করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় মানবতার রক্ষার দায় হিসেবে ভারতও তাতে সামিল হতে চায়। কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ সারাবিশ্বে ভ্য়াকসিন সরবরাহের অঙ্গীকার করেন তিনি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক:
২০২১ সালের মধ্যে বাজারে আসবে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কোভ্যাক্স। সেই কথা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের এই জীবনদায়ী টিকা হিসেবে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস অধানম।
২০২০ সালের শেষের দিকে করোনা রুখতে টিকা যে বাজারে আসতে চলেছে, তার আগাম আভাস আগেই দিয়েছিলেন হু প্রধান। তিনি জানিয়েছিলেন ভ্যাকসিনের যাবতীয় গবেষণার কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর সেই পরীক্ষার আশার আলো দেখিয়ে খুব শীঘ্রই মানুষের সেবায় ছাড়া হবে। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন তরির পর দেশবাসীর কাছে কীভাবে পৌঁছে যবে, তার একটি টোটকা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সব কিছু ছাড়িয়ে করোনা রুখতে আয়ুর্বেদিক উপায় কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার প্রথম দিশা দেখিয়েছে একমাত্র ভারতই। করোনা রোগীদের চিকিত্সায় আয়ুর্বেদের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা চলছে। এই বিষয়ে আশার আলো দেখিয়েন বিজ্ঞানীরা। একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের জন্য অ্য়ালোপ্যাথি ওষুধের থেকে বেশি কার্যকরী আয়ুর্বেদ চিকিত্সা। এবার সেই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে ট্যুইট করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ ট্রেডস অধানম লিখেছেন, নমস্তে প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে ধন্যবাদ। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে দৃঢ়তা ও কমিটমেন্ট যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে এটি একটা চ্যালেঞ্জ। গোটা মানব সভ্যতাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে মোদী সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়ব।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন WHO-এর এগজিকিউটিভ বোর্ডের অন্যতম সদস্য। তিনি জানান, ভারত ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিনের যোগান দিতে পারবে। একই সঙ্গে তিনি WHO-কে অনুরোধ করেছেন যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে ভ্যাকসিন ট্রায়াল করা যায় সে দিকে নজর দিতে, কারণ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের নজর এখন করোনা টিকার দিকেই। চলতি বছরের জুন মাসে Gavi-র উদ্যোগে শুরু হয় Covax ফেসিলিটি। কোভিড টিকা তৈরি করার জন্যে এটি একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। এই ফেসিলিটি বিমা পলিসি হিসেবে কাজ করবে, যাতে কিছু গবেষণা সফল না হলেও ভ্যাকসিন তৈরির কাজে কোনও বাধা না আসে। এই ভ্যাকসিন চুক্তির ফলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এই সংখ্যক ডোজ বানাতে খরচ পড়বে অন্তত ১৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আগামী ১৩ নভেম্বর জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস। এবছরের থিম কোভিড ১৯-এর জন্য আয়ুর্বেদের কার্যকারিতা। এই প্রসঙ্গ টেনেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ প্রধানমন্ত্রীকে ট্যুইট করেছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours