উত্তরপ্রদেশের হাতরসের ঘটনা আরও নিন্দনীয় মোড় নিল৷ গণধর্ষণের শিকার হওয়া নির্যাতিতা দিল্লিতেই হাসপাতালে মঙ্গলবার আরও লড়াই করতে না পেরে মারা যান৷ এরপর উত্তরপ্রদশের পুলিশ -প্রশাসন যা করল তা অত্যন্তই নক্কারজনক৷
দিল্লি থেকে শবদেহ আসার পর তা মেয়েটির পরিবারের হাতে না তুলে দিয়ে নিজেরাই ধর্মীয় রীতি মেনে শেষকৃত্য সমাধা করে দিল! পুলিশের এই পদক্ষেপে পরিবার এমনকি তাঁর গ্রামের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ৷ পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও সেই শেষকৃত্যের সংবাদ নেওয়া থেকে বিরত করা হয়৷ শুধু সংবাদ পরিবেশনে বাধাদান করা হয় তাই নয়, একইসঙ্গে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়৷
এর আগে যখন শবদেহ গ্রামে পৌঁছয় তখন পরিজনদের হাতে মৃতদেহ তুলে নাা দেওয়ায় তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সের সামনে শুয়ে প্রতিবাদ করেন৷ এসডিএমের বিরুদ্ধে পরিবারের মানুষদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে৷ এরপর পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ হয়৷ আসলে পরিবারের সদস্যরা রাত্রে অন্তিম সংস্কারের কাজ করতে চাইছিলেন না৷ কিন্তু পুলিশ চাইছিল যত দ্রুত সম্ভব শেষকৃত্য সমাধা করতে৷
গভীর রাতে প্রায় ২.৪০ -র সময় পরিবারের অনুপস্থিতিতেই নিয়ম মেনে হাতরস গণধর্ষণের শিকার মেয়েটির শেষকৃত্য সমাধা হয়৷ মৃতার কাকা ভূরি সিং জানিয়েছেন, পুলিশ চাপ তৈরি করছিল যে রাতেই শেষকৃত্য করতে হবে৷ কিন্তু মেয়ের মা-বাবা-ভাই কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না৷ এঁরা এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন আর কেউই পৌঁছতে পারেননি৷ পুলিশকে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিলেন পুলিশ যদি অপেক্ষা না করতে পারে তাহলে তাঁরা নিজেরাই মেয়েটির দাহকার্য করে দেবেন ।
পীড়িতা এই দুঃসহ গ্যাংরেপের ঘটনা সামনে আসার পর উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা সরকারকে তুলোধনা করছেন পাশাপাশি সারা দেশেই এক জনমত তৈরি হয়েছে৷ সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই নির্যাতিতার ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন৷
এদিকে বিরোধীদের দাবি খন্ডন করে আইজি পীযূষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেডিক্যাল রিপোর্টে রেপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকেও তারা ভুল বলেছেন৷ না মৃতার জিভ কাটা ছিল না তাঁর মেরুদন্ডের হাড় ভাঙা ছিল৷
Post A Comment:
0 comments so far,add yours