প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশনের জন্য সপ্তাহান্তে বন্ধ থাকবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India)-র ডিজিটাল পরিষেবা। SBI-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, শনিবার (২২ মে) ব্যাঙ্কের কাজ শেষের পর NEFT সিস্টেমগুলির প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধণের জন্য ডিজিটাল পরিষেবাগুলি বন্ধ রাখা হবে।
ভারতের বৃহত্তম ঋণদানকারী তথা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা রবিবার রাত্রি ১২টা ০১ মিনিট থেকে শুরু করে সে দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত SBI-এর YONO বা SBI-এর YONO লাইটে কোনও রকম NEFT-সংক্রান্ত সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারবেন না।
এদিন নিজেদের অফিসিয়াল Tweet হ্যান্ডেলে SBI-এর তরফে জানানো হয়েছে, “২০২১ সালের ২২ মে ব্যাঙ্কের কাজ বন্ধ হওয়ার পরে SBI তার NEFT সিস্টেমগুলিকে উন্নতিসাধন করবে। রবিবার তথা ২৩ মে রাত্রি ১২ টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, YONO এবং YONO লাইট পরিষেবাগুলি উপলভ্য হবে না। তবে উপলভ্য থাকবে RTGS পরিষেবাগুলি।”
২১ মে শুক্রবার থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপলব্ধ নেই SBI ইন্টারনেট (অনলাইন) পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এক ট্যুইটে বলা হয়, নানা ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম চালর কারণে অনলাইন পরিষেবাগুলি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। গ্রাহকদের এবিষয়ে জানিয়ে SBI-এর তরফে আবেদন করা হয়, "আমরা আরও উন্নততর ব্যাংকিং পরিষেবার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করার কারণে আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় গ্রাহকদের আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।"
প্রসঙ্গত, এর আগে ৭ এবং ৮ মে অনলাইন পরিষেবাগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে SBI-এর অনলাইন পরিষেবা ব্যহত হয়।
সারা দেশে ২২,০০০-এরও বেশি শাখা এবং ৫৭,৮৮৯-টিরও বেশি এটিএম সহ, SBI হল ভারতের বৃহত্তম ঋণদানকারী সংস্থা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ব্যাঙ্কে ৮৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং ১৯ মিলিয়ন মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবহারকারী ছিলেন। SBI YONO-তেও রয়েছেন ৩৪.৫ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারী। আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অ্যাপে প্রতিদিন লগ ইন করেন প্রায় ৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারী।
বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে Facebook-এর জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। আর এই জনপ্রিয়তা যতই বাড়ছে ততই নতুন নতুন নিয়মনীতি তৈরির পথে হাঁটছে এই সংস্থা। এবার ব্যবহারকারীদের ভুয়ো তথ্য প্রসঙ্গে অবগত করার জন্য একটি নতুন উপায় শুরু করেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট Facebook।
সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে Facebook বলেছে, "করোনাভাইরাস এবং ভ্যাকসিন, জলবায়ু পরিবর্তন, নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করছি যে খুব কম লোকই আমাদের অ্যাপগুলিতে এই ভুল তথ্য দেখতে পাবে।"
Facebook-এ কী পরিবর্তন হচ্ছে?
Facebook মূলত তিনটি নতুন পরিবর্তন এনেছে। প্রথমত, এটি একটি পেজকে ট্যাগ করবে, যা বারবার ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য শেয়ার করবে। দ্বিতীয়ত, ভাইরাল ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার জন্য শাস্তি হিসাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকউন্ট থেকে কন্টেন্ট হ্রাস করা হবে। তৃতীয়ত, ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য শেয়ার করার সময় লোকেরা যে বিজ্ঞপ্তিগুলি পেয়ে থাকে সেগুলিকে নতুন করে ডিজাইন করা হবে।
কী ভাবে Facebook-এর ফ্ল্যাগ পেজগুলি ভুল তথ্য শেয়ার করবে?
এক্ষেত্রে কোনও ব্যবহারকারী যখন একটি Facebook পেজে যান তখন সেখানে বারে বারে একটি মেসেজ আসতে থাকবে, যেখানে লেখা থাকবে, "এই পেজটি বার বার মিথ্যা তথ্য শেয়ার করছে।" এর পর ব্যবহারকারীরা পূর্ববর্তী পেজে ফিরে যেতে পারেন। তার অপশন ওই প্রম্পট মেসেজেই দেওয়া থাকবে। এছাড়াও ওই পেজে শেয়ার করা কিছু পোস্টে ভুয়ো তথ্য এবং ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম সম্পর্কিত আরও তথ্যের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করা হবে। Facebook জানিয়েছে যে, এটি ব্যবহারকারীরা পেজটি ফলো করতে চান কি না সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার জন্য নতুন জরিমানা কী হবে?
Facebook কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে নিউজ ফিডে সমস্ত শেয়ার করা পোস্টের সংখ্যা হ্রাস করে দিতে পারে, যদি তারা বার বার এমন কোনও কন্টেন্ট শেয়ার করে নেয় যেগুলির গুণমান ফ্যাক্ট-চেকার দ্বারা বিচার করা হয়েছে।
যদিও এর আগে Facebook বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ, Instagram অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কিন্তু এবার এই সংস্থা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোন ফ্যাক্ট-চেকার Facebook-এর সঙ্গে জড়িত?
বিশ্বব্যাপী, Facebook বেশ কয়েকটি ফ্যাক্ট-চেকিং অংশীদারকে নিযুক্ত করেছে - বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকার জন্য আলাদা আলাদা ফ্যাক্ট-চেকার রয়েছে। ভারতের জন্য Facebook নয়টি ফ্যাক্ট-চেকারদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। সেগুলি হল- এএফপি-হাব (AFP-Hub), বুম (Boom), ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো (Fact Crescendo), ফ্যাক্টলি (Factly), ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক (India Today Fact Check), নিউজচেকার (NewsChecker), নিউজমোবাইল ফ্যাক্ট চেকার (Newsmobile Fact Checker), দ্য কুইন্ট (The Quint) এবং বিশ্বাস (Vishvas)।
বিলকান্দা শিল্পতালুকের ওই কারখানায় আগুন লেগেছিল বুধবার মধ্যরাতে। সোদপুরের বিলকান্দা শিল্পতালুকের গেঞ্জি কারখানায় সেই আগুন নেভে ৩৮ ঘণ্টা পর। এই লম্বা সময় ধরে ২২ টি ইঞ্জিন লাগাতার কাজ করে গিয়েছে, ভাঙা হয়েছে বিল্ডিংটির নানা অংশ। আজ, শনিবার ওই চারজনের খোঁজ করতে ড্রোন নামানোর পরিকল্পনা করে দমকল, পিডাব্লিউডি ও সিভিল ডিফেন্স আধিকারিকরা। অবশেষে পকেট ফায়ার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেই দেহগুলির সন্ধান পান দমকলবাহিনী। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
কেন এত দেরি হল দেহ উদ্ধারে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ১৫ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলেও, বিল্ডিংটি পুরনো হওয়ায় ভিতরে ঢুকতেই পারছিলেন না দমকল। ফলে পকেট ফায়ারগুলি নেভানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় ইঞ্জিন বাড়ানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে রোবট নিয়ে জল ছুঁড়ে পকেটগুলিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে দমকল বাহিনী। তারপর ধাপে ধাপে ইঞ্জিন বাড়ানো হয়। কিন্তু কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় সামগ্রিক ভাবে আগুন নেভানো মুশকিল হয়ে যায়। এই কারণেই দেরি। লকডাউনের মধ্যে কেন কারখানা চালানো হচ্ছিল, সেই নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সংঘাত এখন চরমে ৷ ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ভারত সরকারের নতুন আইটি বিধিনিষেধগুলির (IT Rules) বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল। নতুন নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপ এবং অনুরূপ সংস্থাগুলিকে তাদের মেসেজিং অ্যাপের দ্বারা পাঠানো মেসেজগুলির ‘অরিজিন’ অর্থাৎ সর্বপ্রথম কে এই মেসেজটি পাঠিয়েছে, তার উৎস সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হবে ৷ এই নিয়মের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে ২৫ মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয় ৷
সংস্থার দাবি, মেসেজিং অ্যাপে চ্যাট ট্রেস করার অর্থ হল প্রত্যেকের হোয়াটস্যাপে সেন্ড করা প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে বলার সমান। এটি করলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না। ফলে জনসাধারণের গোপনীয়তার অধিকার বিঘ্নিত হবে। এই সমস্যার সমাধানে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা সংস্থা চালিয়ে যাবে বলেই হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷
WhatsApp-এর এই নতুন গোপনীয়তা নীতি প্রত্যাহার করার জন্য কয়েকদিন আগেই ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। যদি এই কোম্পানির তরফে কোনও জবাব না মেলে তবে, আইনি পথে হাঁটবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অভিযোগ, “এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন, WhatsApp-এর তরফে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের উপর থেকে এই অন্যায় শর্ত আরোপের অবস্থানটি বদল করা উচিত।’ হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহার করা যাবে না। তবে যাঁরা এই নতুন পলিসি মানবেন না, তাঁদেরও কোনও ফিচার্স থেকে বঞ্চিত করা হবে না, ভারত সরকারকে চিঠির উত্তরে জানায় WhatsApp।
১৫ মে WhatsApp-এর নতুন গোপনীয়তা নীতিকে কর্যকর করার পর সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের করা আবেদন প্রসঙ্গে জবাব চেয়ে দিল্লি হাইকোর্ট ভারত সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই নতুন গোপনীয়তা নীতি ভারতের সংবিধানের আওতায় ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার, WhatsApp এবং মূল সংস্থা Facebook-কে প্রতিক্রিয়া জানাতে নোটিস জারি করে।
সম্প্রতি গোপনীয়তা নীতি আপডেট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহারকারীদের ১৫ মে-র তারিখের সময়সীমা বাতিল করে WhatsApp। সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই সংস্থার তরফে বলা হয়, যদি কেউ এই গোপনীয়তা নীতি গ্রহণ না করে তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের অ্যাপের অনেক কার্যকারিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাদের সেক্ষেত্রে তখন সীমিত কার্যকারিতার মধ্যে রাখা হবে। WhatsApp-এর এই সীমাবদ্ধতার তালিকায় রয়েছে চ্যাট (chat), নোটিফিকেশন (notifications) এবং কলের (calls) মতো সুবিধাগুলিকে। সুতরাং কোম্পানির নতুন আপডেট গ্রহণ না করলে এই সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত করা হবে ব্যবহারকারীদের। ব্যবহারকারীরা ‘Agree’ অপশনে ক্লিক করে এই নতুন নীতি গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রথমে ৮ ফেব্রুয়ারি WhatsApp-এর গোপনীয়তা নীতি বাস্তবায়নের প্রথম তারিখ থাকলেও পরে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হওয়ায় তা পরিবর্তন করে ১৫ মে করা হয়। এখন সেই তারিখও পিছিয়ে দিয়েছে WhatsApp। তবে ভারত যে কোনও ভাবেই এই নীতি মানতে নারাজ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে অবস্থান করছে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের ওপর। যার ফলে এই মুহূর্তে ঝড় বইছে ঝাড়খণ্ডে। সেই ঝড়ের গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ কিমি/ঘণ্টার কাছাকাছি থাকার কথা। ফাইল ছবি।
*বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খণ্ডে হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যায় ঘণ্টায় ৫৫ কিমিতে। গভীর নিম্নচাপটি এ বারে বিহার-উত্তরপ্রদেশের দিকে সরবে বলেই আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।
ঝাড়খণ্ড যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে ইয়াস। ইয়াসের অবস্থানের জেরে আজও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে।পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। ফাইল ছবি।
আজ সারাদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারি বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। ফাইল ছবি।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সেভাবে রোদের দেখা মেলেনি। ঝড় হাওয়ার দাপট রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ফাইল ছবি।
এ দিকে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। শক্তি কমার ফলে বৃষ্টি হবে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। ফাইল ছবি।
*বুধবার সকালে ওড়িশার ধামড়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই আছড়ে পড়ে ইয়াস। কয়েকঘণ্টা ধরে চলে অতি তাণ্ডব। ল্যান্ডফলের পর পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা তছনছ করে ঝাড়খণ্ডে পা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ফাইল ছবি।
বুধবার সকালেই রামনগরের এক ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। রাতে আর তিন মৃত্যুর খবর এলো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে মৃত্যু হয়েছে মন্দারমনি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার দুই বাসিন্দার। অন্য দিকে ভরা কোটালে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন ভোলা দাস নামের নৈহাটির এক তরুণ। মন্দারমনির মৃত ব্যক্তির নাম কানাই গিরি। ঘোড়ামারার মৃত ব্যক্তির নাম বৃন্দাবন জানা। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তি।
মন্দারমনির বাসিন্দা কানাই গিরি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় আচমকাই তলিয়ে যান তিনি। গতকাল, বুধবার ইয়াসের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মন্দারমনি -সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরেই। সমুদ্রের জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। অন্তত চার লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
একই চিত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার। মুড়িগঙ্গার জলোচ্ছ্বাসই সেখানে প্রাণ নিল বৃন্দাবন জানা নামের ওই ব্যক্তি। সাইক্লোন সেন্টারে উঠে এলেও ঝড় বৃষ্টি মাথায় তিনি বাড়ির পরিস্থিতি দেখতে যান। পরে বিপর্যয় কমলে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় নিকটবর্তী এক পানের বরজে। মনে করা হচ্ছে তীব্র জলোচ্ছ্বাসেই ভেসে গিয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে নৈহাটিতে ভরা কোটালের সময়ে গঙ্গা পারাপার না করার কথা বারংবার বলা হয়েছিল। সূত্রের খবর নৈহাটির যুবক ভোলা দাস নোঙরে নৌকো বাঁধতে জলে নেমেছিলেন সব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই। জলে তলিয়ে যান তিনি।
ইয়াস আসার আগের দিন বিকেলে মিনি টর্নেডোয় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ইয়াসের আছড়ে পড়ার দিন, বুধবার দুপুরে রামনগরের এক বাসিন্দা মাছ ধরতে সব জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন। ক্রমে আরও তিনটি মৃত্যুর খবর এলো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ জনের প্রাণ নিল ঘাতক সাইক্লোন ইয়াস। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোদপুরে এক গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। সাত ধণ্টা পরেও দাউড়দাউ করে জ্বলছে বিলকান্দার ওই কারখানা চত্বর। সূত্রের খবর ওই কারখানা চত্বরে চারজন আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এখনও। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। দমকল সূত্রে খবর, যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে তা এতই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে যে যে কোনও মুহূর্তে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই দিক বিবেচনা করেই বহুতলটিতে প্রবেশ করতে পারছে না বাহিনী। বাইরে থেকেই চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা, কাজ করছে দমকলের রোবট। কারখানার বাইরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে চারটি বাইক। বেশ কয়েকটি এসি মেশিন থাকায় আগুনের দাপট আরও বেড়েছে। পাশাপাশি বাইরে ঝোড়া হাওয়ার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা ঘটনাস্থল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেদকরা মনে করছেন আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে।
সূত্রের খবর বুধবার বিলকান্দা শিল্পতালুকে অবস্থিত ওই কারখানায় রাত আড়াইটেয় আগুন লাগে। পরপর কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। আশেপাশে রঙের কারখানা থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়াতে থাকে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওই চার ব্যক্তির ভিতরে আটকে থাকা। দমকল সূত্রে খবর, এই কারখানায় ঘটনার সময়ে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কোনও ভাবেই কাজ করেনি। কাজ করেননি ফায়ার অ্যালার্মও। এই মুহূর্তে আগুন জ্বলছে কারখানার বেশ কয়েকটি তলায়।
উদ্বেগের বিষয়, এই ভয়াল পরিস্থিতিতে বাইরে থেকেই কাজ করতে হচ্ছে দমকল আধিকারিকদের। তারা বলছেন আগুন নেভানো এখানে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঘিঞ্জি এই এলাকায় ১৫টির বেশি ইঞ্জিন ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। কতক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
সাইক্লোন ইয়াসের ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল যখন, তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা ১৫ মিনিট। ধারমা-চাঁদবালি উপত্যকায় অবশ্য তাণ্ডব শুরু হয়েছিল তার অনেকটা আগেই। অবশেষে বুধবার রাত ১১টার মধ্যেই এই সাইক্লোন পর্ব সাঙ্গ হল। অবশ্য বিপর্যয় তাতে শেষ হচ্ছে না। দুর্বল হয়ে সাইক্লোন ইয়াস এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাঁর অভিমুখ এখন দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডে। আবহবিদরা বলছেন আজই সামগ্রিক ভাবে শক্তি হারিয়ে ফেলবে ইয়াস। তবে তার আগে বাংলা, ওড়িশা ও বিস্তীর্ণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ইয়াসের অবস্থানের জেরে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুরের বড় অংশে।
সাইক্লোন ইয়াস বাংলায় ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ে নানা মত ছিল। তবে শেষমেশ আবহবিদরা হাতেকলমে বুঝিয়ে দেন, সাইক্লোনের অভিমুখ পরিবর্তন হয়েছে। তা উপকূলবর্তী অঞ্চল ছুঁয়ে গেলেও তা মূলত আছড়ে পড়ব ওড়িশার ধামরা বন্দরে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার বহু আগে থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ফলে বেনজির পরিস্থিতি হয় দিঘা মন্দারমনিতে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, কণ্টাই, রামনগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কুলতলি, কচুবেরিয়া, কুলপিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আবহবিদরা জানান, এই জলস্ফীতির কারণ ভরা কোটাল। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানান জলস্ফীতি হতে পারে আজ বৃহস্পতিবারও। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি উপকূল ও নদী তীরবর্তী মানুষজনকে সতর্ক করেন তিনি।
আপাত ভাবে দেখা যাচ্ছে, সাইক্লোনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুক্রবার থেকে জেলা সফর করবেন। সরেজমিনে পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স তাঁর সঙ্গে থাকবে। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন,আগামী ২৮ মে মুখ্যমন্ত্রী বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন আকাশপথে। যে যে এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে জায়গায় জায়গায় তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। প্রথমে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ যাবেন । সন্দেশখালি, ধামাখালি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জরিপ করে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেখান থেকে আকাশপথে যাবেন সাগরে। সুন্দরবন এলাকার বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
সাগরে বৈঠক শেষে আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। ইয়াসে ত্রস্ত আরেক জেলায় তিনি প্রথমে নামবেন দিঘায়। সেখানে এলাকা পরিদর্শন করে চলে যাবেন কাঁথিতে। রামনগরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন এ বছর তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এখনও পর্যন্ত সাইক্লোন ধাক্কায় বাংলায় মৃতের সংখ্যা ৪। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।
এদিকে ইয়াসের প্রভাবে আগামীকাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হবে বৃষ্টি। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে, অর্থাত্, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পঃ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শক্তি কমার ফলে রাজ্যের বৃষ্টি হবে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
বুধবার সকালে ওড়িশার ধামড়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই আছড়ে পড়ে ইয়াস। ঘণ্টাতিনেক ধরে চলে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। ল্যান্ডফলের পর পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা তছনছ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণার বিস্তৃণ উপকূলবর্তী বেশিরভাগ এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সাগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জ, দিঘা থেকে শংকরপুর সব জায়গাতেই ভরা কটালের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব পড়ে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতায় সেভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইয়াসের জেরে।
একঝলকে ইয়াসের বর্তমান অবস্থা-
- শক্তি হারিয়ে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস।
- এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ কিমি/ঘণ্টায়।
- ঝাড়খণ্ডে ঢোকার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ৫৫-৭৫ কিমি/ঘণ্টা।
- তারপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এরপর যাবে উত্তরপ্রদেশের দিকে।
- কাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
- পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পঃ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড়।
- কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।
- কাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
- বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
Battlegrounds Mobile India হিসাবে ভারতে ফিরছে PUBG Mobile। আর এই গেমটিকে ঘিরে ব্যাটল রয়্যাল গেম প্রেমীদের উদ্দীপনা যেন তুঙ্গে। আগামী মাসেই এই গেমটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নতুন Battlegrounds Mobile India তৈরি করেছে PUBG Mobile-এর ডেভেলপার Krafton। এই গেমটির প্রি-রেজিস্ট্রেশনও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে Battlegrounds Mobile India-র একটি টিজার। এই টিজারটিতে একটি ম্যাপের নামের ইঙ্গিত রয়েছে, যা PUBG মোবাইল প্লেয়ারদের কাছে পরিচিত হতে পারে। এই ম্যাপের নাম হল, Erangel ম্যাপ। যা PUBG মোবাইলে অত্যন্ত জনপ্রিয় ম্যাপ।
গত বছর সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে PUBG Mobile ভারতে নিষিদ্ধ করে দেশের সরকার। তাই এবার আর PUBG Mobile নিয়ে কোনও রকম বিতর্কের মুখে পড়তে নারাজ Battlegrounds Mobile India-এর ডেভেলপার সংস্থা Krafton। এই সংস্থার কথায়, Battlegrounds Mobile India-কে তারা সম্পূর্ণ ভাবে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। তাই গেম স্ট্রিমারদের উদ্দেশ্যে এই সংস্থা আবেদন জানায়, তাঁরা যেন PUBG Mobile-এর সঙ্গে Battlegrounds Mobile India-কে তুলনা না করেন।
ইতিমধ্যেই Battlegrounds Mobile India-র নতুন টিজার প্রকাশ করা হয়েছে Facebook-এ। এই টিজারে Erangle ম্যাপের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে কিছু পোলারয়েড ফটোও। এছাড়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে ওয়াটার ট্যাঙ্কও। যা PUBG Mobile প্রেমীদের পক্ষে চেনা ভীষণই সহজ। সেই সঙ্গে পোলারয়েডের উপর লেখা রয়েছে 'Erangle'। এর পরেই PUBG Mobile-এর Erangle ম্যাপ Battlegrounds Mobile India-তেও থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, Battlegrounds Mobile India-তে এই ম্যাপে কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে।
নতুন Battlegrounds Mobile India গেম ভারতে আসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি তা নিষিদ্ধকরণের পথে হাঁটলেন অরুণাচল প্রদেশের এক কংগ্রেস বিধায়ক। সেই মর্মে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠিও লেখেন। সেই সঙ্গে এই বিধায়ক Tweet করে অভিযোগ তোলেন যে, দেশের সুরক্ষার জন্য এই গেমটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। গেমে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে আদতে কোটি কোটি ভারতবাসীর তথ্য সংগ্রহ করতে এটাকে চিনের একপ্রকার ফাঁদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কয়েক মাস ধরেই PUBG-প্রেমীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। ঘুরপাক খাচ্ছিল একই কথা, ভারতে কি ফিরছে PUBG? অবশেষে সুখবর দিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতে ব্যান করা হয়েছিল জনপ্রিয় এই মোবাইল গেম PUBG। তার পর থেকেই ঘুরে ঘুরে আসে একই প্রশ্ন ভারতে কবে ফিরবে PUBG Mobile India। কখনো ভিন্ন নামে বা কখনও বা অন্য কোনো উপায়ে এই গেম ফিরে আসার খবর রটতে থাকে। অবশেষে ফিরে আসছে জনপ্রিয় রয়্যাল ব্যাটল গেম। তবে একেবারে অন্য নামে। এবার থেকে PUBG Mobile India-র পোশাকি পরিচয় হবে Battlegrounds Mobile India।
চলতি সপ্তাহের প্রথমেই এই খেলার জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তবে Google Play ইউআরএলটিতে PUBG মোবাইল নাম অন্তর্ভুক্ত থাকায় Google Play রেজিস্ট্রেশন PUBG Mobile এবং Battlegrounds Mobile India-র মধ্যে লাইনগুলিকে আরও ঝাপসা করে দিয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর কিছুটা বিতর্ক সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি নাম পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। Play Store ইউআরএল (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pubg.imobile)-তে, আপনি স্পষ্টভাবে "pubg.imobile" দেখতে পাবেন যা এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবজি মোবাইল নির্মাতা Krafton এমাসের গোড়ার দিকেই PUBG মোবাইলের ভারতীয় সংস্করণ হিসাবে Battlegrounds Mobile India-র নাম ঘোষণা করেছিল। এরপর ১৮ মে থেকে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাক-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে Battlegrounds Mobile India শুরু হতে চলেছে। Krafto-এর ইউআরএলে PUBG ছাড়ার পিছনে কারণ অবশ্য অজানা রয়েছে। তবে Krafton এবিষয়ে জানিয়েছে যে খেলাটি ভারত সরকারের সমস্ত নিয়মবিধিকে মান্যতা দেবে। কোম্পানি ক্ষুদ্র খেলোয়ারদের একটি সময়সীমা দিয়েছে এবং ইন-গেম কেনার জন্য দৈনিক ৭,০০০ টাকা খরচ সীমিত করেছে।
Krafton আরও বলে যে নতুন নামে খেলাটি একটি এস্পোটস (esports) ইকোসিস্টেম সহ আসবে যাতে ট্যুরনামেন্ট ও লিগ থাকবে একইসঙ্গে ইন-গেম বিষয়গুলি যেমন আউটফিটও থাকবে। এক্ষেত্রে যাঁরা প্রি-রেজিস্টার করবেন তাঁরা গেম অফিসিয়ালি চালু হওয়ার পর বিশেষ পুরস্কার পাবেন। উল্লেখ্য, যাঁরা ইউআরএলে প্রথম চিহ্নিত করেছিলেন, সেই আইজিএন অনুযায়ী, Battlegrounds Mobile App প্যাকেজ হল com.pubg.imobile এবং এটি Google Play Store অ্যাপ'স সিইও-তে প্রভাব ফেলবে। তবে বহু দিন পর প্রিয় গেমকে ফিরে পাওয়ার খবর পেয়ে আশায় বুক বাঁধছেন গেম-প্রেমীরা।
করোনাকালে অনলাইনে টাকা লেনদেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি চলছে লকডাউন। এই সময় বাড়ি থেকে বেরনো পুরোপুরি বন্ধ। যে কোনও রকম বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই সমাধান করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (NEFT) হল এমন এক ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম, যার মাধ্যমে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়৷ ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং অথবা ব্যাঙ্কের শাখা মারফত লেনদেন করে এই পরিষেবার সুবিধা নেওয়া যায়৷ এই পরিষেবার মাধ্যমে কেউ টাকা পাঠালে তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পৌঁছে যায় ৷
যেরকম এস বি আই Net Banking, INB/YONO/YONO Lite/UPI নামক বেশ কয়েকটি বিভাগ চালু করা হয়েছে অনলাইন পরিষেবার জন্য। গত কাল এসবিআই ট্যুইট করে জানিয়েছে যে, ১৪ ঘণ্টার জন্য তাঁদের এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শনিবার রাত থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনলাইন পরিষেবা ও YONO/YONO Lite অ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে। শনিবার ২২ মে রাত ১২ টার পর থেকেই রবিবার ২৩ মে দুপুর ২ টো পর্যন্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কোনরকম নেট ব্যাঙ্কিং কাজ করবেনা।
তার কারণ হল, ১৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (এনইএফটি) পরিষেবা দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআইয়ের নির্দেশ, এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হলে তা গ্রাহকদের অবশ্যই জানাতে হবে। এতে গ্রাহকরা তাঁদের অর্থ আদানপ্রদনের পরিকল্পনা আগাম সেরে রাখতে পারবেন।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য গত ১৮ এপ্রিল আরটিজিএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরটিজিএসের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়। অর্থ মন্ত্রকের অধীন রেগুলেটরি বডি ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, RTGS সিস্টেমে ডিসাস্টার রিকোভারি টাইম আপগ্রেড করতে ও কাজের গুণমান বাড়াতে এই কাজ করা হয়েছিল। যার জন্য ১৭ তারিখের পর সাময়িক কিছু সময়ের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।তার কারণ হল, ১৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (এনইএফটি) পরিষেবা দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআইয়ের নির্দেশ, এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হলে তা গ্রাহকদের অবশ্যই জানাতে হবে। এতে গ্রাহকরা তাঁদের অর্থ আদানপ্রদনের পরিকল্পনা আগাম সেরে রাখতে পারবেন।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য গত ১৮ এপ্রিল আরটিজিএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরটিজিএসের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়। অর্থ মন্ত্রকের অধীন রেগুলেটরি বডি ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, RTGS সিস্টেমে ডিসাস্টার রিকোভারি টাইম আপগ্রেড করতে ও কাজের গুণমান বাড়াতে এই কাজ করা হয়েছিল। যার জন্য ১৭ তারিখের পর সাময়িক কিছু সময়ের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
অক্সিজেনের (Oxygen) প্রয়োজন হলেই এবার বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে অক্সি এক্সপ্রেস । আজ সোমবার নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘ ও অন্যান্য কয়েকটি সংস্থা ও ব্যক্তির উদ্যোগে ৫টি গাড়ি উদ্বোধন করা হয়। এই গাড়িগুলির নাম দেওয়া হয়েছে অক্সি এক্সপ্রেস। আজ এই অক্সি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন সুরুচি সঙ্ঘের সভাপতি তথা বিদ্যুৎ, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আবেদনে সাড়া দিয়েই সুরুচি সঙ্ঘ এই প্রয়াস নিয়েছে।
মূলত দক্ষিণ কলকাতার মানুষের জন্যই এই পরিষেবা দেবে অক্সি এক্সপ্রেস। বেহালা, টালিগঞ্জ সহ দক্ষিণ কলকাতায় যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বা কনসেন্ট্রেটরের প্রয়োজন পড়বে সেখানে এই অক্সি এক্সপ্রেস পৌঁছে যাবে। সঙ্গে একজন চিকিৎসকও থাকবেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেন্ট্রেটর ছাড়াও ফ্রি টেলি মেডিসিন পরিশষেবা অর্থাৎ ডাক্তারি পরামর্শ পাবে মানুষ। আক্রান্ত যাঁরা বাড়িতে আছেন তাঁদের নার্সিং কনসালটেন্ট দেওয়া হবে। এছাড়াও সুরুচি সঙ্ঘ নার্সিং ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গেও কনসাল্ট করার ব্যবস্থা করেছে।
একটি টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই গাড়ি পৌঁছে যাবে বাড়িতে। নম্বরটি হল ১৮০০ ৩০৯ ৯০৯৯। প্রথমে পাঁচটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হলেও, চাহিদা বেশি থাকলে আগামীতে গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান অরূপ বিশ্বাস।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সংক্রমণ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে অক্সিজেনের ঘাটতি একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠে। সেই অবস্থায় সুরুচি সঙ্ঘের এমন উদ্যোগে মানুষ উপকৃত হবে বলেই মনে করছে। করোনায় অধিকাংশ রোগীরই অক্সিজেনের দরকার পড়ছে। আর তাই উল্লিখিত টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই অক্সি এক্সপ্রেস বাড়িতে পৌঁছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেবে।