WEATHER

Top News


পথদুর্ঘটনায় আহত বাইক আরোহী চিকিৎসা পেলো সেবাশ্রয় ক্যাম্পে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে এক বাইক আরোহী বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় আহত হয়, স্থানীয় মানুষরা সেই বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে সেবাশ্রয় ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানেই সেই বাইক আরোহীর চিকিৎসা হয়। সেবাশ্রয় ক্যাম্প থেকে বাইক আরোহীর এক্সিডেন্টের পরবর্তী চিকিৎসা খুবই ভালো হয়েছে, এমনটা দাবি করছে ওই বাইক আরোহীর পরিবার।


 অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সেবাশ্রয় ক্যাম্প ২ কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ডায়মন্ড হারবার এসে উদ্বোধন করেছিলেন  মানুষের মানুষের সেবার জন্য আর সেই ক্যাম্পে এক পথ চলতি বাইক আরোহী চিকিৎসা করে নিজের জীবন ফিরে পেলো। ওই ক্যাম্পে শুধু বাইক এক্সিডেন্ট নয় আরো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হচ্ছে প্রতিদিন। এলাকার মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে ওই ক্যাম্প থেকে। এই ক্যাম্প হয়ে খুশি প্রকাশ করছেন এলাকার মানুষ।




গঙ্গাসাগরের হরিণবাড়ির কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই অটো গাড়ি 

কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর আসার সময় একটি অটো গাড়ি হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরের হরিণবাড়ির কাছে একটি পুকুরে উল্টে পড়ে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আজ সন্ধ্যা নাগাদ একটি অটো গাড়ি পাঁচ জন যাত্রী নিয়ে সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগরের দিকে আসছিল। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হরিণমারীর কাছে একটি পুকুরে গাড়িটি উল্টে পড়ে, এবং ওই গাড়িতে থাকা পাঁচ জন যাত্রীকে গাড়ি থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী তাদের চিকিৎসার জন্য সাগর গ্রামীণ হসপিটালে পাঠানো হয়।
 পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাড়িটিকে পুকুর থেকে তোলা হয়।

তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই গাড়িতে থাকা পাঁচ জন যাত্রী কিছুটা চোট পেয়েছে বর্তমানে সবাই সুস্থ আছে তাদেরকে সাগর গ্রামীণ হসপিটালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি: শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম 'নাগ মেলা'

​গঙ্গাসাগর মেলার ঢের আগে সাগরদ্বীপ সেজে উঠেছে তার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব নাগ মেলা-র জন্য। আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে গঙ্গাসাগরের পুরুষোত্তমপুরের নাগ সরোবর ময়দানে শুরু হতে চলেছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। শ্রী শ্রী নাগরাজ, মনসা মাতা ও অন্যান্য দেবদেবীর পূজা-অর্চনাকে কেন্দ্র করে এই উৎসবের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
​প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার প্রায় এক মাস আগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা সাগরদ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দ্বীপের বাইরের বহু দর্শনার্থীকেও আকর্ষণ করে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গাসাগর–বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে নাগ সরোবর এলাকাটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

​নাগ মেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা ছাড়াও, গঙ্গাসাগরে পূর্ণস্নানের উদ্দেশ্যে আসা বহু পুণ্যার্থীও এই সময় নাগ সরোবর দর্শন করেন। এই মেলা এখন অনেকের কাছেই 'মিনি গঙ্গাসাগর মেলা' নামে পরিচিতি লাভ করেছে। মূল মেলার ঠিক আগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি এক প্রকার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবেও কাজ করে, যা উৎসবের আবহকে আরও জমিয়ে তোলে। মেলার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ, যেখানে সেল্ফ ম্যাপড অর্থাৎ যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, তাঁদের সংখ্যা মাত্র ৬৮ হাজার ৪৯৯। তার মানে ২০০২ সালের পর যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁরাই প্রজেনি ম্যাপড। এবার দেখা যাচ্ছে কমিশনের পরিসংখ্যানে, এই প্রজেনি ম্যাপড ভোটারের সংখ্যাই ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৩৪।


'প্রজেনি ম্যাপিং' কী? ফর্ম ডিজিটাইজেশনের পর কোন তাজ্জব তথ্য এখন মাথাব্যথা কমিশনের
প্রজেনি ম্যাপিং


এসআইআর-এর দুটো ধাপ পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ফর্ম বিলির পর তা সংগ্রহ, তারপর ডিজিটাইজেশন! BLO-দের ভূমিকা এখানে শেষ, এবার গুরুদায়িত্ব ERO, জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের। এবার ফর্ম খতিয়ে দেখার পালা! আদৌ আপনি কিংবা আমি ভারতের নাগরিক কিনা, আদৌ আবেদনে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা! মূলত এই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে দুটো সমান্তরাল ভাগ রয়েছে। একটি সেল্ফ ম্যাপড, অর্থাৎ যাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে। সেটা কমিশনের কাছে খুব একটা নাড়াচাড়া করার বিষয় নয়, জলের মতো পরিস্কার! দ্বিতীয়ত, প্রজেনি ম্যাপিং, সর্বাধিক এই বিষয়টির ওপরেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে! এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে ‘প্রজেনি’- এই শব্দবন্ধটির সঙ্গে আমরা এখনও সকলে সঠিকভাবে পরিচিত হয়ে উঠতে পারিনি! কী এই প্রজেনি ম্যাপিং? তাতে ঠিক কোন বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে! সেই নিয়েই আজকে ব্রিফিং রুমে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। সঙ্গে আমি শর্মিষ্ঠা।

প্রজেনি ম্যাপিং কী?




মুর্শিদাবাদে বিধানসভার ফল নিয়ে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
সোমবার ডিইও-দের বিশেষ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ‘প্রজেনি ম্যাপিং’ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই, বাবা-ঠাকুরদার নামে ফর্ম ফিলাপ যাঁরা করেছেন, তাঁদের ফর্ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটাকেই নির্বাচন কমিশনের ভাষায় বলা হচ্ছে প্রজেনি ম্যাপিং। মূলত, যে সমস্ত বুথে বংশগত মিল বেশি পাওয়া যাচ্ছে, এমন বুথ ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী কী তথ্য যাচাই চলছে?

ফর্মে দেওয়া পরিবারের সদস্য বা উত্তরাধিকারীদের তথ্য সঠিক কি না।প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত আছে কি না (যেমন জন্মসনদ, আধার/ভোটার/আইডি, সম্পর্কের প্রমাণ, সঙ্গে নাম, বয়স, ঠিকানা, সম্পর্ক ইত্যাদিতে কোনও ভুল বা অসঙ্গতি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত এবং ডুপ্লিকেট ভোটার নিয়েও তথ্য দিয়েছে সিইও দফতর।

কমিশনের ‘তাজ্জব’ তথ্য

নথি বলছে, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত মোট ৪৬ লক্ষ ২০ হাজার এনুমারেশন ফর্ম ফিরেছে। এর মধ্যে ২২ লক্ষ ২৮ হাজার মৃত। নিখোঁজ ৬ লক্ষ ৪১ হাজার। স্থানান্তর, অর্থাৎ যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন ১৬ লক্ষ ২২ হাজার। ডবল এন্ট্রি ১ লক্ষ ৫ হাজার! প্রায় একশো শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ হয়ে গিয়েছে, এমন পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ২২০৮টি।

কমিশনের হাতে যে তথ্য এসেছে, তা তাজ্জব করার মতো। বিশেষত ৫০ টি বিধানসভা এলাকা! যেখানে ২০০২ সালের পর ভোটার হয়েছে, এমন ভোটারের সংখ্যা সবথেকে বেশি। শতাংশের বিচারে সেটি কোথাও ৬২ শতাংশ, কোথাও আবার ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২০০২ সালের আগে ওই ৫০ টি বিধানসভায় ভোটার ছিলেন মাত্র ৩৫ শতাংশ! তাহলে ওই ৬৫ শতাংশের মধ্যে কোনও অনুপ্রবেশকারী নেই তো? তাই তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রজেনি ম্যাপিং বা বংশগত মিল বেশি হয়েছে, এমনই বুথই এখন কমিশনের স্ক্যানারে।

জলে দুধ না দুধে জল?

একটু উদাহরণ দিই আপনাদের। ধরুন, একজনের বয়স ২০২৫ সালে ৫০ বছর। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। অর্থাৎ তিনি প্রজেনি ম্যাপড! এমনও দেখা যাচ্ছে, এমনও বিধানসভা রয়েছে, যেখানে প্রজেনি ম্যাপড ২০০ শতাংশের বেশি।

যেমন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ, যেখানে সেল্ফ ম্যাপড অর্থাৎ যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, তাঁদের সংখ্যা মাত্র ৬৮ হাজার ৪৯৯। তার মানে ২০০২ সালের পর যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁরাই প্রজেনি ম্যাপড। এবার দেখা যাচ্ছে কমিশনের পরিসংখ্যানে, এই প্রজেনি ম্যাপড ভোটারের সংখ্যাই ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৩৪। অর্থাৎ তাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের বাবা-মা-ঠাকুরদার নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল। অর্থাৎ ২০০২ সালের তালিকা অনুসারে এটা কিনা ২৩৮ শতাংশ বেশি! তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই! ওই এলাকায় কি সংখ্যাগরিষ্ঠই ২০০২ সালের পর জন্মগ্রহণ করেছেন? নাকি জল মিশেছে?

আবার মেটিয়াবুরুজ। কমিশনের তথ্য বলছে, এখানে ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯। সেখানে সেল্ফ ম্যাপড ৬৯ হাজার ৪৯৯। প্রজেনি ম্যাপিং ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৪১। অর্থাৎ ‘প্রজেনি অন সেল্ফ ম্যাপিং’ প্রায় ১৭৫ শতাংশ।

কমিশনের নজরে রয়েছে সামসেরগঞ্জ, সুতি, রেজিনগর, চোপড়া, বেলডাঙা, ভাঙড়, মেটিয়াবুরুজ, বসিরহাট, দেগঙ্গা। কিন্তু এই সব এলাকায় ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখে দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালের পর যাঁরা নাম তুলেছেন, তাঁদের কারোর বয়স ৫০, কারোর বা ৬৫! বয়সের গড়মিলটা বুঝতে পারছেন? ২০০২ সালে কিন্তু তাঁদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করার বয়স ছিল, তাহলে কেন পরে নাম?

গত কয়েক মাসে তো প্রায় রোজই এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে, যেখানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নাগরিককে বাবা-মা বানিয়ে ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেছেন! সেটা প্রতিবেশী হোক, কিংবা শ্বশুর, মামা-কাকা-যেই হোক! এ খবর আর নতুন করে বলার নেই। প্রজেনি ম্যাপিং যেখানে অস্বাভাবিক হারে বেশি হয়েছে, সেই জায়গাগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

আবাসনে বুথ সংক্রান্ত ইস্যুতে মঙ্গলবারও পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। যে সব আবাসনে ৮০০ বা তার বেশি ভোটার রয়েছেন এমন আবাসনের খোঁজ করতে বলা হয়েছে। আপাতত এই ‘প্রজেনি’ ম্যাপড ভোটারদের নিয়েই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। দুধ থেকে জল ছেকে ঠিক কতটা বার করা যাবে, সেটার দেখার।

কেন্দ্রের ঘোষণার আগেই গতকাল, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সম্প্রচার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সংসদে জানিয়েছিলেন যে এই অ্যাপ রাখা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে এই অ্যাপ ডিলিট করে দিতে পারেন। সাইবার সিকিউরিটির জন্যই এই অ্যাপ মোবাইলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


সঞ্চার সাথী নিয়ে পিছু হটল কেন্দ্র। সমস্ত স্মার্টফোনে সঞ্চার সাথী অ্যাপ্লিকেশন (Sanchar Saathi Application) বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইন্সটলেশনের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশ দেওয়ার পরই সঞ্চার সাথী অ্যাপ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা দাবি করে যে এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকার জনগণের উপরে নজরদারি করার চেষ্টা করছে।


অ্যাপেল সহ দেশের সমস্ত স্মার্টফোন উৎপাদক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সঞ্চার সাথী অ্যাপ মোবাইলে প্রি-ইন্সটল করার। ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রের তরফে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে সঞ্চার সাথী অ্যাপের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে প্রি-ইন্সটলেশনের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে প্রি-ইন্সটলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই প্রক্রিয়ায় গতি আনার জন্য।


প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৬ লক্ষের বেশি মানুষ সঞ্চার সাথী অ্যাপ ইন্সটল করেছেন। মোট ১.৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে সঞ্চার সাথীর।

কেন্দ্রের ঘোষণার আগেই গতকাল, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সম্প্রচার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সংসদে জানিয়েছিলেন যে এই অ্যাপ রাখা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে এই অ্যাপ ডিলিট করে দিতে পারেন। সাইবার সিকিউরিটির জন্যই এই অ্যাপ মোবাইলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গ্রাহকদের সাইবার সুরক্ষা দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।

একইসঙ্গে বিরোধীরা দাবি করেছিল যে সঞ্চার সাথী অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে, তার উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া বলেছেন, “সঞ্চার সাথী অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি সম্ভব নয়, না কখনও সম্ভব হবে।”


 কল্যাণ বারবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন, সব পক্ষকে সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করতে না দিয়েই একতরফা রায় দিয়েছিলেন একক বেঞ্চের বিচারপতি। তিনি ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন, আদালতের সিবিআই তদন্ত করে কী রিপোর্ট দিয়েছে, সেই ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধেরও উল্লেখ করেনি সিবিআই।


থরোলি পলিটিক্যাল ইনটেনশন'! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজের পর হাসি মুখে খোঁচা কল্যাণের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়


 ২০২৩ কাট টু ২০২৫! প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বাতিল করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার রায়ে জানানো হল, ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাজ থাকছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এত দিন চাকরি করেছেন ৩২ হাজার শিক্ষক। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আদালত চাকরি বাতিল করছে না।’’ আর এই রায়ে কী বলছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।



 আইনজীবী কল্যাণ বলেন, “খুবই ভাল লাগছে, এতদিন যে লড়াই হয়েছে, সেই ২০২৩ সালের এপ্রিল মে মাস থেকে ২০২৬ সালে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, যখন চাকরি বাতিল হয়, তখন ওদের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠায়। আজ সত্যের জয় হল।”


কল্যাণ বারবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন, সব পক্ষকে সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করতে না দিয়েই একতরফা রায় দিয়েছিলেন একক বেঞ্চের বিচারপতি। তিনি ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন, আদালতের সিবিআই তদন্ত করে কী রিপোর্ট দিয়েছে, সেই ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধেরও উল্লেখ করেনি সিবিআই। সন্দেহের ভিত্তিতে এতগুলি শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় একক বেঞ্চ।

কল্যাণ এদিনও তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় ও তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরাসরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিঁধে কল্যাণ বলেন, “একটা বিচারপতি যখন রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা নিয়ে চলেন, তখন এই ধরনের রায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিচারপতি দিতে পারেন। থরোলি পলিটিক্যাল ইনটেনশন ছিল। সেটাও পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এই কথাটাই বারবার বলে এসেছিলাম, এবার প্রমাণিত হয়ে গেল। উনি তো বলেছিলেন চাকরি খেয়ে নেব। আজ আমরা চাকরি রেখে দেখিয়ে দিলাম, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আসলে বিচারব্যবস্থার কলঙ্ক, বিশ্বের কলঙ্ক।”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চাকরিহারা শিক্ষকরা তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একটা সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে ‘ভগবানের’ আসনে বসিয়েছিলেন, আজ শিক্ষকদেরই একাংশ তাঁর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন। সেই একই কথা বলছেন কল্যাণও। কল্যাণ বলেন, “বিচারপতি কখন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হতে পারেন না। তাঁকে অনেক উপরে উঠতে হয়। কলকাতা হাইকোর্টে কয়েকজন সিপিএমের আইনজীবীরা মিলে একটা প্যানেল করে কয়েকজন বিচারপতির কাছ থেকে এমন রায় নিচ্ছেন, সেটাই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ডেও সিপিএম ভিত্তি রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি চাকরি খাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আপাতত ৩৩ হাজার লোকের চাকরি বাঁচল। কিন্তু এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেল। ভবিষ্যতের পক্ষে খারাপ।”


লম্বা পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তোপের পর তোপ দাগলেন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে। তাঁর সাফ কথা, চাকরি খাওয়ার রাজনীতির চক্রান্ত প্রমাণিত। তীব্র কটাক্ষের সুরে লিখলেন, ‘সেই আইনজীবী, নেতা, সংশ্লিষ্ট শকুনেরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। কোথাও কোনও অনিয়ম হলে সেসব ক্ষেত্রে তদন্ত হোক, ব্যবস্থা হোক।’

শকুনেরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চান’, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি কুণালের
আর কী লিখলেন কুণাল?


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বহাল থাকছে প্রাইমারির ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি। বাতিল হয়ে গিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন শিক্ষকরা। সকলের মুখে একটাই কথা সত্য়ের জয় হল। বাম নেতা তথা বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, চাকরি বাঁচলো বটে কিন্তু দিনের শেষে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেয়ে গেল। এদিকে এরইমধ্যে আবার আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন। ফের খোঁচা দিয়েছেন ‘সিপিএম-বিজেপি’ নেক্সাস নিয়ে। এরইমধ্য়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি করে বসলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। 


লম্বা পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তোপের পর তোপ দাগলেন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে। তাঁর সাফ কথা, চাকরি খাওয়ার রাজনীতির চক্রান্ত প্রমাণিত। তীব্র কটাক্ষের সুরে লিখলেন, ‘সেই আইনজীবী, নেতা, সংশ্লিষ্ট শকুনেরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। কোথাও কোনও অনিয়ম হলে সেসব ক্ষেত্রে তদন্ত হোক, ব্যবস্থা হোক। কিন্তু তার জন্য সকলের চাকরি খেয়ে চোখের জল নিয়ে রাজনীতির কারবারিদের মানুষ চিনে নিন।’ 


এই মামলায় তাঁকে জেল থেকে ডেকে এনেছিলেন অভিজিৎ, ৩২০০০ চাকরি বহাল থাকায় মানিক বললেন...
একদিকে কল্য়াণও যেমন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিজেপিতে যোগদানের কথা মনে করিয়ে বিচারব্যবস্থায় রাজনীতির ছোঁয়া নিয়ে সরব হয়েছেন তেমনই একই সুর শোনা গেল কুণালের গলাতেও। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলে লিখলেন, ‘বিচারপতির চেয়ারে বসে রাজনীতির ইস্যু তৈরি করে সাংসদ হতে যাওয়া ব্যক্তির ভূমিকা তদন্তের আওতায় থাকা উচিত। কারণ উনি বিচারপতির চেয়ারে বসে অন্যায়ভাবে ইস্যু তৈরি করেছেন, তারপর চাকরি ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে সেই ইস্যুতেই রাজনীতি করেছেন। এটা বিচারব্যবস্থার পক্ষেও দুঃখজনক নজির হয়ে থাকল। আদালত এক্ষেত্রে নৈতিকতার প্রশ্নে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করুক। তদন্ত করাক।’  


সআইআরের মাঝপথে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক মহল তো বটেই রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কিন্তু গোটা বিষয়টিকে সুব্রতবাবু কীভাবে দেখছেন? তিনি যদিও বলছেন, “নির্বাচন কমিশন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে আমাদের অ্য়াপয়েন্ট করেছেন বলতে পারব না। তবে তারা চাইছেন কাজটা সুষ্ঠভাবে হোক।


বাংলায় এসে 'ভূত' ধরতে পারলেন সুব্রত গুপ্তরা?
কী বলছেন সুব্রত গুপ্ত?


পুরোদমে চলছে এসআইআর। বাংলায় ঘুরছে কমিশনের ‘স্পেশ্যাল ১৩’। এদিনে বর্ধমানে যান পর্যবেক্ষক টিমের মাথা সুব্রত গুপ্ত। সেখানেই প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে যেমন কথা বলেন, তেমনই বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এদিকে ইতিমধ্যে আরও ১১ রাজ্যের মতো বাংলাতেও বেড়েছে এসআইআরের সময়সীমা। এদিকে এসআইআর পর্বের শুরু থেকেই বাংলার বুকে উঠেছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। অতিরিক্ত কাজের চাপের জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিএলও-রা। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহল থেকেও উঠেছে নানবিধ বেনিয়মের অভিযোগ। সবটা নিয়ে কী ভাবছে কমিশন? 


বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত বলছেন, “এটা একটা চলমান প্রসেস। আমরা যত পদ্ধতির মধ্যে ঢুকছি ততই বিভিন্ন লোকের মতামত পাচ্ছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত পাচ্ছি। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, খতিয়ে দেখে যদি কোনও কোনও জায়গায় মনে হয় কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত চেক করলে রোলটা আরও ঠিকঠাক হবে তাহলে সেই সমস্ত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “বিভিন্ন অভিযোগের সারবত্তা পাওয়া গেল কী গেল না তা তো এই সময় বলা সম্ভব নয়। রোল চেক না করে কোনও অভিযোগ গ্রহণ বা খারিজ করার কোনও জায়গাই নেই। আগে আমাদের রোলটা দেখতে হবে। গুণমান আরও যাতে উন্নত করা যায় তার জন্য ইআরও-দের কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”




এদিকে সাম্প্রতিককালে নানা প্রান্তে বিএলও-দের উপর তৃণমূলের চাপ দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। এরকম অভিযোগ যে এসেছে তা মানছেন সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলছেন, “এরকম কিছু অভিযোগ এসেছে। সব খতিয়ে দেখার পর ফাইনাল লিস্ট তো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ফাইনাল লিস্ট দেওয়া হবে। পাবলিশও হবে সেখানে কোনও বেনিয়ম থাকলে আবার চেক করতে হবে।” 

এদিকে এসআইআরের মাঝপথে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক মহল তো বটেই রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কিন্তু গোটা বিষয়টিকে সুব্রতবাবু কীভাবে দেখছেন? তিনি যদিও বলছেন, “নির্বাচন কমিশন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে আমাদের অ্য়াপয়েন্ট করেছেন বলতে পারব না। তবে তারা চাইছেন কাজটা সুষ্ঠভাবে হোক। কোনও কাজই তো ফাইনাল ওয়ার্ক নয়। এরপরেও স্ক্রুটিনি হতে পারে। তার মানে কী বিএলও কাজ করেননি? ভুল হতেই পারেই কোনও কোনও ক্ষেত্রে, সেই ভুলগুলো যাতে ঠিক করা যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে।”  

সিপিএম-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে। বলেন, “৩২ হাজার চাকরি খাওয়ার পরে যাঁরা একদিন স্লোগান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ভগবান, এখন উল্টোদিক থেকে স্লোগান উঠছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় শয়তান।”

৩২ হাজারের চাকরি থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেল’, হতাশ বিকাশ
আর কী বলছেন বিকাশ?


খারিজ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। প্রাথমিকে বহাল থাকছে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আর তাতেই খুশির জোয়ার প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে। সকলেই বলছেন সত্যের জয় হল। উচ্ছ্বসিত পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। তিনিও বলছেন সত্যের জয় হল। এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু লিখছেন, ‘আজকে মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই।’  

তবে এখনও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ কথা এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেয়ে গেল। টিভি৯ বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আপাতত চাকরি বাঁচল বটে কিন্তু এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেয়ে গেল। এটা ভবিষ্যতের জন্য খুবই খারাপ হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে দুর্নীতি হল, যে তথ্য আদালতে পেশ করা হল আইনের দিক থেকেও সেটাকে যদি গ্রাহ্য করা না হয় তাহলে আগামীতে তাঁরা দুর্নীতি করতে খানিকটা প্রশ্রয় পাবেই।”  




ফেক নিউজ বাড়াচ্ছে চিন্তা, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কড়া আইন আনছে কেন্দ্র, জানালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব
অন্যদিকে সিপিএম-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে। বলেন, “৩২ হাজার চাকরি খাওয়ার পরে যাঁরা একদিন স্লোগান দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ভগবান বলে, এখন উল্টোদিক থেকে স্লোগান উঠছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় শয়তান। গোটা বিচারব্যবস্থাকে পুরো পলিটিক্যালি মোটিভেটেড করেছেন তিনি। আমরা দেখেছি কীভাবে উনি রাজনীতিতে এসেছেন। সিপিএম-বিজেপির নেক্সাসে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকদের চাকরি খাওয়া হচ্ছে তা খুব একটা ভাল লক্ষণ নয়।”    


প্রসঙ্গত, আগামী ৬ তারিখ মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর সেই কাজে যদি তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন, অর্থাৎ কেউ যদি বাধা দেন, তাহলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার ডাকও দিয়েছেন তিনি।

 'আমরা সমর্থন করছি না', হুমায়ুনের পাশে নেই দল
কী বললেন ফিরহাদ হাকিম?


মুর্শিদাবাদে হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে চড়ছে পারদ। এবার মুখ খুললেন শাসকমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যাদবপুর বিধানসভায় এসআইআর-এর ওয়ার রুম পরিদর্শন করতে গিয়ে একথা বললেন ফিরহাদ। ফিরহাদের বক্তব্য, “আমি বা আমার দলের কেউ এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না। আমাদের দল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। কাউকে ঠেস দিয়ে রাজনীতি করা আমাদের দলের কাজ নয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বা যে ধরনের বক্তব্য হচ্ছে তা আমরা সমর্থন করছি না।”

প্রসঙ্গত, আগামী ৬ তারিখ মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর সেই কাজে যদি তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন, অর্থাৎ কেউ যদি বাধা দেন, তাহলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার ডাকও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও)-র কলার ধরার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। বলেছেন, “আগুন নিয়ে খেলতে আসবেন না। আপনি আমার কাজে বাধা দিচ্ছেন। যেদিন আপনার কলার ধরে নেব সেদিন আপনাকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না।”



বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য কি কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়? যা বললেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত...
কিন্তু হুমায়ুন কবীরের এই ধরনের বক্তব্য আরও চড়েছে উত্তাপ। তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কাজে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আগাম পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে রাজ্যকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দলেরই বিধায়কের মন্তব্য কোনওভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে, শাসকদল ইতিমধ্যেই হাত গুটিয়েছে।


মূলত, এই মামলার মূল মামলাকারী ছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আজ শুনানির পর তিনিই জানিয়ে দেন যে উচ্চ-আদালতে যাচ্ছেন। তরুণজ্যোতি বলেন, "আদালতের উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে। কোর্ট সব পক্ষ শুনেছে। তার জন্য ধন্যবাদ। আমরা বলেছিলাম স্থগিত রাখতে। তবে বিচারপতি স্থগিত রাখেনি। বিচারপতি দুর্নীতির কথাও বলেছেন, তবে মূল বিষয় ছিল সেন্টিমেন্ট (আবেগ)। এখানে কিন্তু দুর্নীতির জয় হয়নি। তদন্ত চলবে। আমরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাব।" 


সুপ্রিম কোর্টে যাব', বললেন তরুণজ্যোতি, কৌস্তবের বক্তব্য, 'এই রায় বহাল থাকবে না, থাকতে পারে না'
কৌস্তভ বাগচি ও তরুণজ্যোতি তিওয়ারি


বত্রিশ হাজারের চাকরি বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনকী, যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের পরিবারের দিকটিও ভেবে দেখতে হবে বলে রায় দেওয়ার আগে জানান বিচারপতি। তবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার উচ্চ-আদালতে যাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

মূলত, এই মামলার মূল মামলাকারী ছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আজ শুনানির পর তিনিই জানিয়ে দেন যে উচ্চ-আদালতে যাচ্ছেন। তরুণজ্যোতি বলেন, “আদালতের উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে। কোর্ট সব পক্ষ শুনেছে। তার জন্য ধন্যবাদ। আমরা বলেছিলাম স্থগিত রাখতে। তবে বিচারপতি স্থগিত রাখেনি। বিচারপতি দুর্নীতির কথাও বলেছেন, তবে মূল বিষয় ছিল সেন্টিমেন্ট (আবেগ)। এখানে কিন্তু দুর্নীতির জয় হয়নি। তদন্ত চলবে। আমরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাব।”


এই মামলায় তাঁকে জেল থেকে ডেকে এনেছিলেন অভিজিৎ, ৩২০০০ চাকরি বহাল থাকায় মানিক বললেন...
তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, সেই সময় গোটা ইন্টারভিউ প্রসিডিওর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, গোটা ইন্টারভিউ পদ্ধতিতেই গলদ ছিল। সেই কারণে তিনি চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। তবে আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না। দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃতীয়ত, যখন এই সাক্ষাৎকার পর্ব (ইন্টারভিউ প্রসেস) চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না।

একা তরুণজ্যোতি নন, অপর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচিও মুখ খুলেছেন। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “বিচারপতিদের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে বলছি, সেন্টিমেন্টের দোহাই দিয়ে দুর্নীতি আইনি মান্যতা পেতে পারে না। হলফ করে বলতে পারি, এই রায় বহাল থাকবে না। থাকতে পারে না। এই রায় বহাল থাকলে অদ্ভুত ও ভয়ংকর রকমের নজির সৃষ্টি হবে।”

বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। যে সময় ওই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে ওই মামলা চলাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে ডেকে পাঠান মানিককে।


 নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে একের পর এক গ্রেফতারি দেখেছে বাংলা। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা। তিনিই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক নিয়োগ মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। আজ, বুধবার সেই মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। তারপর প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে মানিক বললেন, ‘গাছেরও পাতা ঝরে, আবার নতুন কিশলয় আসে।’

বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। যে সময় ওই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে ওই মামলা চলাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে ডেকে পাঠান মানিককে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।




কী হিসাবে সোনালিকে বাংলাদেশি দাগিয়ে দেওয়া হল? বাংলাদেশ থেকে ফিরলেই রাজ্য সরকারের উপরে বড় দায়িত্ব
এবার সেই মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন ৩২,০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা। হাইকোর্ট তাদের চাকরি বহাল রেখেছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ এই রায় দেওয়ার পর মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ার জয়। সব দিক থেকে কলঙ্কমুক্ত হল। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াই স্বীকৃতি পেল।”

মানিকের দাবি, “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বিবেচনাহীন, অমানবিক বলে মনে করেছে কোর্ট।” এই মামলায় যে দীর্ঘ সময় জেলে কাটাতে হয়েছে, সেই সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মানিক বলেন, “লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, কষ্ট সহ যা কিছু আমার জীবনে ঘটেছে, তা আসলে খুব সাংঘাতিক অবিবেচক ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছিল। আজ সত্যের জয় হয়েছে।”

অনেকেরই মনে থাকবে, ২ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ, মোট ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল মানিককে। সেই জরিমানার টাকা দেননি মানিক। শুধু তাই নয়, দেশ বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে, তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। তারপর হয় টেট। তার ভিত্তিতে ২ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। ৪২ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১২ মে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন।

বড় স্বস্তি ৩২ হাজার শিক্ষকের, চাকরি বাতিল হচ্ছে না জানাল ডিভিশন বেঞ্চ
চাকরি বহাল


বত্রিশ হাজারের চাকরি কি থাকবে না থাকবে না? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল। ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। আজ দুপুর দু’টোর খানিক পরে রায় শোনাল কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, চাকরি বহাল থাকছে বত্রিশ হাজার শিক্ষকের। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। বিচারপতি বলেন, “যাঁরা ৯ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের কথাও ভাবতে হবে। যাঁরা সফল হননি তাঁদের জন্য সব ড্যামেজ করা যায় না।”


কোন যুক্তিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ?



সুপ্রিম কোর্টে যাব', বললেন তরুণজ্যোতি, কৌস্তবের বক্তব্য, 'এই রায় বহাল থাকবে না, থাকতে পারে না'
তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, সেই সময় গোটা ইন্টারভিউ প্রসিডিওর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, গোটা ইন্টারভিউ পদ্ধতিতেই গলদ ছিল। সেই কারণে তিনি চাকরি বাতিল করেন।

আজ ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোর্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়েছে। এখানে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিবিআই-এরও। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না। দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃতীয়ত, যখন এই সাক্ষাৎকার পর্ব (ইন্টারভিউ প্রসেস) চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না।

এ দিন কোর্ট এও বলেছে, মামলা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা কেউ চাকরি করছিলেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি তাঁদের জন্য গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না। আর সেই যুক্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়কে খারিজ করল।

শিক্ষকরা কী বলেছেন?

অমিত সাহা নামে এক শিক্ষক বলেন, “সত্যের জয় হল। আমরা তো চারানা পয়সা দিইনি। যে সকল আইনজীবীরা আমাদের হয়ে সওয়াল করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ। আমাদের সকলের হোমলোন রয়েছে। আমাদের বাচ্চা আছে। চাকরি বাতিল হলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”

মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড

২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। তারপর হয় টেট। তার ভিত্তিতে ২ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। ৪২ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১২ মে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন।

প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ,

২০১৬ সালের নিয়োগের আইন মানা হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ বিধি মানা হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও সিলেকশন কমিটি ছিল না। থার্ড পার্টি এজেন্সি প‍্যানেল তৈরি করেছিল
অ‍্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি।
⁠অ‍্যাপটিটিউট টেস্টের কোনও গাইডলাইনই ছিল না।
অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। ⁠কাট অব মার্কস নিয়ে উপযুক্ত তথ‍্য ছিল না বোর্ডের কাছে। ⁠
শূন‍্যপদের অতিরিক্ত নিয়োগ হয়। এবং ⁠ন‍্যূনতম যোগ্যতা নেই, এমন প্রার্থীরাও চাকরি পান।
যদিও,প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্য যুক্তি দেয়, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। তবে কিছু বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে তা সংশোধনও করা হয়েছে বলে রাজ্যের দাবি।