কলকাতা শহরে কিছুতেই বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে। পুরসভা সূত্রে খবর, দৈনিক শহরে ৮০০ থেকে ১০০০ জনের এই পরীক্ষা করানো হবে। যা এদিনই শুরু হল চেতলা থেকে। প্রতিটি বরোতেই এই টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষত জনবহুল এলাকা, বাজার, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড গুলিতে এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে জানা গিয়েছে। এই ধরণের টেস্টের ক্ষেত্রে একসঙ্গে দশজনের পরীক্ষা করা সম্ভব। আর পরীক্ষার ফলও জানা যায় ৪০ মিনিটের মধ্যে।
এদিন চেতলার ওই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। নিজের এলাকার এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে থাকেননি ফিরহাদ। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। পালস অক্সিমিটারে বেশ কয়েকজনের শরীরে অক্সিজেন প্রবাহের পরিমাণ চেক করেন তিনি নিজেও। এদিন ৫০ জনের মধ্যে ১০ জনের রিপোর্ট যে পজিটিভ এসেছে, তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। কলকাতায় ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় শুরু হল র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলায় ৫০ জনের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। এই টেস্টের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আধঘণ্টা-৪০ মিনিটের মধ্যেই ফল জানা যায়। চেতলায় যে ৫০ জনের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়, তার মধ্যে ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জানা গিয়েছে। যা রীতিমতো আশঙ্কার।উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় আরটিপিসিআর টেস্ট বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায় দু-তিনদিন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা, তার একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। ধীরেধীরে সেই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আপাতত দৈনিক ১০০০ টেস্টের চিন্তাভাবনা করেছে পুরসভা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উপসর্গ ছাড়াই বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের থেকেও আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যরা। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, বাংলাজুড়েই যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে, তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার পরপরই কলকাতায় শুরু হল টেস্ট। এদিন একই সঙ্গে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও করা হয় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় আরটিপিসিআর টেস্ট বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায় দু-তিনদিন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা, তার একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। ধীরেধীরে সেই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আপাতত দৈনিক ১০০০ টেস্টের চিন্তাভাবনা করেছে পুরসভা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours