কঙ্গনা বলেন, ''সুশান্তের মৃত্যু আমার মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে কিছু ব্যক্তি যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করছেন, সুশান্ত মানসিকভাবে দুর্বল ছিল, ও অবসাদে ভুগছিল। যে ছেলে স্ট্যানফোর্ডের স্কলারশিপ পায়, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষায় র্যাঙ্ক করে, সেই ছেলে কি সত্যিই এত দুর্বল হতে পারে?''
কঙ্গনা আরও বলেন, ''সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যদি দেখেন, তাহলে বুঝবেন উনি সকলকে বারবার অনুরোধ করছিলেন, আমার ছবি দেখুন, ইন্ডিস্ট্রিতে আমার গডফাদার কেউ নেই। ছবি না চললে আমায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করে দেওয়া হবে। নিজের সাক্ষাৎকারেও বারবার একথা বলেছেন সুশান্ত। তাহলে কী বলবেন, এই ঘটনার পিছনে কিছু সত্যিই কিছু নেই? যে কাই পো চে-র মতো ছবি করে, ছিছোড়ের মতো ছবি করে, তাঁকে কেন কোনও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় না?''
এদিন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একাংশকে লক্ষ্য করে কঙ্গনা বলেন, তাঁর প্রতিও অবিচার হয়েছে। তিনি বলেন, ''ঠিক আছে আপনাদের কোনও ছবি দিতে হবে না, তবে আমরা যে ছবি করছি, তাঁর সম্মান কেন পাবো না? আমার ছবিইকে বহুবার ফ্লপ বলে ঘোষণা করা হয়েছ? কেন আমার বিরুদ্ধে ৬টা মামলা করা হল? আমায় জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা কেন করা হল? কিছু জায়গায় লেখা হচ্ছে, সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিলেন। অথচ সঞ্জয় দত্ত নেশাগ্রস্ত হলে সেটা তো আপনাদের বেশ ভালো লাগে! আমাকে কিছু লোকজন ম্যাসেজ পাঠান, সত্যিই তো তোমার খুব খারাপ সময় যাচ্ছে, ভুল পদক্ষেপ নিও না। কেন এসব বলেন? আমার মাথায় কেন আত্মহত্যার চিন্তা ঢোকানোর চেষ্টা চলছে?''
কঙ্গনার কথায়, ''এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। সুশান্তের এটাই ভুল ছিল যে, ও তাঁদের কথায় প্রভাবিত হয়েছে। যারা বলেছে তোমার দারা কিছু হবে না। ওরা এটাই চায়, ওরা একাই রাজত্ব করবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। আর সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত, নেশাগ্রস্ত ছিল, এটাই লেখা হবে। তাই আমাদের এটা ঠিক করতে হবে ইতিহাসকে কারা লিখবে?''
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় নেটিজেনরা প্রায় দুভাগে বিভক্ত। এর মধ্য়ে কিছু লোকজন মানসিক অবসাদ নিয়ে আলোচনা করতে ব্যস্ত। আবার কিছু লোকজন এই মৃত্যুতে 'বলিউড মাফিয়া'দের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। আর এই লড়াই কঙ্গনা দ্বিতীয় পক্ষটাই বেছে নিয়েছেন। সুশান্তের অকাল মৃত্যুতে বলিউডের স্বজনপোষণের বিরুদ্ধেই আরও একবার সরব হয়েছেন অভিনেত্রী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours