September 2020
এক মাসে তৃতীয় লগ্নি টানল রিলায়েন্স রিটেল ৷ মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুয়িটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক রিলায়েন্স রিটেলে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল ৷ করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যখন মারাত্মক রকমের ক্ষতিগ্রস্ত, তখন একের পর এক বিনিয়োগ টেনে চমকে দিয়েছে রিলায়েন্স ৷ জিও প্ল্যাটফর্মের পর এবার রিলায়েন্স রিটেলে আসছে একের পর এক বিনিয়োগ ৷
General Atlantic-Reliance Retail deal ঘোষণার পর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘জেনারেল অ্যাটলান্টিক-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমি খুশি ৷ ভারতীয় রিটেল ব্যবসার আমুল পরিবর্তনের পথে আমরা একসঙ্গে কাজ করব, যেখানে ক্রেতা বিক্রেতা দুজনেই লাভবান হবেন ৷’

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রিলায়েন্স রিটেলে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-


  • এই বছরের শুরু দিকে জিও প্ল্যাটফর্মে ৬,৫৯৮.৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুয়িটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক ৷ বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থার এই বিনিয়োগ তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে রিলায়েন্সের দক্ষতার উপর ভরসা আছে গ্লোবাল ইনভেস্টারদের ৷
  • .রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্সের ০.৮৪ শতাংশ শেয়ার কিনছে জেনারেল অ্যাটলান্টিক ৷ এর জন্য ৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা লগ্নি করছে তারা ৷ যার ইক্যুইটি ভ্যালু দাঁড়াচ্ছে ৪.২৮ লক্ষ কোটি, যা এই মাসের শুরুতে RRVL-এ হওয়া ৪.২১ লক্ষ কোটির বিনিয়োগের থেকে ৭০০০ কোটি টাকা বেশি ৷
  •  ৪০ বছর ধরে মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুয়িটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক টেকনোলজি, কনজিউমার, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও হেলথকেয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করে আসছে ৷ এয়ার বিএনবি, আলিবাবা, অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল, বক্স, বাইট ড্যান্স, ফেসবুক, স্ল্যাক, স্ন্যাপচ্যাট, উবের-এর মতো কোম্পানিতে এই মার্কিন সংস্থার বিনিয়োগ রয়েছে ৷
  • .জেনারেল অ্যাটলান্টিকের এই বিনিয়োগের ফলে টেক ও কনজিউমার বিজনেসে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দক্ষতা আরও একবার প্রমাণ হল ৷
  •  জেনারেল অ্যাটলান্টিকের মতো সংস্থার এই বিপুল বিনিয়োগে আরও গ্লোবাল ইনভেস্টটাররা রিলায়েন্সে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন ৷ ভারতীয় মার্কেটকে ভালভাবে বোঝার দক্ষতা রাখে রিলায়েন্স তা আরও একবার প্রমাণিত ৷

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুয়িটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক বিশ্বের প্রথম সারির ইক্যুয়িটি ফার্ম, যারা সম্ভাবনাময় কোম্পানিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্টও দেয় ৷ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সংস্থার কাছে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যাসেট রয়েছে ৷ নিউইয়র্ক, আমস্টারডাম, বেজিং, গ্রিনউইচ, হংকং, জার্কাতা, লন্ডন, মেক্সিকো সিটি, মুম্বই, মিউনিখ, সাও পাওলো-সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ১৫০টি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে জেনারেল অ্যাটলান্টিক ৷


রক্তহীনতা ও রক্তাল্পতা দূর করে দ্রুততার সঙ্গে

অন্যতম জিওল শোল মাছ, শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী ৷ অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় ডাঙায় অনেকক্ষণ জীবিত থাকে ৷ 
শিশু থেকে বৃদ্ধ, শোলমাছ খেলে শরীর অত্যন্ত ভাল থাকে ৷ রক্তাল্পতা বা রক্তশূন্যতা দূর করে ৷
নানান অসুস্থতা থেকে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব শোলমাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেলে ৷ শোলমাছ সব সময়েই পাওয়া যায় ৷ 
মাছের বাজারে কম বেশি প্রায় প্রতিদিনই শোলমাছ বিক্রি হয় ৷ শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এছাড়াও ভিটামিন ও প্রোটিনে পরিপূর্ণ শোলমাছ 

একটু গা-গরম হলেই এখন দুশ্চিন্তা। লুকিয়ে-চুরিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন কেউ কেউ, যাতে কেউ জানতে না পারে জ্বরের খবর। সঙ্গে কাশি ও গলা ব্যথা থাকলে তো কথাই নেই। কোভিডের আতঙ্কে মানুষ ভুলে গেছেন সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কথা। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে এটিও যে নিয়ম মেনে আসে। এ বারও এসেছে এবং বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জাও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভয়। কিন্তু সত্যিই কি এত ভয় পাওয়ার কিছু আছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সব্যসাচী সেন জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে হালকা থেকে মাঝারি জ্বরের সঙ্গে গা ম্যাজম্যাজ, সর্দিভাব, নাক দিয়ে জল পড়া বা নাক বন্ধের মতো উপসর্গ থাকে। কাশিও হচ্ছে কারও কারও। তবে এমন যদি হয়, কফ তোলার জন্য কাশি, কিন্তু কফ উঠছে না, এ অবস্থায় চিন্তার কিছু নেই। বিশ্রামে থাকতে হবে। গরম জলের ভাপ নিতে হবে। হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত জল খেতে হবে।
সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘জ্বর বাড়লে প্যারাসিটামল খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। মাল্টিভিটামিনও খেতে পারেন। মাস্ক পরে বাড়ির অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে আলাদা ভাবে। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাবে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় বলে পরিবারের অন্য কারও সূত্রে করোনা এলে সবার প্রথমে আপনারই বিপদের আশঙ্কা। জ্বর ও শারীরিক ব্যথা মোটামুটি ২-৩ দিন থাকে। তারপর কমতে শুরু করে। কিন্তু যদি ৪-৫ দিন পরও জ্বর থাকে, বাড়তে শুরু করে, রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন, সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের পরীক্ষা করা উচিত। বুকে চাপ বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে এই পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।’’
জ্বর হলেই পরীক্ষা?
সব্যসাচীবাবু জানান, সব ক্ষেত্রে দরকার নেই। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে এমনিই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তার উপর হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করাতে গেলে সেখান থেকে রোগ এসে যেতে পারে। রিপোর্টেরও আবার ফলস পজিটিভ, ফলস নেগেটিভ আছে, সংক্রমণের প্রথম অবস্থায় বিশেষ করে। তাছাড়া কো-মর্বিডিটি না থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোভিড এত হালকাভাবে থাকে যে প্যারাসিটামল ও আরও দু-চারটে ওষুধ খেলে, বিশ্রামে থাকলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগী।
কী খেয়াল রাখতে হবে
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তো সাধারণ মানুষ বেশি সতর্ক হন না। কাজেই তার সঙ্গে যদি কোভিড হয়, যাঁরই সংস্পর্শে আসবেন, সবারই হওয়ার সম্ভাবনা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে সাবধান না হলে এমনিও সবার কোভিড হবে। কাজেই বাড়িতে কারও জ্বর হলে, সে ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কি কোভিড, তাঁকে আলাদা করে দিন। রোগী ও পরিবারের সবাই ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরুন। বার বার হাত ধুতে থাকুন। ইনফ্লুয়েঞ্জাও যথেষ্ট ছোঁয়াচে। তা ছাড়া যে কোনও একটি সংক্রমণ কিন্তু অন্য সংক্রমণকে ডেকে আনতে পারে। কাজে এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা হল মানে কোভিডের আশঙ্কাও বাড়ল। কাজেই সাবধানতার কোনও বিকল্প নেই।”
আর পরীক্ষা?
সৌতিকবাবু জানান, জ্বরের সঙ্গে যদি শুকনো কাশি, ঢোঁক গিলতে কষ্ট, বুকে হালকা চাপ বা শ্বাসকষ্ট থাকে এবং তিনি যদি কনটেইনমেন্ট জোনের এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকেন, কোভিড পরীক্ষা করা জরুরি। তবে মানুষ যেভাবে মেলামেশা শুরু করেছেন, তাতে তিনি কোথায় থাকছেন, সেটা এখন গুরুত্বহীন হয়ে গেছে। উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা হচ্ছে।
অতএব
জ্বর হলেই দুশ্চিন্তা করবেন না। তাতে শরীর আরও দুর্বল হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দু-তিন দিনে সমস্যা কমে যাবে। কাজেই সাবধানে থাকুন। জ্বর হলেই নিজেকে আলাদা করে নিন। উপসর্গের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।  

এ বারের পুজোয় গাঢ় মেরুন পোশাক পরার খুব শখ। অনলাইনে অর্ডার করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগের কালো টপের ওপরে খুসকির আলপনার ঘটনা। সাহস করে আর পছন্দের পোশাক কেনা হল না।
খুসকিতে জেরবার অনেকেই। পুজোর আগে একটু সতর্ক হলেই নাছোড় খুসকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন নয়। ম্যালাসাজিয়া ফুরফুর নামে এক বিশেষ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুসকির জন্য দায়ী, তবে অন্যান্য কারণেও খুসকির  সমস্যা দেখা যায়।
কথা হচ্ছিল ত্বক বিশেষজ্ঞ পিয়ালি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ভ্যাপসা গরমে এমনিতেই মাথার তালু ঘেমে ওঠে। এর সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষই মাথায় তেল মাখেন ও সপ্তাহে মেরে কেটে ১/২ দিন শ্যাম্পু করেন। এর ফলে মাথায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকেই খুসকি কমাতে মাথায় গরম তেল লাগান, এর ফলে খুসকি কমার বদলে বেড়ে যায়, বললেন পিয়ালি।
খুসকি প্রতিরোধ করতে গেলে মাথায় তেল মাখার ব্যাপারে নিয়ম মানতে হবে। স্নানের এক ঘন্টা আগে তেল মেখে পরে তা শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। মাথা পরিষ্কার রাখতে এক দিন বাদ দিয়ে নিয়ম করে শ্যাম্পু করার পরামর্শ দিলেন পিয়ালি। আদতে খুসকি বা ড্যানড্রাফ হল ত্বকের সমস্যা। ডাক্তারি মতে এর নাম পিট্রিয়াসিস ক্যাপিটিস।
অল্পবিস্তর খুসকি হলে মাথা পরিষ্কার রাখলে তা আপনিই সেরে যায়। কিন্তু যখন খুসকির সমস্যা ক্রনিক হয়ে দাঁড়ায় তখন তো ডাক্তার দেখানো জরুরি। জানালেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সুদীপ দাস। অনেক সময় জটিল ত্বকের অসুখের উপসর্গ হিসেবে মাথা থেকে ত্বকের খোসা উঠে যায়। ত্বকের নীচে সিবেসাস গ্ল্যান্ড নামে এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। এর থেকে সেবাম নামে এক তৈলাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আমাদের চুল ও ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়ায় কারও কারও সিবাম নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে খুসকির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তার উপর চুপচুপে করে তেল মাখলে সমস্যা আরও বাড়ে। বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের শরীরের নানা পরিবর্তন আসে, তার জন্যে নানা রকম হরমোন সক্রিয় থাকে। আর এই কারণেই খুসকি আর ব্রণ কমবয়সীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
সুদীপ জানালেন, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, একজিমা বা কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হলেও মাথা থেকে খুসকির মত শুকনো ছাল ওঠে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বুঝতে পারেন অসুখটা সত্যিই খুসকি না অন্য সমস্যা। খুসকি ছোঁয়াচে নয়। তবে মাথায় কোনও সংক্রমণ থাকলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই অন্যের ব্যবহার করা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো অনুচিত।
সুদীপ জানালেন, কিটোকোনাজল নামে খুসকিনাশক শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সপ্তাহে একবার এই শ্যাম্পু করতে হবে। অন্য দিন সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোওয়া উচিত। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন শ্যাম্পু করা দরকার। মাথা পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা থাকবে না। খুসকির মোকাবিলা ছাড়াও এমনিতেই প্রত্যেক একদিন অন্তর শ্যাম্পু করতে হবে। মাথায় তেল লাগাতে চাইলে শ্যাম্পু করার আগে তেল মেখে নেওয়া যেতে পারে। যদি স্ক্যাল্প খুব শুকিয়ে যায় অল্প নারকেল তেল লাগানো যেতে পারে। তবে বাড়াবাড়ি রকমের খুসকি হলে আইসো-ট্রেটিনয়েন গ্রুপের কিছু ওষুধ খেতে হতে পারে।
সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু (একদিন কিটোকোনাজল) করে মাথা পরিষ্কার করার পরেও যদি খুসকি না সারে, বার বার হয় এবং খুব বাড়াবাড়ি ধরনের খুসকি হয় টানা দু’তিন মাস না সারে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান জরুরি। চুল ছোট করে কেটে পরিচ্ছন্ন রাখলে খুসকির সমস্যা বাড়তে পারে না।
পুজোর আগে নাছোড় খুসকির হাত থেকে মুক্তি চাইলে দ্রুত ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। পিয়ালি জানালেন, মূলত অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু দিয়ে খুসকির বিদায় করা যায়। তবে বাজার চলতি অ্যান্টি-ড্র্যানড্রাফ শ্যাম্পুগুলিতে সালফার ও জিঙ্ক দেওয়া থাকে। শুরুতে এই সবের সাহায্যে স্ক্যাল্পের স্কেলিং কমিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ক্রনিক খুসকির ক্ষেত্রে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ-সহ অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। খুসকির মতো মনে হলেও সবসময় সেটা খুসকি না-ও হতে পারে, অনেক সময় মাথার ত্বক শুকিয়ে ছাল ওঠে।
এ ক্ষেত্রে স্নানের আগে তেল মেখে ধুয়ে নিলে শুকনো ভাব চলে যায়। মাথায় সোরিয়াসিসের মত অসুখ হলেও খুসকির মত ছাল ওঠে। তাই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে বাজার চলতি প্রসাধন ব্যবহার না করে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। পুজোর আগেই জেল্লাদার চুল হোক খুসকি মুক্ত।

জেনে নিন ক্লান্ত চোখকে চাঙ্গা করার সহজ উপায়

দীর্ঘক্ষণ কমপিউটারের সামনে বসে কাজ করেন? কিংবা চাপের কারণে রাতে অনেক ক্ষণ জাগতে হচ্ছে ইদানীং? এর ছাপ পড়বে আপনার চোখে। শরীর ক্লান্ত থাকলে, তার প্রভাব চোখে পড়বেই। ক্লান্ত চোখকে চাঙ্গা করার সহজ উপায়
গ্রিন টি ডিটক্স হিসেবে খুব কার্যকরী। দুটো টি-ব্যাগ এক কাপ গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন। তিন-চার মিনিট রাখার পর টি-ব্যাগ সমেত কাপটি ফ্রিজে রেখে দিন ঠান্ডা করার জন্য। ঠান্ডা গ্রিন টি বন্ধ চোখের ওপর ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ক্লান্তি অনেকটা দূর হবে।
বেশি করে খান কলা, স্পিনাচ বা পালং শাক এবং অবশ্যই বিট। চোখের নীচের কালি কমবে। 
শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের ক্লান্তি অনেকটা দূর করতে পারে। শসা ফালি ফালি করে কেটে দুটো চোখের ওফর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাখুন। 
ক্রিম কেনার আগে দেখে নিন, তাতে ভিটামিন সি রয়েছে কি না। মনে রাখবেন, চোখের নীচে এই ক্রিমের ব্যবহার আপনার চোখকে আরাম দেবে। এবং চোখের অসুখ কমাবে। 
চটজলদি ক্লান্ত চোখের উপসম চাইলে, চামচ দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। দুটো চামচ ডিপ ফ্রিজে রেখে বরফ শীতল করে ফেলুন। তারপর প্রতিটা চোখের নীচে রাখুন।
সিগারেটের ধোঁয়া একেবারে এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, এতে চোকের ক্ষতি বাড়বে।
আপনি যদি কালো মোটা আইলাইনার বেশি ব্যবহার করেন, তাহলে ওপরের পাতা থেকে বেশি পরিমাণে লাইনার নীচে ঝরবে। তাতে চোখের নীচে কালি পড়েছে বলে মনে হবে।

ঘরে টিকটিকি তাড়ানোর কয়েকটটি সহজ উপায় জেনে নিন।

পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে টিকটিকি পাওয়া যায় না ৷ প্রায় ৬০০ প্রজাতির টিকটিকি রয়েছে সর্বত্র ৷ বাড়িতে টিকটিকি থাকাটা সাধারণত ক্ষতিকর নয় ৷ উল্টে পোকামাকড় খেয়ে বাড়ি সাফই রাখে তারা ৷ তবে টিকটিকি থাকলে অনেকেরই সেটা পছন্দ হয় না ৷ দেওয়ালে-মাটিতে টিকটিকি প্রচুর পরিমাণে ঘুরে বেড়ালে আর যাই হোক, কারোরই খুব পছন্দ হবে বলে মনে হয় না ৷ 
টিকটিকি তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখা ৷ নিয়মিত অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল সলিউশন দিয়ে ঘর মুছুন ৷ জানলা  এবং দেওয়াল পরিষ্কার রাখুন ৷ ঘরে উজ্জ্বল আলো টিকটিকি আর অন্য পোকামাকড়কে আকর্ষিত করে তাই প্রয়োজন না থাকলে আলো নিভিয়ে দিন ৷ ডিম লাইট বা হালকা আলো ব্যবহার করতে পারেন ৷ টিকটিকি উপযুক্ত খাদ্য না পেলে বাড়ি থেকে নিজেই চলে যাবে  ৷ তাই বাড়িতে যাতে অন্য পোকা মাকড় না থাকে সে দিকেও খেয়াল রাখুন ৷ বাড়িতে বিড়াল থাকলে সাধারণত সেই বাড়িতে টিকটিকি থাকে না ৷ দেওয়ালে ফাটল ধরলে তা তাড়াতাড়ি বুজিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন ৷ বাড়িতে জল জমতে দেবেন না ৷ এবং দেওয়াল থেকে অন্তত ৫ ইঞ্চি দূরে আসবাবপত্র রাখার চেষ্টা করুন ৷ মাটিতে জল বা খাবার পড়ে থাকলে তা তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে ফেলুন ৷ 
এছাড়াও উপায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ৷ কফি দিয়ে টিকটিকি তাড়ান ৷ এর জন্য লাগবে কফি আর তামাক গুঁড়ো ৷ এই দুটো  জিনিস অল্প জলে মিশিয়ে ছোট বলের আকারে গড়ে নিন ৷ যেখানে যেখানে বাড়ির টিকটিকি থাকার সম্ভাবনা সেখানে এই বলগুলি ছড়িয়ে দিন ৷ পাশাপাশি ময়ূরের পালক তো রয়েছেই ৷ যা দেখলে টিকটিকি ভয় পালায় ৷ 
পেঁয়াজের কড়া গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি ৷ এর জন্য পেঁয়াজ কেটে ঘরের বিভিন্ন কোণায়, জানলায় আর দরজার গোড়ায় রেখে দিন ৷ এইভাবে টিকটিকি দূরে থাকবে ৷  পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ একদমই সহ্য করতে পারে না টিকটিকি ৷ পেঁয়াজের রস আর জল মিশিয়ে সেটা ঘরে স্প্রে-ও করতে পারেন ৷ এছাড়া ন্যাপথলিনের গন্ধও সহ্য করতে পারে না টিকটিকি ৷ 
এতগুলি উপায়ের পাশাপাশি টিকটিকি তাড়ানোর আরও একটা ভাল উপায় আছে ৷ সেটা হল তেজপাতা পোড়ানো ৷ একটা তেজপাতা পুড়িয়ে সেই গন্ধ যদি বাড়ির বিভিন্ন কোণায় ছড়িয়ে দিতে পারেন ৷ তাহলেই কেল্লাফতে ! নিমেষে পালাবে টিকটিকি ৷ কয়েকদিন তেজপাতা পোড়ালেই তা কাজে দেবে ৷ আর  আসবে না টিকটিকি ৷  

কিছুদিন আগে ভয়াবহ আমফান ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের বহু পানের বরজ তাই আজকের মুরিগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই অঞ্চলের চাষীদের নতুন করে পানের বরজ তৈরির সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে,
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের সম্মানীয় বিধায়ক মাননীয় শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা মহাশয়,
বিশেষ অতিথি সাগরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য - মহিতোষ দাস মহাশয়,
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাগরের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ - স্বামীর শাহ্ মহাশয়,মুড়িগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্মানীয় প্রধান -  শ্রী গোবিন্দ মন্ডল মহাশয়,মুড়িগঙ্গা ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সম্মানীয় উপপ্রধান - শ্রী সুভাষ দাস মহাশয়, আরো উপস্থিত ছিলেন মুড়িগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যা বৃন্দ, এবং ওই অঞ্চলের কৃষক বন্ধুরা,
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন ও সেচমন্ত্রী মাননীয় শ্রী শুভেন্দু অধিকারী ও মাননীয় মন্ত্রীর মা গায়েত্রী দেবী এবং পাথরপ্রতিমা বিধায়ক - সমীর জানা মহাশয়, সবাই করোনা আক্রান্ত
 তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় আজকের সকালে গঙ্গাসাগরে বাবা কপিলমুনির পাদদেশে পুজো দিলেন,
 সাগর বিধানসভার মানবিক বিধায়ক - শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা মহাশয়,
রবীন্দ্র সরোবর ফ্রেণ্ড ফোরামস্ কোলকাতার সৌজন্যে নারিকেল চারা গাছ রোপন ও বিতরণ কর্মসূচি,
এই কর্মসূচির আগে ভারত সেবাশ্রমের নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠানটি যজ্ঞের মাধ্যমে শুরু করা হবে
পরিচালনায়-আর্য সমাজ  হাওড়া ট্রাস্ট ও ভারত সেবাশ্রম সংঘ
স্থান-সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির (কাকদ্বীপ)
এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শ্রী মন্টুরাম পাখিরা মহাশয়,
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্য সমাজের  কার্যকর্তা - শ্রী মধুসূদন শাস্ত্রী মহাশয়,
আর্য সমাজ হাওড়া প্রধান- প্রমোদ আগারওয়াল মহাশয়,
উপস্থিত ছিলেন কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক -   প্রদীপ প্রামাণিক মহাশয়,
আরো উপস্থিত ছিলেন- আনন্দদেব আর্য্য মহাশয়
ভারত সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিবছর দেশের সেরা পঞ্চায়েত বেছে নেওয়ার জন্য আয়োজন করে দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ প্রতিযোগিতা। স্যানিটেশন, নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ, ১০০দিনের কাজ প্রভৃতি কয়েকটি বিভাগের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল জি.পি.ডি.পি. বা গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মন্ত্রক সারা দেশের মধ্যে একটি'ই মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পুরস্কার দিয়ে এসেছে।
 কিন্তু এবছর নিয়ম পাল্টে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সেরা পঞ্চায়েতকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । আর প্রথম বার এই বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রাজ্যের ৩৩৪১ টি পঞ্চায়েতকে পেছনে ফেলে সেরার শিরোপা জিতে নিল দঃ ২৪ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। 
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মাপকাঠিতে কীভাবে একটি পঞ্চায়েত তার ভৌগলিক এলাকার মধ্যে বসবাসরত সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার লক্ষ্যে সহভাগী পদ্ধতিতে বাস্তবসম্মত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী করে; কীভাবে সেই উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনার সময় সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার সমস্যা, প্রাপ্তব্য সম্পদ ও সম্ভাবনা কে চুলচেরা বিশ্লষণ করার মধ্যে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনাকে বাস্তব ও বিজ্ঞান সম্মত করে তোলে; সেইসঙ্গে পরিকল্পনা রূপায়ণের ক্ষেত্রে তদারকি, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায় - এই ছিল প্রতিযোগিতার মাপকাঠি। অনলাইনে সমস্ত তথ্য ও  প্রাসঙ্গিক ছবি আপলোড করার মধ্যে দিয়ে জি.পি.ডি.পি. বিভাগে আবেদন করে প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। 
প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে পুরস্কার প্রাপকদের সংবর্ধিত করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু এবছর করোনা অতিমারীর জেরে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। 
কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের  পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি জানান। সেইসঙ্গে মন্ত্রকের দেওয়া শংসাপত্র এবং পুরস্কার মূল্য বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতকে প্রদান করেন। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবব্রত মাইতির বলেন, ''পুরস্কার হল ভালো কাজের স্বীকৃতি।  যেকোন পুরস্কার আরো ভালো করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ধারাবাহিক ভাবে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত সাধারণ মানুষকে নিয়ে, সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই পুরস্কার আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিল।"
আজ সকালে সাগরদ্বীপের চকফুলডুবি তে ৬০ কেজি ওজনের একটি ভোলা মাছ ধরেছেন এক বৃদ্ধা। 
৬০০০ টাকা কিলো দরে মাছের মোট বিক্রয় মূল্য
 ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। বিক্রয় করেন।
২৫/৯/২০ তারিখ মন্দিরবাজার থানার অধীনে বিজয়গঞ্জবাজারে পাইক টেলিকমের মালিক জনাব আবুল হোসেন পাইকের কাছ থেকে একটি চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্দিরবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আধীকারিকের নেতৃত্বে স্থানীয় থানা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে এবং চুরি হওয়া সমস্ত নিবন্ধগুলি অর্থাৎ মূল্যবান সেলফোন, ব্যাটারি, হেডফোন এবং অন্যান্য ব্যয়বহুল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সহ মোট ২১ টি জিনিস উদ্ধার করে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রী, বৈভব তিওয়ারি, আইপিএস, এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশের এই দুর্দান্ত কাজের প্রশংসা করেছেন। মন্দিরবাজার থানার পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়িক সমিতি পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

On 25.09.2020 receiving a complaint of theft from one Janab Abul Hossain Paik, owner of Paik Telecom, located at Bijayganjbazar under Mandirbazar PS. The local PS under the leadership of O/C Mandirbazar arrested the culprit and recovered entire stolen articles i.e 21 pcs. costly cellphone, batteries, headphones and other costly electronic appliances. Shri, Vaibhav Tiwari, IPS, SP, Sundarban Police District and other senior officers appreciated this excellent work done by Police. The local Byabsayee Samity also expressed their satisfaction upon police for such prompt action taken by Mandirbazar Police.
হাতে মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই বাঙালি সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গাপূজার সময় বেশ কতকগুলি ট্রেন রয়েছে যাদের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেলের তরফ থেকে ভারতীয় রেল বোর্ডকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে নতুন করে ১৩টি ট্রেন চালানোর বিষয়ে। আর এই চিঠি ফিরে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন নাগরিকরা কিছুটা হলেও পূর্ব রেলে ট্রেন চলাচল নিয়ে।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর সময় ওই নির্দিষ্ট ১৩ টি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই ট্রেনগুলির চালাচল শুরু হলে মাসে প্রায় ২৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবে ভারতীয় রেল। ট্রেনের চাহিদা এবং ভারতীয় রেলের আর্থিক পরিস্থিতিকে ফের চাঙ্গা করতে ওই নির্দিষ্ট ট্রেনগুলি চলাচল শুরু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে রেল বোর্ডকে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এটাও আশা করা হচ্ছে যে, অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজো ছাড়াও নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি এবং ভাইফোঁটার মতো একাধিক উৎসব রয়েছে। আর এই সকল উৎসবকে কেন্দ্র করে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা ভারতীয় রেলের।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে যে ১৩টি ট্রেন চালু করার কথা বলা হয়েছে সেই ট্রেনগুলি শিয়ালদা স্টেশন থেকে চালু করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর এই আবেদনের ভিত্তিতে এখন দেখার বিষয় পুজোর মরশুমে কিছুটা হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা।

শিশু নিগ্রহ রুখতে, তাঁদের সুরক্ষা দিতে ভারতের সেলিব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে বেছে নিল UNICEF। ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে মিলে UNICEF-এর হয়ে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচারের কাজ চালাবেন আয়ুষ্মান।

শুক্রবার আয়ুষ্মান খুরানা নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে UNICEF-এর প্রতিনিধি ড: ইয়াসমিন আলি হক জানান, "ইউনিসেফের সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। উনি এমন একজন অভিনেতা যিনি তাঁর অভিনয় জীবনে প্রতিটি ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। এখন ভারতের প্রতিটি শিশুর নিরাপদ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তিনি আমাদের সঙ্গে মিলে আরও বেশি কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন। ''

শিশু নিগ্রহ রুখতে বহুদিন আগে থেকেই UNICEF-এর সেলিব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করেন ব্রিটিশ ফুটবর তারকা ডেভিড বেকহ্যাম। বহু জায়গায় শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একইভাবে ভারতের হয়ে এই প্রচারের কাজই চালাবেন আয়ুষ্মান।

এবিষয়ে আয়ুষ্মান খুরানা বলেন, ''আমি বিশ্বাস করি যে প্রত্যেকেই ভালোভাবে জীবন শুরু করার দাবি রাখে। আমি দেখি আমার বাচ্চা  বাড়িতে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে খেলছে। আমি চিন্তা করি এমন অনেক শিশু রয়েছে যাঁরা কখনওই নিরাপদ শৈশব কাটাতে পারে না। অনেক শিশু বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে হিংসার পরিবেশে বেড়ে ওঠে। শিশুরা যাতে হিংসা মুক্ত পরিবেশ পায় UNICEF সেদিকেই নজর দিতে চায়"।

ছ’দিনের নিভৃতবাস পর্ব কাটিয়ে শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে যোগ দিলেন আন্দ্রে রাসেল। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামও নাইটদের প্রস্তুতিতে যোগ দিয়েছেন একই দিনে। শুক্রবারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় নাইটদের ইনস্টাগ্রামে। যেখানে দেখা যায় মাঠে প্রবেশ করার আগে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে বিধ্বংসী রাসেল ও কোচ ম্যাকালামের। মাঠে ঢুকতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন কুলদীপ যাদব, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরা। প্রথম দিন ব্যাট করলেও কিছুক্ষণের জন্য ব্যাট করেন রাসেল। নজর কাড়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পেসার আলি খান। তাঁর ইয়র্কারে মুগ্ধ কোচ থেকে মেন্টর।
সুনীল নারাইন, ক্রিস গ্রিনও নেমে পড়লেন অনুশীলনে। ৩৬ ঘণ্টার নিভৃতবাস পর্ব কাটিয়ে শনিবার থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়বেন অভিজ্ঞ অইন মর্গ্যান, প্যাট কামিন্স ও টম ব্যান্টনরা। যে হেতু এত দিন জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই ছিলেন কামিন্স, মর্গ্যানরা। তাই আলাদা করে তাঁদের ছ’দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাস পর্ব কাটাতে হচ্ছে না।

এক ভাষা আর এক দেশের কথা বলে দেশকে হিন্দি-হিন্দুত্বের শিকড়ে আর ঐতিহ্যে ফেরানোর কথা বলছেন যাঁরা, তাঁরা আসলে জানেন না, এই এক ভাষা আর এক দেশের আদলটা আসলে বিলিতি। এই পোড়া দেশে আমরা কিছুই মনে রাখি না। পূর্বজরা হাত পুড়িয়ে যা শিখেছিলেন, আমরা তা ভুলে যাই, আবার ঘরে আগুন লাগাতে উদ্যত হই। বহু ভাষার বহু সংস্কৃতির বহু ধর্মের এই দেশে বিলিতি মডেল চাপিয়ে দিলে যে চলবে না, এই সত্যটি উনিশ-বিশ শতকে ভারতীয় চিন্তকেরা ক্রমশই বুঝতে পারছিলেন। মাঝে মাঝে বিলিতি মডেলের ফাঁদেও পড়ছিলেন তাঁরা। রবীন্দ্রনাথের কথাই ভাবুন না কেন। ভারতী পত্রিকাতে শ্রাবণ ১৩০৫-এ প্রকাশিত হল রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ ‘ভাষাবিচ্ছেদ’। সে লেখা পড়লে একেলে ‘এক ভাষা এক রাষ্ট্র’ পন্থায় বিশ্বাসীরা লাফিয়ে উঠবেন। এই তো রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “বৃটিশ দ্বীপে স্কটল্যাণ্ড, অয়র্ল্যাণ্ড ও ওয়েল্সের স্থানীয় ভাষা ইংরেজি সাধুভাষা হইতে একেবারেই স্বতন্ত্র।... কিন্তু ইংরেজের বল জয়ী হওয়ায় প্রবল ইংরেজিভাষাই বৃটিশ দ্বীপের সাধুভাষারূপে গণ্য হইয়াছে। এই ভাষার ঐক্যে বৃটিশজাতি যে উন্নতি ও বললাভ করিয়াছে, ভাষা পৃথক থাকিলে তাহা কদাচ সম্ভবপর হইত না।” রবীন্দ্রনাথ সেই মডেল এ দেশেও গ্রহণ করার সুপারিশ করেছেন। ওড়িয়া আর অসমিয়া, এই দুই ভাষার স্বাধিকার ও স্বাতন্ত্র্য খারিজ করে সেখানে বাংলা ভাষাকে চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিলিতি উদাহরণের ঠুলি পরে তাঁর মনে হয়েছিল ‘আসামি এবং উড়িয়া... বাংলার সগোত্র ভাষা’, তাই এই দু’টি ভাষাকে বাতিল করে বাংলাকেই এক ভাষা হিসেবে চালু করা হোক। স্বভাবতই প্রতিবাদের মুখে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া প্রতি-যুক্তি দেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। বিলিতি একীকরণের কায়দায় ভারতীয় ভাষাগুলির ওপরে কোনও একটি ভাষার আধিপত্য কায়েম করা যে অনুচিত, এ কথা বুঝতে খোলামনের মানুষ রবীন্দ্রনাথের বিশেষ সময় লাগেনি। ভারতের মতো বহু ভাষার দেশ এ ভুবনে কোথায়? ওপর থেকে এক ভাষার ছাঁচ চাপানো অর্থহীন। বিলিতি মডেল নৈব নৈব চ। সাহেবি ভূতের টিকি যখন দেখা যায়নি, তখন ভক্তিধর্মের প্লাবনে যে এক রকম সংযোগ তৈরি হয়েছিল, সেই সংযোগের ক্ষেত্রে কোনও এক ভাষার আধিপত্য কায়েম করতে হয়নি। ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোধগম্যতা নিজের মতো করে তৈরি হয়েছিল। সংশোধিত রবীন্দ্রনাথের কাছে বিলিতি মডেলের চেয়ে সেই প্রাক্-আধুনিক স্বদেশি মডেলের গুরুত্ব অনেক বেশি।
১৯২৩। কাশীতে উত্তর-ভারতীয় বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনে সভাপতির অভিভাষণ দিলেন রবীন্দ্রনাথ। ‘ভাষাবিচ্ছেদ’ প্রবন্ধে যা লিখেছিলেন, তা শুধরে নিলেন। বললেন, “সাম্রাজ্যবন্ধনের দোহাই দিয়ে যে-ঐক্যসাধনের চেষ্টা তা বিষম বিড়ম্বনা।... নেশনরা আপন অধীন গণবর্গকে এক জোয়ালে জুড়ে দিয়ে বিষম কশাঘাত করে...।” এই যে একজোয়ালে গরুর মতো জনগণকে জুড়ে দিয়ে চাবুক মেরে চালানোর চেষ্টা, সেই চেষ্টাতেই ‘তারা ভাষা-বৈচিত্র্যের উপর স্টীম-রোলার চালিয়ে দিয়ে আপন রাজপথের পথ সমভূম করতে চায়।’ ১৯২৩-এর রবীন্দ্রনাথ মনে করেন, এ ঘোরতর অন্যায়। লিখলেন, ইংরেজির বদলে ‘অন্য একটি ভাষাকেও ভারতব্যাপী মিলনের বাহন করবার প্রস্তাব হয়েছে। কিন্তু, এতে করে যথার্থ সমন্বয় হতে পারে না; হয়তো একাকারত্ব হতে পারে, কিন্তু একত্ব হতে পারে না।’ এই যে ‘একাকার’ করে দিতে চাওয়া, এর পিছনে কাজ করছে জুলুম, আর ‘একত্ব’ ভেতর থেকে বন্ধুত্বের মধ্যে জেগে ওঠে, তা জুলুম নয়।
এই একত্ব কেমন করে আসবে? রবীন্দ্রনাথের অভিমত, ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। ৩ মার্চ ১৯২৩-এর সেই বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন, বঙ্গবাসীর সঙ্গে উত্তর ভারতের যোগাযোগ তৈরি হোক। হিন্দি আর বাংলা দুইয়ের মধ্যে গড়ে উঠুক সহজ বন্ধুত্ব। রবীন্দ্রনাথ হিন্দি জানতেন না। তবে ক্ষিতিমোহন সেনের কাছ থেকে ‘প্রাচীন হিন্দি সাহিত্যের আশ্চর্য রত্নসমূহের কিছু কিছু পরিচয়’ তিনি পেয়েছিলেন। ক্ষিতিমোহন শান্তিনিকেতনে আসেন ১৯০৮-এ। সংস্কৃতজ্ঞ ক্ষিতিমোহন সাধু-সন্তদের আখড়ায় ঘুরতেন, মধ্যযুগের ভারতীয় ভক্তিভাবুকদের জীবন-বাণী সংগ্রহ করতেন। তাঁর কাছ থেকেই রবীন্দ্রনাথ হিন্দি ভাষাবাহিত এই উদার সমন্বয়ী ভারতের সন্ধান পেয়েছিলেন। হিন্দি ভাষার উপর শ্রদ্ধা ছিল বলেই তাঁর শিক্ষালয়ে গড়ে উঠেছিল ‘হিন্দী ভবন’, সে ১৯৩৮ সালের কথা। রাষ্ট্রীয় রথের ঘর্ঘর শব্দ তুলে হিন্দি শান্তিনিকেতনে আসেনি, এসেছিল সাংস্কৃতিক সহজ বিনিময়ের পথ ধরে।
রবীন্দ্রনাথ নাহয় হিন্দি জানতেন না, কিন্তু সব বাঙালিই রবীন্দ্রনাথের মতো নন। ভারতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দির গুরুত্ব স্বীকার করতেন তাঁরা, চর্চাও করতেন। বিদ্যাসাগরের হিন্দিজ্ঞান ছিল প্রখর। কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বিপিনবিহারী গুপ্তকে জানিয়েছেন একটি মজার ঘটনার কথা। এক জন হিন্দুস্থানি পণ্ডিত এসেছেন বিদ্যাসাগরের কাছে, সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি। বিদ্যাসাগর জবাব দিচ্ছেন হিন্দিতে। পাশে তখন কৃষ্ণকমল। বিদ্যাসাগর কৌতুকের সুরে চুপিচুপি তাঁকে বলছেন, “এ দিকে কথায় কথায় কোষ্ঠশুদ্ধি হোচ্চে, তবুও হিন্দি বলা হবে না!” খারাপ সংস্কৃত বলার চেয়ে যে নব্য ভারতীয় ভাষাগুলিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলা ভাল, এ কাণ্ডজ্ঞান বিদ্যাসাগরের ছিল। সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের তিনি খুব ভাল করে মাতৃভাষা চর্চা করতে বলতেন। ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই তো তিনি হিন্দি থেকে বাংলায় বেতাল পঞ্চবিংশতি অনুবাদ করেন। তেমনই, বিবেকানন্দের চিঠিতে রয়েছে হিন্দিতে বক্তৃতা দেওয়ার খবর। রামকৃষ্ণানন্দকে আলমোড়া থেকে চিঠিতে লিখছেন, “কিন্তু তার আগের দিন হিন্দিতে এক বক্তৃতা করি, তাতে আমি বড়ই খুশী – হিন্দিতে যে oratory করতে পারবো তা তো আগে জানতাম না।” বিদ্যাসাগর বা বিবেকানন্দ কেউই হিন্দিকে অবজ্ঞা করছেন না, ভারতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করছেন, কাজে লাগাচ্ছেন। সাংস্কৃতিক সংযোগই সেখানে মুখ্য, রাষ্ট্রীয় বাহুবল সেখানে নেই। বিবেকানন্দের পিতা আইনজীবী; ইংরেজি, বাংলা ছাড়াও আরবি, ফারসি, উর্দু, হিন্দিতে তাঁর দখল ছিল। সেই বহুভাষিকতার বোধ বিবেকানন্দেও বর্তে ছিল। ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার তখন পটনা কলেজে অধ্যাপনা করেন। ইতিহাস পড়াতে গিয়ে বুঝলেন, ইংরেজি বলে লাভ নেই, হিন্দিতে পড়ালেই পড়ুয়াদের উপকার হবে, হিন্দিতেই পড়াতেন তিনি। তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন মডার্ন রিভিউ-তে। উদাহরণ অনেক। বুঝতে অসুবিধে হয় না, ভারতের মতো বহুভাষী দেশে প্রয়োজনমতো বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সংযোগের ক্ষেত্র তৈরি করাই যে উচিত, তা অনেকেই বুঝতে পারছিলেন। রবীন্দ্রনাথ নিজেকে শুধরে নিয়ে ঠিক পথেই এগিয়েছিলেন।
ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ব, ভারতীয় ভাষাগুলির পারস্পরিক বিনিময়ের ঐতিহ্য ভুলে গিয়ে আবার যখন রবীন্দ্রনাথের বাতিল করা বিদেশি মডেলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা ওঠে, তখন ভয় হয়। এত বড় দেশ, নানা তার ভাষা। এক ভাষার আগলে নিজেকে আটকে রাখার উপায় নেই। অন্যের বুলি তো জানতেই হবে, শিখতে হবে একাধিক ভাষা। হিন্দিবিরোধী বাঙালিদের মনে রাখতে হবে, এ ভাষার নানা রূপ নানা ভেদ, হিন্দি কেবল উচ্চবর্ণ হিন্দুত্ববাদীদের ভাষা নয়, তা অন্য রূপে নানা কৌমেরও ভাষা। এমনকি, যে ইংরেজি এক কালে বিলিতি ভাষা হিসেবে চিহ্নিত হত, তা-ও তো এখন ভারতীয় ভাষাই— সে ভাষার ভারতীয় রূপ স্বীকৃত, বহু ব্যবহৃত। পাশাপাশি প্রযুক্তির কুশলতায় দ্রুত এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের কাজও সহজ হবে। ব্যবসায়ীরাও জানেন, বহুভাষী ভারতের মানুষ তাঁদের নিজের ভাষাতেই কেনাকাটা করতে ভালবাসেন। তা হলে কেন এক ভাষার কাঠামোয় ঠারেঠোরে এই বহুত্ববাদী দেশকে ঢোকানোর চেষ্টা? সে কাজ করতে গিয়ে তো হাত পুড়েছিল, আবার কি ঘর পোড়ানোর উপক্রম না করলেই নয়?

দেখে নিন কী কী নিয়মে বদল করেছে এসবিআই ৷

দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া চলতি মাসে একাধিক নিয়ম বদল করেছে ৷ এই বদল ফিক্সড ডিপোজিট থেকে এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়মের সঙ্গে যুক্ত ৷ বদল হওয়া নিয়মের প্রভাব গ্রাহকদের উপর সরাসরি পড়তে চলেছে ৷ আপনি স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক হলে এই খবরটি জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি ৷ দেখে নিন কী কী নিয়মে বদল করেছে এসবিআই ৷
দিন দিন এটিএম প্রতারণার মামলা বাড়তে থাকায় এবার এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়মে বদল করা হয়েছে ৷ এবার থেকে 24×7 ওটিপি বেসড এটিএম উইথড্রয়েলের সুবিধা দেবে স্টেট ব্যাঙ্ক ৷ দেশের সমস্ত এটিএমে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ম লাগু হয়ে গিয়েছে ৷ এর আগে কেবল রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ১০ হাজার টাকার বেশি তুললে ওটিপি-র দরকার লাগত ৷ পয়লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে এই নিয়ম লাগু করা হয়েছিল ৷ তবে এবার তা 24×7 করে দেওয়া হয়েছে ৷
স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের লোন রিস্ট্রাকচারের সুবিধা দেওয়ার জন্য শীঘ্রই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করতে চলেছে ৷ এই প্ল্যাটফর্মে ঠিক করা হবে কোন গ্রাহকদের কত দিনের জন্য মোরাটোরিয়াম (SBI Loan Moratorium) মিলবে ৷ মনে করা হচ্ছে এই মাসের শেষের সপ্তাহে এই প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করা হবে ৷ অনুমান করা হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর এই প্ল্যাটফর্মের লঞ্চিং হতে পারে ৷
অন্যদিকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্পেশ্যাল ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম (Special Fixed Deposit Scheme) ইনভেস্ট করার জন্য শেষ তারিখ বাড়ানো হয়েছে ৷ মে মাসে ব্যাঙ্ক প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এসবিআই উইকেয়ার সিনিয়ার সিটিজেন টার্ম ডিপোজিট স্কিমের (SBI WECARE Senior Citizens Term Deposit scheme) ঘোষণা করেছিল ৷ বর্তমানে সুদের হার কমেই চলেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ নাগরিকদের বেশি সুদের হার দেওয়ার জন্য এই যোজনা লঞ্চ করা হয়েছিল ৷ বলা হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্কিমে লঞ্চ করার শেষ দিন ৷ তবে এখন তা বাড়ানো হয়েছে ৷
অন্যদিকে ফের একবার এফডি-র সুদের হার কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক ৷ ২ কোটি টাকার কম ১-২ বছরের রিটেল ডোমেস্টিক টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার ০.২০ শতাংশ কমানো হয়েছে ৷ নতুন সুদের হার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে লাগু করা হয়েছে ৷ এর আগে ২৭ মে সুদের হার কমিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক ৷

দেখে নিন শনিবার কোন শহরে কত হল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম-

সরকারি ওয়েল মার্কেটিং সংস্থা HPCL, BPCL ও Indian Oil শনিবারও পেট্রোলের দামে কোনও বদল করেনি ৷ অন্যদিকে অবশ্য ডিজেলের এদিন ফের ২০ পয়সা প্রতি লিটারে কমানো হয়েছে ৷ চলতি মাসে চিনে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা গত চার মাসে সবচেয়ে কম রয়েছে ৷ এর জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের উপরে পড়ছে ৷ শুক্রবারও অপরিশোধিত তেলের কমানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে ৷ ফলে দেশের বাজারেও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানো হচ্ছে ৷
প্রতিদিন সকাল ৬টায় সরকারি তেল সংস্থাগুলির তরফে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম জারি করা হয়ে থাকে ৷ পেট্রোল ও ডিজেলের দামের উপর এক্সাইজ ডিউটি, ডিলার কমিশন ও অন্যান্য চার্জ যুক্ত করার পর উপভোক্তাদের প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে তেল কিনতে হয় ৷
দেখে নিন শনিবার কোন শহরে কত হল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম-
দিল্লি- পেট্রোল ৮১.১৪ টাকা, ডিজেল ৭১.৮২ টাকামুম্বই- পেট্রোল ৮৭.৮২ টাকা, ডিজেল ৭৮.২৭ টাকাকলকাতা- পেট্রোল ৮২.৬৭ টাকা, ডিজেল ৭৫.৩২ টাকাচেন্নাই- পেট্রোল ৮৪.২১ টাকা, ডিজেল ৭৭.২১ টাকানয়ডা- পেট্রোল ৮১.৬৪ টাকা, ডিজেল ৭২.১৩ টাকাগুরুগ্রাম- পেট্রোল ৭৯.৩২ টাকা, ডিজেল ৭২.২৯ টাকালখনউ- পেট্রোল ৮১.৫৪ টাকা, ডিজেল ৭২.০৫ টাকাপটনা- পেট্রোল ৮৩.৭৯ টাকা, ডিজেল ৭৭.২৩ টাকাজয়পুর- পেট্রোল ৮৮.২৯ টাকা, ডিজেল ৮০.৭২ টাকা
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় এবং টাকার মূল্যে বৃদ্ধির জেরে দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ ক্রডের দাম ২০ শতাংশ কমলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে ৷ অর্থাৎ লিটার প্রতি ২.৫ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত সস্তা হতে পারে পেট্রোল ও ডিজেল ৷

(১৫/০৯/২০২০) তারিখ মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যায় ৬টা সময় ভয়াবহ আগুনে ভষ্মিভূত গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম এর নিকটে ৮টি দোকান ,
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে সন্ধ্যার ৬টার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী মিলন গিরি তার দোকানে মধ্যে তৈরি হওয়া ভিমরুলের চাকে আগুন লাগাতে গিয়ে এই বিপত্তি, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে আসে পাশের দোকান গুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন , ও সাগরের বিশাল পুলিশ বাহিনী,
 স্থানীয় লোকজনের সাথে গন্ডগোল লেগে যায় দমকল কর্মীদের , তারপর পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের টানা ৫ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে,
কিন্তুু আজকে সকালে তারা যখন দোকানের শেষ সম্বল টুকুনি আছে কিনা দেখতে আসে এসে দেখে তাদের দোকানের কিছুই নেই সব কালকের রাতের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে তারপর এইসব দেখে দোকানদার গুলো কান্নায় ভেঙে পড়ে,
আজকের সকালে গঙ্গাসাগর কোষ্টাল থানার ওসি দেবাশীষ রায় মহাশয় ও অনিল কুমার রায় মহাশয়া (S.D.P.O/Kakdwip)
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, এবং কাকদ্বীপের এসডিপিও সাহেব অনিল রায় মহাশয় ওই অসহায় দোকানদার গুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দেন,
মাত্র পাঁচ টাকার চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। নৈহাটির পাশাপাশি গোটা ব্যারাকপুর মহকুমাতেও পরিচিত ছিলেন 'নৈহাটির বিধান রায়' হিসেবে। সামান্য অর্থে দুঃস্থদের চিকিৎসা করতেন চিকিৎসক হিরন্ময় ভট্টাচার্য। ক’দিন ধরে জ্বর ছিল তাঁর। করোনা উপসর্গ নিয়ে রাতে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। আপ্রাণ চেষ্টা করা হলেও তাঁর অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠেছিল। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পর পর দু’বার হার্ট অ্যাট্যাক হওয়ার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

লকডাউনের পর একেবারে সামনের সারি থেকে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন হিরন্ময় ভট্টাচার্য। সংক্রমণের ভয় না পেয়ে নিয়মিত চেম্বারে রোগী দেখতেন। কাউকে ফেরাতেন না। চেস্ট স্পেশালিস্ট হলেও জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসাবে সাধারণ গরিব মানুষের কাছে ‘ভগবান’ ছিলেন তিনি। আইএমএ রাজ্য শাখার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের চিকিৎসক মহলেও গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় বলি হলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। কিছু দিন কয়েক আগে ব্যারাকপুর মহকুমারই শ্যামনগরে জনপ্রিয় চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়।

রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও বাড়ছে উদ্বেগ। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩,৮০৯ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৪৯,৩০,২৩৭ জন। এখনও চিকিত্‍‌সাধীন রয়েছেন ৯,৯০,০৬১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮,৫৯,৪০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯,২৯২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৭৮.২৮%। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০,৭৭৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,০৫৪ জনের। মৃতের হার ১.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০,৭২,৮৪৫ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

চিকিৎসক-মৃত্যুর তালিকাতে আগেও বেশ কয়েকজনের নাম জুড়েছিল, যা প্রবল প্রভাব ফেলেছে রাজ্যের চিকিৎসক সমাজে। কেননা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁরাই রয়েছেন সবচেয়ে বিপদের মুখে। যদিও দেশে সুস্থতার হার ৭৮ শতাংশ পেরিয়ে রেকর্ড গড়েছে, কিন্তু এ সবের মধ্যেও দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ২৫ জন সাংসদের! এর মাঝে ভরসা শুধু সুস্থতার হার।
ভয়াবহ আগুনে ভষ্মিভূত গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম এর নিকটে ৪ টি দোকান ,
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে সন্ধ্যার ৬টার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ভিগু রামগিরি তার দোকানেমধ্যে 
তৈরি হওয়া ভিমরুলের চাকে আগুন লাগাতে গিয়ে এই বিপত্তি, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে আসে পাশের দোকান গুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন , ও সাগরের বিশাল পুলিশ বাহিনী,
 স্থানীয় লোকজনের সাথে গন্ডগোল লেগে যায় দমকল কর্মীদের ,
আপাতত পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের টানা ৫ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে
নতুন শর্ত মানতে হবে। তবেই এবার ভারতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। বছরের যে কোনও সময় বাংলাদেশীরা চিকিত্সা ও ভ্রমণের জন্য এদেশে আসেন। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই বন্ধু দেশে নাগরিকদের যাতায়াতে তেমন কোনও বাধা নেই। তবে এখন পরিস্থিতি আলাদা। করোনার আবহে তাই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত অবাধ থাকলেও কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসা, চিকিৎসা বা ভ্রমণ. যে কোনও কারণে ভারতে যেতে হলে বাংলাদেশীদের কয়েকটি শর্ত এবার থেকে মানতে হবে।

পাসপোর্টসহ বাংলাদেশী যাত্রীদের আগে যোগাযোগ করতে হবে ভারতীয় হাই-কমিশনের সঙ্গে। যাত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার বেশি পুরনো হলে গ্রাহ্য হবে না। এছাড়াও ২০২০ সালের পয়লা জুলাইয়ের পর ইস্যু করা ভিসা জমা দিতে হবে। তবে গিয়ে এদেশে ঢোকার ছাড়পত্র পাবেন যে কোনও বাংলাদেশী। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতে বিভিন্ন দেশ এখনও ভিনদেশীদের প্রবেশ অবাধ করেনি। কয়েকটি দেশ শর্তসাপেক্ষে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। 

কোনো ভারতীয় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেতে চাইলে ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়াও তাঁর কাছে রাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতিপত্র থাকতে হবে। এছাড়া তাঁরও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু করা হতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ভারতীয় আটকে রয়েছেন বাংলাদেশে। লকডাউনের জেরে দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও একইরকম শর্ত থাকবে। ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল দিয়ে রেল ও স্থল পথে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে রেল ও স্থল পথে আমদানি-রফতানি আবার শুরু হয়েছে।
 রবিবার পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরী হতে পারে নিম্নচাপ। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল বরাবর এই নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ঘূর্ণাবর্তটি। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড থেকে ছত্রিশগড় পর্যন্ত। উপকূল বরাবর আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে  মহারাষ্ট্র থেকে কেরালা পর্যন্ত। এগুলির প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেরালা ও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কর্নাটকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 


পাশাপাশি তিন-চারদিন ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর পূর্ব এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।  ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায়।আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলার কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হবে মালদা ও উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে অন্য জেলাতেও। উত্তরবঙ্গে সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত।

বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় আদ্রতা জনিত অস্বস্তি হবে। আজ কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি । গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ হাজার ৯৭০ থেকে ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ০.৯ মিলিমিটার।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের আবার ও ঘটলো পথ দুর্ঘটনা 
ঘটনাটি ঘটেছে সাগরের বকুলতলাতে , স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই বাইকে ছিল দুইজন ছেলে তাদের একজনের নাম- মানব দাস,বয়স-৩০, বাড়ি-সাগরের  কচুবেড়িয়া,
আর একজনের নাম-পিন্টু প্রধান,বয়স-২৫, বাড়ি- সাগরের ফুলবাড়ী ( ১০/০৯/২০২০ রাত্রি ৮:০০ নাগাত বাইক নিয়ে সাগরের বামনখালী থেকে কচুবেড়িয়া দিকে আসার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ষাঁড়কে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি রাস্তায় পাশে থাকা গার্ডরেলে ধাক্বামারে,
ওই দুর্ঘটনাটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ও ওইখানে ডিউটিতে থাকা ভিলেজ পুলিশ দেবব্রত মাইতি তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে সাগর গ্ৰামীন হসপিটালে ভর্তি করে,
ওই দুই জনের মধ্যে বাইকের ডাইভার মানব দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক,
তাদের দুই জনকে সাগর গ্ৰামীন হসপিটালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের (১০/০৯/২০২০) রাত্রি ১০:২০  নাগাদ ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে রেফারেন্স করে
ভারত-বাংলাদেশের বিস্তৃত জলসীমানায় জঙ্গী অনুপ্রবেশ, চোরাচালান থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার রুখে দিয়েছে উপকূলরক্ষীবাহিনী।পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া লাখে লাখে মৎস্যজীবীদের জীবন সুরক্ষায় একমাত্র ভরসাও তারা। কিন্তু সামরিক বাহিনীর সেই উইং এর পূর্বাঞ্চলীয় স্থায়ী ডেরা এখনও হল না। বকখালির ফ্রেজারগঞ্জে জমি চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলেও আমলাতান্ত্রিক লালফিতের ফাঁসে আটকে রয়েছে। ফলে খুবই অসুবিধার মধ্যে হোটেল ভাড়া করে দিনের পর দিন উপকূলরক্ষীবাহিনীর
পূর্বাঞ্চলীয় অফিস চালাতে হচ্ছে। সেটা একমাস নয়, ছ’ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বাহিনীর জওয়ানদের আক্ষেপ, ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে নজরদারির পাশাপাশি প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবন সহ এই জেলায় ধারাবাহিক দুর্যোগের মোকাবিলা ও মৎস্যজীবীদের জীবন রক্ষায় তাঁরা সদা তৎপর। কিন্তু তাঁদের স্থায়ী আস্তানা করে দেওয়ার বিষয়ে সরকারিস্তরে সেভাবে সক্রিয় নয়। এমন চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর এই অংশকে ওড়িষ্যার গোপালপুরে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। কারণ, ইতিমধ্যে ওড়িষ্যার সরকার এমন একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ওই বাহিনীকে দিয়েছে। এক সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি এখনকার মতো সক্রিয় ছিল না। কারণ, সেই সময় এই বাহিনী হলদিয়াতে থাকত। ফলে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নজরদারিতে যথেষ্ট ফাঁক থাকত। সেই সুযোগ নিয়ে চোরাচালান, অস্ত্রপাচার থেকে অনুপ্রবেশ চলত। বাংলাদেশ থেকে একাধিকবার জঙ্গীদের অনুপ্রবেশও ঘটেছে। গভীর সমুদ্রে জলদস্যুদের হামলাও অব্যাহত ছিল। এছাড়া প্রতিবছর ট্রলারসহ মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়লে তাদের উদ্ধারে অনেক সময় লেগে যেত। তখন সেই হলদিয়াতে উপকূলরক্ষীবাহিনীকে খবর দিতে হত। তাদের আসা-যাওয়াতে এতটাই সময় লাগত যে, ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের অনেকক্ষেত্রেই বাঁচানো যেত না। পাকিস্তানি জঙ্গীরা সমুদ্রপথে মুম্বাই শহরে হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার নড়েচড়ে বসে।রাজ্য সরকারও সতর্ক হয়। তারপর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ এর এই জলসীমানা ও সমুদ্রে নজরদারি আরও বাড়াতে বকখালির ফ্রেজারগঞ্জে উপকূলরক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয় করার উদ্যোগ হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাত বছর আগে ফ্রেজারগঞ্জ এ একটি হোটেলে অস্থায়ী অফিস খোলা হয়। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৪০ জন জওয়ান ও আরও অফিসার মিলিয়ে ৫০ জনের বেশি কর্মচারী নিয়ে খুবই অসুবিধার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, চার বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব আসে।তাতে বলা হয়, ফ্রেজারগঞ্জ এ উপকূলরক্ষীবাহীনর পূর্বাঞ্চলীয় অফিস করার জন্য ৯. ২ একর ( ৯ বিঘার বেশি) জমির প্রয়োজন। সেখানে বড় অফিস ছাড়াও উপকূলরক্ষীবাহিনীর দু’টি হোভারক্রাফট জলযান থাকবে। সব মিলিয়ে ৫০ কোটির উপর প্রজেক্ট প্রায়। একলপ্তে সরকারি অতটা জমি পাওয়া সহজ ছিল না। যদিও বা পাওয়া গেল তাতে অনেক দখলদার ছিল। স্বাভাবিকভাবে সেই দখল সরিয়ে পুরো জমি ফাঁকা করতে সময় লেগে গিয়েছে।এরপর রাজ্য সরকারের হাত থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিফেন্স এর নামে করার প্রক্রিয়া সহ নথিপত্র তৈরি পর উপরতলায় পাঠানো হয়। তাতে জমির মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আড়াই বছর আগে সেই ফাইল রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কারের কাছে জমা পড়ে। কিন্তু এখনও হল না কেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, টেকনিক্যাল একটা সমস্যা ছিল। উপর থেকে সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল।সম্প্রতি তা সংশোধন করে ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য অনেক সর্বভারতীয় পরীক্ষার মত নীট পরীক্ষাও পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে পড়ে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব হয়ে যায় ২০০ কিমি বা তার বেশী৷ আগের দুদিন লকডাউন থাকায় আগে গিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে থাকার উপায় নেই পরীক্ষার্থীদের। পাশাপাশি সুযোগ বুঝে গাড়িভাড়াও হয়েছে আকাশছোঁয়া।

এর আগে বিভিন্ন পুজো পার্বন উপলক্ষ্যে লকডাউনের দিন বদল করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু নীটের মত পরীক্ষার আগে পর পর দুদিন লকডাউন থাকলেও কেন তা বদল করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশ। এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয় নি প্রশাসনের তরফ থেকেও৷ বর্ধিত গাড়ি ভাড়া, লকডাউন মিলিয়ে এই মুহুর্তে বেশ সমস্যায় পরীক্ষার্থীরা।এই সমস্যা আরো বাড়িয়েছে নীট এর রিপোর্টিং টাইম। ভিড় এড়াতে রিপোর্টিং টাইম কারো সকাল ১১টা , কারও সাড়ে ১১টা, কারও বা ১২টা। পরীক্ষা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অস্বাভাবিক এই রিপোর্টিং টাইমও পরীক্ষার্থীদের সমস্যার অন্যতম কারন।

তবে ১৩ তারিখ NEET ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালানো হবে ৬৬ টি স্পেশাল ট্রেন। সকাল ১১ টা থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত চলবে এই মেট্রোগুলি। যে সব ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের কাছে স্মার্ট কার্ড নেই তারা মেট্রোর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে পারবে। যদিও প্লাস্টিকের টোকেনের বদলে তাদের দেওয়া হবে কাগজের টিকিট।