চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তিন অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে আগেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বেজিং। এ বার প্রত্যাঘাত করল তারা। কট্টর চিন সমালোচক বলে পরিচিত ৩ মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং আমেরিকার এক রাষ্ট্রদূতের উপর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার এ খবর জানানো হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। তবে ঠিক কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার ফলে দুই বিবদমান দেশের মধ্যে বিতর্কের তালিকাটা আরও খানিকটা দীর্ঘ হল।
চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক বিরোধিতার একের পর এক ইট যেন গাঁথা হয়েই চলেছে। করোনা নিয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হংকং নিয়েও তাঁর সুর ছিল চড়া। দক্ষিণ চিন সাগরে রণতরী পাঠিয়ে বেজিংয়ে ফের কড়া বার্তা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ৩ কর্তার উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি। ওয়াশিংটনের সেই সিদ্ধান্তের পর কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতেই পাল্টা জবাব দিল বেজিং। এ দিন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং ৪ মার্কিন রাজনীতিবিদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
বেজিংয়ের ওই তালিকায় রয়েছেন দুই রিপাবলিক সেনেটর মার্কো রুবিও এবং টেড ক্রাজ। এঁরা দু’জনেই চিনের কড়া সমালোচক বলেই মার্কিন মুলুকে বিখ্যাত। এ ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন রিপাবলিক পার্টির আরও এক নেতা ক্রিস স্মিথ এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক। চুনইং বলেছেন, ‘‘আমরা আমেরিকাকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং চিনের স্বার্থের ক্ষতি হতে পারে এমন মন্তব্য ও কাজ থেকে তাদের বিরত থাকতে বলছি।’’
চিন এবং আমেরিকার মধ্যে নতুন এই বিতর্কটা শুরু হয়েছিল শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে। তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ৩ শীর্ষ কর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। তাঁদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এর পরেই এ দিন পাল্টা পদক্ষেপ করে চিন। বেজিংয়ের তরফে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এ দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সে দিকে নজর রেখে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানানো হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours