পূর্ব লাদাখের গালওয়ানের উত্তেজনা এখনও কমেনি। দুদেশের মধ্যে বৈঠকে এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দুই শিবির। কিন্তু শেষপর্যন্ত চিন তা মানবে কিন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিভিন্ন মহলে। এর মধ্যেই বড়সড় পদক্ষেপ নিল ভারত।
এদিকে, এরকম এক পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখে T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করল ভারত। এমনটাই জি নিউজ সূত্রে খবর। স্থলযুদ্ধে এই ট্যাঙ্ককে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক বলে মনে করা হয়।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে এ মাসের গোড়ার দিকেই T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়েছিল সেনা। কারণ আশঙ্কা ছিল চিন উত্তেজক পরিস্থিতি আরও খারাপ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি গালওয়ানে ২০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর যে কোনও চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল সরকার। লক্ষ্যনীয়ভাবে গতকালই লাদাখে গিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
এদিকে, সূত্রের খবর মে মাস থেকেই সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করছিল চিন। একইঙ্গে ভারত বারবারই বলে আসছিল, এলএসি থেকে একশো কিলোমিটার দূরে তিব্বতে একটি রানওয়ে তৈরি করছে চিন। পাশাপাশি সেখানে ফাইটার জেটও মোতায়েন করেছে।
অন্যদিকে, চিনের হাতে রয়েছে T-95 ট্যাঙ্ক। এই ট্য়াঙ্কের ক্ষমতা প্রায় T-90 ট্যাঙ্কের মতোই। ফলে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়লই বলা যায়।
জেনে নিন T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্কের ক্ষমতা :
১. ভারতের প্রধান ব্যাটল ট্যাঙ্ক এটি। অত্যন্ত শক্তিশালী।
২. রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রতিরোধী এই ট্যাঙ্ক।
৩. মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৮টি শেল ফায়ার করতে পারে এই ট্যাঙ্ক।
৪. প্রধান কামানের মাপ ১২৫ এমএম।
৫. ৬ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মিসাইল ছুঁড়তে পারে।
৬. দুনিয়ার সবচেয়ে হালকা ট্যাঙ্ক। ওজন ৪৮ টন।
৭. রাত ও দিন লড়াই করতে পারে।
৮. ১০০০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন রয়েছে এই ট্যাঙ্কে।
৯. মিসাইল প্রতিরোধ করতে পারে।
১০. ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।
১১. টানা ৫৫০ কিলোমিটার চলতে পারে।
১২. মনে করা হয় দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ট্যাঙ্ক এটি।
অন্যদিকে
◆● চিনের তুলনায় ভারতের হাতে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বেশি রয়েছে।
◆● ভারতের কাছে রয়েছে ৪২৯২টি ট্যাঙ্ক। চিনের ট্যাঙ্ক সংখ্যা ৩৫০০
Post A Comment:
0 comments so far,add yours