কোভিড আবহে সেই বস্তিই স্বস্তি যোগাচ্ছে কলকাতাকে।
কলকাতা:মুম্বইয়ের মাথাব্যথা, কলকাতার স্বস্তি। কোভিড যুদ্ধে ধারাভি বস্তি যখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে দেশের বাণিজ্যনগরীর, কলকাতার স্বস্তি তখন শহর ও শহরতলির জনবস্তি। মহানগরীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বসবাস করে বস্তিতে। কোভিড আবহে সেই বস্তিই স্বস্তি যোগাচ্ছে কলকাতাকে।
শহরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোভিড নোডাল আধিকারিক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর গত সাত দিনের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, "তুলনায় কম করোনা সংক্রমণ হচ্ছে শহর ও শহরতলীর বস্তিগুলোতে। গত এক সপ্তাহে এই শহরের বস্তিতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ১৭৪ টি। সেখানে বহুতল ও এলাকাভিত্তিক আবাসনের ক্ষেত্রে কলকাতায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ১৪০০ ও ১২০০। কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোভিড নোডাল আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুসারে যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।"
শনিবার কলকাতার যে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে তাতেও দেখা যাচ্ছে আলাদা করে মাত্র তিনটি বস্তির উল্লেখ রয়েছে। নতুন তালিকায় উল্লেখিত বস্তি গুলি হল ৩ নম্বর বরোর অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১৭, উল্টোডাঙা মেইন রোড। ৩ নম্বর বরোর অধীনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ৫০, চাউল পট্টি, কলিকাতা-১০ ও ১২ নম্বর বরোর অধীনে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রাজপুর ডি ব্লক।
অন্য দিকে নতুন কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় বহুতল বা আবাসন কিংবা পাড়াভিত্তিক এলাকার বাছাইয়ে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাট বাড়ি। দক্ষিণের বেহালা সখেরবাজার বৈদ্য পাড়া হাই স্কুল থেকে ২৫/১ ভুবন মোহন রায় রোড যেমন রয়েছে অন্যদিকে ৫ জাজেস রোড বা ১৫সি চেতলা রোড, রাজা সন্তোষ রায় রোড, ৬ শরৎ বোস রোড, ১৮/১ ডোভার লেন, ৪৬/১ শরৎ বোস রোড, সম্মিলনী পার্ক, মতিলাল বসাক লেনের মত অভিজাত এলাকার বহুতল ও পাড়ার ছড়াছড়ি।
পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, কোভিড আবহে জনমানসে সচেতনতা তৈরি করতে বহুতলের থেকে অনেক অংশে এগিয়ে শহর ও শহরতলির বস্তি এলাকা। আর এই জন্যই বোধহয় প্রশাসনের প্রকাশিত শহরের নতুন ৩৪ টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে অধিকাংশই বহুতল কিংবা পাড়া ভিত্তিক আবাসন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours