রবিবার চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের বৈঠকের পর সোমবার পূর্ব  লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সরতে শুরু করেছে চিনা সেনা। গত ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত-চিন সোনাদের মধ্যে যে জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছিল সেখান থেকে অন্তত ২ কিলোমিটার সরে গিয়েছে চিনা সেনা। এর মধ্যেই সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-চিন আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী।

অজিত দোভালের সঙ্গে ভিডিয়ো কন্ফারেন্স চিনা বিদেশমন্ত্রীর কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। দেশের সার্বভৌমত্ব সবার আগে, সরকারের দায়িত্ব দেশকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু কেন্দ্র তা করেনি। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিকে হাতিয়ার করে রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন-

১. চিনের সঙ্গে আলোচনায় সীমান্তে আগের পরিস্থিতি বজায় রাখার ব্যাপারে কেন চাপ দিল না ভারত? এনিয়ে নিজের অবস্থান থেকে কেন সরে এল ভারত?

২. গালওয়ান উপত্যকায় চিনের উপস্থিতিতে ভারতের সার্বভৌমত্ব যে ক্ষুন্ন হয়েছে তা নিয়ে কেন কথা তোলেনি ভারত?

৩. পাশাপাশি রাহুল এও প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভূখণ্ডে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনার ২০ জওয়ানের মৃত্যু যে স্বাভাবিক তা কীভাবে বলছে চিন। চিনকে কেন এমন সুযোগ দিল কেন্দ্র?

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি শেয়ার করে রাহুল বলেছেন, চিনা বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, ভুল বা ঠিক যাই হোক না কেন গালওয়ানে যা হয়ে তা স্পষ্ট। নিজেদের দেশের সীমান্ত রক্ষায় সবসময় সচেষ্ট থাকবে চিন। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার ব্যাপারে কাজ করে যাবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে রাহুলের প্রশ্ন চিন তা বিবৃতিতে গালওয়ানের কথা উল্লেখ করলেও ভারত কেন তার উল্লেখ করল না।

গালওয়ান নিয়ে ভারতের অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভা সাংসদ শশী থারুরও। তিনি এক টুইটে বলেছেন, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে রাজী হয়েছে দুদেশ। কিন্তু গালওয়ান নিয়ে ভারত তার নিজের অবস্থানে রয়েছে কি? তা যদি না হয় তাহলে, শান্তি আলোচনার মধ্যেই চিন এলএসি থেকে ভেতরে ঢুকে আসবে।

©Zee 24 Ghanta
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours