‘সেই পাখি নেই কেন! নেই....কেন সেই পাখি?’ পাখির মতোই ভরপুর প্রাণচঞ্চল সুশান্ত সিং রাজপুত মাত্র ৩৪-এ ‘নেই’। ৭৮-এর রাগী যুবক কী করে মেনে নেন মুখ বুজে? মানতে কষ্ট হচ্ছে বলেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখর। সুশান্তকে শ্রদ্ধা এবং অনেক আদর জানিয়েও মহীরুহের প্রশ্ন, ‘নেই কেন’?
তরুণ তুর্কির কথা মনে করতে গিয়ে বিগ বি-র লেখার প্রতি অক্ষর প্রশংসায় ধন্য। টুইটে তিনি জানান, ‘সুশান্ত যেমন পরিশীলিত অভিনেতা কথাবার্তায়ও ছিলেন পরিমিত। কোনও বুদ্ধিমান ব্যক্তিই সাধারণত বেশি কথা বলেন না। বরং অন্তদৃষ্টি দিয়ে সব কিছু দেখতে, বিচার করতে ভালবাসেন। সেই বুদ্ধিমত্তার ছাপ তাঁর প্রতি অভিনয়ে। একবার এমএস ধোনি-তে ছয় মাহীর মতো অবিকল ছয় মেরেছিলেন সুশান্ত। ‘কী ভাবে এত নিখুঁত শট দিয়েছ?’ জানতে চাইতেই বিনত উত্তর পেয়েছিলাম, ‘ধোনির ওই শটের ভিডিও ১০০ বারের বেশি চালিয়ে দেখেছিলাম। তাই তাঁর কাছাকাছি আসা সম্ভব হয়েছিল।’
অভিনয় যাঁর এতখানি প্যাশন, জীবনবোধে যিনি এতটাই উদ্দীপিত তাঁর ‘নেই’ হয়ে যাওয়া মানতে গিয়ে পাঁচবার ‘কেন’ শব্দ ব্যবহার করতে হয়েছে শাহেনশাকে। ৭৮ বছরের জীবনে তিনি অনেক ওঠাপড়া, না পারার সাক্ষী। তার পরেও যদি তিনি পারেন, তাহলে এই প্রজন্ম পারবে না কেন? কেন জিয়া খান, দিব্যা ভারতী, শ্রীদেবী, সুশান্ত সিং রাজপুত হয়ে তালিকা আরও দীর্ঘ হবে?
বচ্চনের সঙ্গে সহমত তাঁর বিপুল অনুরাগীর। তার মধ্যেও ব্যতিক্রম কিছু জন। তাঁরা সুশান্তের মৃত্যুর জন্য খোদ অভিনেতাকে দায়ী না করে দৃষ্টি ফেলতে বলেছেন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। যেখানে রোজই গনগনে গ্ল্যামার, ঝাঁ চকচকে দুনিয়া, আলোর ঝলকানির পেছনে রয়ে যায় চোখের জল, বুক ভাঙা দীর্ঘশ্বাস, ব্যর্থতার বেদনা, হতাশার গ্লানি। সেগুলো দেখেও না দেখা হয় বলেই সে সবের শিকার হয় সেলেবরা। যার নবতম সংযোজন সুশান্ত সিং রাজপুত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours