ছোট থেকেই কম্পিউটার কোডিংয়ে তুখর এই খুদে। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গোয়েজে ক্লিয়ার করে মাত্র ছয় বছর বয়েই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের তালিকায় নাম তুলে ফেলল আহমদাবাদের আরহাম ওম তালসানিয়া। শুধু তাই নয়, বিশ্বের কনিষ্ঠতম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবেও গিনেস বুকে নাম তুলল সে।
এএনআই সংবাদসংস্থাকে ওই খুদে জানিয়েছে, 'আমার বাবা-ই আমাকে কোডিং শিখিয়েছেন। ২ বছর বয়স থেকেই আমি ট্য়াবলেট ব্যবহার করতে শিখি। তিন বছর যখন তখন iOS আর Windows গেজেট ব্যবহার করতে শুরু করি। তারপর আমি জানতে পারি বাবা পাইথন নিয়ে কাজ করছেন।'
দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্র তালসানিয়া পিয়ারসন ভিইউই টেস্ট সেন্টার থেকে মাইক্রোসফট সার্টিফিকেশনের পরীক্ষায় পাশ করে। তাঁর কথায়, আমি যখ পাইথন থেকে শংসাপত্র পেলাম তখন নিজেই বানাচ্ছি ছোট ছোট গেম। তারপর আমার কাছে কাজের নমুনা পাঠাতে বলা হয়। কয়েক মাস পরই তারা আমার কাজে খুশি হলে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সার্টিফিকেট পাই।এই ছোট্ট খুদের স্বপ্ন কী জানেন? বড় হয়ে সে উদ্যোগপতি হতে চায়। পাশাপাশি সকের কাজে যেন সে আসতে পারে, তেমন কাজ করতে চায়। তাঁর কথায়, 'আমি উদ্যোগপতি হতে চাই আর সকলের সাহায্যে আসতে চাই। আমি অ্যাপস, গেম আর কোডিংয়ের জন্য সিস্টেম বানাতে চাই। আমি এও চাই যে সকলের পাশে থেকে আমার সাধ্যমতো সাহায্য করতে।'
আরহামের বাবা ওম তালসানিয়া একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ছোট থেকেই ছেলের যে কোডিং নিয়ে কৌতূহল রয়েছে তা লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। সেইজন্য আরহামকে বেসিক প্রোগ্রামিং শিখিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'শৈশব থেকেই গ্যাজেটের প্রতি আগ্রহ ছিল আরহামের। ট্যাবলেটে গেম খেলতে ভালোবাসত। একেবারে পাকা হাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। সেইসময় থেকেই পাজল সমাধান করত। ভিডিয়ো গেমে খেলারা পাশাপাশি নিজে থেকেই গেম বানানোর চেষ্টা করত। মাথায় নানারকম চিন্তা গুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করত। আমার কোডিং করা খুব মন দিয়ে দেখত। সেইসম আমি বেসিক প্রোগ্রামিংটা শিখিয়েছিলাম। তারপরই ছোট ছোট গেম বানাতে শুরু করে সে। এরমধ্যেই মাইক্রোসফট প্রযুক্তি সহযোগী হিসেবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে সে। তারপর গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য আবেদন করি আমরা।'
Post A Comment:
0 comments so far,add yours