July 2020
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও একাধিক রাজ্যের করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছেন না৷ এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু এবার এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র এত গড়িমসি করতে পারে না।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা রীতিমতো জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে চলেছেন। এবার তাঁদের বেতন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা পেল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরাই করোনা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় যোদ্ধা, তাই তাঁরা যেন সময়েই বেতন পান, কোনও অবস্থাতেই যাতে তাঁদের বেতন আটকানো না হয়, তা নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।

যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহতা এদিন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, অধিকাংশ রাজ্য বেতন মিটিয়ে দিলেও মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং কর্নাটক সরকার এখনও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। এরপরই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কোনও রাজ্য যদি কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্র কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? বিপর্যয় মোকাবিলা আইন সরকারকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে। কেন্দ্র তাই আইন মোতাবেক চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে।

উল্লেখ্য, করোনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সামনে থেকে লড়ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তা সত্বেও মাসের পর মাস তাঁরা বেতন পাচ্ছিলেন না বহু জায়গায়। সেই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তখন ১৭ জুন সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত জানায়। চিকিৎসকদের বকেয়া বেতন মেটাতে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্বেও বহু রাজ্যে এখনও বেতন পাচ্ছেন না, চিকিৎসকরা। তাই এবার আরও কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট।

শুধু তাই নয়, ইউনাইটেড রেসিডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করা হয়, করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে যে যে চিকিৎসকরা কোয়ারানটিনে থাকছেন, তাঁদের বেতন কাটা হচ্ছে। সেই কোয়ারানটিন পিরিয়ডকে দেখানো হচ্ছে লিভ হিসেবে। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কোয়ারানটিন থাকাকালীন চিকিৎসকদের 'লিভ' মার্ক করা যাবে না। কাটা যাবে না বেতনও। কেন্দ্রের আইনজীবী সেই নির্দেশও মেনে নিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ অগস্ট।
বিবৃতি তে এই কোম্পানি জানিয়েছে যে তারা ফ্যাভিপিরাভিরকে বাজারে আনার বিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DGCI) ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। করোনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীদের উপর ফ্যাভিপিরাভির প্রয়োগে সুফল মিলেছে। ২৯ জুলাই থেকেই বিভিন্ন ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল ফার্মাসিগুলিতে মিলছে এই ওষুধ। এমনটাই জানিয়েছে কোম্পানি।

মাত্র ৫৯ টাকায় করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে এল হেটেরো গ্রুপ। ফ্যাভিপিরাভিরকে বাজারে "ফ্যাভিভির" নামে নিয়ে আসছে এই বেসরকারি কোম্পানি।

এর আগে কোভিড চিকিৎয়ায় ব্যবহৃত রেমডেসেভিরকে "কোভিফর" নামে বাজারে এনেছিল হেটেরো গ্রুপ। এই হেটেরো গ্রুপ দেশের তো বটেই সারা বিশ্বে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ প্রস্তুতিতে বিশ্বে প্রথম সারির কোম্পানি। তাঁদের দাবি হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগে সুফল মিলতে পারে।

বিরাট কোহলি এবং অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ দায়ের হল মাদ্রাজ হাইকোর্টে। এমনকী কোহলিকে গ্রেফতারের দাবিতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনলাইন গ্যামলিং বা জুয়াকে প্রচার করার অভিযোগে ভারত অধিনায়ক এর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন দাখিল করেছেন চেন্নাইয়ের এক আইনজীবী।

মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের হওয়া আবেদনে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ অনলাইন গেম অ্যাপকে প্রচার করছেন তাঁরা। দেশের আইকন বিরাট এই কাজ করে দেশের যুব সমাজকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন বলেও আদালতে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অনলাইন জুয়ায় অনেক টাকা দেনা হয়ে যাওয়ায় এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেন  আইনজীবী সূর্যপ্রকাশম। যার জন্য এত বড় ঘটনা সেই অনলাইন গেম অ্যাপটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। এই অনলাইন গেমকে ব্লু-হোয়েলের সঙ্গে তুলনা করেছেন চেন্নাইয়ের আইনজীবী সূর্যপ্রকাশম।

মহারাষ্ট্রের একটি ল্যাবে কোভিড টেস্ট করাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। অভিযোগ, ল্যাবের এক টেকনিশিয়ান ওই মহিলার প্রাইভেট পার্টস থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় মহিলা নিজেও তাজ্জব বনে যান। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ল্যাব টেকনিশিয়ানকে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহারাষ্ট্র পুলিশ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে।

মহারাষ্ট্র এর মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী অমরাবতীর এক শপিং মলে কর্মরত। ২৪ জুলাই তাঁদের এক স্টাফের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। এর পর মলের জনা ২৫ স্টাফ অমরাবতীর ওই ল্যাবে গিয়ে সোয়াব টেস্ট করাতে দেন। ওই ২৫ জনের মধ্যে অভিযোগকারিণী মহিলাও ছিলেন।

স্থানীয় বাদনেরা থানার ইনস্পেক্টর বানজারি সংবাদ সংস্থাকে জানান, মঙ্গলবার অমরাবতীর ওই মলের ২৫ জন স্টাফের নাক থেকে সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর পর ওই মহিলাকে আলাদা করে ডেকে, কোভিড টেস্টের অছিলায় ফের গোপনাঙ্গ থেকে সোয়াব সংগ্রহ করে অভিযুক্ত।

ঘটনায় হতচকিত মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, মঙ্গলবার রাতেই ওই ল্যাব টেকনিশিয়ান গ্রেফতার হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ (৩৭৬) ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

নারীকল্যাণ মন্ত্রী যশোমতি জানান, অমরাবতীর কালেক্টর শৈলেশ নাভালের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টেকনিশিয়ান গ্রেফতার হয়েছে। তাকে রেয়াত করা হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের টেস্ট করা যাবে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

অমরাবতী থেকেই দেশ প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি (প্রতিভা পাটিল) পেয়েছিল। সেই জেলায় এমন এক ঘটনা মাথা হেঁট করে দিয়েছে বলেই মনে করেন নারীকল্যাণ মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৭৯৮। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭২৯ জনের। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে ১১,১৪৭ নমুনা পজিটিভ এসেছে। সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬১৫।

এদিকে, গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪,৮০০। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭৮৩ জনের। দেশে সংক্রামিত বেড়ে হয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৮৪। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৮৬।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদযাপন বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে করোনা থাবা বসাল সেখানে। আগামী সপ্তাহে ভূমি পুজো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল অযোধ্যার এক পুরোহিতের। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এখানেই শেষ নয়। ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেখানে কর্তব্যরত ১৬ জন পুলিশকর্মীর মধ্যেও।

৫ অগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ৫০ জনেরও বেশি VVIP-র সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আগেই জানিয়েছেন, ২০০ জনের বেশি অতিথি থাকবেন না অনুষ্ঠানে। দীপাবলির সাজে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও এ বার পড়ল করোনাভাইরাসের ছায়া। মন্দিরের এক পুরোহিতের শরীরের ধরা পড়েছে কোভিডের সংক্রমণ। আগামী সপ্তাহে ভূমিপুজোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। পাশাপাশি ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মীর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।

রাজকীয় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হয়েছে অযোধ্যায়। সরাসরি তা সম্প্রচারও হবে দূরদর্শনে। এ নিয়ে রাজনীতির এক শিবিরে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনার মধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, আম ভারতবাসী যখন অতিমারীতে বিপর্যস্ত, করোনা সংক্রমণের গতি যখন ঊর্ধ্বমুখী--ঠিক তখনই এমন অনুষ্ঠান কি বাঞ্ছনীয়?

যদিও এই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরে রাম মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণ শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিভিন্ন মহল। তৃণমূল তো বলেই দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগে করোনা সামলে পরে অযোধ্যায় ভূমিপুজো করতে পারতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মত, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখন কোভিড-মোকাবিলার লড়াইকেই ধ্যানজ্ঞান করা। দেশজুড়ে অতিমারীর প্রকোপ বৃদ্ধির আবহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাম মন্দিরের আসন্ন শিলান্যাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। বাংলার শাসকদল মনে করছে, কোভিড নিয়ন্ত্রণের 'পবিত্র কর্তব্য' পালনই এখন দেশের নেতার 'পরম ধর্ম' হওয়া উচিত।

মন্দির নির্মাণ কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘণ্টা দু'য়েকে অনুষ্ঠান হবে। নেতা-মন্ত্রী, সাধু-সন্ত ও আধিকারিক মিলিয়ে শ'দুয়েক মানুষের জমায়েত হবে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষের উদ্যোগে একই সংখ্যক মানুষের কোনও জমায়েত কি এই মুহূর্তে অন্য কোথাও করতে দেওয়া হবে? এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রাম মন্দিরের পুরোহিত ও পুলিশকর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণে এই নিয়ে প্রশ্নটা আরও জোরদার হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারি ছাড়পত্র পেলে আগামী অসস্ট মাসেই বাজারে চলে আসবে রাশিয়ায় মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন। আর সেপ্টেম্বরে অন্যান্য দেশে এটি অনুমোদন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজারে আসার পরে প্রথমে করোনা যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি করোনার এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। গত ১৮ জুন সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে। মোট ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এক মাস ধরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। আবেদনের দু'সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুমোদন পেতে চলেছে তারা।

ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জেরে নাজেহাল বিভিন্ন দেশ। এই মারণ রোগের প্রতিষেধক বাজারে আনার ক্ষেত্রে শেষ ধাপে এগিয়ে গেল রাশিয়া। আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে বিশ্বের প্রথম কোভিড ভ্যাকসিনকে রুশ প্রশাসন ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম CNN জানিয়েছে।

১৯৫৭ সালে বিশ্বে প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে করে নজির সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ছিল স্পুটনিক ১। করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারকে সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার সভরেন ওয়েল্থ ফান্ডের প্রধান কিরিল ডিমিত্রিত। তিনি বলেছেন, 'করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার স্পুটনিক মুহূর্ত। স্পুটনিকের সাফল্য মার্কিনিদের বিস্মিত করেছিল। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও ওই একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। ফের প্রথম সাফল্য স্পর্শ করবে রাশিয়া' এই তহবিল থেকে রাশিয়ায় করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চলতি গবেষণায় অর্থের যোগান দেওয়া হচ্ছে।

চলতি বছরের মধ্যে নিজেদের দেশে পরীক্ষামূলক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া বিদেশে যাতে আরও ১৭ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে তারা।
হাতে মাত্র আর ২ মাস, মা হওয়ার অপেক্ষায় শুভশ্রী। বাড়িতে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষা রাজ।
হাতে মাত্র আর ২ মাস, মা হওয়ার অপেক্ষায় শুভশ্রী। বাড়িতে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষা রাজ। নিজের ছেলে অর্থাৎ শুভশ্রীর বোনপোর সঙ্গে এই ছবিটি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রীর দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে সেরা ৫০টি শেয়ারের মধ্যে ৩৭টির মূল্য এদিন হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে ভারত পেট্রোলিয়াম, ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক, ইন্ডিয়ান অয়েল, HDFC এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য সবথেকে বেশি পড়ে গিয়েছে। এই পাঁচটি সংস্থার শেয়ারের মূল্য কমেছে ৩.১৫ শতাংশ থেকে ৭.৯৩ শতাংশের মধ্যে।

এদিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময় আগের দিনের শেষ অঙ্কের তুলনায় ৩৩৫.০৬ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৩৭,৭৩৬.০৭ পয়েন্ট। এর মধ্যে HDFC, HDFC ব্যাংক এবং ICICI ব্যাংকের কারণে সূচক ২০০ পয়েন্টের বেশি হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ১০০.৭০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে নিফটি। দিনের শেষে সেটি দাঁড়িয়েছে ১১,১০২.১৫ পয়েন্ট।

বৃহস্পতিবার এক চূড়ান্ত অস্থিরতার সাক্ষী থাকল দালাল স্ট্রিট। পরপর দু'দিন বিশাল পতন দেখা দিল শেয়ার সূচকে। অর্থনৈতিক, শক্তি এবং ধাতু ক্ষেত্রের শেয়ার বিক্রির ধাক্কায় এ দিন সামগ্রিকভাবে বাজারে ধস নামে।এ দিন বেচাকেনা চলাকালীন শুরুর দিকে BSE সূচক সেনসেক্স বেড়ে ৩৮,৪১৩.৮১ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল; যা ছিল দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখান থেকে সূচক নামতে নামতে দুপুর নাগাদ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৭,৭০৬.২০ পয়েন্ট। একই ধরনের টালমাটাল অবস্থা জারি ছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (NSE)। গতকালের ১১,২০২.৮৫ পয়েন্ট থেকে এদিন বাজার খোলার পরে এক সময় সূচক নিফটি ১১,২৯৯ পয়েন্টের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকে শুরু হয় পতন। যার জেরে সূচক ১১,২০২.৮৫ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকেছিল; যা ছিল এ দিনের সর্বনিম্ন।

অন্যদিকে, NSE-তে সবথেকে বেশি লাভবানের তালিকায় আছে ডক্টর রেড্ডি'জ ল্যাব, সান ফার্মা, উইপ্রো, বেদান্ত এবং মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার নাম। এই পাঁচ সংস্থার শেয়ার দর ১.২১ শতাংশ থেকে ৪.৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতে আরও জাঁকিয়ে বসছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২,১২৩ জন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৮৩,৭৯২ জন। এর মধ্যে ৫,২৮,২৪২ জন চিকিত্‍‌সাধীন রয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০,২০,৫৮২ জন। সুস্থতার হার ৬৪.৪ শতাংশ। এদিকে, ২৪ ঘণ্টার করোনায় আরও ৭৭৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৯৬৮।

ভারতের পাশাপাশি এদিন এশিয়ার শেয়ার বাজারেও নেতিবাচক মনোভাব দেখা গিয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। লেনদেনের দ্বিতীয়ার্ধে জাপান, চিন এবং হংকংয়ের বাজারে সূচক ছিল নিম্নমুখী। ব্যতিক্রম হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার KOSPI সূচক বেড়ে ০.১৭ শতাংশ।
ফের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হতে চলেছে তারাপীঠে মা তারার মন্দির। ১ অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মা তারার মন্দিরে পুণ্যার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না।
 বীরভূম জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।

বৃহস্পতিবার মা তারা সেবাইত সংঘের বৈঠকে ভক্তদের জন্য মন্দির বন্ধের  সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। লকডাউন উঠে যাওয়ার প্রায় তিন মাস পর তারাপিঠের মা তারার মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্যানিটাইজার টানেল বসিয়ে ও নিদিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূণ্যার্থীদের মা তারার মন্দিরে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।যদিও এই সময়ের মধ্যে গর্ভগৃহের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
কিন্তু এক মাস পর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মা তারার মন্দির ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১লা আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বীরভূম জেলায় দিনের পর দিন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের বৈঠক করে কবে পুণ্যার্থীদের জন্য মাতারা র  দরজা কবে খুলে দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।যদিও মন্দির বন্ধ থাকলে এই সময় নিত্যপুজো চালু থাকবে।

গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা ৷ প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন বিপুল সংখ্যায় মানুষ ৷ মৃত্যুও হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের ৷ প্রথম থেকেই মানুষের মনে একটা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে ৷ সেটা হল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি কী ভাবে ৷ চিন থেকে ভাইরাসটি প্রথম ছড়ালেও সেটা কী ভাবে ঘটল, তা জানতে আগ্রহী প্রত্যেকেই ৷
সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আমেরিকার পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন বাদুড়ের দেহেই করোনার জীবাণু রয়েছে ৷ 
তাঁদের দাবি, গত কয়েক দশক ধরেই করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করে চলেছে হর্সশু নামের এক বিশেষ প্রজাতির বাদুড় ৷গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিড ভাইরাস প্রথমে বাদুড়ের দেহে বাসা বেঁধেছে ৷ তারপর সেখান থেকে ছড়িয়েছে মানুষের শরীরে ৷ বিজ্ঞানীদের মতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার যেমন গুরুত্বপূর্ণ ৷ তেমনি ভাইরাসের উৎসস্থল খুঁজে বের করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ নাহলে এই মারণ ভাইরাসকে আটকানো কঠিন ৷
কলকাতা শহরে কিছুতেই বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে। পুরসভা সূত্রে খবর, দৈনিক শহরে ৮০০ থেকে ১০০০ জনের এই পরীক্ষা করানো হবে। যা এদিনই শুরু হল চেতলা থেকে। প্রতিটি বরোতেই এই টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষত জনবহুল এলাকা, বাজার, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড গুলিতে এই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে জানা গিয়েছে। এই ধরণের টেস্টের ক্ষেত্রে একসঙ্গে দশজনের পরীক্ষা করা সম্ভব। আর পরীক্ষার ফলও জানা যায় ৪০ মিনিটের মধ্যে।

এদিন চেতলার ওই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। নিজের এলাকার এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে থাকেননি ফিরহাদ। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। পালস অক্সিমিটারে বেশ কয়েকজনের শরীরে অক্সিজেন প্রবাহের পরিমাণ চেক করেন তিনি নিজেও। এদিন ৫০ জনের মধ্যে ১০ জনের রিপোর্ট যে পজিটিভ এসেছে, তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। কলকাতায় ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় শুরু হল র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলায় ৫০ জনের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। এই টেস্টের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আধঘণ্টা-৪০ মিনিটের মধ্যেই ফল জানা যায়। চেতলায় যে ৫০ জনের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়, তার মধ্যে ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জানা গিয়েছে। যা রীতিমতো আশঙ্কার।

উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় আরটিপিসিআর টেস্ট বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায় দু-তিনদিন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা, তার একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। ধীরেধীরে সেই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আপাতত দৈনিক ১০০০ টেস্টের চিন্তাভাবনা করেছে পুরসভা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উপসর্গ ছাড়াই বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের থেকেও আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যরা। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, বাংলাজুড়েই যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে, তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার পরপরই কলকাতায় শুরু হল টেস্ট। এদিন একই সঙ্গে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও করা হয় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।

উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় আরটিপিসিআর টেস্ট বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায় দু-তিনদিন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা, তার একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। ধীরেধীরে সেই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আপাতত দৈনিক ১০০০ টেস্টের চিন্তাভাবনা করেছে পুরসভা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এই নিয়ে তৃতীয়বার আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে ৩১ মার্চের নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এর পরে ফের তা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময়সীমা দু’মাস বাড়াল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)। ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের রিটার্ন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা।

বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমান তাঁর সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, ‘‘কোভিড অতিমারির কারণে করদাতাদের স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের জন্য (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০১৯-’২০) আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময়সীমা ৩১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।’’ আয়কর দফতরের তরফে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

ফের বিনোদন আর ক্রিকেটের গাঁটছড়া। সার্বিয়ান মডেল-অভিনেত্রী নাতাসা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে বাগদান সেরে নতুন বছরের প্রথম দিনই চমক দিলেন ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্য।
পতৌদি-শর্মিলা, আজহার-সঙ্গীতা, হরভজন-গীতা, যুবরাজ-হ্যাজেল, জাহির-সাগরিকা, কোহালি-অনুষ্কাদের ধারা মেনে আরও একটি জুটি পেতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট। বুধবার ইনস্টাগ্রামে বান্ধবীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন হার্দিক। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নাতাসা বাঁ হাত তুলে দেখাচ্ছেন আংটি। সেই ছবি পোস্ট করে হার্দিক লিখেছেন, ‘‘ম্যায় তেরা, তু মেরি জানে, সারা হিন্দুস্তান। এনগেজড।’’
১৯৮৯ সালের ৪ মার্চ সার্বিয়ার পোজারেভাক শহরে নাতাসার জন্ম। সার্বিয়ার বেলগ্রেড শহরে ব্যালে হাই স্কুলে তাঁর পড়াশোনা। হাই স্কুলের পরে তিনি মন দেন অভিনয়ের কেরিয়ারেই। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ ও গানও নাতাসার শখের জায়গা।
২০১২ সালে নাতাসা ভারতে চলে আসেন কেরিয়ারের খোঁজে। প্রথমে মডেলিং দিয়ে শুরু। ফিলিপস, ক্যাডবেরি, টেটলি, জনসন অ্যান্ড জনসন-সহ বহু ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনী মুখ ছিলেন তিনি।
এক বছরের মধ্যেই সুযোগ সিনেমায়। প্রকাশ ঝা-র পরিচালনায় ‘সত্যাগ্রহ’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। ‘আইয়ো জি’ নাচে তাঁকে দেখা যায় অজয় দেবগণের সঙ্গে।
দু’বছর পরে প্রচারের আলোয় আসেন নাতাসা। সে বছর তিনি অংশ নেন বিগ বস-এ। পাশাপাশি, বাদশার মিউজিক ভিডিয়ো ‘বন্দুক’-এ অভিনয় করেন। বাদশার গান ‘ডি জে ওয়ালে বাবু’ নাতাসাকে পরিচিতি দেয়।
ক্রমশ বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। হিন্দির পাশাপাশি কাজ করেছেন দক্ষিণী ছবিতেও। ‘অ্যাকশন জাকসন’ ছবিতে অভিনয় করেন। পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অ্যাকশন দৃশ্যেও সাবলীল অভিনয় করেন ‘সেভেন আওয়ার্স টু গো’ ছবিতে।
তবে অভিনয়ের থেকে বলিউডে তাঁর পরিচিতি বেশি আইটেম গার্ল হিসেবেই। নাতাসা ক্যামিও চরিত্রে শাহরুখ-ক্যাটরিনার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ‘জিরো’ ছবিতেও।
এ ছাড়়া নাতাসার ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য হল ‘ফুকরে রিটার্নস’, ‘ড্যাডি’, ‘ঝুটা কহিঁ কা’, ‘ইয়ারাম’ এবং ‘দ্য বডি’। ‘নাচ বালিয়ে’-এর নবম সিরিজেও অংশ নেবেন নাতাসা।
ইদানীং ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি নাতাসাই জীবনসঙ্গী হতে চলেছেন হার্দিকের?
হার্দিকের জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে বিরাট একটি বার্তা দিয়েছিলেন নাতাসা। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘তুমি আমার সেরা বন্ধু, সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুন্দর সঙ্গী। এই বছরটায় অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে তোমাকে। অনেক ভাল মুহূর্ত যেমন এসেছে, তেমনই কিছু বিষয় আদৌ কাঙ্ক্ষিত ছিল না। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তোমাকে আরও শক্তিশালী করেছে। তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত। নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলো। তোমার পাশে আমি রয়েছি।”
তার পরেই ছবিটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। বুধবার সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন স্বয়ং হার্দিক। দুবাইয়ে বাগদানের পরে সে খবর জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চোটের জন্য আপাতত ক্রিকেটের বাইরে হার্দিক। সামনেই রয়েছে ভারতীয় দলের নিউজিল্যান্ড সফর। আশা করা হচ্ছে সেই সফরের আগে ভারত এ দলের হয়ে দলে ফিরবেন হার্দিক।
তবে এটাই হার্দিকের প্রথম সম্পর্ক নয়। এর আগে মডেল লিশা শর্মা এবং অভিনেত্রী এলি আব্রামের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে শোনা যায়। টক শো ‘কফি উইথ কর্ণ’-তে মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে নির্বাসনের কোপেও পড়েছিলেন তিনি।
অনুরাগীদের আশা, ব্যক্তিগত জীবনে নতুন ইনিংসের সঙ্গে কেরিয়ারেও ঘুরে দাঁড়াবেন অলরাউন্ডার হার্দিক। (ছবি: ফেসবুক)


#মুম্বই: সুখবরটা যে খুব তাড়াতাড়ি আসছে ৷ তা কয়েক মাস আগেই শেয়ার করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ৷ লকডাউনের মধ্যেই বিয়েটাও সেরে ফেলেছিলেন বান্ধবী নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে ৷ আর সেদিনই জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ৷  বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই সুখবরটা এল মুম্বইয়ের পান্ডিয়া পরিবারের তরফ থেকে ৷ বাবা হলেন হার্দিক ৷ পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী নাতাশা ৷ ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে সুখবরটা নিজেই জানান হার্দিক ৷
হার্দিক জানিয়েছেন, মা ও ছেলে দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের হাতে হাত রেখে ছবি পোস্ট করে জীবনের সেরা মুহূর্ত শেয়ার করলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। এর আগে গত ৩১ মে হার্দিক-নাতাশা জুটি তাঁদের সন্তান আসার সুখবর দিয়েছিলেন। সবাইকে অবাক করেই করোনার মাঝে ঘরোয়া রীতি মেনে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এই হট কাপল। নিজেদের বিয়ে নিয়ে সেভাবে কোনও প্রচারই করেননি হার্দিক ও নাতাশা ৷ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় হার্দিককে নিয়ে শুধু কিছু ফটোশ্যুট করেছিলেন নাতাশা ৷ সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালমতোই ছড়িয়ে পড়ে ৷
নিউ ইয়ারের দিন দুবাইয়ে সমুদ্রের মাঝে লাক্সারি ইয়ট ভাড়া করে নাতাশাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন হার্দিক। শেষপর্যন্ত করোনার জেরে লকডাউনে তাঁদের বিয়েটা হয়তো খুব ধুমধাম করে হয়নি ৷ বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান হওয়ার সুখবর দেন হার্দিক ৷

মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয় ৷ রাগের মাথায় ছুরি দিয়ে স্ত্রী-র গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে নাগারজু ৷ 
৩০ বছর বয়সেই ৯ বার বিয়ে করা হয়ে গিয়েছিল মহিলার ৷ কিন্তু তাতেও শান্তি ছিল না সংসারে ৷ শেষপর্যন্ত নিজের নবম স্বামীর হাতেই খুন হতে হল স্ত্রী-কে ৷ 
সংবাদপত্র ‘দ্য হানস ইন্ডিয়া’-র খবর অনুযায়ী হায়দরাবাদের পাহাড়ি শরিফ পুলিশ স্টেশন এলাকার ঘটনা ৷ স্ত্রী-এর অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৷ এমনটা জানতে পেরেই স্ত্রী-কে খুন করার পরিকল্পনা করেন স্বামী ৷ অভিযুক্তের নাম নাগারাজু বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ কুর্নুল জেলার জলপল্লির বাসিন্দা ৷ থাকত শ্রীরামা কলোনিতে ৷ ক্যাব ড্রাইভার হিসেবেই কাজ করত তিনি ৷ 
ভারালক্ষ্মীর সঙ্গে নাগারাজুর পরিচয় হয়ে কাটেডান শিল্পাঞ্চলের একটি পেট্রোল বাঙ্কে কাজ করার সময় ৷ সেখানেই প্রেম ৷ তারপর দু’জনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ দু’বছর আগেই নিজের আগের স্বামী এবং ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে নাগারাজুকে বিয়ে করেন ভারালক্ষ্মী ৷ কিন্তু নতুন সংসারেও মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি ৷ নাগারাজুর সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই থাকত বলে জানা গিয়েছে ৷ এরপর একাধিক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেলামেশা চলতে থাকে বলে অভিযোগ ৷ যা করতে স্ত্রী ভারালক্ষ্মীকে অনেকবার বারণও করেছিল নাগারাজু ৷ কিন্তু তিনি তা শোনেননি ৷
শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয় ৷ রাগের মাথায় ছুরি দিয়ে স্ত্রী-র গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে নাগারাজু ৷ এরপর নিজে গিয়েই পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করে সে ৷

হঠাত করে কেন আত্মহত্যা করলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মাত্র ৩২ বছরে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন জনপ্রিয় মারাঠি অভিনেতা আশুতোষ বাকরে। বুধবার মহারাষ্ট্রের নানদেড়ের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন আশুতোষ।

পুলিস ইন্সপেক্টর অনন্ত নারুথে জানান, বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আশুতোষ বাকরের মৃত্যুর খবর আসে। নিয়ম মেনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আশুতোষের বাবার সঙ্গেও বলা হয়েছে কথা। তবে আত্মহত্যার জন্য ওই মারাঠি অভিনেতা কাউকে দায়ি করেননি। ফলে সমস্ত দিক পুলিস খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে খবর।

তবে বেশ কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন আশুতোষ। অবসাদের জেরেই কি নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মারাঠি অভিনেতা! তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে অবসাদের জেরে আশুতোষ কোনও চিকিতসকের পরামর্শ নিচ্ছিলেন কি না কিংবা ওষুধ খাচ্ছিলেন কি না, সে বিষয়েও জানা যায়নি কিছু। পাশাপাশি আশুতোষের অভিনেত্রী স্ত্রী ময়ূরী দেশমুখও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

জ্বর নেই, কিন্তু শুধুমাত্র কনজাংটিভাইটিস রয়েছে, শরীরে ক্লান্তি— এমন উপসর্গের রোগীরও করোনা পজিটিভ এসেছে, জানালেন মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। তিনি বলেন, “জ্বর নেই, কিন্তু করোনা পজিটিভ এমন অনেক রোগীই আসছেন। এঁদের অনেকের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনও হতে পারে, কারও দু’এক দিন গা হাত-পা ব্যথা ছিল, তিনি করোনা পজিটিভ। নিজে থেকেই সেরে গিয়েছে।” আর এই বিষয়টাই আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।

ইদানিং জ্বর মানেই একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আমাদের মনে। করোনা উপসর্গের অন্যতম হিসাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে জ্বরকেই। বহু জায়গায় থার্মাল গানের মাধ্যমে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। জ্বর নেই মানে করোনাও নেই, অনেক ক্ষেত্রেই ধরে নেওয়া হচ্ছে এমন। কিন্তু আদৌ কি তাই? দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের একটি রিপোর্ট ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই রিপোর্ট কিন্তু বলছে অন্য কথা। সেখানে বলা হয়েছে, ৪৪ শতাংশ করোনা আক্রান্তই জ্বরের উপসর্গহীন। ৩৪.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে সর্দি-কাশি-কফের সমস্যা রয়েছে। মাত্র ১৭.৪ শতাংশের ক্ষেত্রে জ্বর ছিল করোনা আক্রান্তের। এ বিষয়ে শহরের চিকিৎসকরা কী বলছেন? কারা আক্রান্ত হচ্ছেন? কেমন রোগী আসছেন তাঁদের কাছে?

“প্রায় উপসর্গহীন যাঁরা আসছেন, কিন্তু কোথাও যেন শরীর দুর্বল লাগছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে। তবে জ্বর থাকছে না অনেকেরই। কারও হয়ত সামান্য সর্দি-কাশি বা গলায় ব্যথা ছিল। কারও ক্ষেত্রে হয়তো ঝিমুনি ভাব। এগুলিকে আটিপিক্যাল উপসর্গ বলা যেতে পারে, কিন্তু অবহেলা করা ঠিক হবে না”, এমনটাই মত মেডিসিনের চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের।

কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মঙ্গলবার যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৩৪। প্রথম থেকেই জ্বরের সঙ্গে করোনার সম্পর্কের উপরই জোর দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু জ্বর দেখেই কি করোনা বলা যায়? শহরের চিকিৎসকদের কাছে যে সমস্ত রোগী আসছেন, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই কি জ্বর ছিল? তাপমাত্রা মেপে জ্বর না থাকলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটা আত্মবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছে। আর এখানেই সাবধান করছেন চিকিৎসকরা।

 রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সময় থেকেই বেলেঘাটা আইডি অগ্রগণ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। প্রথম থেকেই করোনা সন্দেহে রোগীদের ভর্তি, বিদেশ ফেরতদের পরীক্ষা নিরীক্ষা, অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষের শারীরিক পরীক্ষা-সহ যাবতীয় করোনা সম্পর্কিত কার্যকলাপ এখানেই হচ্ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে থাবা বসালেও, কাবু করতে পারেনি করোনা চিকিৎসার আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত বেলেঘাটা আইডিকে। হাসপাতালে কর্তব্যরত কেউ প্রথমদিকে করোনা আক্রান্ত না হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে ছিল কর্তৃপক্ষ।

তবে এপ্রিলের শুরুর দিকে  দুই সাফাইকর্মী প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝি আইডি হাসপাতালের কর্মী আবাসনের সাত জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুটা আতঙ্ক দানা বাঁধে। তারপরও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল।

বুধবার সেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল জুড়েই তীব্র আতঙ্ক। মঙ্গলবার আইডি হাসপাতালের ৩০ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়। বুধবার রিপোর্ট আসলে দেখা যায় এর মধ্যে ২৫ জনই করোনা পজিটিভ। ১৬ জন নার্স, ফার্মাসিস্ট, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, ওয়ার্ড বয়, নিরাপত্তারক্ষী-সহ একসাথে ২৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদের পরিবারেও বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত।

এদিকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ১১৫টি করোনা বেড থাকায় আক্রান্ত সবাইকে ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিক্ষোভ দেখায় আক্রান্তরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আক্রান্ত অনেকেরই বক্তব্য, পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সবাই আইডি হাসপাতালে যদি ভর্তি না হতে পারেন, তবে কেন  এতো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করবেন তাঁরা!

তবে একসঙ্গে ১৬ জন নার্স আক্রান্ত হওয়ার পরেও পরিষেবায় কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ আশিষ কুমার মান্না। তাঁর মতে, হাসপাতালের যা পরিকাঠামো, তাতে কোনও কর্মীর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রোগী পরিষেবা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

কতটা বদলাল স্নাতক পড়ার ধরনধারণ, জানুন-

কলেজ মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া মানেই আর শিক্ষায় জলাঞ্জলি নয়। যতটুকু পড়া হয়েছে তার ভিত্তিতেই মিলবে শংসাপত্র। চার বছর পড়ার চারটি ধাপ, যথা সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা, ডিগ্রি ও অনার্স।

পড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েও কেউ নতুন করে শুরু করতে চাইলে, আগের ধাপগুলি পড়ার দরকার নেই। প্রথম বর্ষ আগে পড়া থাকলে শুরু করা যেতে পারে দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই।
এমফিলের কোনও গুরুত্বই থাকছে না। চাকরিমুখী পড়াশোনা হলে তিন বছরের ডিগ্রিই যথেষ্ট। স্নাতকোত্তর হবে১/২ বছরের। তারপর সরাসরি পিএইচডির সুযোগ।

উচ্চশিক্ষায় নিয়ামক সংস্থা হবে একটিই। আলাদা করে ইউজিসি-র কোনও গুরুত্ব থাকবে না। উৎকর্ষের ভিত্তিতে সায়ত্ত্বশাসন পেতে পারে কলেজগুলি।
দিঘায় উঠল বিশাল ৭৮০ কিলোর চিলশঙ্কর মাছ। প্রজাতিটি দুর্লভ বলে জানাচ্ছেন মত্স্য বিশেষজ্ঞরা। এই মাছটি দেখতে অনেকটা উড়ো জাহাজের মতো।
দিঘা মোহনায় এই বিশাল আকারের চিলশঙ্কর মাছ ওঠায় মৎসজীবীদের মধ্যে হুল্লোড় পড়ে গিয়েছে। ওজন প্রায় ৭৮০ কিলো হলেও বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
এইদিন বিশাল আকারের চিলশঙ্কর মাছ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষ ও বেশ কয়েকজন পর্যটক। উৎসুক পর্যটক আবার ছবিও তোলেন।
*রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬৫ হাজার ছাড়াল, মৃত দেড় হাজার ছুঁইছুঁই।
*রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৬৫ হাজার ২৫৮।
*রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত মোট ১,৪৯০ জন।
*তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। দিন কয়েক আগেই ২৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল রাজ্যের একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমল। বুধবারের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,২৯৪ জন।
*রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৪১।
*রাজ্যে করোনার সঙ্গে লড়ে সুস্থ মোট ৪৪,১১৬ জন।
*গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,০৯৪ জন।
*রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৬৭.৬০%
*কলকাতায় একদিনে করোনায় মৃত ১৭। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে  ৯ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
*এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার হটস্পট কলকাতা। শেষ ২৪ ঘণ্টাতেই শহরে আক্রান্ত হয়েছেন হয়েছেন ৬৬৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৪।
পৃথিবীর তাবড় ব্যবসায়িক বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা যে শুধু শুধু এত হাজার হাজার কোটি বিনিয়োগ করছেন না তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এল ভার্জিন গ্যালাক্টিকের আধুনিকতম নকশার স্পেসক্রাফটের যাত্রীদের আসনের ছবি। আর এই ছবি যে মহাকাশে বাণিজ্যিক প্রমোদভ্রমণের ইতিহাসে বড় ল্যান্ডমার্ক হয়ে থেকে যাবে, তা বলাই যায়।
তবে আজ নয়, এ বিশয়ে প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এগোচ্ছে ভার্জিন গ্যালাক্টিক। প্রথম বড় ব্যাঘাত আসে ২০১৪ সালে টেস্ট ফ্লাইটের সময়ে একটি যান ভেঙে পড়ে পাইলটের মৃত্যুতে। এর পর নতুন করে আরও উন্নত ও নিরাপদ করে নকশা করা হয় স্পেসক্রাফটের। অবশেষে ৬ বছর পর সফলভাবে বাস্তবায়িত হল সেই নকশা।

টিকিটের দাম প্রায় ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। আপাতদৃষ্টিতে এই অঙ্ক বিশাল মনে হলেও এর পেছনে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তার তুলনায় এটি নামমাত্রই বলা যায়।
একটি লিফট এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট উচ্চতা (৪৫,০০০ ফিট) পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে যানটিকে। এরপর সেখানে আলাদা হয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৮ মাইল উচ্চতায় চলে যাবে যানটি। সেখান থেকে মহাকাশের অনুভূতি পাবেন যাত্রীরা।
ঘরে ঘরে পেঁপে অত্যন্ত উপকারী সব্জি ও ফল হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে ৷ এক নয় হাজার হাজার গুণ পেঁপের ৷
শুধুই সব্জি বা ফল হিসাবেই নয়, পেঁপের অনেক ভেষজ গুণও আছে ৷
প্রতিদিন পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে একসঙ্গে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব ৷ পাকা হোক বা কাঁচা পেঁপে কম বেশি সবারই খেতে ভাললাগে ৷
নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বড় বড় রোগ থেকে জয়লাভ করা সম্ভব হয়ে থাকে ৷
করোনা রুখে দিতে পারে কাঁঠাল! এমনই একটি দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ তারপরেই রাতারাতি কাঁঠালের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে৷ বিশেষ করে অসমে বিভিন্ন এলাকায় বাজার থেকে উধাও কাঁঠাল৷
একই সঙ্গে বিপুল চাহিদা বেড়ে গিয়েছে কাঁঠালের বীজেরও৷ অ্যামাজনে কাঁঠালের বীজ এক একটি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ তাও আবার ৪৭ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়ার পরে৷
আসলে কাঁঠাল ও কাঁঠালের বীজ-- দুটিই শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী৷ একেবারে ভিটামিন, মিনারেলে ঠাসা৷ পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান রয়েছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়৷
কাঁঠালে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিন সহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান৷ আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ সামান্য। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপে উপশম করে। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে করে ভিটামিন সি৷ দাঁতের মাড়িকেও শক্তিশালী করে৷
হংকংয়ের চিকিৎসক, মাইক্রোবায়োলজিস্ট কোক ইয়ুং ইউয়েনের (Kwok-Yong Yuen) দাবি, উহানের বন্য প্রাণীর বাজার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য রাতারাতি লোপাট করে দিয়েছে চিন। অথচ এই বাজারকেই করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উৎসস্থল বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে চিন, বার বার এমন অভিযোগে সরব হয়েছে আমেরিকা। তবে বার বারই সেই অভিযোগ অস্বিকার করেছে চিন। তবে এ বার চিনের বিরুদ্ধে করোনার তথ্য, প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগে সরব হলেন সে দেশেরই এক চিকিৎসক!
কোক ইয়ুং ইউয়েনের আগে হংকংয়ের (Hong Kong) ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ লি মেং ইয়ান (Dr. Li-Meng Yan) চিনা সরকারের বিরুদ্ধে করোনার তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগে সরব হন। তাঁর অভিযোগ, অনেক আগে থেকেই করোনা সম্পর্কে জানত চিনের সরকার। কিন্তু ইচ্ছে করেই তা প্রকাশ্যে আনেনি তাঁরা।

কোক ইয়ুং ইউয়েনের দাবি, উহান প্রদেশে সে সময় যা কিছু ঘটেছিল, সে সব তথ্য, প্রমাণ একেবারে ধামাচাপা দিতে চাইছে প্রশাসন। ওখানকার স্থানীয় সরকারি আধিকারিকদেরও সে ভাবে কিছুই বলতে দেওয়া হচ্ছে না।

হংকংয়ের (Hong Kong) ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ লি মেং ইয়ান জানান, ৩১ ডিসেম্বর তিনি জানতে পারেন যে, করোনা মানুষের থেকেই ছড়ায়। তাঁর অভিযোগ, শুধু চিনা সরকারই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ মালিক পেইরিসও (Malik Peiris) করোনার ভয়াবহতার বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু সব জেনেও মুখ বন্ধ রাখেন তিনিও।

ভারতে ইজরায়েলের দূত রন মালকা জানান, এই র‌্যাপিড টেস্ট কিট তৈরির প্রকল্পে ভারতের বিজ্ঞানী কে বিজয় রাঘবন এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবেন ইজরায়েলের গবেষকরা। একটি বিশেষ বিমানে চড়ে তেল আভিভ থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন ইজরায়েলের গবেষকদল। এই র‌্যাপিড টেস্ট কিট হাতে পেলে খুব শীঘ্রই করোনার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গতি আনা সম্ভব হবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৭৮ জনের। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রতিদিনই ৪৫-৪৬ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তকে দ্রুত শনাক্ত করা এবং তাঁর চিকিৎসা শুরু করাটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই করোনা পরীক্ষার ফলাফলের প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে র‌্যাপিড টেস্ট কিট বানাচ্ছে ভারত-ইজরায়েল।

দু’দেশের বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে একটি অত্যাধুনিক র‌্যাপিড টেস্ট কিট। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই টেস্ট কিটের সাহায্যে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই মিলবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল। এ প্রসঙ্গে একটি টুইট বার্তায় ইজরায়েলের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই র‌্যাপিড টেস্ট কিট ভারত ও ইজরায়েলের বাজারে চলে আসবে।

বাঙালি শিল্পোদ্যোগী হিসেবেই শুধু নন, শঙ্কর সেন সারা ভারতের গয়নাশিল্পে ছিলেন পরিচিত মুখ। নয়ের দশকে বাবার তিনটি ছোট সোনার দোকান থেকে ব্যবসার হাল ধরেছিলেন শঙ্কর সেন। সেখান থেকে সেনকো গোল্ডের বাৎসরিক টার্নওভার এখন আকাশছোঁয়া। দেশের একশোটিরও বেশি ব্রাঞ্চ রয়েছে সেনকো গোল্ডের। সারা দেশের ১৪টি রাজ্যে বিস্তৃত সেনকোর ব্যবসা। সংস্থার প্রধান মানুষটাই এভাবে আকস্মিক চলে যাওয়ায় বিপর্যস্ত সেনকো গোল্ডের কর্মীরা। দেশের স্বর্ণ ব্যবসায় শঙ্কর সেনের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের প্রশংসা করতেন অনেক বড় শিল্পপতিরাও। সেই তিনিই বিদায় নিলেন মারণ ভাইরাসের কারণে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সেনকো গোল্ডের কর্ণধার শঙ্কর সেনের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে টানা দশদিন তিনি ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার সকালে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর।

করোনা মহামারীর বিরুদ্ধেও শঙ্কর সেনের নেতৃত্বে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল সেনকো গোল্ড। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের সম্মানিত করেছিল সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক্তার, নার্সদের অবদানকে কুর্নিশ জানাতেই তাঁদের সম্মানিত করেছিল সেনকো।

এবার করোনা কে়ড়ে নিল সেনকো কর্ণধারের প্রাণ। স্বাভাবিক কারণেই শোকের ছায়া রাজ্যের শিল্প মহলে। শোকে আচ্ছন্ন সংস্থার অগণিত কর্মী-সদস্যরা।

সম্প্রতি আরেক বাঙালি শিল্পোদ্যোগী অর্ণব বসুও প্রয়াত হয়েছেন। তবে তিনি করোনায় নয়, মারা যান ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে। অর্ণব বাবু রাজ্যের জনপ্রিয় কেক-পেস্ট্রির রিটেল চেন, মিও আমোরের ( mio amore) কর্ণধার ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। বেশ কিছুদিন যাবৎ ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। গত ৩ জুলাই তিনি শেষনিঃস্বাস ত্যাগ করেন।

চলতি মাসেই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা অবিরত কাজ করে চলেছেন, তাঁদের প্রশংসা করা হয়। অনুষ্ঠানে সেনকো গোল্ড এবং ডায়মন্ডসের তরফে করোনাযোদ্ধাদের হাতে বিশেষ নকশা করা রুপোর মুদ্রা তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনাও ছিল শঙ্কর সেনের।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সপ্তাহে দু দিন লকডাউনের পথেই আপাতত অবিচল থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সপ্তাহে দু'দিনের যে তালিকা দেন, রাতের মধ্যেই অবশ্য তা কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো, অগস্ট মাসে লকডাউন হওয়ার কথা ছিল ২ ও ৫ অগস্ট, ৮ ও ৯ অগস্ট, ১৬ ও ১৭ অগস্ট, ২২ ও ২৩ অগস্ট এবং ২৯ ও ৩০ অগস্ট।

কিন্তু এদিন রাতেই ট্যুইট করে রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ধার্মিক অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে, সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২ ও ৯ অগস্ট হচ্ছে না লকডাউন। বাকি দিনগুলি অপরিবর্তীত থাকছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, স্কুল-কলেজ খোলার এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট ভাবনা নেওয়া হয়নি। তবে, অগস্ট মাসে লকডাউনের কারণে যদি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তাহলে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ, শিক্ষক দিবসের দিন থেকে থেকে পুজো পর্যন্ত নিয়ম মেনে একদিন অন্তর স্কুল কলেজ খোলার কথা বিবেচনা করা হবে। কিন্তু সে বিষয় নির্ভর করবে করোনার পরিস্থিতির উপর।

সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের একটি মানবিক সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কেউ মারা গেলে এবার থেকে সেই ব্যক্তির আর কোভিড পরীক্ষা করার দরকার নেই। আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা মেনে মৃতের পরিবারকে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। ফলে মৃতদেহ নিয়ে রাজ্যের মানুষের হয়রানি অনেকেটাই কমবে এতে।

নতুন করে লকডাউনের ঘোষণার মধ্যেই অবশ্য কিছুটা আশার আলো রাজ্যের করোনা রিপোর্টে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য দেওয়া বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩৪ জন। তবে, অত্যন্ত আশার খবর হল এই সময়ের মধ্যে সেরেও উঠেছেন ২১০৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৬২,৯৬৪, সেখানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৯,৪৯৩। অর্থাৎ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২,০২২ জন। রিকভারি রেট ৬৬.৭৪%।

তবে, চিন্তা থেকে যাচ্ছে মৃত্যু নিয়ে। নতুন করে মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের আরও ৩৮ জন মানুষের প্রাণ। ফলে বাংলায় মোট করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৪৯। এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।
করোনা সংক্রামটাই সব হিসেবে উলটে দিল রায়গঞ্জের প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার প্রসেজিৎ সাহার। করোনা আবহের কারণে ত্রিপুরা থেকে সন্তোষ ট্রফি টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন  না প্রসেনজিৎ। ছেলে বড় প্রযোগিতা অংশ নিতে না পারার অবিভাবকদেরও মন খারাপ।

ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলাকে ভালোবেসেছিল রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব কলেজ বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা। আর্জেটিনার তারকা ফুটবলার মেসিকে গুরু মানেন। পঞ্চম শ্রেণিতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা সংস্থার প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ তাঁর।

২০১৪ সালে আন্ত জেলা জুনিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার হিসেবে চিহ্নিত হয়।ওই বছরই রাজ্য স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হয় রায়গঞ্জ হাঁতিয়া হাইস্কুল।সেখানে প্রসেনজিতের খেলা সকলের নজরে পড়েছিল।২০১৫ সালে অনুর্দ্ধ ১৯ বাংলা ফুটবল দল কর্ণাটকে যায়।সেই দলে প্রতিনিধিত্ব করেছিল প্রসেনজিৎ।

ওই বছরই প্রসেনজিৎ বর্ধমানে সাই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল।সাই ক্যাম্পে একবছর প্রশিক্ষন নেবার পরই ২০১৬ সালে জুনিয়ার আই লিগ খেলার সুযোগ পেয়ে যায়।দুই বছর জুনিয়ার খেলার পরই সে ২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে যায়।

২০১৯ সালে ত্রিপুরা টাউন ক্লাবের হয়ে প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয়। ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রসেনজিতের খেলা দেখে খুশি হয়ে তাকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে সন্তোষ ট্রফিতে খেলার জন্য মনোনীত করেছিল।

সন্তোষ ট্রফি মত বড় টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের অতিমারিতে প্রসেনজিতের সব স্বপ্ন ওলটপালট করে দিল।

উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলছিলেন, প্রসেনজিৎ জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রশিক্ষন শিবির থেকে বড় হয়েছে।আগাগোড়াই প্রসেনজিৎ একজন ভাল ফুটবলার।সন্তোষ ট্রফিতে সে সুযোগ পেলেই নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেত।দেশের বড়বড় ফুটবল দলে তাঁর জায়গা পাকা হত।

এদিন ভারতের আকাশসীমায় রাফাল ঢুকতেই নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা তাকে স্বাগত জানায়।
সব প্রতীক্ষার অবসান। অম্বালায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণ করল রাফাল যুদ্ধবিমান। এই পাঁচ যুদ্ধবিমানকে স্বাগত জানাতে অভিনব পন্থা নিল ভারতীয় বায়ুসেনা।
এদিন ভারতের আকাশসীমায় রাফাল ঢুকতেই নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা তাকে স্বাগত জানায়। বলা হয়, "ভারত মহাসাগরে আপনাকে স্বাগত। আপনার শৌর্য আকাশ ছুঁক। আবহাওয়া অনুকুল থাকুক।"
অপেক্ষা করছিল আরও চমক। রাফালকে স্বাগত জানতে আকাশসীমায় হাজির ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি সুখোই ৩০ বিমান।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে ট্যুইটারে সেই ছবি শেয়ার করে বলা হয়, "নিজের দেশে স্বাগত সোনালি তিরের ফলা"ছবি: ভারতীয় বায়ুসেনার ট্যুইটার থেকে নেওয়া।
রাফালটি ঘাটিতে প্রবেশ করার পর তার‌ ভিডিও পোস্ট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এ এক গৌরবজ্জ্বল দিন।