গত শুক্রবার অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকের অন্যতম বিষয় ছিল করোনার পরিস্থিতিতে আগামী মরশুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের পটচিত্র। আর এই পরিস্থিতিতে যখন গোটা ক্রিকেট বিশ্ব সীমিত ভাবে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে, তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু কাটছাঁট আনতে চলেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের চারটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টকে বাতিল করতে চলেছে বিসিসিআই।

বিসিসিআই-এর অন্দরমহলের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মরশুমে দলীপ ট্রফি, দেওধর ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি এবং সিকে নাইডু অনুর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট বাতিল করতে চলেছে বিসিসিআই। মূলত দেশের মূল ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিকে জায়গা দেওয়ার জন্য এই টুর্নামেন্টগুলিকে বাতিল করতে হচ্ছে বিসিসিআই-কে। পাশাপাশি আগামী মরশুমে ঘরোয়া টি২০ টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি নিয়েও আলোচনায় রয়েছে ভারতীয় বোর্ড।

এছাড়াও রঞ্জি ট্রফির ফর্ম্যাটে বেশ বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বিসিসিআই। এতদিন রাজ্যগুলিকে প্লেট ও এলিট গ্রুপে ভাগ করে খেলানো হত। কিন্তু এবার অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপে ভাগ করা হবে রাজ্যগুলিকে। নর্থ, সাউথ, ইস্ট, ওয়েস্ট এবং সেন্ট্রাল – এই পাঁচ আঞ্চলিক গ্রুপে ভাগ করা হবে রাজ্যগুলিকে। সেই গ্রুপগুলির সেরা পাঁচ দলকে নিয়ে একটি নকআউট টুর্নামেন্ট খেলা হবে। এর ফলে স্বাস্থ্য-সুরক্ষার দিকেও যেমন নজর দেওয়া হবে, যাতায়াতের পরিমাণও কম হবে, তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে রাজ্যগুলি।

কিন্তু বাকি টুর্নামেন্টগুলিকে বাদ দিয়ে কেন রঞ্জি ট্রফিকেই প্রাধান্য দিল বিসিসিআই? এই প্রশ্নের উত্তরে এক বোর্ড কর্তা জানান, “প্রতি রঞ্জি মরশুমে খেলোয়াড়রা প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা অর্জন করেন এবং কিছু রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাও স্পনসর করেন। এই টুর্নামেন্টটি অসংখ্য ক্রিকেটারের রোজগারের জায়গা, যারা এটি খেলে উপার্জন করেন। এই কারণেই রঞ্জি ট্রফির দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে, এটি অত্যন্ত জরুরি যে সকল খেলোয়াড়রা অর্থ ও সম্মান অর্জন করুক।”

এদিকে সিনিয়র পর্যায়ের একাধিক টুর্নামেন্ট বাতিল হলেও, সিকে নাইডু ট্রফি ছাড়া বাকি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলি আয়োজনের চেষ্টায় রয়েছে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে রঞ্জির মত আঞ্চলিক গ্রুপে ভাগ করে খেলানো যেতে পারে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours