা করতে ছাড়েনি। নিজের মামা সন্দীপ মান্না, পেশায় আঁকার শিক্ষক, ভালো আঁকেন তাই ভাগ্নে আইএএস ভেবে কলকাতায় আঁকার প্রদর্শনী করতে অনুরোধ করেন। ডায়মন্ডহারবারের গোপাল দাস পাড়ায় থাকেন সন্দীপ মান্না। ভাগ্নেকে বলে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় আঁকার প্রদর্শনী করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সন্দীপ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রতারক ভাগ্নে প্রদর্শনের জন্য ৩৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা চেয়ে বসেন। তাই নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে ভাগ্নেকে ওই টাকা দেন সন্দীপ। ২০১৯ সালের জুন মাসে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
১২ বছরের ছাত্রীকে প্রেমপত্র লেখার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর পর স্থানীয়রা মাথা মুড়িয়ে, মুখে কালি লাগিয়ে এলাকায় ঘুরিয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইনদওর জেলার একটি খেরি গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সেখানকার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বৈভব নায়েক (২৪)। তিনি যে স্কুলে পড়ান সেই স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শুক্রবার তিনি প্রেমপত্র পাঠান বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলারও চেষ্টা করতেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীটি কথা বলতে না চাইলে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা আটক করেন অভিযুক্ত শিক্ষককে।

তার পর মারধর করেন। মাথা মুড়িয়ে এবং মুখে কালিয়ে গোটা গ্রাম ঘোরান। ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। ওই ছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মানপুর থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, শিক্ষককে এ ভাবে ঘোরানোর জন্য স্থানীয় ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

আজ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার কয়েকটি বাজার তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকাতেও তিনদিনের জন্য বাজার বন্ধ থাকছে আজ থেকে।


কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে টিকাকরণের সংখ্যা  বৃদ্ধি ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট গড়ে তোলার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে আজ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার কয়েকটি বাজার তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকাতেও তিনদিনের জন্য বাজার বন্ধ থাকছে আজ থেকে। 
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৬, ৭ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কঠোরভাবে মানা হচ্ছে করোনা বিধি। পুর প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে বাজার বন্ধ রাখার। সেইমতো আজ থেকে ৩ দিনের জন্য কাঁকিনাড়ার রথতলা বাজার বন্ধ। পাশাপাশি, ভাটপাড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামনগর বাজারও বন্ধ থাকবে তিনদিন। বাজার বন্ধের বিষয়ে  গতকালই প্রচার করা হয় পুরসভার তরফে। উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ৮৩ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। এই এলাকাগুলিতে কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে করোনা বিধি। 
                                        

করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় আজ থেকে তিনদিনের জন্য সমস্ত বাজার বন্ধ। পুরসভার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু-একদিন আগে পুরসভা ও পুলিশের আধিকারিকরা মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।  পুর এলাকার ৩৫ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে এখনও করোনার সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এজন্যই এই বাজার ও দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক সামগ্রীর দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ। চলছে পুলিশের টহলদারি। 
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে হাওড়া ও হুগলিরও কয়েকটি অংশে তৈরি করা হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। ওই সব এলাকায় মেনে চলা হচ্ছে এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। কয়েকটি এলাকায় দোকান-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ হার তলানিতে নামানোই লক্ষ্য।
 

পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই দুই শিশুকন্যাকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে বাবা। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ওই ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ওই কাণ্ডে ওই দুই শিশুর মা শিউলি বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা হাজিবুল লায়েককে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পেশায় টোটোচালক হাজিবুল।

শনিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার খালেরপুল গ্রামের বাসিন্দা হাজিবুলের বাড়িতে মেলে তার দুই কন্যা সুমি খাতুন (৮) এবং রুবি খাতুনের (৬) দেহ। দুই মেয়ের 'রহস্যজনক' মৃত্যু নিয়ে মা শিউলি রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী হাজিবুল লায়েক, শাশুড়ি হুসনিহারা বিবি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। শিউলির অভিযোগ, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে হাজিবুলই পরিকল্পনা করে তার ২ মেয়েকে হত্যা করেছে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ। রবিবার হাজিবুলকে গ্রেফতার করা হয়।

খালেরপুল এলাকায় বর্ধমান-আরামবাগ রোডের ধারে হাজিবুলের ২ কামরার বাড়ি। সেই বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে রয়েছে হাজিবুলের বৃদ্ধা মা হুসনিহারার চায়ের দোকান। পুলিশ জানতে পেরেছে, শিউলি শনিবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন খণ্ডঘোষের দইচাঁদা গ্রামে তাঁর বাবার বাড়িতে। সুমি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। রুবি গ্রামেরই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল। বিকেলে হাজিবুল নিজেও বাড়িতে ছিল না। সে টোটো নিয়ে বেরিয়েছিল। শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ সুমি এবং রুবির দেহ পাওয়া যায়।
প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, ২ শিশু বাড়িতেই কোনওভাবে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়। হুসনিহারা বলছেন, ''আমি তখন চায়ের দোকানে ছিলাম। ২ নাতনি বাড়ির উঠোনে খেলছিল। হঠাত্‍ই তাদের চিত্‍কার শুনে আমি দোকান থেকে বাইরে বেরোই। দেখি, ওদের শরীরে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রয়েছে।'' যদিও, শাশুড়ির বক্তব্য মানতে নারাজ শিউলি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সে কথা জানার পর থেকে হাজিবুল তাঁর উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন শিউলি। তাঁর দাবি, প্রাণে বাঁচতে খণ্ডঘোষে বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সেই সময় মেয়েদের নিয়ে যেতে চাইলেও তাদের আটকে রাখে হাজিবুল এবং তার বাড়ির লোকজন। পুলিশের দাবি, জেরায় হাজিবুল জানিয়েছে, গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে বাল্ব লাগিয়ে ছিল শিউলি নিজেই। বিদ্যুত্‍ দফতর পুলিশকে জানিয়েছে , 'শর্ট সার্কিট'-এর জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে।

বর্ধমান দক্ষিণের এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ''হাজিবুলের বিরিদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।'' ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাশীনগর মণ্ডলপাড়ায়। মৃতের নাম কল্পনা পাল। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত শাবল। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রদীপ পাল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি চলছিল। প্রদীপ পাল ট্রেকারে কাজ করতেন। তবে, লকডাউনের কারণে ট্রেকার চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই কাজ চলে যায় প্রদীপের। সেই থেকেই অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ইদানিং মদ্যপানও শুরু করেন প্রদীপ। নিজের কাছে টাকা না থাকলে স্ত্রী-র থেকে টাকা নিতেন।

এ নিয়ে অশান্তির কারণে কল্পনা বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তবে, দিন কয়েক আগেই তিনি ফিরে আসেন। রবিবার বিকেলে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চরমে উঠলে হঠাত্‍ই স্ত্রী-র মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন প্রদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কল্পনার।

স্থানীয় বাসিন্দারা এলে পালিয়ে যান প্রদীপ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।।
বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে দুই বোনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। স্বামীর 'বিবাহ-বহির্ভূত' সম্পর্কের জেরে পরিকল্পনা করে মেয়েদের খুন করা হয়েছে বলে রায়না থানায় অভিযোগ করলেন দুই নাবালিকার মা শিউলি বেগম। রবিবার দুপুরে স্বামী হাসিবুল লায়েক, শাশুড়ি হুসনিহারা বিবি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে রায়না থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। হাসিবুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ রায়নার খালেরপুল গ্রামে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সুমি খাতুন (৮) ও রুবি খাতুন (৬) নামে দুই বোন। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ''ওই দুই বালিকার মা শিউলি বেগম রবিবার দুপুরে রায়না থানায় পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ করেছেন।
তিনি বধূ নির্যাতনেরও অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র করে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।''

পুলিশ সূত্রের দাবি, শনিবার ওই ঘটনার সময়ে হাসিবুল বাড়িতে ছিলেন না। টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তিনি গ্রামে ফিরে আসতেই এলাকাবাসীর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয়ে যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে রায়না থানায় নিয়ে যায়। রবিবার দুপুরে অভিযোগ পাওয়ার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ দিন সকালে বর্ধমান শহরের অনতিদূরে খালেরপুল গ্রামে দেখা যায়, বর্ধমান-আরামবাগ রোডের ধারে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া দুই কামরার বাড়িতে বাস হাসিবুলদের। রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকান চালান বৃদ্ধা হুসনিহারা বিবি। মেয়ে দু'টির মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিজনেরা বাড়িতে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা অবশ্য এই ঘটনা 'খুন' বলে মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ঘটনার সময়ে হাসিবুল বাড়িতে ছিলেন না। শিউলি মেয়েদের রেখে খণ্ডঘোষের দইচাঁদা গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। ঠাকুমা মেয়ে দু'টিকে আগলে রেখেছিলেন। মেয়েদের বাঁচাতে গিয়ে তিনিও জখম হয়েছেন।

অভিযুক্ত হুসনিহারা বিবির দাবি, ''আমি চায়ের দোকানে ছিলাম। মেয়ে দু'টি দোকান লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় খেলছিল। চিত্‍কার শুনে এসে দেখি, বিদ্যুতের তারের সঙ্গে মেয়ে দু'টি জড়িয়ে রয়েছে। আমি ছাড়াতে গিয়ে জখম হই।'' একই রকম দাবি করেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকা ঝুমা শেখ। তাঁর বক্তব্য, ''আমিও ছুটে গিয়েছিলাম। সবাই চিত্‍কার করায় এগোয়নি। বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা করি।'' পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। রুবি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল।

যদিও মৃত দুই বালিকার মা শিউলিদেবী রায়না থানায় অভিযোগ করেছেন, স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানার পর থেকেই তাঁর উপরে নির্যাতন শুরু হয়। স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে এক মহিলা এসে তাঁকে মারধর ও অত্যাচার করত। তিনি বাপের বাড়ি খবর দেন। সেখান থেকে লোকজন এলে তিনি তাঁদের সঙ্গে বাপের বাড়ি চলে যান। তাঁর দাবি, ''শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েদের আটকে রেখে দিয়েছিল। আমি বাপের বাড়ি চলে আসার তিন দিনের মাথায় মেয়েদের খেলার জায়গায় বিদ্যুতের তারের সংযোগ করে রেখেছিল। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে আমার মেয়েদের।''

গোটা ঘটনা নিয়ে ধন্দ রয়েছে বলে দাবি পড়শিদের একাংশেরও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বৃদ্ধার দাবি, ''নির্যাতনের শিকার হয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বাধ্য হত হাসিবুলের স্ত্রী। স্ত্রী-মেয়েদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল হাসিবুল, এমন অনেকের সন্দেহ।'' স্থানীয় যুবক হাসেম শেখ, আবুল আলিমদের দাবি, ''হাসিবুলের পক্ষে এমন কাণ্ড ঘটানো অসম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। ঘটনার পরে তাই বাসিন্দাদের অনেকে তার উপরে চড়াও হয়েছিলেন।'' পুলিশ সূত্রের দাবি, তাদের কাছে হাসিবুল দাবি করেছে, সজনে গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তারে বাল্ব ঝুলিয়েছিলেন শিউলিই। এখন তাঁকে মেয়েদের 'খুনি' সাজাতে চাওয়া হচ্ছে।

মৃতদের মেসোমশাই শেখ প্রতিন বলেন, ''মেয়ে দু'টি চিপস্ কিনে আমার সামনেই দৌড়ে বাড়িতে ঢুকল। তার পরেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে থাকার দৃশ্য দেখলাম। দু'টো দৃশ্য এক সঙ্গে কিছুতেই মেলাতে পারছি না।'' পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুত্‍ বণ্টন সংস্থা 'শর্ট সার্কিট' থেকে এমন ঘটেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। রায়না থানার পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ঠিক হবে।
২৭শে জুন জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, জম্মু থেকে সেদিনই উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক, এরই সঙ্গে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। পরপর নাশকতামূলক কাজে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ। স্পেশাল পুলিশ অফিসার (SPO) ও তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। রবিবার রাতে পুলওয়ামার হরিপরিগম গ্রামে এই হামলা চলে। পুলিশ অফিসারের একমাত্র কন্যা রাফিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে প্রাক্তন স্পেশাল অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়ি ঘিরে ফেলে জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। এই ঘটনায় তিনজনেই গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ অফিসারের বাড়ির চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও অফিসার ও তাঁর স্ত্রীকে বাঁচানো যায়নি। বছর দুয়েক ধরেই ওই অফিসারকে কাজ থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই অফিসারের ছেলে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান।

এদিকে, রবিবারই মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয় জম্মু বিমানবন্দরে। রবিবার ভোররাতে কেঁপে উঠল জম্মু বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এরিয়া। ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এই ঘটনায় দু'জন জওয়ান জখম হয়েছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা।

জম্মু বিমানবন্দরের রানওয়ে ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনস্থ। সেখান থেকে যাত্রীবাহী উড়ানও চলাচল করে। সেখানেই টেকনিক্যাল এরিয়া কাছে রবিবার ভোররাতে ৫ মিনিটের ব্যবধানে ২টি বিস্ফোরণ হয়। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় রাত ১টা ৩৭ মিনিটে। আর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে খোলা জায়গায়, রাত ১টা ৪২ মিনিটে।


জম্মু ও কাশ্মীরে রীতিমত বড় নাশকতার ছক কষেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে তার ভয়াবহতা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরেই জম্মু থেকে উদ্ধার হয় একটি 'তাজা বোমা' বা crude bomb। আইইডি (IED) বিস্ফোরণ ঠাসা বোমাটি একটি ভিড়ে ঠাসা এলাকাতেই লাগান হয়েছিল। তবে তা বিস্ফোরণের আগেই নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক বলেও স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, লস্কর ই তৈবার সদস্যরাই এই হামলার ঘটনায় যুক্ত রয়েছে।

 


 kakdwip .com  লকডাউনে বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই কোনরকমে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও, এখনই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। অন্যদিকে অদূরে রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানিও। গবেষকদের মতে, এই তৃতীয় ঢেউয়ের স্রোতে সমস্যা বেশি হতে পারে শিশু কিশোরদেরই। আর সেই কারনেই বাধ্য হয়ে খোলা যাচ্ছেনা স্কুল।

কিন্তু একদিকে যখন লকডাউনের কারনে বন্ধ স্কুল। তখন সেই বন্ধু স্কুলের ভিতরেই চলছিল বোমা বানানোর কাজ। শনিবার রাতে হঠাৎই সেই বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত হন ৩ জন দুষ্কৃতী। শাসনের দাতপুরের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই আহতদের পাঠানো হয়েছে রাজারহাট হাসপাতলে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, লকডাউনে কিছুদিন ধরেই বন্ধ ছিল স্কুল। যার ফলে মূলত স্কুল বাড়ির দিকে যাতায়াত ছিল না গ্রামবাসীদের। সেই সূত্র ধরেই, এখানে কয়েকদিন ধরে ঘাঁটি গেড়েছিল বেশ কিছু দুষ্কৃতী। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রাতেও বোমা বানাচ্ছিল তারা।


কিন্তু হঠাৎই বিস্ফোরণ হওয়ায় তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়। ধসে যায় স্কুল বাড়ির প্লাস্টারও। এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সভাপতি জানিয়েছেন, গতকাল রাতে হঠাৎই বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।

ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এলাকায় একাধিক নাশকতামূলক কাজের ছক কষছিল দুষ্কৃতীরা। আর সেই কারণেই স্কুলবাড়িকে বেসক্যাম্প হিসেবে বেছে নিয়েছিল তারা।



 আগামী ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনে আসতে পারে বিধান পরিষদ বিল। বিধানসভা সূত্রে তেমনটাই খবর মিলেছে। এ বারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। সরকার গঠনের পর ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। আর নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবশেনেই সেই ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু করেছে শাসক পক্ষ। কেন্দ্রীয় আইনসভার যেমন দু'টি কক্ষ রয়েছে, উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ বা লোকসভা, তেমনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ। বর্তমানে ভারতের ৬টি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব রয়েছে।

তৃণমূল পরিষদীয় দল অবশ্য বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারায় রয়েছে, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০-এর কমও থাকবে না। প্রসঙ্গত, এক সময় পশ্চিমবঙ্গেও বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। তবে, বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলে তার অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাস হয়। ১৯৬৯ সালের পয়লা অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ অবলুপ্ত হয়।

রাজ্যসভার মতোই বিধান পরিষদেরও কার্যকাল ৬ বছর এবং প্রতি ২ বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের অবসর নেওয়া বিধেয়। সংসদের উচ্চকক্ষের মতোই অর্থ বিল ছাড়া যে কোনও বিল বিধান পরিষদে আনা যায়। বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেবল রাজ্য সরকার বিধানসভার বিল পাশ করলেই হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভার দু'টি কক্ষেই বিলটিকে অনুমোদন পেতে হবে। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে, তবেই তা রাজ্যে কার্যকর হবে। তাই এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।



 রবিবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে গেলো ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের ভিতরে টেকনিক্যাল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ড্রোন থেকে ছোঁড়া আইইডির জেরেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। আর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগে পাকিস্তান বা অন্য দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতো ভারতে এসে। এখন স্থানীয় স্তরে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বড়ো গলায় বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে অশান্তি, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ। কিন্তু প্রতিদিন কোন না কোন ঘটনা ঘটছে। এটা বর্তয়ান বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, আজ থেকে দুই বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুক চিতিয়ে বলেছিলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ আর্টিকেল উচ্ছেদ করছি, এবার কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে। জাল ও কালো টাকার লেনাদেনা বন্ধ হবে। গোটা কাশ্মীরকে তিন চরটে পরিবার লুট করছে সেটাও বন্ধ হবে।

কাশ্মীরে চাকরি হবে, শিল্প হবে, কাশ্মীর উন্নত হবে। কাশ্মীরকে উন্নত করার নাম করে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জেলে পুরে দেওয়া হল। কিন্ত তারপরেও কাশ্মীরে সন্ত্রাস অব্যাহত। এদিন জম্মু-বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা তার প্রমাণ দেয় বলে উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী। উল্লেখ্য, এদিন ভোরে জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বায়ুসেনার বিমানঘাটির কাছেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতীয় বায়ু সেনার উচ্চ পদস্থ তদন্তকারী টিম গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।জানা গিয়েছে, পর পর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ দুটি মধ্যে সময়ের ব্যাবধান ছিলো মাত্র ৫ মিনিট। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এদিন বোমা বিস্ফোরনের খবর পেয়েই জম্মু বিমানবন্দরে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার পর অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি নিয়ে বিভিন স্তরের তদন্তে এমেছে ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনী। জম্মু বিমানবন্দর চত্বর জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বিমানবন্দর চত্বরকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই সন্দেহভাজন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইইডি বিস্ফোরক। তবে এই বিস্ফোরণে কেউ মারা যাননি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সুত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার পেট্রোল টিম দেখতে পেয়েছে ২৬ জুন রাতের অন্ধকারে কিছু উপর থেকে ফেলা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা ভারতের প্রথবার ড্রোন দিয়ে হামলার উদাহরণ হয়ে রইলো।



তিন দিনের সফরে লাদাখে রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দীর্ঘ দিন ধরে চলা অস্থিরতার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মি। তারপরে এটাই প্রথম লাদাখ সফর রাজনাথ সিং-এর। লাদাখে পৌঁছে তিনি বলেন দেশের প্রতি ভারতীয় সেনা আর প্রবীণদের ত্যাগ 'উদাহরণের উদাহরণ'। রবিবার লাদাখ পৌঁছেছেন রাজনাথ। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সামরিক ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখা আর দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকই তাঁর সফরের মূল কর্মসূচি।




সূত্রের খবর ;  কার্গিলসহ লাদাখের স্বায়ত্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সের প্রবীণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন সেনা প্রধান জেনারেল এমএম লারাভানের ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীন আধিকারিকদের সঙ্গেও। জাতীয় সুরক্ষা আর সেনা বাহিনীর বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।



এদিন লাদাখে সেনা বাহিনীর উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং বলেন, দেশের প্রতি সেনা বাহিনী ও প্রবীণদের ত্যাগ একটি অনুকরণীয় উদাহরণ। যা সকলের গ্রহণ করা উচিত্‍। তিনি বলেন সেনা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি দেশের মানুষের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। সকলেই তাঁদের শ্রদ্ধা করেন। তিনি আরও বলেন ভারতীয় সেনার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই হল দেশের নিরাপত্তা আর সুরক্ষা নিশ্চিত করা । তারপরেও যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয় তার জন্য একটি হেলফ লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। গত বছর মে মাস থেকেই চিনা আগ্রাসনের খবর আসছিল। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলছিল পূর্ব লাদাখ সেক্টর। পরবর্তীকালে একাধিক কূটনৈতিক আর সামরিক বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। দিন দুই আগেই চিনের সঙ্গে ভারত নতুন করে পূর্ব লাদাখ সেক্টরসহ একাধিক বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে। তারপরই মধ্যে রাজনাথ সিং-এর লাদাখ সফর যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিত দাঁড়িয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর মনোবল অক্ষুন্ন রাখা আর অতি উচ্চ এলাকার রণকৌশলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই তিনি লাদাখ সফরে গেছেন।





সূত্রের খবর   ;, দোপসাংসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে চিন সেনা সরাতে নারাজ। সেই কারণে প্রায় থমকে রয়েছে ডিএসক্যালেশন প্রক্রিয়া। শুক্রবার সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজম কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারত ও চিন পূর্ব লাদাখ সেক্টরের বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে আলোচনা শুরু করার সামরিক বৈঠকে মুখোমুখি বসতে রাজি হয়ে। যদিও তার আগেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে অস্থিরতার জন্য ভারত চিনকেই দায়ি করেছিলে। পাল্টা চিন জানিয়েছিল সেটি সাধারণ সামরিক ব্যবস্থার একটি অঙ্গ।