ভোটের দিন মন্দিরের সামনে দুঃস্থদের মধ্যে টাকা বিলি করলেন বাঁকুড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের কাছে আশীর্বাদ চান তৃণমূলের তারকা-প্রার্থী।
বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলে মহিলা পরিচালিত বুথে গেরুয়া রঙের গামছা গলায় জড়িয়ে হাজির হন বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই গামছা খুলিয়ে তাঁদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়।
ভোটের দিন সকালে তমলুক বিধানসভার একাধিক জায়গায় নো ভোট টু বিজেপি পোস্টার দেখা যায়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নেপথ্যে
পোশাকে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢোকার অভিযোগ খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে কী করে ঘটছে এমন ঘটনা, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ খড়গপুর সদরের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বুথে পৌঁছলে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বচসা বাধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। পরে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী।
বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েত, বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের। পাল্টা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে বুথে ঢোকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এক বিজেপি নেতাকে আটকও করে পুলিশ। যদিও তাঁর দাবি, পোলিং এজেন্ট না থাকায় ফর্ম আনতে বলেন বিজেপি প্রার্থী। সেই কারণেই ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও বুথে আসেন ওই বিজেপি নেতা। পরে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। ডেবরায় ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে নালিশ বিজেপি প্রার্থীর।
বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। এখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবাধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানকার ক্ষোভের কথা গ্রামবাসীরা জানান তৃণমূল প্রার্থীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।যদিও মমতাকে দেখে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে মুহুর্মুহু।
ডেবরার রাধাকান্তপুর সহ ৬টি জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীরকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান তৃণমূল প্রার্থী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় বিধানসভার তাকরাড় গ্রামে ২০৪ নম্বর বুথে মায়ের হয়ে ভোট দিলেন ছেলে। মায়ের হাত কাঁপে তাই এই ব্যবস্থা, দাবি ছেলের।প্রিসাইডিং অফিসার মন্তব্য করতে চাননি।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের আড়ংকিয়ারানা ১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪৪ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে তৃণমূল প্রার্থী সংগ্রাম দলুইকে হুমকি দিতে দেখা যায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকে। এনিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ছবি তুলতে বাধা দিয়ে হুমকি দেওয়া হয় এবিপি আনন্দর প্রতিনিধিকে। ময়নার ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন।
সবংয়ের মোহাড়ে বাবার হয়ে ভোট দিলেন ছেলে। ছেলের দাবি, বাবা অসুস্থ তাই সাহায্য করেছেন। সবংয়ের মোহাড়ে দু-দু বার বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে এজেন্টকে বুথে বসান বিজেপি প্রার্থী। পাল্টা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সঙ্গীদের নিয়ে বুথের দরজা পর্যন্ত ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠল। সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours