এ রাজ্য নয়, ওড়িশার বালাসোরের কাছেই আগামী বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ ফলে ওড়িশার বালাসোরের পাশাপাশি ভদ্রক, কেন্দুপাড়া, জগৎসিংহপুরের মতো এলাকাগুলিতেই তার তাণ্ডব চালানোর সম্ভাবনা বেশি৷ তবে এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর যশের রোষে পড়তে চলেছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ সেখানে বুধবার ঝড় আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার৷ সম্ভবত ২৬ তারিখ বেলা বারোটা নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানবে যশ৷
যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আয়লা বা আমফানের মতো এ রাজ্যে সম্ভবত ক্ষয়ক্ষতি করতে পারবে না যশ৷ কারণ আয়লা, আমফান দু'টি ঝড়ই এ রাজ্যেই আছড়ে পড়েছিল৷ অন্য দিকে যশ ওড়িশায় আছড়ে পড়ে চলে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে৷ ফলে আয়লা, আমফানের তুলনায় এ রাজ্যে তার দাপটও থাকবে অনেকটাই কম৷ কলকাতা সহ দুই চব্বিশ পরগণাও আমফানের মতো এবার লন্ডভন্ড হবে না বলেই আশাবাদী আবহবিদরা৷
তবে রাজ্যের বাকি অংশে তুলনামূলক ভাবে তাণ্ডব কম হলেও যশের দাপটে লন্ডভন্ড হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর৷ কারণ সেখানে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার৷ হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার৷ তবে দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলিতে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের মতো৷

সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদা বালাসোর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করছিল যশ৷ দিঘা থেকে তার দূরত্ব ছিল ৬২০ কিলোমিটার৷

যশের দাপটে এ দিন থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়ার মতো জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ আগামী বৃহস্পতিবার, ২৭ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে৷
এ দিন সকালেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ৷ আগামী ১২ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণতি হবে সে৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours