মধ্যপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus)নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি বিশেষ রণনীতি তৈরি করেছে বিজেপি সরকার ৷ অ্যাক্টিভ কেসের ভিত্তিতে গ্রামগুলি তিনটি আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে-রেড, ইয়েলো ও গ্রিন ৷ মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে সরকারের তরফে ‘কিল করোনা-৪’ অভিযোন শুরু করা হয়েছে ৷ এই অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে ৩১ মে এর মধ্যে রাজ্যকে করোনামুক্ত করা ৷
২৪ মে সমস্ত জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, বাড়িতে ১ বা দু’জন করোনা রোগী থাকলে সেখানে দুটি টিম পাঠানো হবে ৷ যে পঞ্চায়েত এলাকায় ১-৪ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে সেটা ইয়েলো জোনে রাখা হবে ৷ পঞ্চায়েত এলাকায় ৫ এর বেশি অ্যাক্টিভ কেস থাকলে সেটি রেড জোনে পড়বে ৷ সরকার উদ্দেশ্য এই সমস্ত জোনকে শীঘ্রই গ্রিন জোনের মধ্যে আনা ৷
রাজ্যের স্বাস্থ দফতরের তরফে জারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘কিল করোনা-৪’ অভিযানে গোটা রাজ্য ৩১ মে পর্যন্ত করোনামুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া চালু করা হবে ৷ বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন ৩০০০ বেশি অ্যাক্টিভ কেস আসছে ৷ বর্তমানে রাজ্যে ৫৩ হাজারের বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৷
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামে দুটি করে টিম পাঠানো হবে ৷ প্রথম টিমে আশাকর্মীরা ও লোকাল হেলথ সুপারভাইজার থাকবে ৷ এই টিম সেই সমস্ত ব্যক্তিদের পরীক্ষা নেবে যাঁদের মধ্যে করোনার উপসর্গ রয়েছে ৷পজিটিভ রোগীদের ওষুধ দেওয়া হবে ৷ দ্বিতীয় টিমে রাজ্যের একসজন স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ দু’জন থাকবে ৷ যে সমস্ত করোনা রোগীদের প্রথম টিম পরীক্ষা করেছে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে তাঁরা ওষুধ পেয়েছেন কিনা ৷ এবং পরে এঁদের ফিভার ক্লিনিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ গোটা মধ্যপ্রদেশে এরকম ১৭১৫টি ফিভার ক্লিনিক কাজ করছে ৷ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ রিপোর্ট না আসে ততক্ষণ উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বা গ্রামের পঞ্চায়েত ভবনে রাখা হবে ৷
Post A Comment:
0 comments so far,add yours