একটানা কৃষক আন্দোলনের জেরে দিল্লিবাসীকে 'পণবন্দি' হিসেবে উল্লেখ করে, সুরাহার খোঁজে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রা। চিঠিতে দিল্লির এই বিজেপি নেতা লেখেন, শহরের বিভিন্ন সীমানায় কৃষকদের চলমান বিক্ষোভের কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে দিল্লিবাসীর। তিনি এই অবস্থাকে পণবন্দির সঙ্গে তুলনা করেন। কপিল মিশ্রার অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে দিল্লি 'পণবন্দি' হয়ে পড়েছে। দুধ, শাকসবজি, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মেডিসিনের মতো জরুরি জোগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতিকে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান।
চিঠিতে মিশ্রা লিখেছেন, 'এটা প্রথম বার নয়। এটা পুনরাবৃত্তি। শাহীনবাগ আন্দোলনের (Shaheen Bagh movement) নামে বছরের গোড়াতেই রাজধানীকে পণবন্দি করে ঘৃণা ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল।' দিল্লির এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি দাঙ্গায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অভিযোগ ছিল, জাফরাবাদে তাঁর 'প্ররোচনা' মূলক ভাষণের জন্যই উত্তরপূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা বেধেছিল।
কৃষক বিক্ষোভের উল্লেখ করে কপিল মিশ্র বলেন, 'দিল্লিবাসী তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে 'বঞ্চিত' হচ্ছেন। লোকজন অফিসে যে যাবেন, দোকান খুলবেন, চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে যাবেন, এই সাধারণ স্বাধীনতাগুলিও তাঁদের নেই। তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।' তাঁর কথায়, 'দিল্লির লোকজনকে এ ভাবে ঘনঘন পণবন্দি করা হচ্ছে। যার ফলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জীবনে এর বড় প্রভাব পড়ছে। এটা বন্ধ করতেই হবে।'
রাষ্ট্রপতিকে লেখা কপিলের চিঠির বয়ান অনুযায়ী, 'কোটি কোটি লোকের জীবন নিয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক ভোজবাজি বন্ধ করতে হবে।' রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি নেতার আর্জি, আপনি নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপ করুন।
কৃষকদের আন্দোলনের জেরে দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমানাগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ। পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। শুক্রবার এই বিক্ষোভ নবম দিনে পড়ল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের দু-দফায় বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। শনিবার ফের বৈঠক রয়েছে। কৃষক সংগঠনের অভিযোগ, কৃষক নেতাদের মধ্যে বিভাজন করে, আন্দোলন ভণ্ডুল করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, কৃষকরা সেই ফাঁদে পা দেবে না। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা অনড়।
কৃষক বিক্ষোভের উল্লেখ করে কপিল মিশ্র বলেন, 'দিল্লিবাসী তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে 'বঞ্চিত' হচ্ছেন। লোকজন অফিসে যে যাবেন, দোকান খুলবেন, চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে যাবেন, এই সাধারণ স্বাধীনতাগুলিও তাঁদের নেই। তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।' তাঁর কথায়, 'দিল্লির লোকজনকে এ ভাবে ঘনঘন পণবন্দি করা হচ্ছে। যার ফলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জীবনে এর বড় প্রভাব পড়ছে। এটা বন্ধ করতেই হবে।'
রাষ্ট্রপতিকে লেখা কপিলের চিঠির বয়ান অনুযায়ী, 'কোটি কোটি লোকের জীবন নিয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক ভোজবাজি বন্ধ করতে হবে।' রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি নেতার আর্জি, আপনি নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপ করুন।
কৃষকদের আন্দোলনের জেরে দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমানাগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ। পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। শুক্রবার এই বিক্ষোভ নবম দিনে পড়ল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের দু-দফায় বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। শনিবার ফের বৈঠক রয়েছে। কৃষক সংগঠনের অভিযোগ, কৃষক নেতাদের মধ্যে বিভাজন করে, আন্দোলন ভণ্ডুল করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, কৃষকরা সেই ফাঁদে পা দেবে না। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা অনড়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours