এ বার সেই পথেই আরও এক পা এগিয়ে অ্যান্টি-ফুড ওয়েস্ট আইন আনতে চলেছে সেখানকার সরকার।
খাবার নষ্ট করা বন্ধ করতে মুকব্যাং ভিডিও অর্থাৎ কোনও রকমের ইটিং শো টেলিকাস্ট করা বা স্ট্রিমিং বন্ধ চিনে। এ বার সেই পথেই আরও এক পা এগিয়ে অ্যান্টি-ফুড ওয়েস্ট আইন আনতে চলেছে সেখানকার সরকার।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশনাল পিপলস' কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি ড্রাফ্ট পেশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, যদি কোনও রেস্তোরাঁ অতিরিক্ত খাবার বানায়, এবং তার জন্য খাবার নষ্ট হয়, তা হলে প্রশাসন তাদের জরিমানা করতে পারবে। পাশাপাশি কেউ কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে যদি খাবার নষ্ট করে, খালি প্লেটের বদলে খাবারসমেত প্লেট রেখে চলে আসে, তা হলে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষও ওই কাস্টমারের থেকে অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারে।খাবার নষ্ট হওয়া বাঁচাতে বেশ কিছুদিন আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) অপারেশন এম্পটি প্লেট বলে একটি ট্রেন্ড চালু করেন। এটি তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে খাবার নষ্ট হওয়া আটকাতে মুকব্যাং ভিডিও ব্যান করেছিল চিন। সাধারণত যে ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণ খাবার একত্র করে, একসঙ্গে খাওয়া হয় এবং কে কত বেশি খেতে পারে এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়, সেই ধরনের ভিডিওগুলিই এই মুকব্যাং ভিডিওর অধীনে পড়ে। এগুলি শুরু হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। পড়ে চিন বা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও দেখাও যায়। কিন্তু চিনে এই ধরনের ভিডিও শ্যুট করা নিষেধ।
এ ছাড়াও, খাবার নষ্ট হওয়া আটকাতে রেস্তোরাঁকেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়। যার মধ্যে একটি নিয়ম হল, যতজন লোক আসবে রেস্তোরাঁয় খেতে একসঙ্গে, তাদের একটি প্লেট কম দেওয়া হবে। অর্থাৎ যদি একসঙ্গে ৬ জন খেতে যায়, তা হলে খেতে দেওয়া হবে ৫টি প্লেট।জানা গিয়েছে, এই আইনটি পাশ যাওয়ার পর কোনও রেস্তোরাঁ যদি খাবার সঞ্চয় করা আটকাতে না পারে, তা হলে তাকে ১১ লক্ষ টাকারও বেশি টাকা জরিমানা করা হতে পারে। আর কোনও টিভি চ্যানেল, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা রেডিও মাধ্যম যদি নিষেধ সত্ত্বেও এই সব খাওয়ার ভিডিও প্রোমোট করে, তা হলে তার শো'টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে চ্যানেল।
এই আইন নিয়ে অনেকেই খুশি হলেও, অনেকেই আবার একে সে ভাবে স্বাগত জানায়নি। অনেকেরই দাবি- কম খাবার সার্ভ করার বিষয়টি একটু ভেবে দেখা উচিৎ। এর ফলে অনেক রেস্তোরাঁই সুযোগ পাবে বেশি দামে কম খাবার সার্ভ করার!
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে চায়না অ্যাকাডেমি সায়েন্সে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ১৭ থেকে ১৮ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয় বেজিং ও সাংঘাইতে। এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগই ভাত ও নুডলস নষ্ট হয়। আর ১৮ শতাংশ মাংস নষ্ট হয়। ফলে এই ধরনের পদক্ষেপে বাঁচানো যেতে পারে খাবার বলেই মনে করছে প্রশাসন!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours