১২ জুলাই রাশিয়ার সেকেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (Sechenov First Moscow State Medical University) বিজ্ঞানীরা তাঁদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার খবর জানান। তার পরই প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamalei Institute of Epidemiology and Microbiology)-এর ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিনস্টবার্গ (Alexander Gintsburg) সে দেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১২ থেকে ১৪ অগাস্টের মধ্যেই এই প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থা। এ বার এই মন্তব্যকে সরকারি সিদ্ধান্তের শিলমোহর দিলেন রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশকো (Mikhail Murashko)। মুরশকো জানান, অগাস্টেই মিলবে করোনার টিকা!
আদৌ কি প্রতিষেধক তৈরিতে সমস্ত সুরক্ষা, কার্যকারিতা পরীক্ষার নিয়ম-কানুন মানা হয়েছে রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকার ক্ষেত্রে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এক মাসেরও কম সময়ে কী করে তিন পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করল রাশিয়া? এত অল্প সময়ের মধ্যে কী আদৌ কোনও প্রতিষেধকের সুরক্ষা, কার্যকারিতা পরীক্ষা করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব? প্রতিষেধকের ট্রায়াল নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এটির মুক্তি বা বাজারে আসা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অগাস্ট মাসেই বাজারে মিলবে রুশ বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকা!
রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সামনের মাসেই বাজারে টিকা ছাড়ার আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়ে গিয়েছে। দ্রত গতিতে চলছে টিকা উৎপাদনের কাজ। এ বছরের মধ্যেই সাড়ে ৪ কোটিরও বেশি পরিমাণ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করতে পারবে রাশিয়া। তবে প্রতিষেধক উৎপাদনের পাশাপাশি চলবে এটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও। মিখাইল মুরশকো জানান, ৩ অগাস্ট থেকে রাশিয়া, সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহিতে শুরু হতে চলেছে রুশ বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। অর্থাৎ, প্রতিষেধকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটিকে দ্রুত বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রেও জোর দিচ্ছে রাশিয়া।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours