দলবিরোধী কাজের অভিযোগে অবশেষে দল থেকে বহিষ্কার করা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডাকে। রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক ছিলেন কণিষ্ক পণ্ডা।
শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তেই দলের বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলছিলেন তিনি।
দিনকয়েক আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও গুরুতর অভিযোগ করেন কণিষ্ক পণ্ডা।
যদিও দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর কণিষ্ক পণ্ডা দাবি করেন, 'দলবিরোধী কোনও কাজ আমি করিনি। শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে দলের এই সিদ্ধান্তে আমি আনন্দিত। আমার কথা হৃদয় স্পর্শ করেছে। আমি কোনওদিনই তৃণমূল করতাম না। শুভেন্দু অধিকারীর দল করতাম। তাই শুভেন্দু যেখানে, আমিও সেখানে।' সেইসঙ্গেই তিনি জানান এদিন তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর এলাকার সকলকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তিনি। অনেকে আবার তাঁকেই মিষ্টিমুখ করিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, অনুগামীদের উদ্যোগে কাঁথিতে তৃণমূলের ইউনিয়ন অফিস বদলে গিয়ে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী-সহায়তা কেন্দ্র। রঙ হয়েছে গেরুয়া। এক সময় তৃণমূলের দুর্গ বলে পরিচিত কাঁথিতে রাতারাতি শাসকদলের দলীয় অফিসের নাম বদলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। মন্ত্রিত্ব ও একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এখনও বিধায়ক ও দলত্যাগ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দেবেন নাকি নিজে দল তৈরি করবেন তা এখনও জল্পনার স্তরে রয়েছে।এ বিষয়ে শুভেন্দুও নিজে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও মিটিং করলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তেমন একটা হননি। কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের রেয়াপাড়াতে বিধায়ক অফিসের নাম বদলে শুভেন্দু অধিকারী-সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। কাঁথির রূপশ্রী বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা গুমটি ইউনিয়নের কাজ চলত এই অফিস থেকে।
আর তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ও কাঁথি (৩) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কনিষ্ক পণ্ডা এই অফিসটি চালাতেন। তাঁর উদ্যোগেই অফিসের এই নাম এবং রঙ বদল। এ প্রসঙ্গেও কনিষ্ক বলেছিলেন, ‘দলনেত্রী বলেছেন ত্যাগের কথা।শুভেন্দু অধিকারী ত্যাগের অন্য নাম, তাই তাঁর নামেই আমরা সর্বসম্মতভাবে অফিসের নাম বদলেছি। এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষকে সব ধরণের সাহায্য করা হবে।’ জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘এমন ঘটনার কথা জানি না।’ জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অখিল গিরি এই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি দাবি করেন,‘ওটা পার্টি অফিস ছিল না। পাড়ার মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটা ছোট অফিস ছিল। শহরের কোনও দলীয় অফিসের নাম পরিবর্তন হয়নি।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours