কুন্দখালির পাঁচু সরদার মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশে পিয়ালি নদীতে জাল পাতেন। বুধবার সকালে জাল তোলার সময় দেখতে পান ডলফিন আটকে রয়েছে তাঁর জালে। তড়িঘড়ি সেটিকে উদ্ধার করে ডাঙায় নিয়ে আসলে তা দেখতে এলাকার মানুষের ভিড় জমে যায়। বিরল প্রজাতির ডলফিন উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা কুলতলী এলাকায়। ডলফিন দেখতে রীতিমত ভিড় জমে যায় এলাকায়।
এ বিষয়ে কুলতলি থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে। স্থানীয় সূত্রের খবর মুখে জাল জড়িয়ে থাকার কারণে মাছটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বনদফতরে খবর দেওয়ার পর বনদফতরের আধিকারিকরা এসে ডলফিন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যাতে ডলফিনটিকে সুস্থ করে গভীর সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুলতলী থানার কুন্দ খালি গ্রামে বিরল প্রজাতির ডলফিন উদ্ধারকে ঘিরে প্রশাসনের তরফ থেকে তৎপরতার সাথে ডলফিনটিকে সুস্থ করার পাশাপাশি তাকে যথাযথ স্থানে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়েছে।
৫ জুলাই অবধি বাড়ল রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে চলবে সরকারি-বেসরকারি বাস। ছাড় পেল অটো-টোটা। তবে বন্ধ থাকছে ট্রেন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস। খুলছে বিউটি পার্লার, সেলুন। বাড়ছে বাজার খোলার সময়ও। সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্যান্য দোকান ১১ টা থেকে ৮ পর্যন্ত খোলা থাকবে। সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিস্তারিত আসছে….
দেশে যে গতিতে টিকাকরণ চলছে তাতে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। করোনার মত মারণ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় টিকাকরণ। টিকার ওপরেই বেশি করে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি টুইট করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ভারতের টিকা অভিযান গতি বাড়িয়ে চলেছে!যারা এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের প্রতিশ্রুতি সকলের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান।
দেশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ। পাশাপাশি আশঙ্কা রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামী দিনগুলিতে ভ্যাকসিন সরবরাহে কোনোরকম খামতি থাকবে না। করোনা পরীক্ষার ওপরেও জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও তিনি ভ্যাকসিন দেওয়ার গতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
৮ তারিখ বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad Bill) বিল। সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেট পেশের পরের দিনই এই বিল পেশ করা হবে। পাশাপাশি, বিধানসভা অধিবেশনের পূর্ণাঙ্গ সূচি জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুলাই। ওইদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। পরের দু দিন - ৩ এবং ৪ জুলাই ছুটি। ৫ ও ৬ তারিখ রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক হবে। এর পর ৭ তারিখ দুপুর দুটোয় বাজেট পেশ। ৮ তারিখ বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে।
২০১১ সাল থেকেই বিধান পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনাও হয়েছে। একুশে ক্ষমতায় ফেরার পরই বিধান পরিষদ গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিপূর্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই প্রস্তাব পাশ হয়।
কী এই বিধান পরিষদ?
দেশের সংসদে যেমন লোকসভা (Lok Sabha) এবং রাজ্যসভা দুটি কক্ষ থাকে, তেমনি রাজ্য আইনসভাতেও দুই কক্ষের নিয়ম আছে সংবিধানে। আইনসভার নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ হিসেবে পরিচিত। তবে, এই বিধান পরিষদ রাজ্য সরকারগুলি চাইলে অবলুপ্ত করতে পারে, আবার তৈরিও করতে পারে। সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন জরুরি। বাংলাতেও ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ ছিল। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেস এবং যুক্ত ফ্রন্টের সরকার তা বাতিল করে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যাঁদের বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।
কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার সমস্যা আগেই দেখা দিয়েছিল। এবার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েও একই সমস্যায় পড়ছেন বহু ভারতীয়। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলিতেই নতুন 'ভ্যাকসিন পাসপোর্ট' এর নিয়মে কোভিশিল্ডকে অনুমোদন প্রাপ্ত ভ্যাকসিন বলে গণ্য না করায় সমস্যায় পড়ছেন বিদেশযাত্রী, বিশেষত পড়ুয়ারা। দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট প্রধান আদর পুনাওয়ালা। সোমবার সংস্থার সিইও টুইট করে জানান, 'বহু ভারতীয়, যাঁরা কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছেন, তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। আমি সকলকে আশ্বস্ত করছি যে গোটা বিষয়টি শীর্ষস্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টিকা নিয়ামক সংগঠন ও কূটনৈতিক স্তরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধান হয়ে যাবে।'
ভারতে কোভ্যাক্সিন তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল চলাকালীনই অনুমোদন পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি। কিন্তু কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে তা নয়। অন্যান্য দেশে কোভিশিল্ডের টিকাপ্রাপকরা সমস্যায় না পড়লেও সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিকিত্সা নিয়ামক সংগঠন মোট চারটি টিকায় অনুমোদন দিয়েছে। এতে ইউরোপে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও একই উপাদানে তৈরি ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় তৈরি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আগামী ১ জুলাই থেকে ইউরোপে ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হবে। টিকা নেওয়া থাকলে, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে বা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। করোনাকালে স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য প্রয়োজন পড়বে এই সার্টিফিকেটের। যাঁরা বিদেশ থেকে আসবেন, তাঁদের কাছেও এই সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বর্তমান নিয়মে কোভিশিল্ড প্রাপ্ত ভারতীয়রা কোনও সমস্য়ায় না পরলেও ১ জুলাইয়ের নতুন নিয়মে তাঁদের কোয়ারেন্টিন সহ অন্যান্য কোভিডবিধি মানতে হবে।
এক বছরের মধ্যেই জোড়া ঘুর্নিঝড়ে কার্যত টালমাটাল পরিস্থিতি সুন্দরবনের। একদিকে যেমন জলঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী একাধিক এলাকা। ঠিক সেইরকম ভাবেই সেই দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে লোকালয়ে এসে পড়ছে বিভিন্ন বিষধর সাপ। কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয় এক কালকেউটে। আর এবার সন্দেশখালি।
কী উদ্ধার করা হয় সন্দেশখালি থেকে ?
এবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের খুলনা গ্রামে, সেখানে মত্স্যজীবীদের হাতে ধরা দেয় এক কিং কোবরা। বলাবাহুল্য এই নিয়ে এক সপ্তাহে প্রায় দুটি বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধার হয়। মত্স্যজীবী মতিরাম সর্দারের আটলে ১১ ফুট লম্বা কালো ও রুপালি রংয়ের এই কিং কোবরার ধরা পড়ার খবর পেয়েই তত্ক্ষনাত্, ঘটনাস্থলে আসেন, বন দপ্তরের কর্মীরা । এরপর তাঁরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়, এবং তাকে সুস্থ করে আবার ও গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে যায়।
কী বলছেন স্থানীয়রা ?
সাধারনভাবে বলা হচ্ছে, এই প্রজাতির সাপ গুলো গভীর জঙ্গলে বসবাস করে। কিন্তু, সদ্য ঘটে যাওয়া এই ঘুর্নিঝড়ের মত বড় বিপর্যয়ের ফলে, জঙ্গলের একদিকে নোনাজল অন্যদিকে জীবজন্তু পশুপাখি দের খাবার এর ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে।
যারজন্য ই, সুন্দরবন লাগোয়া জঙ্গল থেকে রায়মঙ্গল নদী পার হয়ে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে, এই রকম বিষধর সাপ গুলি। এমনটাই অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার ফলে খানিকটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে , সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
কলকাতা, ২৮ জুন: অসুস্থ সংগীতশিল্পী কবীর সুমন । শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি তিনি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং গলায় ব্যাথা থাকায় রবিবার গভীর রাত থেকেই তিনি অসুস্থতা বোধ করতে থাকনে। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত তিনি চিকিত্সাধীন এবং হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল বলে জানা যায়। প্রবল গলায় ব্যাথা ছিল গত চারদিন ধরে। কোনও কিছু গিলতে খুব সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। রবিবার রাতে বারবারই হয়ে যাওয়ায় তত্ক্ষণাত্ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর করোনার পরীক্ষা (COVID-19) করানো হয়। এখনও রিপোর্ট মেলেনি। তাঁর চিকিত্সায় ২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল রাতে বছর ৭৮-র কবীর সুমনের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এই রিপোর্ট অনেক সময় ভুল আসে। সেকারণে, আরটিপিসিআর টেস্টও করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও মেলেনি। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। খেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। করোনার রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন চিকিত্সকেরা। আপাতত, অ্যান্টিবায়োটিক চলছে তাঁর।
করোনার তৃতীয় তরঙ্গ রুখতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি এবং টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড চিকিত্সার ওষুধ আসতে চলেছে ভারতের বাজারে। যা করোনার চিকিত্সায় ব্যবহৃত হলে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হবেন বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরির তরফ থেকে ঘোষণা করা হল, টু-ডি-অক্সি-ডি-গ্লুকোজ অর্থাত্ টু ডিজি ওষুধ খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে দেশের বাজারে। প্রাথমিকভাবে দেশের টায়ার ওয়ান শহরগুলোতে পাওয়া যাবে এই ওষুধ। তারপর অন্যান্য অংশে এই ওষুধ সরবরাহ করবে সংস্থা।
করোনার দ্বিতীয় বর্ষে গত মাসেই এই ওষুধ স্বাস্থ্য মন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত হয়। ডিআরডিও এবং ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরির মিলিত উদ্যোগেই এই ওষুধ আসতে চলেছে ভারতে। এর কারণে করোনা চিকিত্সায় খুব দ্রুত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এই ওষুধের ব্যবহারে অক্সিজেন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তাও অনেকাংশে কমবে। সংস্থা থেকে ঘোষণা করা হয়েছে 'স্যাশেজ' আকারে আপাতত পাওয়া যাবে এই ওষুধ। একটি স্যাশেজের দাম ৯৯০ টাকা। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ওষুধের দামে ছাড় দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, টু ডিজি একধরনের ওরাল ওষুধ। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধ পাওয়া যাবে না বলেও ঘোষণা করেছে সংস্থা। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন করোনা রোগী, যাদের মাঝারি থেকে গুরুতর উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগে সুফল
পাওয়া যাবে বলেও জানান হয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি করোনা অন্যান্য চিকিত্সাও চলবে।
বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা পুরসভার সামনে। কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে জমায়েত করেন তাঁরা। অভিযোগ, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি চলে বাম কর্মী-সমর্থকদের, গ্রেফতার করা হয় বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভ মিছিলের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বামেদের তরফে। এলিট সিনেমা হলের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল তাদের। সেইমতো সেখানেই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। তবে সেই বাধা সরিয়ে কলকাতা পুরসভার দিকে এগোতে থাকেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ পথ আটকালে শুরু হয় ঝামেলা। পুরসভার সামনে নকল সিরিঞ্জ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দাবি করা হয়, অনেক বড় কারসাজি রয়েছে এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নেপথ্যে। অনেকে যুক্ত রয়েছেন। এটা তো একটা দেবাঞ্জন বেরিয়েছে।
আজ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার কয়েকটি বাজার তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকাতেও তিনদিনের জন্য বাজার বন্ধ থাকছে আজ থেকে।
কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে টিকাকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট গড়ে তোলার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে আজ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার কয়েকটি বাজার তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকাতেও তিনদিনের জন্য বাজার বন্ধ থাকছে আজ থেকে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৬, ৭ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কঠোরভাবে মানা হচ্ছে করোনা বিধি। পুর প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে বাজার বন্ধ রাখার। সেইমতো আজ থেকে ৩ দিনের জন্য কাঁকিনাড়ার রথতলা বাজার বন্ধ। পাশাপাশি, ভাটপাড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামনগর বাজারও বন্ধ থাকবে তিনদিন। বাজার বন্ধের বিষয়ে গতকালই প্রচার করা হয় পুরসভার তরফে। উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ৮৩ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। এই এলাকাগুলিতে কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে করোনা বিধি।
করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় আজ থেকে তিনদিনের জন্য সমস্ত বাজার বন্ধ। পুরসভার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু-একদিন আগে পুরসভা ও পুলিশের আধিকারিকরা মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পুর এলাকার ৩৫ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে এখনও করোনার সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এজন্যই এই বাজার ও দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক সামগ্রীর দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ। চলছে পুলিশের টহলদারি।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে হাওড়া ও হুগলিরও কয়েকটি অংশে তৈরি করা হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। ওই সব এলাকায় মেনে চলা হচ্ছে এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। কয়েকটি এলাকায় দোকান-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ হার তলানিতে নামানোই লক্ষ্য।
kakdwip .com লকডাউনে বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই কোনরকমে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও, এখনই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। অন্যদিকে অদূরে রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানিও। গবেষকদের মতে, এই তৃতীয় ঢেউয়ের স্রোতে সমস্যা বেশি হতে পারে শিশু কিশোরদেরই। আর সেই কারনেই বাধ্য হয়ে খোলা যাচ্ছেনা স্কুল।
কিন্তু একদিকে যখন লকডাউনের কারনে বন্ধ স্কুল। তখন সেই বন্ধু স্কুলের ভিতরেই চলছিল বোমা বানানোর কাজ। শনিবার রাতে হঠাৎই সেই বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত হন ৩ জন দুষ্কৃতী। শাসনের দাতপুরের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই আহতদের পাঠানো হয়েছে রাজারহাট হাসপাতলে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লকডাউনে কিছুদিন ধরেই বন্ধ ছিল স্কুল। যার ফলে মূলত স্কুল বাড়ির দিকে যাতায়াত ছিল না গ্রামবাসীদের। সেই সূত্র ধরেই, এখানে কয়েকদিন ধরে ঘাঁটি গেড়েছিল বেশ কিছু দুষ্কৃতী। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রাতেও বোমা বানাচ্ছিল তারা।
কিন্তু হঠাৎই বিস্ফোরণ হওয়ায় তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়। ধসে যায় স্কুল বাড়ির প্লাস্টারও। এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সভাপতি জানিয়েছেন, গতকাল রাতে হঠাৎই বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।
ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এলাকায় একাধিক নাশকতামূলক কাজের ছক কষছিল দুষ্কৃতীরা। আর সেই কারণেই স্কুলবাড়িকে বেসক্যাম্প হিসেবে বেছে নিয়েছিল তারা।
আগামী ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনে আসতে পারে বিধান পরিষদ বিল। বিধানসভা সূত্রে তেমনটাই খবর মিলেছে। এ বারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। সরকার গঠনের পর ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। আর নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবশেনেই সেই ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু করেছে শাসক পক্ষ। কেন্দ্রীয় আইনসভার যেমন দু'টি কক্ষ রয়েছে, উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ বা লোকসভা, তেমনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ। বর্তমানে ভারতের ৬টি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব রয়েছে।
তৃণমূল পরিষদীয় দল অবশ্য বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারায় রয়েছে, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০-এর কমও থাকবে না। প্রসঙ্গত, এক সময় পশ্চিমবঙ্গেও বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। তবে, বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলে তার অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাস হয়। ১৯৬৯ সালের পয়লা অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ অবলুপ্ত হয়।
রাজ্যসভার মতোই বিধান পরিষদেরও কার্যকাল ৬ বছর এবং প্রতি ২ বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের অবসর নেওয়া বিধেয়। সংসদের উচ্চকক্ষের মতোই অর্থ বিল ছাড়া যে কোনও বিল বিধান পরিষদে আনা যায়। বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেবল রাজ্য সরকার বিধানসভার বিল পাশ করলেই হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভার দু'টি কক্ষেই বিলটিকে অনুমোদন পেতে হবে। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে, তবেই তা রাজ্যে কার্যকর হবে। তাই এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে গেলো ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের ভিতরে টেকনিক্যাল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ড্রোন থেকে ছোঁড়া আইইডির জেরেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। আর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগে পাকিস্তান বা অন্য দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতো ভারতে এসে। এখন স্থানীয় স্তরে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বড়ো গলায় বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে অশান্তি, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ। কিন্তু প্রতিদিন কোন না কোন ঘটনা ঘটছে। এটা বর্তয়ান বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, আজ থেকে দুই বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুক চিতিয়ে বলেছিলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ আর্টিকেল উচ্ছেদ করছি, এবার কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে। জাল ও কালো টাকার লেনাদেনা বন্ধ হবে। গোটা কাশ্মীরকে তিন চরটে পরিবার লুট করছে সেটাও বন্ধ হবে।
কাশ্মীরে চাকরি হবে, শিল্প হবে, কাশ্মীর উন্নত হবে। কাশ্মীরকে উন্নত করার নাম করে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জেলে পুরে দেওয়া হল। কিন্ত তারপরেও কাশ্মীরে সন্ত্রাস অব্যাহত। এদিন জম্মু-বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা তার প্রমাণ দেয় বলে উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী। উল্লেখ্য, এদিন ভোরে জম্মু বিমানবন্দরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বায়ুসেনার বিমানঘাটির কাছেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতীয় বায়ু সেনার উচ্চ পদস্থ তদন্তকারী টিম গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।জানা গিয়েছে, পর পর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ দুটি মধ্যে সময়ের ব্যাবধান ছিলো মাত্র ৫ মিনিট। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এদিন বোমা বিস্ফোরনের খবর পেয়েই জম্মু বিমানবন্দরে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার পর অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি নিয়ে বিভিন স্তরের তদন্তে এমেছে ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনী। জম্মু বিমানবন্দর চত্বর জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বিমানবন্দর চত্বরকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই সন্দেহভাজন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইইডি বিস্ফোরক। তবে এই বিস্ফোরণে কেউ মারা যাননি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সুত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার পেট্রোল টিম দেখতে পেয়েছে ২৬ জুন রাতের অন্ধকারে কিছু উপর থেকে ফেলা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা ভারতের প্রথবার ড্রোন দিয়ে হামলার উদাহরণ হয়ে রইলো।
তিন দিনের সফরে লাদাখে রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দীর্ঘ দিন ধরে চলা অস্থিরতার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মি। তারপরে এটাই প্রথম লাদাখ সফর রাজনাথ সিং-এর। লাদাখে পৌঁছে তিনি বলেন দেশের প্রতি ভারতীয় সেনা আর প্রবীণদের ত্যাগ 'উদাহরণের উদাহরণ'। রবিবার লাদাখ পৌঁছেছেন রাজনাথ। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সামরিক ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখা আর দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকই তাঁর সফরের মূল কর্মসূচি।
সূত্রের খবর ; কার্গিলসহ লাদাখের স্বায়ত্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সের প্রবীণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন সেনা প্রধান জেনারেল এমএম লারাভানের ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীন আধিকারিকদের সঙ্গেও। জাতীয় সুরক্ষা আর সেনা বাহিনীর বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
এদিন লাদাখে সেনা বাহিনীর উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং বলেন, দেশের প্রতি সেনা বাহিনী ও প্রবীণদের ত্যাগ একটি অনুকরণীয় উদাহরণ। যা সকলের গ্রহণ করা উচিত্। তিনি বলেন সেনা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি দেশের মানুষের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। সকলেই তাঁদের শ্রদ্ধা করেন। তিনি আরও বলেন ভারতীয় সেনার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই হল দেশের নিরাপত্তা আর সুরক্ষা নিশ্চিত করা । তারপরেও যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয় তার জন্য একটি হেলফ লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। গত বছর মে মাস থেকেই চিনা আগ্রাসনের খবর আসছিল। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলছিল পূর্ব লাদাখ সেক্টর। পরবর্তীকালে একাধিক কূটনৈতিক আর সামরিক বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। দিন দুই আগেই চিনের সঙ্গে ভারত নতুন করে পূর্ব লাদাখ সেক্টরসহ একাধিক বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে। তারপরই মধ্যে রাজনাথ সিং-এর লাদাখ সফর যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিত দাঁড়িয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর মনোবল অক্ষুন্ন রাখা আর অতি উচ্চ এলাকার রণকৌশলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই তিনি লাদাখ সফরে গেছেন।
সূত্রের খবর ;, দোপসাংসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে চিন সেনা সরাতে নারাজ। সেই কারণে প্রায় থমকে রয়েছে ডিএসক্যালেশন প্রক্রিয়া। শুক্রবার সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজম কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারত ও চিন পূর্ব লাদাখ সেক্টরের বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে আলোচনা শুরু করার সামরিক বৈঠকে মুখোমুখি বসতে রাজি হয়ে। যদিও তার আগেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে অস্থিরতার জন্য ভারত চিনকেই দায়ি করেছিলে। পাল্টা চিন জানিয়েছিল সেটি সাধারণ সামরিক ব্যবস্থার একটি অঙ্গ।