কলকাতা হাইকোর্টের রায় শোনার পর চম্পাহাটির হারালের বাজি ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন চীনের মোড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। আত্মহত্যার পথও তাঁরা বেছে নিতে পারেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজোসহ চলতি মাসে পশ্চিমবঙ্গে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার পরই চম্পাহাটির হারালের বাজি বাজারে হানা দেয় পুলিশ। বুধবার এই বাজি বাজারে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বন্ধ ছিল হারালের বাজি বাজার।
অন্যান্য বছর দুর্গাপুজোর পর থেকে জমজমাট থাকে এই বাজি বাজার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবার ক্রেতার সংখ্যা খবুই কম ছিল। লক্ষ্মীপুজোতেও বাজির বাজার ফাঁকা গিয়েছে। তার উপর বুধবারের বিস্ফোরণের পরে এদিন একপ্রকার শ্মশানের নিস্তব্ধতা ছিল বাজি বাজারে। অন্যদিকে, আদালতের রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। বারুইপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী বৃহস্পতিবার দুপুরে চাম্পাহাটির বাজি বাজারে গিয়ে বাজির দোকান ও কারখানা যাতে আর না খোলা হয়, তার জন্য বাজি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়।
পাশাপাশি এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই বাজারে মোতায়েন করা হয়েছে দমকলের ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত দমকলের একটি ইঞ্জিন ওই বাজারে রাখা থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকালে হাইকোর্টের বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণার রায় জানার পরেই চম্পাহাটি হারাল বাজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ভানু মণ্ডল জানান, একেই এবছর করোনার ভাইরাস সংক্রমণের জন্য লকডাউন ছিল বেশ কয়েক মাস। লকডাউনের কারণে বাজি ব্যবসায়ীরা লোকসানে চলছেন।
তারপরও দীপাবলিতে রোজগারের আশায় তাঁরা ধারদেনা করেও বাজি মজুত করেছিলেন। এখন সেই বাজি বিক্রি করতে না পারলে তাঁদের সর্বনাশ হবে। তাই তাঁদের প্রতি সুবিচারের আশায় এদিন চীনের মোড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ করা হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধ তুলে দেয়। এদিকে, বারাইপুর জেলা পুলিশের বাহিনী বারুইপুর, সোনারপুর ও ক্যানিং এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours