মাত্র পাঁচ টাকার চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। নৈহাটির পাশাপাশি গোটা ব্যারাকপুর মহকুমাতেও পরিচিত ছিলেন 'নৈহাটির বিধান রায়' হিসেবে। সামান্য অর্থে দুঃস্থদের চিকিৎসা করতেন চিকিৎসক হিরন্ময় ভট্টাচার্য। ক’দিন ধরে জ্বর ছিল তাঁর। করোনা উপসর্গ নিয়ে রাতে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। আপ্রাণ চেষ্টা করা হলেও তাঁর অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠেছিল। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পর পর দু’বার হার্ট অ্যাট্যাক হওয়ার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
লকডাউনের পর একেবারে সামনের সারি থেকে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন হিরন্ময় ভট্টাচার্য। সংক্রমণের ভয় না পেয়ে নিয়মিত চেম্বারে রোগী দেখতেন। কাউকে ফেরাতেন না। চেস্ট স্পেশালিস্ট হলেও জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসাবে সাধারণ গরিব মানুষের কাছে ‘ভগবান’ ছিলেন তিনি। আইএমএ রাজ্য শাখার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের চিকিৎসক মহলেও গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় বলি হলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। কিছু দিন কয়েক আগে ব্যারাকপুর মহকুমারই শ্যামনগরে জনপ্রিয় চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়।
রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও বাড়ছে উদ্বেগ। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩,৮০৯ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৪৯,৩০,২৩৭ জন। এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৯,৯০,০৬১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮,৫৯,৪০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯,২৯২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৭৮.২৮%। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০,৭৭৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,০৫৪ জনের। মৃতের হার ১.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০,৭২,৮৪৫ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
চিকিৎসক-মৃত্যুর তালিকাতে আগেও বেশ কয়েকজনের নাম জুড়েছিল, যা প্রবল প্রভাব ফেলেছে রাজ্যের চিকিৎসক সমাজে। কেননা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁরাই রয়েছেন সবচেয়ে বিপদের মুখে। যদিও দেশে সুস্থতার হার ৭৮ শতাংশ পেরিয়ে রেকর্ড গড়েছে, কিন্তু এ সবের মধ্যেও দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ২৫ জন সাংসদের! এর মাঝে ভরসা শুধু সুস্থতার হার।
চিকিৎসক-মৃত্যুর তালিকাতে আগেও বেশ কয়েকজনের নাম জুড়েছিল, যা প্রবল প্রভাব ফেলেছে রাজ্যের চিকিৎসক সমাজে। কেননা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁরাই রয়েছেন সবচেয়ে বিপদের মুখে। যদিও দেশে সুস্থতার হার ৭৮ শতাংশ পেরিয়ে রেকর্ড গড়েছে, কিন্তু এ সবের মধ্যেও দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ২৫ জন সাংসদের! এর মাঝে ভরসা শুধু সুস্থতার হার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours