শক্তি নামক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অনেকেই চিন্তায় ভুগছিলেন কারন আমফান যা তাণ্ডব দেখিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছে সেই আশঙ্কায় এখন ঘূর্ণিঝড়ের ‘ঘ’ শুনলেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করছে বাংলা। মূলত ভয় পাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলগুলি। তবে এখনও পর্যন্ত আপডেট অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় গতির গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে আপডেট দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বেগতিক হতে পারে গতি? না, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বাংলার চিন্তা কম। বরং আতঙ্কে রাখছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে। সেখানে এমনিতেই ফেরার পথে বর্ষা ব্যাপক রূপ দেখিয়ে যায়। এটা ফি বছরের ঘটনা। ঝড় হলে চিন্তা বাড়বে সেখানে। আশঙ্কা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, ওডিশা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রতে। ঝড়ের জেরে পুজোর মুখে বাংলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে।
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপোসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটিই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। ঝড়ের জেরে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। এমনই পূর্বাভাস মিলছে। মূল ঝড়ের গতিবেগ সম্বন্ধে এখনও কিছু জানাচ্ছে না হাওয়া অফিস। ঝড়ের আগে অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা জারি হতে পারে। মনে করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি ভারত ও বাংলার বরাবরের বাইপাস বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যেতে পারে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতি জারি থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ওই দিন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দিঘা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির পরিমান ৮.৫ মিলিমিটার।
কেন এই বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি থাকছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ওডিশা ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর অবস্থান করছে। এছাড়া হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের উপরও অবস্থান করছে। সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে আন্দামান নিকোবর ও ওডিশার বেশিরভাগ জায়গায়। ওইদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours