সোমবার ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লন্ডনকে পাল্টা জবাব দিল বেজিং। হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মধ্যে আনলে চিনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ব্রিটেন। এমন পদক্ষেপ করলে তারা পাল্টা আক্রমণ করবে বলে এ দিন জানিয়েছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বেজিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ব্রিটেন যেন হংকংয়ের উপর ওপনিবেশিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা না দেখায়।
ব্রিটেনের এই মন্তব্যে যেন আগুনে ঘি পড়েছে। প্রত্যুত্তরে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘ইউনাইটেড কিংডমের কোনও ভ্রান্ত পদক্ষেপের জন্য পাল্টা আক্রমণ চালাতে বাধ্য হবে চিন।’’ এর সঙ্গেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘চিন ইউনাইটেড কিংডমকে আর্জি জানাচ্ছে, তারা যেন হংকংয়ে ঔপনিবেশিক প্রভাব খাটানোর কল্পনা না করে এবং তারা যেন দ্রুত ভুল শুধরে নেয়।’’
দীর্ঘ কাল ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল হংকং। ১৯৯৭ সালে চিনের দখলে আসে। চলতি মাসে ওই একই ইস্যুতে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো দেশগুলো। হংকংয়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। এ বার ব্রিটেনের হুঁশিয়ারিতে নতুন করে চাপে বেজিং।
আন্তর্জাতিক মহলও চিন সরকারের হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব। এই পঙ্ক্তি সর্বাগ্রে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকা। চিনের এই আইন নিয়ে ঘোরতর বিরোধিতায় নেমেছে ব্রিটেনও। হংকং এক সময় ব্রিটেনেরই উপনিবেশ ছিল। এই প্রসঙ্গেই সোমবার ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডোমিনিক রাব পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেজিংয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘চিন হংকংয়ের উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্থগিত করা হবে। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।’’ রাব জানিয়ে দেন, স্পষ্ট এবং দৃঢ় রক্ষাকবচ দেওয়া না হলে প্রত্যপর্ণ চুক্তি থমকে যেতে পারে। চিনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাব।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours