ওষুধ নয়, প্রাকৃতিক উপায়ে অনেকটাই কমানো যেতে পারে এই মানসিক চাপ

শিলাজিৎ-- সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে শিলাজিৎ অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে কর্মরত অল্পবয়সী যুবক ও যুবতীদের শিলাজিৎ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শিলাজিতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক থাকে। এটি চাপ কমিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রয়োজন মতো শিলাজিৎ অবসাদ কমাতে দারুন কাজে দেয়।
অশ্বগন্ধা-- শতাব্দীপ্রাচীন এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ অশ্বগন্ধা। ব্রেনের কেমিক্যাল সিগনালিং নিয়ন্ত্রণ ও স্নায়ুতন্ত্রকে সতেজ করার মাধ্যমে মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ দূর করতে পারে। এ' ক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নানা ক্ষেত্রে কর্মরতদের অশ্বগন্ধা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
পুদিনার চা-- মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে ম্যাজিকের কাজ করে পুদিনার চা। পুদিনার মধ্যে উপস্থিত মেন্থল ও অ্যান্টিপ্যাসমোডিক উপাদান অত্যন্ত কার্যকরী। কাজ থেকে ফিরে পুদিনার চা পান করলে মুড রিল্যাক্স হয়ে যায়। তাই ওয়র্ক ফ্রম হোম বা অফিসের কাজে সারা দিন খুব চাপে থাকলে, সন্ধ্যায় এক কাপ পুদিনার চা পান করতে পারেন।
প্ল্যান্টবেসড প্রোডাক্ট-- আজকাল অধিকাংশ ওয়ার্কিং প্রফেশনাল এই ধরনের প্রোডাক্ট বেছে নিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই, যাতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে কিছুটা হলেও অবসাদ বা উদ্বেগ কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই প্রোটিন, মাল্টিভিটামিন ও নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক হার্ব প্রডাক্ট ব্যবহার করেন। এতে কিছুটা হলেও অবসাদ কমতে পারে।
এসেনশিয়াল অয়েল-- বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা এমনকী মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ দূর করতে প্রায়শই অ্যারোমাথেরাপির কথা বলা হয়। এ ক্ষেত্রে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করে মাসাজ করা হয়। এতে অনেকটাই কমতে পারে মানসিক অবসাদ। ল্যাভেন্ডার এসেনসিয়াল অয়েল, জেসমিন, রোজ, বারগামট এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours