WEATHER

Top News


গায়ানা তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান 'দ্য অর্ডার অব এক্সিলেন্স'-এ সম্মানিত করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বার্বাডোজ "অনারারি অর্ডার অব ফ্রিডম অব বার্বাডোজ" সম্মানে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে।

 মোদীর সাফল্যের মুকুটে আরও নতুন পালক, গায়ানা-বার্বাডোজও দিচ্ছে সর্বোচ্চ সম্মান
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 মোদীর মুকুটে জুড়ল আরও সম্মানের পালক। এবার গায়ানা ও বার্বাডোজও তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দিন দুয়েক আগেই নাইজেরিয়া তাদের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এবার গায়ানা ও বার্বাডোজও সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।


জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতেই ব্রাজিলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন দেশের সফর ছিল তাঁর। প্রথমে যান নাইজেরিয়ায়, সেখান থেকে ব্রাজিলে জি ২০ সম্মেলনে যোগ দেন। শেষ ধাপে গায়ানা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজই সেখানে পৌঁছন তিনি।

জানা গিয়েছে, গায়ানা তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দ্য অর্ডার অব এক্সিলেন্স’-এ সম্মানিত করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বার্বাডোজ “অনারারি অর্ডার অব ফ্রিডম অব বার্বাডোজ” সম্মানে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে।

এর দিন কয়েক আগেই, ডমিনিকাও তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ডমিনিকা অ্যাওয়ার্ড অব অনার’-এ সম্মানিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। নাইজেরিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান ‘দ্য গ্রান্ড কম্যান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য নাইগার’ সম্মানও দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।

এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্মানের সংখ্যা ১৯-এ পৌঁছল।

পুলিশের দাবি, আড়াই পাতা সুইসাইড নোটে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তিন জনের নাম লিখে গিয়েছিলেন। সত্যজিৎ লিখেছিলেন, তাঁকে মোবাইলে ভিডিয়ো দেখিয়ে টাকা চাইতেন তাঁরা। টাকা দিতে দেরি হলে ভিডিয়ো' ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত বলে সত্যজিৎ সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন।


ভিডিয়োতেই ছিল সেই দৃশ্য, ভাইস চেয়ারম্যানের আত্মহত্যায় গ্রেফতার জয়শ্রী
ভাইস চেয়ারম্যানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রেফতার

উত্তর ব্যারাকপুরের ভাইস চেয়ারম্যান আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জন। দিন তিনেক আগে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। সেই ঘটনায় এক জয়শ্রী দাস নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জয়শ্রী দাস-সহ আরও তিনজনের নাম লিখে যায়। নোয়াপাড়া থানার পুলিশ তাই জয়শ্রী দাস, শুভজিৎ বিশ্বাস ওরফে সন্তু, এবং শুক্ল বিশ্বাস প্রথমে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বারাকপুরের দিঘিরপাড়ে একজনের বাড়ি থেকে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।

পুলিশের দাবি, আড়াই পাতা সুইসাইড নোটে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তিন জনের নাম লিখে গিয়েছিলেন। সত্যজিৎ লিখেছিলেন, তাঁকে মোবাইলে ভিডিয়ো দেখিয়ে টাকা চাইতেন তাঁরা। টাকা দিতে দেরি হলে ভিডিয়ো’ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত বলে সত্যজিৎ সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন।

এইভাবে টাকা দিতে দিতে বাজারে বহু টাকার লোন হয়ে গিয়েছিল সত্যজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। তিনি চিঠিতে লিখে যান, জয়শ্রী দাসদের গ্রেফতার করে, যাঁদের কাছ থেকে তিনি টাকা ধার নিয়েছিলেন, তাঁদের মিটিয়ে দিতে বলে যান।



রাজারহাটে এক মামলাকারীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সেই দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। সেই অভিযোগ সঠিক। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত এগোতে পুলিশ নিম্ন আদালতের অনুমতি চেয়েছে।

'সাদা পোশাক পরলেই কলকাতা পুলিশ হওয়া যায় না...এই শেষ সুযোগ দিলাম', ক্ষুব্ধ বিচারপতি ঘোষ
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কী বললেন..

 রাজারহাট থানা নিয়ে তিব্র অসন্তোষ কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। ‘আপনি এই রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট?’ সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের। ‘বাইরে থেকে বিনিয়োগকারী আহ্বান করছেন। সেখানে আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক করা আপনাদের দায়িত্ব’,মন্তব্য বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।

রাজারহাটে এক মামলাকারীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। সেই অভিযোগ সঠিক। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত এগোতে পুলিশ নিম্ন আদালতের অনুমতি চেয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মতে, “এটাই বেআইনি। যেখানে পুলিশ আদালত গ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আইন টুকু যদি না যানে পুলিশ তাহলে কীভাবে নাগরিক বিচার পাবে?” এরপরই তাঁর প্রশ্ন, “আপনার মনে হয় এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয় সেটা এরা জানে বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই কলকাতা পুলিশ হওয়া যায় না।”

ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “এই শেষ সুযোগ পুলিশকে। এরপর যদি এমন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” বিচারপতির আরও মন্তব্য,”নিউ টাউন আর রাজারহাট থানা নিয়ে একই সমস্যা। আপনারা সেটা সঠিক ভাবে না করলে…।” ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত।



এদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে বেলেডাঙায় বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়। যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তর। নির্ধারিত সময়ে তিনি সেখানে যাওয়ার জন্য বের হলেও কৃষ্ণনগরে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা।

বেলডাঙায় যাওয়ার পথে বাধা পুলিশের, 'গ্রেফতার' সুকান্ত
এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা

 বেলডাঙা যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের। রাস্তাতেই বসে পড়লেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত ওই এলাকায় গেলে নতুন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সূত্রের খবর, এই যুক্তি দেখিয়েই এদিন দুুপুরে সুকান্তর পথ আটকায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বিগত কয়েকদিন ধরেই তপ্ত হয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলঙাঙা। দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক এলাকায় বন্ধ থেকেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর চাপানউতোর চলছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য বারেবারে রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। দফায় দফায় তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। 

এদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে বেলেডাঙায় বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়। যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তর। নির্ধারিত সময়ে তিনি সেখানে যাওয়ার জন্য বের হলেও কৃষ্ণনগরে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। এদিকে সুকান্ত আসার আগেই ওই এলাকায় ব্যারিকেড নিয়ে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। ছিলেন বাহিনীর পদস্থ কর্তারা। তাঁর কনভয় ওই এলাকায় আসতেই বাধা দেয় পুলিশ। 

পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে বেলডাঙায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সে কারণেই তিনি সেখানে যেতে পারবেন না। কিন্তু, যে জায়াগায় তাঁকে আটকানো হয়েছে সেখান থেকে বেলডাঙার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। তাই এখানে কেন তাঁকে আটকানো হল সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতারা। উত্তেজনার আবহেই কিছু সময়ের মধ্যেই সুকান্তকে আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে। সঙ্গে বেশ কিছু বিজেপি নেতাকেও আটক করা হয়। যদিও সূত্রের খবর, বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 


জামুড়িয়া 'চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ' কর্তৃপক্ষের পক্ষেই দাঁড়ান। তাঁদের দাবি, এই শিল্প তালুক তৈরি হওয়ার পর পরিবর্তন হয়েছে জামুড়িয়া আর্থ সামাজিক অবস্থার। কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে।

রানিগঞ্জের ১১ টি কারখানাকে ৫০০ কোটির জরিমানার নোটিস
কারখানাগুলিকে ৫০০ কোটির জরিমানা

কারখানায় বেআইনি নির্মাণের জন্য জামুড়িয়া রানিগঞ্জের ১১ টি কারখানাকে জরিমানার নোটিস করেছে আসানসোল পুরনিগম। জরিমানার পরিমাণ ৫০০ কোটি। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল কারখানাগুলির জেরে দূষণে জেরবার গ্রামবাসীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। অভিযোগ, সিঙ্গারণ নদী দখল করেছে একাধিক কারখানায়। কারখানার ভেতর ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে নদ। দূষণের জেরে নদীর রং লাল। নদী পরিণত হয়েছে নালায়। এলাকার নীল বন দখল করে হয়েছে কারখানাগুলির বর্ধিত অংশ। দূষণের জেরে ঘরবাড়ি শুধু নয় ঐতিহাসিক জায়গাগুলিও এখন নষ্ট। শ্মশানঘাট দখল করেছ স্পঞ্জ আয়রণ কারখানা। সরকারি পাকা রাস্তা ঢুকে গেছে কারখানার ভেতর। একএকটি কারখানার বিরুদ্ধে এক এক রকমের অভিযোগ।

জামুড়িয়া ‘চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’ কর্তৃপক্ষের পক্ষেই দাঁড়ান। তাঁদের দাবি, এই শিল্প তালুক তৈরি হওয়ার পর পরিবর্তন হয়েছে জামুড়িয়া আর্থ সামাজিক অবস্থার। কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। কারখানাগুলির বর্ধিত অংশ নির্মাণে হয়তো প্ল্যান পাশ করা হয়নি কিন্তু তাতে একদিনে হয়নি। যে পরিমাণ জরিমানা দাবি করা হয়েছে তা মাফ করা উচিত।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ৫০০ কোটির জরিমানা নয়, এই কারখানার গুলির বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা জরিমানার নোটিস করা উচিত। শুধু আসানসোল পুরোনিগম নয়,বনদপ্তর,আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ, বিডিও ডিএম সবার উচিত তাদের বিরুদ্ধে জরিমান নোটিসকরা।

জামুড়িয়া চেম্বার ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জয়প্রকাশ দোকানিয়া জানান, জামুড়িয়ায় এত কারখানা। সরকারি শিল্প তালুক ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করা হয়েছিল। তিনি সাড়া দেননি। এই এলাকায় এত এত শিল্প গড়ে উঠছে ঠিকই। কিন্তু এখানে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক নেই। রয়েছে বসতি। রয়েছে বাস্তু জমি। রয়েছে দেবত্ব সম্পত্তি। তাই এত এতো এতো শিল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে কোথাও হয়তো ভুল ত্রুটি হয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন হল, কেন হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধেই নির্বাচনী ছক সাজাতে শুরু করেছেন অরূপ? এই গল্পের পিছনে অন্য গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা জমা করার আগেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাবুন।


বিওএ-র নির্বাচনে মমতার ভাই বনাম ক্রীড়ামন্ত্রী? নজিরবিহীন লড়াইয়ে উত্তপ্ত ময়দান
বিওএ-র নির্বাচনে মমতার ভাই বনাম ক্রীড়ামন্ত্রী? নজিরবিহীন লড়াইয়ে উত্তপ্ত ময়দান

ময়দানে হঠাৎই নজিরবিহীন নির্বাচনী হাওয়া। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার (Bengal Olympic Association) নির্বাচনে জড়িয়ে গেল শাসক গোষ্ঠী। এটা বললে হয়তো পুরো ছবিটা তুলে ধরা যাবে না। এই নির্বাচনের মুখ্য চরিত্র স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বিওএ-র প্রেসিডেন্ট। ময়দান যাঁকে চেনে বাবুন নামে। তার থেকেও বড় পরিচয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই ময়দানে বাবুনের দাপট বাড়তে থাকে। মোহনবাগান সহ একাধিক ক্লাবের প্রশাসনে ঢুকে পড়েন। বক্সিং থেকে রাজ্য অলিম্পিক সংস্থা— সর্বত্রই নানা শীর্ষ পদে দেখা যায় তাঁকে। সেই বাবুনের বিরুদ্ধে নাকি ‘ঘুঁটি’ সাজাচ্ছেন খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে বাবুন বনাম অরূপের এই লড়াই ঘিরেই সরগরম ময়দান।

প্রশ্ন হল, কেন হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধেই নির্বাচনী ছক সাজাতে শুরু করেছেন অরূপ? এই গল্পের পিছনে অন্য গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা জমা করার আগেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাবুন। দিদি মমতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মমতা পর্যন্ত ভাইকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ও আমার কেউ নয়।’ পরে অবশ্য সব মিটমাট হয়ে যায়। মমতা ভাইফোঁটাও দিয়েছেন বাবুনকে। তাতে কি ক্ষোভ কমেছে বাবুনের? এই প্রশ্ন কিন্তু থেকে যাচ্ছে। তারই মধ্যে বাবুন বনাম অরূপ।

খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে, বাবুনের বিরুদ্ধে প্যানেল সাজাচ্ছে অরূপের অনুগতরা। সেই প্যানেলে থাকছেন কমলেশ চট্টোপাধ্যায়, কমল মৈত্র, চন্দন রায়চৌধুরীদের মতো হেভিওয়েটরা। এমনকি, বিরোধী গোষ্ঠী তাদের ম্যানিফেস্টো পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেছে। নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিশনার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি আবার মমতার দাদা। বাবুনেরও দাদা। বিওএ-র এই নজিরবিহীন নির্বাচনে বাবুনের বিরুদ্ধে অরূপের মতোই নেমে পড়েছেন অজিতও। অর্থাৎ বাবুনকে ছেঁটে ফেলার পারিবারিক যোগও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অজিত, যাঁকে ময়দান ষষ্ঠী নামে চেনে, তিনি একসময় বিওএ-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ষষ্ঠীকে হারিয়েই প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। বাবুনের উপস্থিতিতেই বিওএ-র কার্যকরী সমিতির সভাতেই ঠিক হয়, অজিত নির্বাচন কমিশনার হবেন। সেই ষষ্ঠীই নাকি বিরোধীদের দিকে!

কেন হঠাৎ বাবুন চোখের বালি হলেন? প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় টিমে বাংলার কোনও প্রতিনিধি ছিল না। নতুন মুখ তুলে আনার কোনও উদ্যোগই গত কয়েক বছরে নেওয়া হয়নি। এমন কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি আগামী দিনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। যে কারণে সরকারের চক্ষুশূল হয়েছেন বাবুন। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে ২৩ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার ঠিক ৫ দিন পর, ২৯ তারিখ বিওএ-র নির্বাচন। গত বার বিওএ নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর দুই ভাইয়ের দ্বৈরথ দেখেছিল ময়দান। এ বার তা আরও জমজমাট হতে চলেছে। কারণ সেখানে লড়াইটা মমতার ছোটভাই বাবুন ও বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের।

৩৬টি অ্যাসোসিয়েশন এই নির্বাচনে অংশ নেবে। মোট ভোট ৬৮। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার এই নির্বাচনে আইএফএ-র প্রতিনিধি হয়ে ভোট দেবেন অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস। এখানে জুডো সংস্থার হয়ে ভোট দেবেন সুজিত বসু। ময়দানী রাজনীতিতে বাবুন নাকি অরূপ, কে দেবেন কাকে গোল, ময়দানের নজর সে দিকেই।

জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির ভিন্ন মত। জামিন দেওয়ার পক্ষে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিন দিতে চাইলেন না বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়।

একজন রাজি, অপরজন নন, ভরা এজলাসে দুই বিচারপতির মতপার্থক্য! মহা ফ্যাসাদে পড়লেন পার্থ-সুবীরেশরা
কলকাতা হাইকোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলা

 এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের জামিন মামলায় দুই বিচারপতির ভিন্ন মত। বুধবার শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত ৯ জন অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা-সহ চার ‘দালাল’-এর জামিন মামলার রায়দান ছিল বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু এদিন সেই রায় ঝুলেই রইল। কারণ জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির ভিন্ন মত। জামিন দেওয়ার পক্ষে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিন দিতে চাইলেন না বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়।


শিক্ষা দুর্নীতিতে সিবিআই-এর করা মামলায় ৯ জনের জামিন মামলার শুনানি দীর্ঘদিন ধরেই হয়। এদিন রায়দানের সময় দেখা গেল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পক্ষে মত দিলেন, বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় প্রথম পাঁচ জন অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি-র যাঁরা পদাধিকারী ছিলেন অর্থাৎ সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, অশোক সাহাদের জামিন দিতে চাইলেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে যে ‘প্রভাবশালী তকমা’ উঠেছিল, সেই প্রভাবশালী তকমাতেই শিলমোহর দিয়েছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। তিনি স্পষ্টই জানান, এঁরা জামিন পেলে, গোটা মামলা প্রভাবিত হতে পারে। কিন্তু বাকি চার জন অর্থাৎ সুব্রত সামন্ত, কৌশিক ঘোষ, আলি ইমাম, চন্দন মণ্ডলকে জামিন দিয়েছেন তিনি। সিবিআই তাদের চার্জশিটে এই চার জনকে মূলত দালাল হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এই চার জনের জামিনের বিরোধিতা করেননি বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। এই মামলায় জট এখন অব্যাহত।

সিবিআই প্রথম থেকেই বক্তব্য ছিল, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে কোনও অবস্থান নিতে হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের ‘কনসেন্টের’ দরকার হয়। কিন্তু সেটা কোনও ভাবেই সিবিআই-কে দেওয়া হচ্ছে না। এি নিয়ে এর আগে বারবার মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। কিন্তু জবাব মেলেনি। পরবর্তীকালে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে মামলাটি যায়, তাহলে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কনসেন্ট’ বাদ দিয়ে জামিন দেওয়া যায় কিনা, সেটা দেখতে হবে। এদিন রায়দানের সময়ে তিনি তাঁদের জামিন দেন, কিন্তু ভিন্ন মত পোষণা করেন অপর বিচারপতি।

কিন্তু তাহলে এই জামিন মামলার ভবিষ্যৎ কী?

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যেহেতু দুই বিচারপতির ভিন্ন মত। সেক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি এটা পাঠিয়ে দেবেন তৃতীয় বিচারপতির কাছে। তিনি খতিয়ে দেখবেন। তার মতামতটাই গৃহীত হবে।”


একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, "ওঁ এত বছর ধরে রাজনীতি করছেন। বলতে গেলে রাজনীতির একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাতে রয়েছি। এত তফাতে পাল্টা কিছু বলা সমীচিন লাগে না।"


'ওঁ কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে...', কল্যাণের খোঁচার জবাব দিলেন তৃণাঙ্কুর
TMCP সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচার এবার পাল্টা দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অস্তমিত সূর্য। তাঁর কেরিয়ার একেবারেই শেষের পথে। কল্যাণ-তৃণাঙ্কুরের সৌজন্যে আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্কলহ।



একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁ এত বছর ধরে রাজনীতি করছেন। বলতে গেলে রাজনীতির একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাতে রয়েছি। এত তফাতে পাল্টা কিছু বলা সমীচিন লাগে না।” তিনি আরও বলেন, “সবাই আমার পারফরমেন্সে নজর দিয়েছেন। কখনও ভাল পেরেছি, কখনও ভাল পারিনি। কিন্তু চেষ্টার কখনও কসুর করিনি, নিজের দিক থেকে।” তিনি আরও বলেন, “আমার নেতৃত্ব আমাকে শিখিয়েছেন, রাজনীতিটা বারবার মিডিয়ার সামনে রেখে করলে, ব্যক্তিগত ফ্রেম বাড়ে। দলের কাজে আসে না। দলকে বিপদে ফেলে। আমার ওঁকে বলাটা মানায় না। দল দেখবে আমি কী করেছি না করিনি।”

সম্প্রতি ডোমজুড় উৎসব মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যালে সাসপেন্ডেড ছাত্রদের পাশে না দাঁড়ানোয় তৃণাঙ্কুরকে এক হাত নেন কল্যাণ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে তৃণাঙ্কুরকে সরানোরও দাবি তোলেন তিনি। কল্যাণের অভিযোগ, তৃণমূল করায় বাম-অতি বামের থ্রেট কালচারের মুখে ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে তৃণাঙ্কুর তাঁদের পাশে দাঁড়াননি।

২৪ ঘণ্টা নীরব ছিলেন তৃণাঙ্কুর। তারপর বলেন, “দল নিশ্চিতভাবে হিসাব রাখছে। বিচার করবে।” এদিন আরও একবার সেকথাই বলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কল্যাণ-তৃণাঙ্কুরের কলহ আদতে আদি বনাম নব্যের লড়াই। কল্যাণ তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন তৃণাঙ্কুর।

কখনও তিনি সরব হয়েছেন, আবার কখনও তিনি চুপ থাকাকেই বেছে নিয়েছেন। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ে থেকে সংসার, সন্তান, শ্বশুরবাড়িতে তাঁর অবস্থান, সব নিয়েই চর্চা সর্বত্র বর্তমান।


'আমি মেনে নিচ্ছি, আরাধ্যা মানতে বাধ্য নয়', মেয়েকে নিয়ে অকপট অভিষেক


ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। ব্যক্তিজীবনে নানা ওঠাপড়ার কারণে একাধিকবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও তিনি সরব হয়েছেন, আবার কখনও তিনি চুপ থাকাকেই বেছে নিয়েছেন। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ে থেকে সংসার, সন্তান, শ্বশুরবাড়িতে তাঁর অবস্থান, সব নিয়েই চর্চা সর্বত্র বর্তমান।


তবে গসিপ প্রসঙ্গে খুব একটা নজর না দিলেও একটা বিষয় স্পষ্ট মন্তব্য করতে দু’বার ভাবেন না, আর তা হল তাঁর সন্তান আরাধ্যা। দেখতে দেখতে চোখের সামনে বড় হয়ে গেল আরাধ্যা বচ্চন। ছোট থেকেই খবরের শিরোনামে বারবার জায়গা করে নিতে দেখা গিয়েছে। কখনও তার লুক, কখনও আবার তার স্কুলের পারফর্ম চর্চায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

স্পষ্ট আরাধ্যার বিষয় ঐশ্বর্য বললেন, “ও আমার জীবন। ওর জন্য আমার সবটাই। সারা জীবন থেকে যাবে। ও আমার প্রাণ আমার আত্মা।” যদিও নেটিজেনদের কটাক্ষের তালিকা থেকে কখনই বাদ পড়তে দেখা যায় না তাঁকে। একবার আরাধ্যার জন্মদিন উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়েছিল বচ্চন পরিবার। বিমানবন্দরে আরাধ্যার হাঁটার ধরন দেখে ট্রোল করে নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। আরাধ্যা নাকি ঠিক করে হাঁটতে পারেন না, তাঁর সমস্যা রয়েছে– এ দাবিও করা হয় তাঁদের তরফে।

একই সঙ্গে আরাধ্যা ও তাঁর মায়ের রূপের তুলনা টেনেও বচ্চন নাতনিকে বলা হয় কটুকথাও। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গেই অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি পাবলিক ফিগার, তাই তাঁকে ট্রোল করলে তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে নন। তাঁর কথায়, “ফেয়ার গেম, আমি পাবলিক ফিগার। তাই মেনে নিচ্ছি। আমার মেয়ে মানতে বাধ্য নয়।”

কলকাতায় ছিলেন না রাইমা সেন ও মুনমুন সেন। দুঃসংবাদ পৌঁছায় দিল্লিতে। শোনা মাত্রই বিমানপথে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। কলকাতায় বাবার সঙ্গে রয়েছেন রিয়া সেন। এদিন খবর পাওয়া মাত্রই শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মুনমুন-রাইমার জন্য অপেক্ষা করছি...পরশুও নাকি পার্টি করেছে: শোকাহত মমতা


মঙ্গলবার সকালেই না ফেরার দেশে মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা। আচমকাই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কলকাতায় ছিলেন না রাইমা সেন ও মুনমুন সেন। দুঃসংবাদ পৌঁছায় দিল্লিতে। শোনা মাত্রই বিমানপথে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। কলকাতায় বাবার সঙ্গে রয়েছেন রিয়া সেন। এদিন খবর পাওয়া মাত্রই শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক।

মুনমুন সেনের কলকাতায় আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টা নজরে রাখতে। মুনমুন সেন ও রাইমা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেই তাঁদের গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরিবার সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন ভরত দেব বর্মা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “মুনমুন রাইমা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় এখন রিয়া, পরিবারের আরও অনেকেই রয়েছেন। মুনমুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও ফিরলেন ওকে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করব। ও জানত না। ভরত আমাদের খুব ভালবাসত। ভীষণ ভাল মানুষ ছিলেন। এটা খুব বড় একটা ক্ষতি। ওরা বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমার একজন শুভাকাঙ্খীকে হারালাম। আত্মীয়কে হারালাম। আমি এখানে স্থানীয় বিধায়ককে রেখে গেলাম। পাশাপাশি দেবাশিষ কুমার, মালা রায়কেও জানিয়েছি। পুলিশকেও বলে রেখেছি। ওরা ফিরলে গ্রিন করিডোর করে আনা হবে। বাকি সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। মুনমুন আসলে একবার ফোনে কথা বলব। এখন শোক প্রকাশ ছাড়া, শেষকৃত্য ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।”

ভরতের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি ওঁর সুগার ছিল। তবে সকলে বলছে গত পরশুও নাকি পার্টি করেছেন। হঠাৎ করেই হয়তো কাল রাতে শরীরটা খারাপ করেছে। এই শীতের সময় একটু যত্নে থাকতে হয়। মূলত রাত ও ভোরের দিকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।”

শোনা যাচ্ছে দুপুর তিনটে নাগাদ কলকাতায় পৌঁছতে পারেন মুনমুন সেন ও রাইমা। তারপরই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পরিবার সূত্রে খবর।

মঙ্গলবার রাতে একটি বিবৃতির মাধ্য়মে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন সুরকার এআর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। অনেক দিন ধরেই আর একসঙ্গে থাকতে পারছিলেন না তাঁরা। দীর্ঘ দিনের তিক্ততার জন্যই শেষে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

এআর রহমানের বিয়ে ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বড় ঘোষণা গায়কের সহযোগী মোহনার


মঙ্গলবার রাতে একটি বিবৃতির মাধ্য়মে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন সুরকার এআর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। অনেক দিন ধরেই আর একসঙ্গে থাকতে পারছিলেন না তাঁরা। দীর্ঘ দিনের তিক্ততার জন্যই শেষে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। গায়কের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আরও একজন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন। তিনি হলেন রহমানের দলের বেসিস্ট মোহিনী দে। ইনস্টাগ্রামে সঙ্গীত পরিচালক মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন।


মোহিনী গিটার বাদক তাঁর স্বামী একজন সুরকার। তাঁদের দুজনের কর্মক্ষেত্র একই। বিচ্ছেদ হলেও তাঁরা আগামী দিনে কাজ একসঙ্গেই করবেন। যৌথ পোস্টের মাধ্যমে তিনি লেখেন, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমি আর মার্ক আলাদা হচ্ছি। প্রথমত, আমাদের বন্ধু এবং পরিবারকে জানাই এই সিদ্ধান্ত আমরা পারস্পরিক সহমতেই নিয়েছি। তবে বিচ্ছেদের পরও একে অপরের বন্ধু থাকব। কিন্তু আমাদের দু’জনের আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিচ্ছেদ হলেও যে কাজগুলি হাতে রয়েছে, সেগুলি তো করব বটেই। ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব।” এই মুহূর্তে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা হোক তা চান না।

এদিন উত্তর প্রদেশের ৯টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে এই ৯ আসনের বিধায়করা প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁরা সাংসদ হয়ে বিধায়ক পদ ছাড়েন। খালি হয় এই ৯টি আসন।

উপনির্বাচনে ভোট দিতে চেয়েছিলেন বিজেপিকে, যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

উপনির্বাচনের মধ্যেই উত্তর প্রদেশের কারহালে এক যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে বছর তেইশের ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিতে না চাওয়ায় তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মৈনপুরী জেলার পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার বলেন, ওই যুবতীর বাবা অভিযোগপত্রে লিখেছেন যে তাঁর মেয়ে উপনির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন। তিন দিন আগে তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন প্রশান্ত যাদব নামে এক যুবক। প্রশান্ত জানতে চান, তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। তখন যুবতী জানিয়েছিলেন, তিনি বিজেপিকে ভোট দেবেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁর পরিবার বাড়ি পেয়েছে। এরপরই যুবতীকে প্রশান্ত ভয় দেখান বলে অভিযোগ। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করে। তার পরই এদিন যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়।

যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় সমাজবাদী পার্টিকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সাইকেল চিহ্নে ভোট দিতে না চাওয়ায় কারহালে এক যুবতীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে সমাজবাদী পার্টির প্রশান্ত যাদব ও তার সঙ্গীরা।” সমাজবাদী পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। তবে কারহালের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী তেজ প্রতাপ যাদব বলেন, “ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার। এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”



বঞ্চিত উপভোক্তা ইতিমধ্যেই নামখানার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।

এই আরতি তো সেই 'আরতি' নন! আবাসের টাকা নিয়ে এবার বড় কেলেঙ্কারি
যে আরতির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ


দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির পর এবার নামখানার মৌসুনিতেও একই অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত উপভোক্তার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে! তিন ধাপে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের অন্য এক মহিলার বিরুদ্ধে। অথচ আবাস যোজনার পোর্টালে টাকা ঢোকার সব নথি রয়েছে বঞ্চিত উপভোক্তার নামে।

বঞ্চিত উপভোক্তার দাবি, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি খেয়ে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিয়েছে। বঞ্চিত উপভোক্তা ইতিমধ্যেই নামখানার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।

মৌসুনির বাঘডাঙার বাসিন্দা আরতি মাইতি। গত ২০২০-‌২১ অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’য় আরতির নাম তালিকাভুক্ত হয়। অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তা এই আরতি মাইতি হলেও টাকা ঢুকেছে অন্য এক আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে। তাঁর নাম তালিকায় ছিল না বলে অভিযোগ। তৎকালীন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে।

যে আরতি মাইতি আবাসের টাকা পেয়েছেন তাঁর নাম তালিকায় ছিল না। তবে তিনি টাকা পেয়ে বাড়ি করেছেন। কিন্তু সরকারি পোর্টালে বঞ্চিত আরতি মাইতির সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও কী করে অন্য আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। আবাস যোজনার টাকা যিনি পেয়েছেন সেই আরতি মাইতি ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় মৌসুনি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল কাইউম খান ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। নামখানার বিডিও অমিত সাহু ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।