WEATHER

Top News


 দুই জেলাকে সামনে রেখে মিম ঘুঁটি সাজালেও নেতাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, বাংলা নিয়ে সব হোমওয়ার্ক সেরে ফেলেছেন তাঁরা। মিমের রাজ্য কমিটির সদস্য টনিক খান বলেন, "সব আসনে প্রার্থী দেব। বাঘের বিরুদ্ধে বাঘ হয়ে লড়াই করব।" এই আবহে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের কথা স্পষ্ট যে মাথাব্যাথা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েইসি।



রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের 'সর্বনাশ' করছে মিম!



অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। যাঁরা রাজনৈতিক চর্চা করেন, তাঁরা বাদ দিলে অনেক বাঙালি হয়ত এই রাজনৈতিক দলটার নামই জানেন না। অথচ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যে নামলেই বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ওরা। বাংলার ঘরে ঘরে ঢুকে সুখ-দুঃখের খবর নিচ্ছে নিজামের শহরের রাজনৈতিক দল। বাংলার ভোটের আগে কোন খেলা ঘোরাতে আসরে নামল মিম? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

ডালপালা ছড়াচ্ছে মিম



ই-সিগারেটে তৃণমূল সাংসদের সুখটান নিয়ে অভিযোগ দায়ের অনুরাগের, কীর্তি বললেন, 'অনেকে করেন..'
স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নামের সঙ্গে পরবর্তীতে জুড়ে যায় ‘অল ইন্ডিয়া’। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উপস্থিতি থাকলেও সাংসদের সংখ্যা এক। তবে সেই ২০০৪ থেকে পরপর পাঁচবারের লোকসভা ভোটে আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে হারাতে পারেনি কোনও দল। হায়দরাবাদের বাইরে দলের বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা ছিল না দীর্ঘদিন। তবে সময় বদলাচ্ছে। ক্রমশ ডালপালা ছড়াচ্ছে মিম। তেলঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে একেবারে বাংলার সীমান্তে।

সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসন জিতেছে ওয়েইসির দল। আমৌর, কোচাধামন, বাহাদুরগঞ্জ, জোকিহাট ও বাইসি। পূর্ণিয়া ও কিষাণগঞ্জের এই পাঁচ আসনে জয়ী হয়েছে মিম। ম্যাপটা ভাল করে দেখলেই বোঝা যাবে এই পূর্ণিয়া বা কিষাণগঞ্জের দূরত্ব বাংলার ইসলামপুর, রায়গঞ্জ বা কালিয়াগঞ্জের থেকে খুব একটা বেশি নয়। ২০১৫ য় একটা আসন দিয়ে যাত্রা শুরু করে মিমের পরপর দুবার পাঁচটি করে আসন পাওয়া চমকে দিয়েছে অনেককেই। পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস কিংবা প্রশান্ত কিশোরের দলকেও।

প্রশ্ন উঠেছে বিহারের সাফল্যের পরই কি ওয়েইসির লক্ষ্য বাংলা? না, চিত্রটা বলে দিচ্ছে, অনেক আগে থেকেই বাংলায় সংগঠন তৈরির চেষ্টা করছে মিম। একেবারে নীচুস্তর থেকে সংগঠন তৈরিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। তৈরি হচ্ছে বুথভিত্তিক সংগঠন।

কথা হয়েছিল একুশেও

একটু পিছনে ফিরে যাই। ২০২১। ভোটের মাস কয়েক আগে ফুরফুরা শরিফে এসে হাজির হয়েছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। কথা হয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে। সেই সময় ‘হায়দরাবাদের দলটা মুসলিম ভোট কাটবে’ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু সেবার বঙ্গের ভোটে বিশেষ দাঁত ফোটাতে পারেনি মিম। তলে তলে সংগঠন তৈরির কথা অবশ্য কান পাতলে শোনা যায়।

রাতের অন্ধকারে ঢুকছে মিম

২১-এ তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না মিমের। কোনও প্রভাবও পড়েনি। আর এবার? একেবারে নতুন রণকৌশল। রাতের অন্ধকার নামলেই পাড়ায় পাড়ায় হাজির হচ্ছে মিম। চায়ের দোকানে বেঞ্চ পেতে বসে যাচ্ছে, সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে বোঝানো হচ্ছে, কীভাবে তেজপাতার মতো তাদের ব্যবহার করছে তৃণমূল। মিমের সদস্যরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। বিশেষত ওয়াকফ আইন কার্যকর নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের। প্রথমে প্রতিবাদ করলেও কেন শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করে নোটিস দিলেন, সেই প্রশ্ন তুলছে মিম।

বাড়ছে যোগদানের বহর

মিম নেতৃত্বের কথায় কি কোনও কাজ হচ্ছে? সেটা সময় বলবে। তবে যোগদানের বহর যে বেড়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা এলাকা তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মীকে মিমে যোগদান করতে দেখা যায়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেয় স্থানীয় নেতৃত্ব। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ বিধানসভা এলাকাতেও দেখা যায় একই ছবি। সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকজন মিমে যোগদান করেন। মিমের জেলা সহ সভাপতি মহাম্মদ জালাল সরকার, ব্লক সভাপতি মাহাবুর মিয়া সহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। মালদহেও দেখা যাচ্ছে যোগদানের ছবি। শুধুমাত্র চাঁচলে ৩০০-র বেশি তৃণমূলকর্মী মিমে যোগ দান করেছেন। রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর মিলিয়ে হাজারের বেশি।

চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের?

কর্মী সংখ্যা বেশি না হলেও মিমের উপস্থিতি যে বেশ প্রকট, তা তৃণমূল সুপ্রিমোর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, “একটা নতুন মুসলিমদের দল এসেছে।” আর এই মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোট নিয়েই আশঙ্কায় শাসক দল।

বিহারের সীমাঞ্চলে মূলত মুসলিম অধ্যুষিত আসনগুলিতেই সাফল্য পেয়েছে মিম। কারণ ওয়েইসির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল, তিনি সংসদে সংখ্যালঘুদের কথা বলেন। ২০১১-র সেন্সাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ২৮ শতাংশ। বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশের আশপাশে। রাজনৈতির বিশ্লেষকরা বলেন, এই সংখ্যালঘু ভোটারদের বেশিরভাগ ভোটই যায় তৃণমূলের ঝুলিতে। ২১-এর ভোটে আসরে আইএসএফ নামলেও নির্দিষ্ট একটি আসন বাদে বাকি রাজ্যে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২৪-এর লোকসভা ভোটেও তাদের উপস্থিতি খুব উজ্জ্বল নয়। কিন্তু মিম যেভাবে জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়াচ্ছে, তাতে ভোট-অঙ্কের হিসেব গুলিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

মালদহ ও মুর্শিদাবাদে

উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে লালগোলার সীতেশনগরে মিমের এক প্রার্থী জয়ী হন। তিনি এখনও মিমেই রয়েছেন। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের সবকটি বিধানসভায় আসনেই এবার তাঁরা প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মালদহে ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৮টি আসন, বিজেপি চারটি। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে হিসেব উল্টে যায়। সেই ভোটে ৬ আসনে লিড পায় বিজেপি, ৬ আসনে কংগ্রেস। তৃণমূলের জমি কি সরছে? আর সেই সেই ফাঁকেই ঢুকে পড়তে চাইছে মিম?

এদিকে, মুর্শিদাবাদে তো অন্য হিসেব-নিকেশ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কারণ সব ঠিক থাকলে দিন ১০-১২র মধ্যেই নতুন দল ঘোষণা করবেন হুমায়ুন কবীর। রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সব আসনে প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মুখেও শোনা যাচ্ছে সেই হায়দরাবাদের সাংসদের নাম। হুমায়ুন স্পষ্ট বলেছেন, “নতুন দল ঘোষণা করব। ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেব। ওয়েইসির সঙ্গে জোট করব।”

দুই জেলাকে সামনে রেখে মিম ঘুঁটি সাজালেও নেতাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, বাংলা নিয়ে সব হোমওয়ার্ক সেরে ফেলেছেন তাঁরা। মিমের রাজ্য কমিটির সদস্য টনিক খান বলেন, “সব আসনে প্রার্থী দেব। বাঘের বিরুদ্ধে বাঘ হয়ে লড়াই করব।” এই আবহে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের কথা স্পষ্ট যে মাথাব্যাথা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েইসি। মালদহে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী কোনও দলের নাম না করে বলেন, “বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাতের অন্ধকারে গোপন আস্তানায় মিটিং করে যারা ঠিক করছ মালদহের বুক থেকে তৃণমূলকে মুছে দেবে, যে মাথার খুলির ভিতরে এই ধরনের চিন্তাভাবনা হয, সেই খুলিটাকে ভেঙে চুরমার করে দেব।” এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, বাংলায় কোনও বিভাজনের রাজনীতি চলবে না।

প্রশ্ন উঠছে বিভাজন, মেরুকরণ শব্দ গুলো কি বাংলার রাজনীতির সঙ্গে আরও বেশি করে জুড়ে যাচ্ছে? একুশের থেকে কি অনেকটাই আলাদা অঙ্ক কষতে হবে ছাব্বিশের ভোটে?

এদিন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'আগামী ২০ তারিখ তিনি আসছেন। তাহেরপুরের মাঠে জনসভা আসছেন। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। বিহারের জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গঙ্গা বাংলা হয়েও যায়।


 বঙ্গ সফরে মোদী, রানাঘাট দিয়ে শুরু প্রচার! জোরকদমে প্রস্তুতি বিজেপি
মোদীর বঙ্গসফর


বাড়ছে ভোটের গরম। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই বাংলায় আসবেন মোদী। প্রতিবারের মতো মতুয়া ফ্যাক্টর দিয়েই শুরু হবে ভোটপ্রচারের কাজ। আগামী ২০ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাটে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় হয়েই এবার প্রচারে জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার ভোটপর্বে মোট দশটি জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যার মধ্যে আলিপুরদুয়ার, দমদম, দুর্গাপুর মিলিয়ে ইতিমধ্য়েই তিনটি করে ফেলেছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করবেন বাকি সাতটি। যার সূচনা হতে চলেছে রানাঘাটের হাত ধরেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাটের তাহেরপুর এলাকায় নিজের জনসভা করবেন মোদী। ইতিমধ্য়েই নির্ধারিত ময়দানে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতির কাজ। বলে রাখা প্রয়োজন এই তাহেরপুর আবার একেবারে উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকা।



বাবরি মসজিদ নির্মাণে অনুদানের জন্য তৈরি 'কিউআর কোড'-ও জালিয়াতির অভিযোগ, সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হুমায়ুনের ফাউন্ডেশন
এদিন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আগামী ২০ তারিখ তিনি আসছেন। তাহেরপুরের মাঠে জনসভা আসছেন। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। বিহারের জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গঙ্গা বাংলা হয়েও যায়। তাই আমরা আশা করব, বিহারের মতোই বদল এখানেও দেখা যাবে।’ কিন্তু প্রচারকাজের সূচনা রানাঘাট দিয়ে কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজ্যে ঠাকুরনগরের পাশাপাশি মতুয়াগড় বলে পরিচিত এই নদিয়া জেলার রানাঘাট। সুতরাং, সেই মতুয়াদের মনের ‘খেয়াল রাখতেই’ রানাঘাট দিয়ে প্রচারের সূচনা।

বর্তমানে রাজ্য়ে চলা ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত মতুয়া শিবির। নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে তাঁদের। সম্প্রতি বাঙালি বিজেপি সাংসদদের এই নিয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসআইআর নিয়ে সমঝে কথা বলার বার্তা দিয়েছিলেন। মানুষের মনে, বিশেষ করে মতুয়া মনে যাতে কোনও ভয় না তৈরি হয়, সেই দিকটি সুনিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

এদিন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'আগামী ২০ তারিখ তিনি আসছেন। তাহেরপুরের মাঠে জনসভা আসছেন। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। বিহারের জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গঙ্গা বাংলা হয়েও যায়।

বঙ্গ সফরে মোদী, রানাঘাট দিয়ে শুরু প্রচার! জোরকদমে প্রস্তুতি বিজেপি
মোদীর বঙ্গসফর

 বাড়ছে ভোটের গরম। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই বাংলায় আসবেন মোদী। প্রতিবারের মতো মতুয়া ফ্যাক্টর দিয়েই শুরু হবে ভোটপ্রচারের কাজ। আগামী ২০ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাটে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় হয়েই এবার প্রচারে জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার ভোটপর্বে মোট দশটি জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যার মধ্যে আলিপুরদুয়ার, দমদম, দুর্গাপুর মিলিয়ে ইতিমধ্য়েই তিনটি করে ফেলেছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করবেন বাকি সাতটি। যার সূচনা হতে চলেছে রানাঘাটের হাত ধরেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাটের তাহেরপুর এলাকায় নিজের জনসভা করবেন মোদী। ইতিমধ্য়েই নির্ধারিত ময়দানে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতির কাজ। বলে রাখা প্রয়োজন এই তাহেরপুর আবার একেবারে উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকা।


বাবরি মসজিদ নির্মাণে অনুদানের জন্য তৈরি 'কিউআর কোড'-ও জালিয়াতির অভিযোগ, সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হুমায়ুনের ফাউন্ডেশন
এদিন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আগামী ২০ তারিখ তিনি আসছেন। তাহেরপুরের মাঠে জনসভা আসছেন। বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। বিহারের জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গঙ্গা বাংলা হয়েও যায়। তাই আমরা আশা করব, বিহারের মতোই বদল এখানেও দেখা যাবে।’ কিন্তু প্রচারকাজের সূচনা রানাঘাট দিয়ে কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজ্যে ঠাকুরনগরের পাশাপাশি মতুয়াগড় বলে পরিচিত এই নদিয়া জেলার রানাঘাট। সুতরাং, সেই মতুয়াদের মনের ‘খেয়াল রাখতেই’ রানাঘাট দিয়ে প্রচারের সূচনা।

বর্তমানে রাজ্য়ে চলা ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত মতুয়া শিবির। নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে তাঁদের। সম্প্রতি বাঙালি বিজেপি সাংসদদের এই নিয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসআইআর নিয়ে সমঝে কথা বলার বার্তা দিয়েছিলেন। মানুষের মনে, বিশেষ করে মতুয়া মনে যাতে কোনও ভয় না তৈরি হয়, সেই দিকটি সুনিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।



কিন্তু হঠাৎ করেই এই নাম পরিবর্তনের কারণ কী? সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতিটি প্রশাসনিক স্তরে দেখা গিয়েছে নাম বদলের নজির। ঔপনিবেশিকতাকে 'ছুড়ে ফেলে দিয়ে' রাজভবন হয়েছে লোকভবন। রাজ্যপাল হয়েছেন লোকপাল। ঠিক তেমনই নয়াদিল্লির বুকে দশক ধরে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী অফিস বা পিএমও-র নাম বদলে রাখা হয়েছে 'সেবা তীর্থ'।


 গরিবের রোজগার বাড়াল মোদী সরকার, বিরাট ঘোষণা কেন্দ্রের
বিরাট সিদ্ধান্ত


বাড়ল ন্য়ূনতম কাজের দিন, বাড়ল রোজগারও। আবার বদলে গেল নাম। মনরেগা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে মনরেগার নাম বদলে রাখা হল ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি’। পাশাপাশি, আগে যেখানে ন্যূনতম কাজের দিন ছিল ১০০। তা বাড়িয়ে এবার করা হল ১২৫। অর্থাৎ এবার থেকে বছরে এই যোজনার আওতায় কমপক্ষে ১২৫ দিনের কাজ দেওয়া হবে। যার দরুণ দেওয়া হবে ন্যূনতম ২৪০ টাকা প্রতিদিন।

কিন্তু হঠাৎ করেই এই নাম পরিবর্তনের কারণ কী? সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতিটি প্রশাসনিক স্তরে দেখা গিয়েছে নাম বদলের নজির। ঔপনিবেশিকতাকে ‘ছুড়ে ফেলে দিয়ে’ রাজভবন হয়েছে লোকভবন। রাজ্যপাল হয়েছেন লোকপাল। ঠিক তেমনই নয়াদিল্লির বুকে দশক ধরে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী অফিস বা পিএমও-র নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘সেবা তীর্থ’। এছাড়াও রাজপথ হয়েছে কর্তব্যপথ, রেস কোর্স রোড হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ।


জীবিত বৃদ্ধা হয়ে গেলেন 'মৃত', ছেলের 'কীর্তি'-তে থ পুলিশও
এবার সেই একই নজির দেখা গেল মনরেগার ক্ষেত্রেও। নাম বদলে গেল সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের। হয়ে গেল ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি’। কিন্তু কেন? নেপথ্য়ে কি যোগ রয়েছে বাংলার রাজনীতির? ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু তেমনটাই মনে করছে।

মনরেগা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি স্তরেই বাংলার সঙ্গে তৈরি হওয়া বিবাদ নিয়ে ব্যাকফুটে পড়েছে কেন্দ্র। বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া থেকে পুনরায় ১০০ দিনের কাজ চালু করা, কেন্দ্রকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে মনরেগা যেন দিন প্রতিদিন কেন্দ্রের জন্য পরিণত হয়েছে একটা দাগে। একাংশ মনে করছেন, সেই দাগ তুলতেই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। শোক ও ক্ষোভে হাসপাতাল চত্বরে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গে সঙ্গেই বৈষ্ণবনগর থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বরকতের মৃত্যু হয়েছে।


এবার মালদহে তৃণমূলের BLA-র মৃত্যু, SIR আতঙ্কের অভিযোগ
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিজনরা


এসআইআর আতঙ্কে ভোটারদের মৃত্যুর অভিযোগে প্রথম থেকে সরব তৃণমূল। কাজের চাপে বিএলও-দের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এবার তৃণমূলের এক বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ-২)-র মৃত্যুতে এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠল। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্যগত ত্রুটির জেরে SIR আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের নাম বরকত শেখ(৩২)। ঘটনাটি মালদহের কালিয়াচকের। তৃণমূলের বিএলএ-র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিডিও অফিস চত্বর ও হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

মৃত তৃণমূল কর্মী বরকত শেখের বাড়ি কালিয়াচকের চকসেহেরদি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ কালিয়াচক বিডিও অফিসের বাইরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকার এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বরকত শেখের বাবার নাম রশুল শেখের পরিবর্তে শুধু ‘শেখ’ লেখা ছিল। এই তথ্যগত ত্রুটি বরকত শেখকে মারাত্মক উদ্বেগে ফেলে দেয়।


এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া শেষ, তবুও CEO দফতরের সামনে বিক্ষোভে অনড় BLO-রা
স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে ফের বিয়ে মহিলার, ছেলে-নাতিকে দুধ দিয়ে 'শুদ্ধিকরণ' বৃদ্ধের
জানা গিয়েছে, এই ত্রুটি দেখতে পেয়েই বরকত শেখ দ্রুত বিডিও অফিসে যান। কিন্তু সেখানেও তিনি কোনও সদুত্তর পাননি। এমনকি তাঁর নাম সংশোধন হবে নাকি তালিকায় উঠবে, এমন কোনও নিশ্চয়তাও তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত আতঙ্কিত হয়ে তিনি বিডিও অফিসের বাইরে যেতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। শোক ও ক্ষোভে হাসপাতাল চত্বরে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গে সঙ্গেই বৈষ্ণবনগর থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বরকতের মৃত্যু হয়েছে।
 গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এসএসসি-কে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলে। একইসঙ্গে 'যোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বড় পদক্ষেপ SSC-র, দ্বারস্থ হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ফোটো

সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। তার মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানাতে চলেছে তারা। একইসঙ্গে যোগ্য চাকরিহারাদের স্কুলে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও পদক্ষেপ করতে চলেছে কমিশন। ৩১ ডিসেম্বরের পরও যাতে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারেন, সেই আবেদন জানাবে শীর্ষ আদালতে।

গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এসএসসি-কে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলে। একইসঙ্গে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতনও পাবেন তাঁরা।



সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্যোগী হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলাও হয়েছে।তার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ চলছে বলে এসএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলেই স্কুল সার্ভিস কমিশন মনে করছে।

এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করতে চলেছে কমিশন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাড়তি সময় লাগলে, স্কুলের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য যোগ্য চাকরিহারাদের যাতে ৩১ ডিসেম্বরের পরও স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানাবে কমিশন। এসএসসি এই দুই আবেদন জানালে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই এখন দেখার।

নিউটাউনে নিজের বউ উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারে, তাই হয়তো কমিশন বাড়তি সময় চাইবে। কতদিন সময় চাইবে, সেটা নিয়ে এসএসসি-র সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে।" তাঁর কথায়, এসএসসি-র কাছে স্বচ্ছতা ও মেধাই একমাত্র লক্ষ্য।


নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাড়তি সময়ের প্রয়োজন, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাতে চলেছে কমিশন
নিয়োগ প্রক্রিয়া সময় বাড়াতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে SSC

 শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার বাড়তি সময় চায় এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নতুন নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টে বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন ছিল ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একাদশ-দ্বাদশের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি। যোগ্য চাকরিহারাদের চাকরির মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্তই বেঁধে দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও সুপ্রিম কোর্টে করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

নিউটাউনে নিজের বউ উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারে, তাই হয়তো কমিশন বাড়তি সময় চাইবে। কতদিন সময় চাইবে, সেটা নিয়ে এসএসসি-র সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে।” তাঁর কথায়, এসএসসি-র কাছে স্বচ্ছতা ও মেধাই একমাত্র লক্ষ্য।



শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এসএসসি নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত সময় চাইছে তিন মাস৷ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় চাওয়া হচ্ছে। নভেম্বর মাসেই শেষ হয়েছে বাংলা ও ইংরাজির ইন্টারভিউ। কম্পিউটার সায়েন্স, বাণিজ্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাসের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এখন চলছে।

এদিকে, শুক্রবারই এসএসসি-র তরফে প্রকাশ করা হয়েছে নবম দশমের ফল। প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ইংরেজিতে ডাক পেয়েছেন আন্দোলনের নেতা চিন্ময় মন্ডল। একাদশ-দ্বাদশ এবং নবম-দশম মিলিয়ে যদি কোনও যোগ্য শিক্ষক বাদ চলে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রেও গুরুত্ব সহকারে দেখবে শিক্ষা দফতর।



 বর্তমানে এইচ-১বি পিটিশনের জন্য কর্মীদের ৯৬০ ডলার থেকে ৭৫৯৫ ডলার দিতে হয়। প্রতি বছর ৬৫ হাজার কর্মী এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় যান। অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা সংরক্ষিত থাকে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী আবেদনকারীদের জন্য। 


H-1B Visa-এ ১০০,০০০ ডলার ফি! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করল ২০টি রাজ্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিপদে ট্রাম্প। এইচ-১বি ভিসার উপরে ১ লক্ষ ডলারের ফি চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। ২০টি মার্কিন স্টেট প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। তাদের বক্তব্য, সরকারের এই নীতি বেআইনি এবং এর জেরে অত্যাবশ্যকীয় সরকারি পরিষেবা বা পাবলিক সার্ভিস ক্ষতিগ্রস্ত হবে।




সম্প্রতিই এইচ-১বি ভিসা নিয়মে বড় পরিবর্তন করে ট্রাম্প সরকার। ভিন দেশের দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় এই ভিসার অধীনে কাজ করেন। আমেরিকার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলে বহু ভারতীয় সহ অন্যান্য দেশের কর্মীরা কাজ করেন। সেখানেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট নতুন নীতি চালু করে, যেখানে এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লক্ষ ডলার ফি চাপানো হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এইচ-১বি ভিসায় যারা আবেদন করেছেন, তাদের উপরে এই ফি চাপানো হয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটিই ঠিক করবে কাদের এই ফি দিতে হবে আর কারা নিয়ম থেকে ছাড় পাবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে এইচ-১বি পিটিশনের জন্য কর্মীদের ৯৬০ ডলার থেকে ৭৫৯৫ ডলার দিতে হয়। প্রতি বছর ৬৫ হাজার কর্মী এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় যান। অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা সংরক্ষিত থাকে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী আবেদনকারীদের জন্য।

২০টি স্টেট, যারা মামলা করেছে, তাদের দাবি, ট্রাম্পের এই নতুন নীতি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসিডিওর অ্য়াক্ট এবং মার্কিন সংবিধানকেই লঙ্ঘন করছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা, যিনি অন্যতম মামলাকারী, তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনের এই ফি চাপানোর অধিকার নেই। তিনি বলেন, “বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া জানে যে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দক্ষ কর্মীরা এসে এখানে কাজ করে। আমাদের রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেআইনি ১ লক্ষ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি অযথা হয়রানি তৈরি করেছে এবং এটি বেআইনি। ক্যালিফোর্নিয়ার সরকারি কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপরে আর্থিক চাপ তৈরি করেছে, গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কর্মী সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।”

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে তথ্য কমিশনের কাছে পৌঁছেছে। তবে এই তথ্য আবার পরবর্তীতে আপডেটও হতে পারে। বালিগঞ্জ, ভবানীপুর, রাসবিহারী, খিদিরপুর এলাকায় সবথেকে বেশি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে।

কলকাতার 'হটসিট'গুলোতেই বাদ পড়তে পারে হাজার হাজার নাম, নন্দীগ্রামে ১০ হাজারের কিছু বেশি: কমিশন সূত্র
প্রতীকী ছবি


বিধানসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রগুলো মূলত ‘হটসিট’, সেই সমস্ত কেন্দ্রে বাদ যেতে পারে বহু বহু ভোটার। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি হল…

ভবানীপুরে বাদ যেতে পারে, ৪৪ হাজার ৭৮৫ জনের নাম।
কলকাতা বন্দরে বাদ যেতে পারে, ৬৩ হাজার ৭৩০ জনের নাম।
চৌরঙ্গীতে বাদ পড়তে পারে ৭৪ হাজারের বেশি নাম।
রাসবিহারীতে বাদ পড়তে পারে, ৪২ হাজার ৫১৯ জনের নাম।
এন্টালিতে বাদ পড়তে পারে ৪৯ হাজার ৮৪ জনের নাম।
বেলঘাটায় বাদ যেতে পারে ৫৬ হাজার ৪৮৭ জনের নাম।
নন্দীগ্রামে বাদ যেতে পারে ১০ হাজার ৮৯৯ জনের নাম।
বালিগঞ্জে বাদ যেতে পারে ৬৫ হাজার ১৭১ জনের নাম।রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে তথ্য কমিশনের কাছে পৌঁছেছে। তবে এই তথ্য আবার পরবর্তীতে আপডেটও হতে পারে। বালিগঞ্জ, ভবানীপুর, রাসবিহারী, খিদিরপুর এলাকায় সবথেকে বেশি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। বৃহস্পতিবার ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া শেষের পরে ভবানীপুরে প্রায় ৪৫ হাজার লোকের নাম বাদ পড়তে পারে। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় ১০ হাজারের বেশি লোকের নাম বাদ পড়তে পারে। উল্লেখ্য, কলকাতাতেই এনুমারেশন ফর্মের ফেরত আসার সংখ্যাটা সবথেকে বেশি।১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় কমিশন জানিয়েছিল, কাজের নিরিখে এগিয়ে বাংলা। কিন্তু বাংলার অন্দরে এগিয়ে কারা? সোমবার সেই তথ্য তুলে ধরেছেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। প্রত্য়েক জেলায় ভাল কাজ হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। তবে জেলাভিত্তিক অঙ্কের নিরিখে এগিয়ে পূর্ব বর্ধমান।রাজ্যে এসআইআর নিয়ে এরই মধ্যে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কমিশন সূত্রে খবর, ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্য যাচাই করবে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মধ্যে ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামেই রয়েছে গলদ। বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন। তার পরেও সন্দেহ থাকলে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল ৭ই সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা গ্রহণের ৭১ দিনের মাথায় এই ফলপ্রকাশ করেছে কমিশন। কোন কোন পরীক্ষার্থী ভেরিফিকেশন তথা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেল তার বিস্তারিত তালিকা এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। প্রত্যেকটি বিষয় এর পৃথক পৃথক তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি।

 প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থীর নাম, নবম-দশমের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ কমিশনের, রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা
এসএসসি

নবম দশমের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হল। প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ও লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভেরিফিকেশন তালিকা তথা ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। ইংরাজি বিষয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের নেতা চিন্ময় মণ্ডল।

‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা চিন্ময় মণ্ডল একাদশ দ্বাদশ ও নবম দশম উভয় পরীক্ষা দিয়েছিলেন। একাদশ-দ্বাদশের কাট অফ মার্কসের না পৌঁছানোর জন্য ইন্টারভিউ ডাক পাননি তিনি। তাকিয়ে ছিলেন শুধু নবম দশমের ফলাফলের দিকে। এবার ডাক পাওয়ার পর চিন্ময় বলেন, “আমরা যোগ্য হয়েও বঞ্চিত হয়েছিলাম। ক্লাসরুম ছেড়ে রাস্তায় নেমে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছিল। অনেক কাঠখড় পোহাতে হল আমাদের। তবে অনেকটা আন্দোলনে সকলেই ধকল নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। যাঁরা যোগ্য, তবুও ডাক পেলেন না, তার জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।”


প্রসঙ্গত, নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল ৭ই সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা গ্রহণের ৭১ দিনের মাথায় এই ফলপ্রকাশ করেছে কমিশন।
কোন কোন পরীক্ষার্থী ভেরিফিকেশন তথা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেল তার বিস্তারিত তালিকা এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। প্রত্যেকটি বিষয় এর পৃথক পৃথক তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। যদিও এই ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের আগেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। রাস্তায় নেমেছিলেন নবাগতরা।

এসএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগে মোট শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬ জন। নবম-দশম-এ শূন্যপদ ২৩ হাজার ২১২টি। পরীক্ষায় বসেছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। তবে এটাও উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে কমিশনের। সেক্ষেত্রে কমিশন সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক সেরেছে কমিশন।

প্রথম সপ্তাহের পড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, "আমি যখন সুভাষিতা পড়াচ্ছিলাম, তখন ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক হয়ে গিয়েছিল যে উর্দু কতটা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। অনেকে তো জানতও না যে হিন্দি আর সংস্কৃত-দুটো আলাদা ভাষা।"


পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শোনা গেল সংস্কৃত, পড়ানো হচ্ছে গীতা-মহাভারত! স্বাধীনতার পর প্রথমবার...
পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে সংস্কৃত।

পাকিস্তানে ইতিহাস। দেশভাগের পর প্রথমবার পাকিস্তানি ক্লাসরুমে পড়ানো হচ্ছে সংস্কৃত। মহাভারত থেকে ভগবত গীতার শ্লোক পড়ছেন পাকিস্তানি পড়ুয়ারা। মহাভারত সিরিয়ালের ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ টাইটেল ট্র্যাকও শোনা যাচ্ছে উর্দুতে। লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে।




৭০ লক্ষ টাকার 'হিসাব নেই', মিলছে না কমিশন! বন্ধ পড়ে শহরের অন্যতম বাস রুট
আর তিন মাসের ওয়ার্কশপ নয়, পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ কোর্স পড়ানো হবে সংস্কৃতের। পড়ুয়া ও শিক্ষাবিদদের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে সংস্কৃতকে বার্ষিক কোর্সে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সংস্কৃতকে পাকিস্তানে পুনর্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অধ্যাপক শাহিদ রশিদ। তিনি ফোরম্যান খ্রিস্টান কলেজে সোশিওলজি পড়ান। তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপ ছোট হলেও, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার দর্শন, সাহিত্যকে গঠন করেছে সংস্কৃত, তাই এই ভাষা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই পড়া উচিত।

দ্য ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কেন আমরা শিখব না? এই ভাষা গোটা অঞ্চলকে একসুতোয় বেঁধেছে। পানিনির গ্রাম এখানে ছিল। সিন্ধু সভ্যতার সময়ে অনেক কিছু এখানে (পাকিস্তান) লেখা হয়েছিল। আমাদের এই ভাষা গ্রহণ করা উচিত, এটা আমাদেরও। কোনও একটি ধর্মের সঙ্গে বাঁধা নয় এই ভাষা।

উল্লেখ্য, সংস্কৃত ব্যকরণবিদ পানিনি থাকতেন গন্ধরায়, যা বর্তমানে খাইবার-পাখতুনখা।

অধ্যাপক রশিদ জানিয়েছেন যে যখন প্রথম সংস্কৃত নিয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়, পড়ুয়ারা ভয় পেত। তবে দ্রুত তারা সেই ভাষাকে আত্মস্থ করে নিয়েছে। প্রথম সপ্তাহের পড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন সুভাষিতা পড়াচ্ছিলাম, তখন ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক হয়ে গিয়েছিল যে উর্দু কতটা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। অনেকে তো জানতও না যে হিন্দি আর সংস্কৃত-দুটো আলাদা ভাষা।”

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর ডঃ আলি উসমান কাশমি জানান যে পঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে সংস্কৃত নথির বিশাল সম্ভার রয়েছে। ১৯৩০ সালে তাল পাতায় লেখা এই সংস্কৃত পাণ্ডুলিপি গুলি ক্যাটালগ করা হয়, কিন্তু দশকের পর দশক ধরে কোনও পাকিস্তানি পণ্ডিত এই পাণ্ডুলিপি নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণা করেননি। এবার পাকিস্তানের মাটিতেই সংস্কৃত পড়ানো শুরু হওয়ায় সেই চিত্র বদলাবে। তাদের আশা, আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা ও মহাভারত বিশেষজ্ঞ উঠে আসবে।
ইন্ডিগোর বিমান বাতিলের সুযোগেই কোপ মেরেছে অন্য এয়ারলাইন্সগুলি। ৭ হাজার টাকার টিকিট রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ৬০ হাজার টাকা! যাত্রীদের গুনতে হয়েছে ৫-৬ গুণ বেশি ভাড়া। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রকে রাশ টানতে হয়। বেঁধে দেওয়া হয় বিমানের ভাড়া।


 ইচ্ছা মতো রেট নয়, সারা বছর বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে? সরকার বলল...
বিমানের ভাড়া নিয়ে জবাব দিল কেন্দ্র।

ইন্ডিগোর শয়ে শয়ে বিমান বাতিল। আর সেই সুযোগেই কোপ মেরেছে অন্য এয়ারলাইন্সগুলি। ৭ হাজার টাকার টিকিট রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ৬০ হাজার টাকা! বাধ্য হয়েই কেন্দ্রকে রাশ টানতে হয়। বেঁধে দেওয়া হয় বিমানের ভাড়া। উড়ান সংস্থাগুলিও কেন্দ্রের সেই নিয়ম অনুসরণ করছে অক্ষরে অক্ষরে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কি সারা বছরের জন্য বিমান ভাড়া নির্দিষ্ট করে দিতে পারে না? সেই উত্তরও দিল সরকার।

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর সংসদের লোকসভায় কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু জানালেন যে দেশজুড়ে বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রের নিয়মের আওতার না থাকায় বরং লাভ হয় গ্রাহকদের, এমনটাই জানান তিনি। আরও জানান যে সারা বছর নয়, সাধারণত উৎসবের মরশুমেই বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে যায়।


পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শোনা গেল সংস্কৃত, পড়ানো হচ্ছে গীতা-মহাভারত! স্বাধীনতার পর প্রথমবার...
বিশ্লেষণ: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের 'সর্বনাশ' করছে মিম!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সাধারণত উৎসবের মরশুমে বিমানের টিকিটের দাম বাড়ে কারণ নির্দিষ্ট রুটে এবং নির্দিষ্ট সময়ে বিমানের চাহিদা তখন বেড়ে যায়। দামের এই ওঠা-নামা মরশুম ভিত্তিক হয়। সারা বছরের জন্য ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়। বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ বিমানের টিকিটের দাম নির্ধারণ করে।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই নিয়মের বাঁধনের বাইরে রাখার ধারণার নেপথ্যে রয়েছে সেক্টরের বৃদ্ধি। সমস্ত দেশই দারুণ বৃদ্ধি দেখেছে মার্কেট থেকে নিয়মবিধি তুলে নিয়ে। এতে আরও অংশীদারিত্ব বাড়ে, সুযোগ বাড়ে। ডিমান্ড ও সাপ্লাই পদ্ধতি চলে স্বাভাবিক নিয়মে। আর এতে দিনের শেষে উপকৃত হন যাত্রীরাই।

ইন্ডিগোর সঙ্কটের পরই বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য প্রাইভেট মেম্বারস বিল পেশ করা হয়েছিল। সেই বিলের জবাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই কথা জানান। বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব না হলেও, কোম্পানিগুলিকে খোলা ছুট দেওয়া হচ্ছে, এমনটাও নয়। কেন্দ্র প্রয়োজন পড়লেই হস্তক্ষেপ করবে। করোনা সঙ্কট হোক বা মহাকুম্ভ, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার সময় যখন বিমানের ভাড়া আকাশছোঁয়া হয়েছিল, সেই সময়ও কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করে বিমানের টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এবার ইন্ডিগোর বিমান সঙ্কটের সময়ও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করোন যে বিগত কয়েক বছরে দেশে বিমান ভাড়া বরং কমেছে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে এসেছে বিমানের টিকিট।
বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা - মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে।


১৫ বছরেই বাবা, অনেকে আবার ঠাকুরদার থেকে ৪০ বছরের ছোট! রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! SIR-এ বাংলায় সবচেয়ে বড় ব্রেকিং
কী বলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন?


 ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে গলদ। রাজ্যে এসআইআর নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্রেকিং। সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক। ১৫ বছরের কম বয়সে বাবা হয়েছেন, এরকম সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার। রাজ্যে ৬ সন্তানের বাবার সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২১ হাজার। ৪০ বছরেরও কম বয়সে ঠাকুরদা হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার। অর্থাৎ গোটা পরিসংখ্যান যদি মিলিয়ে দেখা হয়, তাহলে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটার। তাঁদের তথ্য নিয়েই সন্ধিহান কমিশন।

বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা – মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে।



এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া শেষ, তবুও CEO দফতরের সামনে বিক্ষোভে অনড় BLO-রা
৭০ লক্ষ টাকার 'হিসাব নেই', মিলছে না কমিশন! বন্ধ পড়ে শহরের অন্যতম বাস রুট
রাজ্যে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার২৩০ ভোটারের বাবার চেয়ে ১৫ এর কম ছেলের বয়স। আবার দেখা যাচ্ছে, ৪০ এর কম বয়সেই ঠাকুরদা হয়ে গিয়েছেন, এমন ব্যক্তি ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ ভোটারের। তাঁদের তথ্য অর্থাৎ বয়স নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহে রয়েছে কমিশন।

অর্থাৎ এই ১ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি কিছু ভোটার, যাঁরা নাম-বয়সে গলদ, তাঁরা ডাক পেতে পারেন হিয়ারিংয়ে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত ভোটারদের তথ্য ফের যাচাই করা হবে। বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন, তারপর শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে রোল অবজারভারদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্য সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে সরব বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেননি। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “কোথায় বাবার নামে ভুল রয়েছে, কোথায় একাধিক ক্ষেত্রে বাবার নাম এক, এগুলো সবই খতিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সারা বছর ধরে হয়ে থাকে। যদি এরকম কোনও তথ্য সামনে এসে থাকে, তাহলে তা বাদ যাবে।”