করোনা-কালে দরিদ্রদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা একাধিকবার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। লকডাউনের প্রভাবে দেশের চালিকাশক্তিদের পেটে লাঠি পড়তে দেবেন না বলেও কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অনেকটাই আলাদা।
প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দরিদ্রদের অ্যাকাউন্টে সাহায্যের টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আগের মতোই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে সিংহভাগ দিন আনি দিন খাই মানুষদের। এরই মধ্যে সামনে উঠে এসেছে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। করোনা সংকটে এরকমই আর্থিক অনটনে ভুগছেন হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের এক চা ব্যবসায়ী রাজকুমার। ছোটখাটো চায়ের দকান থেকে কোনক্রমে সংসার চলে তাঁর। কিন্তু মারণ ভাইরাস করোনা আর সেইসঙ্গে লকডাউন এসে সেই ব্যবসাকেও লাটে তুলে দিয়েছে।
তাই বাধ্য হয়ে ব্যাংকে লোন নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার অবস্থা তাঁর। জানা গিয়েছে, রাজকুমারকে লোন দিতে নাকচ করে দেয় ব্যাংক। কারণ স্বরূপ তাঁকে বলা হয়, তাঁর নামে আগে থেকেই ৫০ কোটি টাকা ধার রয়েছে!
ব্যাংকের এই কথা শুনেই হতভম্ভ হয়ে যান রাজকুমার। তিনি বলেন, “আমি একাধিকবার ব্যাংকের কর্মচারীদের বলি যে করোনা-কালে আমি চরম অর্থসংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ব্যাংক জানায় আমি নাকি আগেই ৫০ কোটি টাকা লোন নিয়ে রেখেছি। কিন্তু আমি আগে কখনও লোন নিইনি। এটা কি করে সম্ভব?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours