HexaPro করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে।
• পৃথিবী জুড়ে এখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন তৈরিতে মগ্ন বিজ্ঞানীমহল। আর তাঁদেরই আরও আশার কথা শোনাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, কৃত্রিমভাবে তাঁরা এমন এক বন্ধু প্রোটিন তৈরি করতে পেরেছেন, যা মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
• তাঁরা বলেছেন, এই স্পাইক প্রোটিন আগের থেকে দশগুন শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে পারবে। ফলে যাঁরা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, তাঁরা এটি ব্যবহার করলে অনেক কম ডোজে ভাইরাসকে কাবু করা যাবে। অন্যদিকে, কম সময়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে ভ্যাকসিনও তৈরি করা যাবে কারণ, এতে ওষুধের পরিমাণ অনেকটা কম থাকবে। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের পক্ষ থেকে বিজ্ঞানী জেসন ম্যাকলিলন ও আরও একজন এই দাবি করেছেন। এই বিষয়ে তাঁদের গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘The Science’‌ জার্নালে। 
• এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নতুন প্রোটিন, যেটির নাম HexaPro, আগের স্পাইক প্রোটিনের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আগেরটি সারা পৃথিবী জুড়েই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তাঁরা আশা করেছেন, অপেক্ষাকৃত অনেক শক্তিশালী এই স্পাইক প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হবে।
• HexaPro করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। এটি একজন মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি উপস্থিত আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। এর সাহায্যে বোঝা যাবে, সেই ব্যক্তি কোনওদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না। বড় মাত্রায় যখন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়, তখন এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। মুম্বই, দিল্লিতে সম্প্রতি এইভাবেই পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করা হয়েছে। 
• সাধারণত, শরীরে প্রোটিনের সন্ধান পেয়ে সহজে নিজের বংশবিস্তার করতে পারছিল করোনা ভাইরাস। কিন্তু গবেষকরা মনে করছেন, এই স্পাইক প্রোটিনের সাহায্যে সেই সহজ গতিপথকে আটকে দেওয়া যাবে। যার ফলে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও সহজ ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours