আর মাত্র ৯ বছর। তার পরেই ব্রিটেনের রাস্তা থেকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিতে চলেছে পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন জনসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ২০৩০ সাল থেকে পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি কেনা-বেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে চলেছে সে দেশের সরকার। এ দিন প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবেন। বস্তুত, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে এ দিন তাঁর ১০ দফা ‘গ্রিন প্ল্যান’ ঘোষণা করার কথা। তারই অন্যতম অংশ, এক দশক পরে জৈব জ্বালানি চালিত যানবাহন বর্জন।
গত বছরের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সক্রিয় হন জনসন। প্রাথমিক ভাবে ব্রিটিশ সরকার স্থির করেছিল, ২০৪০ সাল থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে সক্রিয় হয়ে সেই সময়সীমা এগিয়ে এনেছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি।শুধু পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি বাতিল নয়, গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে জনসনের ‘সবুজ পরিকল্পনা’য় বিকল্প শক্তির ব্যবস্থার জন্য নানা পদক্ষেপের কথা রয়েছে। পরমাণু, সৌর এবং বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে জৈব জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলা রয়েছে ১২০০ কোটি ইউরো (প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা)-র এই পরিকল্পনায়। শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির দাবি এর ফলে দেশে আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
বিরোধী লেবার পার্টি অবশ্য জনসন সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, ব্রিটেনের প্রায় ৭৪ শতাংশ যানবাহন জৈব জ্বালানি চালিত। করোনার অভিঘাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জনসনের ঘোষণায় অটোমোবাইল শিল্পে আঘাত আসবে বলে লেবার নেতৃত্বের অভিযোগ।
ব্রিটেনে বর্তমানে প্রায় ৬ শতাংশ যানবাহন ব্যাটারিতে চলে। গ্যাস (সিএনজি) চালিত যানবাহনের ব্যবহারও ক্রমশ বাড়ছে। বস্তুত, ভারত, বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও গ্যাস চালিত গাড়ি বাড়ছে। কলকাতা-সহ দেশের বেশ কিছু শহরে যাত্রীদের ভরসা হয়ে উঠেছে সিএনজি চালিত অটো।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours