সরকারের পরিকল্পনা, আগামী দিনে চন্দননগর থেকে নদীপথে যাত্রা শুরু করে শেওড়াফুলি, ব্যারাকপুর, বরাহনগর হয়ে একেবারে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত প্রতিদিন যাত্রিবাহী লঞ্চ চালানোর। ট্রেনের ভিড়ে গাদাগাদি করে না-এসে গঙ্গার হাওয়া খেতে খেতে যাতে নিত্যযাত্রীদের একটা অংশ শহরতলি থেকে মহানগরে আসতে পারেন, তারই পরিকল্পনায় একজোড়া দ্রুতগামী লঞ্চ তৈরির বরাত দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর।
কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত জলপথে প্রমোদ তরণী চালানো শুরু করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। করোনাভাইরাসের প্রকোপে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ক্রুজটি বসেই ছিল। অন্য দিকে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে শহরতলির বহু যাত্রীই আর কলকাতায় আসতে পারছেন না। এই অবস্থা কাজে লাগাতে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত জলপথে যাত্রী পরিবহণ শুরু করে ওই সংস্থা।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের অনুমোদন নিয়ে ছ'কোটি টাকায় দু'টি যাত্রিবাহী লঞ্চ তৈরি করাতে দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। ২৫০ আসনের এই লঞ্চ অদূর ভবিষ্যতে গঙ্গাবক্ষে চন্দননগর, শেওড়াফুলি, ব্যারাকপুর, বরাহনগর হয়ে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত প্রতিদিন যাতায়াত করবে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রা শুরুর পর মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই যাতে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়, সে কথা মাথায় রেখেই লঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। প্রতি লঞ্চে সর্বোচ্চ ২৫০ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। যাত্রীদের সাড়া মিললে আরও লঞ্চ নামানো হবে।
করোনাভাইরাসের উপদ্রবে দেশজোড়া লকডাউন শুরু হওয়ার বেশ কিছু দিন পর শহরতলির একটা অংশের যাত্রীদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য এই ভাবে গঙ্গাকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে রাজ্য।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের অনুমোদন নিয়ে ছ'কোটি টাকায় দু'টি যাত্রিবাহী লঞ্চ তৈরি করাতে দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। ২৫০ আসনের এই লঞ্চ অদূর ভবিষ্যতে গঙ্গাবক্ষে চন্দননগর, শেওড়াফুলি, ব্যারাকপুর, বরাহনগর হয়ে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত প্রতিদিন যাতায়াত করবে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রা শুরুর পর মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই যাতে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়, সে কথা মাথায় রেখেই লঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। প্রতি লঞ্চে সর্বোচ্চ ২৫০ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। যাত্রীদের সাড়া মিললে আরও লঞ্চ নামানো হবে।
করোনাভাইরাসের উপদ্রবে দেশজোড়া লকডাউন শুরু হওয়ার বেশ কিছু দিন পর শহরতলির একটা অংশের যাত্রীদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য এই ভাবে গঙ্গাকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে রাজ্য।
অন্য দিকে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর যে লঞ্চ চালিয়েছিল, সেই লঞ্চে একপিঠের ভাড়া মাত্র ৬০ টাকা হলেও কলকাতা আসতে সময় লেগে যাচ্ছিল প্রায় চার ঘণ্টা। ফলে শুরুতে যাত্রীর মিললেও পরে ভাটা পড়ে যাত্রীর সংখ্যায়। এর জন্য লঞ্চের সংখ্যা দুই থেকে কমিয়ে এক করে দেওয়া হয়। আধিকারিকরা বোঝেন, ভবিষ্যতে এই পরিষেবা বজায় রাখতে হলে অর্ধেক সময়ে পুরো পথ পাড়ি দিতে হবে। তার জন্য চাই দ্রুতগামী লঞ্চ। পরিবহণ দপ্তরের কর্মীদের কয়েকজন অবশ্য জানিয়েছেন, গঙ্গার বিভিন্ন জায়গায় পলি পড়ে থাকার জন্য সব জায়গাকে এই পরিষেবার আওতায় আনতে একটু সমস্যা রয়েছে। মসৃণ পরিষেবার জন্য কয়েকটি জায়গায় ড্রেজিং করাতে হবে।
যাত্রীদের সাড়া মেলার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরও। একই রুটে চালু হয় সরকারি লঞ্চ সার্ভিস। এখানেও প্রাথমিক ভাবে বিপুল সাড়া মেলে যাত্রীদের। বেসরকারি ওই সংস্থার পক্ষে ক্যাপ্টেন অঞ্জন সিনহা বলছেন, 'প্রথম ট্রিপ শুরু করেছিলাম মাত্র ১৭ জন যাত্রী নিয়ে। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যা একশো পার করে।' ওই সংস্থা যে ধরনের জলযান ব্যবহার করেছিল, তাতে সর্বোচ্চ ১৫৬ জন যাত্রী উঠতে পারতেন। এই জলযানে কলকাতা আসতে সময় লাগত মাত্র এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। একপিঠের ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা।
যাত্রীদের সাড়া মেলার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরও। একই রুটে চালু হয় সরকারি লঞ্চ সার্ভিস। এখানেও প্রাথমিক ভাবে বিপুল সাড়া মেলে যাত্রীদের। বেসরকারি ওই সংস্থার পক্ষে ক্যাপ্টেন অঞ্জন সিনহা বলছেন, 'প্রথম ট্রিপ শুরু করেছিলাম মাত্র ১৭ জন যাত্রী নিয়ে। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যা একশো পার করে।' ওই সংস্থা যে ধরনের জলযান ব্যবহার করেছিল, তাতে সর্বোচ্চ ১৫৬ জন যাত্রী উঠতে পারতেন। এই জলযানে কলকাতা আসতে সময় লাগত মাত্র এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। একপিঠের ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours