WEATHER

Top News


এরপরই দেখা যায় ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটা শুরু করেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ইঞ্জিন বদলানোর কাজ চলছে যার ফলেই দীর্ঘক্ষণ যাত্রী ভোগান্তি।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে গেল একের পর এক লোকাল, কী হল হাওড়ায়?
হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে গেল একের পর এক লোকাল


হাওড়া: বুধবার। কর্মব্যস্ত দিন। মূলত, অফিসের জন্য প্রচুর মানুষের ভরসা লোকাল ট্রেন। কিংবা অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজে আসেন হাওড়া স্টেশনে। তবে আজ হল বিপত্তি। ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় লাইন দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লোকাল ট্রেন। প্রায় চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।

রেলসূত্রে খবর, এ দিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল লোকাল ট্রেন। জানা যায়, বর্ধমান থেকে হাওড়া ঢোকার মুখে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। ফলে একের পর এক লোকাল দাঁড়িয়ে থাকে। জানা যায়, হাওড়া স্টেশনের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনগুলি। এ দিকে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার খানিকটা বিরক্ত হন যাত্রীরা।

এরপরই দেখা যায় ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটা শুরু করেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ইঞ্জিন বদলানোর কাজ চলছে যার ফলেই দীর্ঘক্ষণ যাত্রী ভোগান্তি।
পরিবর্তে লোকেশ রাহুল ওপেন করতে পারেন। এ-দলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এ দলের প্রথম ম্যাচটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অ্যাপে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি টেলিভিশনেও সম্প্রচার হবে

এমসিজি-তে মহড়ায় লোকেশ রাহুল, টিভিতে দেখা যাবে ম্যাচ


বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরু ২২ নভেম্বর। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিনসুইপের পরই লোকেশ রাহুল এবং ধ্রুব জুরেলকে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া যাবে ১০ নভেম্বর। কাল থেকে শুরু হতে চলা ভারত এ বনাম অস্ট্রেলিয়া এ দলের ম্যাচে রাহুল ও জুরেলকে খেলানোর উদ্দেশেই পাঠানো হয়েছিল। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তাই হতে চলেছে। সম্ভবত, পারথ টেস্টের ওপেনিং কম্বিনেশনের মহড়াও। ব্যক্তিগত কারণে প্রথম টেস্টে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ রোহিত শর্মাকে। পরিবর্তে লোকেশ রাহুল ওপেন করতে পারেন। এ-দলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এ দলের প্রথম ম্যাচটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অ্যাপে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি টেলিভিশনেও সম্প্রচার হবে।

অস্ট্রেলিয়া টিমও ওপেনার নিয়ে সমস্যায় রয়েছে। উসমান খোয়াজার সঙ্গী কে হবেন, তা নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার এ দলের ক্যাপ্টেন নাথান ম্যাকসোয়েনি সহ চার জন দৌড়ে রয়েছেন। ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট, মার্কাস হ্যারিস এবং ১৯-এর তরুণ স্যাম কন্টাস। বেশ কিছুদিন আগে থেকে স্যাম কন্টাসকে ওপেন করানোর পক্ষে ছিলেন অজি কিংবদন্তিরাও। অনভিজ্ঞ কন্টাসকে সরাসরি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে নামিয়ে দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতও পাওয়া গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে এ দলের ক্যাপ্টেন ম্যাকসোয়েনির পারফরম্যান্সের পর তাঁরই পাল্লা ভারী।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, জাতীয় মহিলা কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

'আমাকে যে ভাষায়...', রেখা পাত্রকে কী এমন বললেন ফিরহাদ হাকিম, মুখ খুলল মহিলা কমিশনও
ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

 ‘রেখা পাত্রকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমের। একজন মহিলা সম্পর্কে ওই শব্দ ব্যবহার করা উচিত হয়নি।’ রেখা পাত্র সম্পর্কে করা মন্তব্যের জেরে ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুমন্তব্যের জন্য ফিরহাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তার জবাবে ফিরহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলল জাতীয় মহিলা কমিশনও।

বুধবার হাড়োয়ায় দলীয় প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম। সেখানে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পরাজয় নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।



এদিন বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া যায় জন বার্লাকে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী।

 বিজেপিতে দিন ঘনিয়ে আসছে জন বার্লার? তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুখ খুললেন প্রাক্তন সাংসদ
তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে জন বার্লা



 বিজেপি কি ছাড়ছেন তিনি? বেশ কিছুদিন ধরেই এই জল্পনা চলছে। মাদারিহাট-সহ রাজ্যের ৬ আসনে উপনির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, সেই জল্পনা আরও বাড়ছে। তৃণমূল নেতাদের পর এবার তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লাকে। এমনকি, রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। যদিও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের দাবি, এখনও পর্যন্ত দল পরিবর্তনের কথা ভাবেননি তিনি। কিন্তু, বিজেপির জেলা নেতৃত্বের কাজে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, সেকথা গোপন করেননি।

সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদক বৈঠক করেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লার সঙ্গে। সেই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছিল দুই পক্ষই। আর বুধবার প্রকাশ্যে বিন্নাগুড়ি বাজারে তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া গেল জন বার্লাকে। ভাইরাল সেই ছবি আর ভিডিয়ো।

এদিন বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া যায় জন বার্লাকে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী। রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রভা কুজুর লাকরার বাড়িতে বৈঠকেও দেখা যায় জন বার্লাকে। এই নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, তিনি জন বার্লাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।

 শারদ উৎসব শেষ। দীপাবলী ,কালীপুজো, ভাতৃদ্বিতীয়া পার হলেও পর্যটন নগরী দিঘায় পর্যটকের অভাব নেই। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবও পড়েনি তেমন, ফলে সহজেই ছন্দে ফিরেছে দিঘা।


 হুডখোলা বাস, 7D শো, ডিসেম্বরে দিঘা গেলে তো আর চিনতেই পারবেন না
দিঘায় পর্যটকের ভিড়

 দোলনায় দুলছেন, আর নীচে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র। স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি হচ্ছে। দিঘায় গেলেই এই দোলনায় চড়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যাবে এবার থেকে। তবে এই ‘জায়ান্ট সুইং’ শুধু নয়, দিঘার পর্যটকদের জন্য একাধিক আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে দিঘায়। আগামী ডিসেম্বরে দিঘা গেলে হয়ত চিনতেই পারবেন না। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের অভাব হয় না কখনও। আর নতুন সব আকর্ষণ যে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়াবে, তা নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

শারদ উৎসব শেষ। দীপাবলী ,কালীপুজো, ভাতৃদ্বিতীয়া পার হলেও পর্যটন নগরী দিঘায় পর্যটকের অভাব নেই। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবও পড়েনি তেমন, ফলে সহজেই ছন্দে ফিরেছে দিঘা। এরই মধ্যে দিঘাকে একেবারে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। স্পিডবোটে সমুদ্রে ঘোরার ব্যবস্থা ছিল আগেই, প্যারাসেলিংও চলছে বেসরকারি উদ্যোগে। আর এবার নতুন আকর্ষণ জায়ান্ট সুইং, টয়ট্রেন, হুডখোলা বাস, সেভেন ডি শো সহ আরও অনেক কিছু।

ঢেউ সাগর কমপ্লেক্সে গিয়ে খুশি পর্যটকেরা। বিশেষত সন্ধ্যার পর গেলে নানা ধরনের বিনোদন উপভোগ করা যাবে। বিশেষত শিশুদের খুবই ভাল লাগছে বলে জানাচ্ছেন পর্যটকেরা। জায়ান্ট সুইং বা দোলনার ভাড়া আপাতত ১০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। বাকিগুলি কবে চালু হবে, তা জানা যায়নি। এদিকে, পাড় বাঁধানোর কাজও চলছে।

এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'ভুল ভুলাইয়া থ্রি'। মুক্তির কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে কার্তিকের ছবি।
'মায়ের বারণ! মদ ছুঁইয়েও দেখিনি', কার্তিকের মন্তব্য শুনে শুরু সমালোচনা


এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’। মুক্তির কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে কার্তিকের ছবি। ছবির প্রচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে তাঁকে। সেখানেই নিজের সম্পর্কে এক বড় তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা।

কী বলেছেন কার্তিক? কার্তিকের কথায়, ‘আমি মদ ছুঁয়েও দেখি নি কখনও। কারণ, মায়ের নিষেধ রয়েছে। আর এটা নিয়ে আমার কোনও আগ্রহও নেই। কখনও খাওয়ার ইচ্ছেও হয়নি।’ তবে মদ্যপান না করলেও নিজের অন্য একটি নেশার কথা প্রকাশ্যে আনলেন নায়ক। তাতেও কিন্তু মায়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নায়কের কথা শুনে অনেকে লিখেছেন, “মাম্মাজ বয় কার্তিক। বিয়ের পর তাহলে খুবই সমস্যা হবে।”

যদিও এ প্রসঙ্গে অভিনেতা কিছু বলেননি। কার্তিক বলেন, “তবে আমার একটা নেশা আছে। সেটা হল গাড়ি আর বাইকের। তবে তাতেও মায়ের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দামি গাড়ির প্রতি আমার বিশেষ ঝোঁক রয়েছে।’ কার্তিক বলেন, রয়্যাল এনফিল্ড থেকে স্পোর্টস বাইক ডুকাটি স্ক্রাম্বলারও রয়েছে তাঁর। তাঁর কথায়, ‘আমার দামি দামি বাইক আছে, তবে মায়ের বারণ বলে চালাই না। ওগুলো পড়েই রয়েছে।” উল্লেখ্য,এই মুহূর্তে সাফল্যের মধ্যগগনে অভিনেতা। তাঁকে আরও নতুন নতুন চরিত্রে দেখার জন্য অপেক্ষায় দর্শক।

তাঁদের ১৬ বছরের দাম্পত্য নাকি ভাঙতে বসেছে। এমনটাই আলোচনা টিনসেল টাউনে। শোনা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্কের টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্য়ে প্রকাশ্যে আরও এক নতুন তথ্য। অভিষেককে সটান প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বর্যর কোন গুণ তাঁর একদম পছন্দ নয়।


আমার জঘন্য লাগে', ঐশ্বর্যর কোন অভ্যাস ঘেন্না করেন অভিষেক?


তাঁদের ১৬ বছরের দাম্পত্য নাকি ভাঙতে বসেছে। এমনটাই আলোচনা টিনসেল টাউনে। শোনা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্কের টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্য়ে প্রকাশ্যে আরও এক নতুন তথ্য। অভিষেককে সটান প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বর্যর কোন গুণ তাঁর একদম পছন্দ নয়। তিনি ঘেন্না করেন। তিনিও কোনও কুণ্ঠাবোধ না করে সটান বলে দেন।

অভিনেতা বলেন, “ঐশ্বর্যর এই অভ্যাসটা আমার অসহ্য লাগে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ঐশ্বর্য যে ভাবে নিজের সুটকেস গোছায় আমার তা একেবারেই পছন্দ নয়। আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না পুরো বিষয়টা।” পুরো আলোচনাটাই হয়েছিল ‘কফি উইথ করণ’-এর একটি পর্বে। যেখানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন অভিষেক এবং তাঁর দিদি শ্বেতা বচ্চন। তখনই মজার ছলে অভিষেক নিজের সংসারের কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, শোনা যায় ‘দসভি’ ছবিতে অভিনয় করার সময়ই অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নিমরত। তবে সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। আচমকা কেন নিমরতের সঙ্গে অভিষেকের নাম জড়িয়েছে !তা শুনে নাকি খুবই বিরক্ত বচ্চন পরিবার। অন্তত বচ্চন পরিবারের ঘনিষ্ঠর দাবি এমনটাই। সত্যি যদিও এখনও অধরা। এ দিকে আরও একটি তথ্য এসেছে প্রকাশ্যে। শোনা যাচ্ছে,ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়েও বিস্তর ঝামেলা বেঁধেছে বচ্চনদের। মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্যই নাকি যত ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে।



নিম্নমানের খাবার, মাঝে মাঝে খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আইসিডিএস কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ।। 





দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৫ নম্বর ICDS -এর দুর্গারানী সামন্তকে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেছে এলাকার মানুষ । 

দিদিমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিদিন নিম্নমানের খাবার দেওয়া এবং মাঝে মাঝে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন বিয়ের পর থেকে বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন জামাই। কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিবাদ। এলাকার লোকজনের সন্দেহ, ঝামেলার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক।

 ঘরে অচৈতন্য স্ত্রী, টালি খুলে শাশুড়ির ঘরে ঢুকে যাচ্ছেতাই কাণ্ড জামাইয়ের, ধরা পড়তেই ছুট
ব্যাপক শোরগোল এলাকায়

স্ত্রীকে অচেতন করে শাশুড়িকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফারাক্কার খোদাবন্দপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই জামাইয়ের বিরুদ্ধে ফারাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্বাশুড়ি। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে ফারাক্কার অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদাবন্দপুর গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রতিবেশী যুবক সমির শেখের (২৫)।

এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন বিয়ের পর থেকে বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন জামাই। কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিবাদ। এলাকার লোকজনের সন্দেহ, ঝামেলার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক। অভিযুক্তের স্ত্রী জানাচ্ছেন, গভীর রাতে তাঁকে অচৈতন্য করে দেয় স্বামী। আর তখনই তাঁর মায়ের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় বেগ পায়। তখন ঘরের টালি খুলে ঘরে ঢোকে। 

অভিযুক্তের শাশুড়ি জানাচ্ছেন, সোনার গয়না চুরির করার উদ্দেশ্য়েই জামাই ঘরে ঢুকেছিল। কিন্তু আমি দেখতে পেয়ে যাওয়ায় ধারল অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এঁটে উঠতে না পেরে পালিয়ে যায়। এদিকে ততক্ষণে শাশুড়ির চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবেশীদের। উত্তেজনার খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফারাক্কা থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর দীর্ঘ সময় খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। 

আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী বলেন, "জামিনের আবেদন করছি।"


যদি বলি ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ...', আদালতে কেন বললেন আইনজীবী
সন্দীপ ঘোষ

 আরজি কর মামলার চার্জশিট গঠন হল আজ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ধারায় গঠিত হয় চার্জ। রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে বিচার প্রক্রিয়া। বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে চীৎকার করেন অভিযুক্ত। অন্যদিকে, ওই মামলায় জামিন চেয়ে বিচারকের কাছে আর্জি জানান সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে, তার কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।


আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী বলেন, “জামিনের আবেদন করছি। প্রথম চার্জশিটে শুধুই ধর্ষণ ও খুনের কথা বলা হয়েছে। এখন প্রমাণ লোপাটের কথা বলা হচ্ছে। একটা প্রমাণ দেখাক।” সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে যে সিবিআই আপাতত ক্লিনচিট দিচ্ছে না, সে কথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এদিন।

সন্দীপের আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় নাম জড়ানোর পর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাঁর মক্কেলের। আইনজীবী জোয়েব রউফ বলেন, “সংবাদমাধ্যম আমার মক্কেলের (সন্দীপ ঘোষ) যা ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, তাতে যদি বলা হয় যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ, বাংলার মানুষ সেটাই বিশ্বাস করবে।”

সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, "আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই দু'জন (সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল) একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন ঘটনার পর।"


আমরা বলিনি সিভিক ভলান্টিয়ার একাই যুক্ত', আরজি কর মামলায় বলল সিবিআই
মুখ খুললেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে আজ, সোমবার আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জ গঠন হল শিয়ালদহ আদালতে। এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, চার্জ গঠন হলেও তদন্ত এখনও চলছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম চার্জশিটে থাকলেও, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কি না তারও তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, “আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই দু’জন (সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল) একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন ঘটনার পর। কেন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেটার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।”

তবে কি আরজি কর মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার পথে? এই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই এদিন বলে, চার্জশিটে আমরা বলিনি ওই সিভিক ভলান্টিয়ার একাই যুক্ত। ওঁর বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে, তাই ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা মেনে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তার তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ক্লিনচিট দিচ্ছে না সিবিআই।

কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। ফাইনালে একটা অনবদ্য ইনিংসে সব ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে লজ্জার সিরিজ হারের ক্ষত কত তাড়াতাড়ি মিটবে, বলা কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা, জন্মদিনটা কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন বিরাট কোহলি?


 কিউয়ি সিরিজে লজ্জা, বিরাট কোহলি যে ভাবে জন্মদিন পালন করলেন...


বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আজ শুধু একটাই প্রসঙ্গ। কিং কোহলির জন্মদিন। তাঁর নানা অনবদ্য় ইনিংসের ভিডিয়ো যেমন সামনে আসছে, তেমনই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁর কেরিয়ারের খারাপ সময়গুলোও। এর মধ্যেই একটা হতাশার সিরিজ কেটেছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ স্পিনারদের কাছে ধরাশায়ী। টিম ইন্ডিয়ার এই ব্যর্থতার অন্যতম অংশ বিরাট কোহলিও। ব্যাট হাতে লাগাতার হতাশ করছেন। কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। ফাইনালে একটা অনবদ্য ইনিংসে সব ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে লজ্জার সিরিজ হারের ক্ষত কত তাড়াতাড়ি মিটবে, বলা কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা, জন্মদিনটা কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন বিরাট কোহলি?

গত এক বছর ধরেই একটা গুঞ্জন চলছে, বিরাট কোহলি হয়তো পাকাপাকি ভাবে লন্ডনে থেকে যাবেন। দেশে-বিদেশে নানা সিরিজ শেষেই লন্ডন উড়ে গিয়েছেন বিরাট। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তবে কিউয়ি সিরিজে হারের পর আপাতত বিরাট কোহলি দেশেই। ১০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া যাবে ভারতীয় দল। সেখানে পাঁচ ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। সূত্রের খবর, বিরাট কোহলি তাঁর ৩৬তম জন্মদিন দেশেই কাটিয়েছেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে।



সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কিছু ছবি, ভিডিয়োও এসেছে জন্মদিন পালনের। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, তাঁর নিজস্ব রেস্তোরাঁতেই জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন বিরাট কোহলি। সঙ্গী স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। জন্মদিনের সেলিব্রেশনের মাঝেও ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে যা শেষ সুযোগ। তেমনই বিরাটের মতো সিনিয়রের কাছেও এটাই হয়তো শেষ সুযোগ। সাফল্য পেলে কোনও সমস্যা নেই, ব্যর্থ হলে এটাই শেষ সিরিজ হতে পারে জাতীয় দলের জার্সিতে।

সোমবার দিনভর মোট ৫ টি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হীতেন্দ্র নাথ বর্মন, জনার্দন বর্মন, সম্পদ রায়, কমল চন্দ্র বর্মন ও দেবব্রত রায়। আজ মোট ৫ জন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 এখনও পর্যন্ত মোট ৬৩ লক্ষ! নিশীথ প্রামাণিকের 'আপ্ত সহায়ক' পরিমলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ



অভিযোগের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে নিশীথের আপ্ত সহায়ক পরিচয় দেওয়া কুখ্যাত আসামী পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে। এর আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর গুলি চালানো, বিস্ফোরক-সহ আরও বিভিন্ন অভিযোগের মামলা রয়েছে। বিধানসভা ভোটের টিকিট ও চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল পরিমলের বিরুদ্ধে। এবার ওই তালিকায় নতুন সংযোজন হল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া-সহ আরও একগুচ্ছ অভিযোগ।


অমিত শাহর প্রাক্তন ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। অভিযোগ, তার পিএ পরিচয় দিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বনাথ শীলকে বিধানসভার টিকিট ও যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল পরিমল রায়। এই বিপুল পরিমাণ টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করেছিলেন বলে দাবি বিশ্বনাথ শীলের। কিন্তু বিধানসভার টিকিট বা কারোর চাকরি না হবার পর তিনি পরিমল রায়ের কাছে টাকা ফেরতের দাবি করেন। লাগাতার প্রতিশ্রুতির পর সেই টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বনাথ শীল।

রবিবার রাতে টিভি নাইন বাংলায় সেই খবর সবার আগে প্রচারিত হয়। আর এরপর সেই খবর প্রকাশিত হতেই সোমবার দফায় দফায় ময়নাগুড়ি থানায় পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত একের পর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।

সোমবার দিনভর মোট ৫ টি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হীতেন্দ্র নাথ বর্মন, জনার্দন বর্মন, সম্পদ রায়, কমল চন্দ্র বর্মন ও দেবব্রত রায়। আজ মোট ৫ জন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবার সবাই কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। আজ মোট আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি। অর্থাৎ দুদিন মিলিয়ে প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল ময়নাগুড়ি থানায়।

মেখলিগঞ্জের উছল পুকুরি এলাকার বাসিন্দা হিতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, “আমার মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে পরিমল রায়। আমরা তাঁকে নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়ক বলে জানতাম। মন্ত্রীর সাথে কর্মসূচিতে দেখেছি। তাই বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরি না হলে আমি টাকা ফেরত চাই। দিয়ে দেবে বলে দু বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। আজ সংবাদ মাধ্যমে পরিমল রায়ের প্রতারণার খবর দেখলাম। তাই ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে এসে অভিযোগ দায়ের করলাম।”

প্রতারিত হয়েছেন কমল চন্দ্র বর্মন। বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ শীল বলেন, “মন্ত্রী থাকা কালীন নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে অভিযুক্ত পরিমল রায় কে দেখেছেন।এমনকি খোদ মন্ত্রীর বাড়িতে পরিমলের সাথে মন্ত্রীর সাথে তার আত্মীয়ের চাকরির ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। ওই সময় পরিমলকে মন্ত্রীর সাথেই দেখা যেতো। টাকা ফেরত দেবার জন্য ও আমার সামনেই নিশীথ প্রামানিককে ফোন করেছিল বলে দাবী তার।

পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহাল বলেন, “মঙ্গলবার নতুন করে ৫ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। অপরদিকে পরিমল রায় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।” তিনি আরও বলেন, “পরিমল রায় একজন কুখ্যাত অপরাধী। ২০১৮ সালে তিনি যখন কোচবিহার জেলায় SDPO পদে আসীন ছিলেন সেই সময় একটি অভিযান চলাকালীন পরিমল রায় পুলিশের উপর গুলি চালায়। ওই ঘটনায় তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে আজও মামলা চলছে।” পরিমল রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। অপরদিকে নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, এই নামে তাঁর কোনও পিএ নেই।