জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মাঝারি শক্তির দেশগুলির সামনে কিছুটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে যেমন ভারত পড়ে, তেমনই রয়েছে জাপান ও ইউরোপীয় জোটের দেশগুলি।
জয়শঙ্করের মতে, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা আর তত বড় ছাতা নয় আগের মতো। তার ফলে, অনেক দেশ স্বাধীন ভাবে অনেক কিছু করে উঠতে পারছে। করছে। এতে অবশ্য আমাদের কিছু যায় আসেনি। কারণ, আমরা কোনও দিনই কোনও জোটে ছিলাম না। এখনও নেই। কোনও দিনই কোনও জোটে ভিড়ব না আমরা। কিন্তু যারা আমেরিকার মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল এত দিন, সেই সব দেশ এখন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার প্রয়োজন অনুভব করতে শুরু করেছে।’’
সিঙ্গাপুরের শিক্ষাবিদ সি রাজামোহন ও ব্যবসায়ী সুনীল মুঞ্জলের তোলা প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্বীকার করেন, ‘‘এটা ঠিক, অর্থনীতিতে চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ যে ভাবে এগিয়ে গিয়েছে আমরা ততটা পারিনি। আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। আমরা পুরোদস্তুর শিল্পায়ন করতে পারিনি। উৎপাদন শিল্পকে ততটা উন্নত করে তুলতে পারিনি। এটাও ঠিক, চিনের প্রায় দেড় দশক পর আমরা কাজটা করতে শুরু করেছিলাম। তবে চিন যে ভাবে সংস্কারটা করতে পেরেছে আমরা সে ভাবে পারিনি।’’
জোট-নিরপেক্ষতার পথে অবিচল থাকতে আগামী দিনে ভারত ‘আরও কিছু ঝুঁকি নেবে’ বলেও জানান জয়শঙ্কর। সেগুলির অন্যতম হবে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে উন্নত, যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা, সমুদ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসদমন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours