বিশেষজ্ঞদের মতে আরও ৪ রকমের করোনার প্রকারভেদ রয়েছে৷ যার জেরে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে শীতকালে৷

মূলত শীতকালে সিজেনাল ফ্লু (seasonal flu) যেমন হাল্ক জ্বর, সর্দি, কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়৷ এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার বাড়বাড়ন্ত৷ তারই মধ্যে গ্রীষ্ম, বর্ষা পেরিয়ে ধীরেধীরে হচ্ছে শীতের আগমন৷ ঠান্ডায় আরও বাড়তে পারে করোনার প্রভাব, এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফলে করোনা কমার ক্ষেত্রে কোনও আশার বাণী তো শানাতেই পারছেন না গবেষকরা, উল্টে আবারও আতঙ্কের বার্তা দিলেন তাঁরা৷
তবে শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে কিনা সঠিকভাবে না বলতে পারলেও, যেভাবে ভারতে উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা, তাতে শীতকালে দেশে করোনার দ্বিতীয় পিক হতে পারে বলে আশঙ্কা৷ অর্থাৎ আরও একবার আক্রান্তের গ্রাফ উঠবে ওপরের দিকে৷ এমনই মনে করা হচ্ছে৷
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যে, চার প্রকারের করোনা ভাইরাস রয়েছে৷ যার জেরে খুব সহজেই সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা হয়৷ এবং এই সমস্যাগুলি বৃদ্ধি পায় শীতকালে বা ঠান্ডায়৷ ইনফ্লুয়েঞ্জা, (Influenza, rhinoviruses) রিহনোভাইরাসের ফলেও ঠান্ডা গেলে জ্বর বা নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে৷
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, শীতকালে এগুলি বেশি মাত্রায় হয়৷ লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডাঃ র‍্যশল লোয়ি বলেন যে, সঠিক ভাবে এখনও বোঝা যাচ্ছে না যে কী বা কোন পরিস্থিতিতে করোনা এভাবে ছড়িয়ে পড়ছে৷ আবহওয়ার বদল নাকি মানুষের চালচলনে ফলে করোন বাড়ছে, তা সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না৷
তবে শরীরের বাইরে ঠান্ডার সময় বেশিদিন টিকে থাকে করোনার জীবাণু৷ করোনার ক্ষেত্রে ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা করোনার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক৷ আল্ট্রা ভায়লেট লাইট কম থাকার ফলে এই ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়াতে পারে৷ তাই রোদ বাড়ে করোনা৷ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি জানা গিয়েছে৷
এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল শীতকালে ভারতে কি বাড়বে করোনা? ইন্ডিয়ান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানসের পক্ষ থেকে ডাঃ শাশঙ্ক জোশী বলেন যে, সত্যিই শীতে ও ঠান্ডায় করোনা বাড়বে৷ যদিও তিনি এটাই স্পষ্ট করেন যে, তাপমাত্রার সঙ্গে করোনার সম্পর্ক খুব পরিষ্কার নয়৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours