মদের প্রভাব
১. ২০১৫ সালে 'অ্যালকোহল রিসার্চ জার্নাল'-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে ফুসফুসে সংক্রমণ তথা নিউমোনিয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বাড়ে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি স্ট্রেস সিনড্রোম বা এআরডিএস ও সেপসিসের আশঙ্কা। অর্থাৎ কোভিড ১৯-এর রোগীর যে যে কারণে রোগের জটিলতা বাড়ে, অতিরিক্ত মদ্যপানেও ঠিক সেইগুলির আশঙ্কাই বাড়ে। অর্থাৎ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ফলে সংক্রমণ একবার হলে তার বাঁকাপথে যাওয়ার আশঙ্কা প্রতি পদে।
২. "বেশি মদ খেলে মনের প্রতিরোধ ভেঙে যায়। ফলে তাঁরা এমন অনেক বিপজ্জনক কাজ করেন, যা স্বাভাবিক অবস্থায় করার কথা ভাবেন না। করোনা সংক্রান্ত নিয়ম না মানাও আছে তার মধ্যে। তার হাত ধরে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।" জানালেন শিলাদিত্যবাবু।
৩. সংক্রমণের ভয় ও একাকীত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপান যুক্ত হলে গার্হস্থ্য হিংসার প্রকোপ বাড়তে পারে। বাড়ে মানসিক চাপ। সব মিলে বাড়ে করোনার আশঙ্কা।
৪. যত বেশি মদ ও তার অনুষঙ্গে এটা সেটা খাওয়া, তত ওজন বাড়া, হাই প্রেশার-সুগার-কোলেস্টেরল বা হৃদরোগ থাকলে তার প্রকোপ বাড়া। এর প্রত্যেকটাই কোভিডের রিস্ক ফ্যাক্টর, জানান মেডিসিনের চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়।
৫. মদ্যপানের সঙ্গে ধূমপান যুক্ত হলে বিপদ আরও বাড়ে, এ কথাও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা
অতএব
একাকীত্ব ও মানসিক চাপ কমানোর অছিলায় অতিরিক্ত মদ্যপান করবেন না। মদ খেলে, খান রয়েসয়ে। মাঝেমধ্যে এক-আধ পেগ, যেমন আগে করতেন। বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন বলে বা স্রেফ বিরক্ত লাগছে বলে সপ্তাহান্তের মদ্যপানের রুটিনকে নিয়মিত করে ফেলবেন না। যদি মনে হয় সব বুঝেও মাত্রা রাখতে পারছেন না, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সবাই অনলাইন কনসালটেশন করছেন, কাজেই চেম্বারে গিয়ে লাইন দিতে হবে, এমনও নয়। সুস্থ থাকুন। ভাল থাকুন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours