অর্থনৈতিক অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ বার ন্যাটো-বহির্ভূত মিত্রদেশের তালিকা থেকেও পাকিস্তানের নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব উঠল আমেরিকায়। সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এই মর্মে বিল পেশ হল। এই বিল অনুমোদিত হলে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হবে পাকিস্তান। অর্থাৎ, আমেরিকার থেকে কোনও বাড়তি সুবিধা পাবে না তারা।
কংগ্রেসম্যান তথা রিপাবলিকান নেতা অ্যান্ডি বিগস এই প্রস্তাব আনেন। তাতে বলা হয়, ন্যাটো বহির্ভূত মিত্র দেশের তালিকা থেকে একবার বাদ পড়লে, পাকিস্তানকে অন্য কোনও তালিকার অন্তর্ভুক্ত করাও যাবে না। তবে হক্কানি নেটওয়ার্কের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে যদি তারা দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করতে পারে এবং খোদ প্রেসিডেন্ট যদি দায়িত্ব নিয়ে তা নিশ্চিত করতে পারেন এবং সেই শংসাপত্র দাখিল করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা যেতে পারে।শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আফগানিস্তানে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালানোর অভিযোগ হক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান সরকার তাদের পূর্ণ মদত দেয় বলেও দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান আদৌ কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না, হক্কানি নেটওয়ার্কের কতজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রেসিডেন্টকে লিখিত শংসাপত্র দিতে হবে। এ সব হলেই পাকিস্তানকে মিত্র দেশ হিসেবে অন্য তালিকায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই বিলে।
২০০৪ সালে জর্জ বুশের আমলে ন্যাটো বহির্ভূত মিত্র দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে নথিভুক্ত করে তৎকালীন আমেরিকার সরকার। অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ইজরায়েল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডন, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, কুয়েত, মরক্কো, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, টিউনিশিয়া এবং ব্রাজিল, ১৯৮৭ সাল থেকে মোট ১৭টি দেশ ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছে। ২০১৯ সালে জায়গা পাওয়া ব্রাজিলই ওই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। বারাক ওবামার আমলে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগী হয়ে ওঠে ভারত।
এর আগে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আর্থিক অনুদানে নিষেধাজ্ঞা বসান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়ই পাকিস্তানকে ন্যাটো বহির্ভূত মিত্র দেশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল ট্রাম্প সরকার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours