ধর্মান্তকরণের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের স্ত্রী কমলরুখ খান। তাঁর অভিযোগের তির ওয়াজিদের পরিবারের বিরুদ্ধে। কমলরুখের অভিযোগ, তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত না হতে চাওয়ার কারণে, তাঁর ১৬ বছরের মেয়ে ও ৯ বছরের ছেলের উত্তরাধিকার তাঁকে দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্টে এই প্রথমবার কমলরুখ খান নিজের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। এমনকি ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল আনার সপক্ষেও মুখ খুলেছেন কমলরুখের। তাঁকে সমর্থন করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। 

কমলরুখ খান জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময় থেকেই প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। ১০ বছর আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এ তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি পার্সী আর ওয়াজিদ মুসলিম ছিলেন। বিয়ের পরও তাঁরা নিজ নিজ ধর্মে থাকবেন এই মর্মেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকে ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন কমলরুখ খান। তিনি ধর্মান্তরিত না হতে চাইলে তাঁর ও ওয়াজিদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে। এমনকি ওয়াজিদের মত্যুর পরও তাঁর পরিবারের তরফে এখনও তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কমলরুখ। এমনকি বর্তমানে ধর্মন্তকরণ বিরোধী বিল নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সে বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালকের স্ত্রী, যিনি পেশায় একজন হিপনোথেরাপিস্ট।

এদিকে কমলরুখের কথার প্রসঙ্গ ধরে পার্সীদের মত সংলঘুদের সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। তাঁর কথায়, পার্সীরা এদেশে আক্রমণকারী হিসাবে আসেনি, তাঁরা এদেশটাকে ভালোবেসেই এসেছিল। এদেশের অর্থনীতিতে তাঁদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours