নিজেদেরই ক্ষেতের পাশে খেলতে গিয়েছিল পাঁচ বছর বয়সী প্রহ্লাদ কুশওয়া। আচমকাই পা পিছলে গভীর কুয়োয় পড়ে যায় সে। তার পর ২৮ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও সেই কুয়ো থেকে প্রহ্লাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেনার জওয়ানরা চেষ্টা করছেন। মধ্যপ্রদেশের নিবাড়ি জেলার সেতপুরা গ্রামের ঘটনা। খেলতে খেলতে কখন যে সেই গভীর কুয়োয় পাঁচ বছরের প্রহ্লাদ পড়ে গিয়েছিল, বাড়ির লোক প্রথমে টেরও পায়নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রহ্লাদের গলার স্বর ভেসে আসে কুয়োর ভিতর থেকে। সেনা জওয়ানরা আন্দাজ করছেন, শুকনো কুয়োর পঞ্চাশ থেকে ষাট শতাংশ গভীরতায় আটকে রয়েছে বাচ্চাটি। তবে সেই গভীর কুয়ো থেকে তাঁকে বের করে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ওই কুয়ো থেকে ৪০ ফিট দূরে একটি সুড়ঙ্গ খোদাইয়ের কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৪৫ ফিট পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে সেই সুড়ঙ্গ। সেখান দিয়ে প্রহ্লাদের কাছে পৌঁছনের চেষ্টা করছেন জওয়ানরা। কুয়োর ভিতর ক্যামেরা পাঠিয়ে পাঁচ বছরের বাচ্চার গতিবিধিতে নজর রাখার চেষ্টা চলছে গতকাল থেকেই। বুধবার সকাল নটা নাগাদ ওই কুয়োয় পা পিছলে পড়ে যায় প্রহ্লাদ। কুয়োটির গভীরতা প্রায় দুশো ফুট। তবে প্রহ্লাদ পঞ্চাশ শতাংশ গভীরতার কোনও জায়গায় আটকে রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন সেনা জওয়ানরা। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রহ্লাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। গতকাল থেকেই চিকিতস্কদের দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার-এর মাধ্যমে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
কুয়োর সামনে গতকাল থেকে অপেক্ষা করছে গোটা গ্রামের লোকজন। সেনাকে সহায়তায় তাঁরাও কোনও ত্রুটি রাখছেন না। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও প্রহ্লাদকে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেছেন। বুধবার প্রহ্লাদকে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেটা সম্ভব না হওয়ায় তারা এনডিআরএফ-কে খবর দেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ এনডিআরএফ-এর টিম ঘটনাস্থলে আসে। এর পর সেনা জওয়ানদের একটি দলও উদ্ধারকাজে নামে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours