সব ঠিকঠাক থাকলে, ১ জানুয়ারির আগেই খুলে যেতে পারে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চলছে জোর কদমে কাজ। দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ। বরানগর মেট্রো স্টেশন সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। জোরকদমে চলছে বরানগর মেট্রো স্টেশন এলাকায় বাকি সাজানোর কাজ। প্রতিদিন কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছেন, আর ভি এন এল ও মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন দেখতে হয়েছে অনেকটা মন্দিরের আদলেই। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আপনি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশ করছেন। এই মেট্রো স্টেশনে পৌঁছনোর জন্যে যেমন আলাদা রাস্তা আছে। তেমনি ডানকুনি-শিয়ালদহ শাখায় দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকেও মেট্রো চড়ার জন্য রাস্তা থাকছে। বরানগর স্টেশন অবশ্য হচ্ছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে। ডানলপ থেকে সহজেই এখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে থাকছে মাত্র একটি স্টেশন। নোয়াপাড়া ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে দুরত্ব হচ্ছে মাত্র ৪.১ কিলোমিটার। নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন জোর কদমে চলেছে সিগন্যাল-টেলিকমিউনিকেনর কাজ। সেই কাজ শেষ হয়ে গেলেই সি আর এসের কাছে আবেদন জানানো হবে। স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এসক্যালেটর বসানো হয়ে গিয়েছে৷ প্ল্যাটফর্ম বোর্ড বসে গিয়েছে। চলছে এটিভিএম বসানোর কাজ। টিকিট কাউন্টার মেশিন বসানোর কাজ চলছে জোর কদমে। স্টেশনে বিভিন্ন আত্মিক ম্যুরাল বসানো হয়েছে। বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই, স্টেশন প্রশস্ত করা হয়েছে। তবে বরানগর অংশে কাজ কিছু বাকি আছে এখনও। বিশেষ করে ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হলেও, তা চার্জ করে বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে এই নতুন পথে মেট্রো চলাচলের সময় কিছু সমস্যাও আছে৷ যেহেতু দক্ষিণেশ্বরে কারশেড করার জন্যে কোনও জায়গা পাওয়া যায়নি, তাই নোয়াপাড়া কারশেড থেকে ট্রেন এলে তবেই মিলবে মেট্রো৷ নোয়াপাড়া থেকে যাত্রী ভর্তি মেট্রো এসে দাঁড়াবে প্ল্যাটফর্মে। সেখানে যাত্রী নামানোর পরে আবার সেটি যাবে বরানগরের দিকে। সেখান থেকে আবার ক্রসওভার থেকে লাইন বদল করে আসবে দক্ষিণেশ্বরের অন্য প্ল্যাটফর্মে। ফলে ট্রেন ঢোকা ও বেরনো এখানে বেশ সময় সাপেক্ষ। বিশেষ বিশেষ দিনে প্রচন্ড ভীড় হলে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তবে মেট্রোর দাবি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। প্রথমে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল কালী পুজোয় চালু করে দেওয়া হবে এই মেট্রো স্টেশন। কিন্তু ইউরোপ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপিডাব্লুএস মেশিন, ফ্ল্যাপ গেট না এসে পৌছনোর কারণে সমস্যা তৈরি হয়। মেট্রো আশাবাদী এগুলি এসে গেলে শীঘ্রই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে।আপাতত শীঘ্রই যাত্রা শুরুর জন্যে অপেক্ষা করছে কলকাতার নয়া মেট্রো স্টেশন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours