WEATHER

Top News



বারবারই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাচারকারীদের দাপটের অভিযোগ ওঠে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও অতন্দ্র প্রহরায় সর্বক্ষণ। ফলে শেষ অবধি আর পাচারকারীরা সফল হতে পারে না। কিছুদিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা পাচারের পরিকল্পনা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন কয়েকজন।


কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুড়ছে, পড়ছে ভারতে এসে... বিএসএফ ধরল হাতেনাতে
প্রতীকী চিত্র।


নদিয়া: কাঁটাতারের ওপার থেকে উড়ে আসছে সোনার বিস্কুট? শুনে মনে হবে কোনও গল্পের দৃশ্য। কিন্তু মোটেই তা নয়। একেবারেই বাস্তব। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টুঙ্গি বিওপি ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ১ কেজি ৯৩৪ গ্রামের দু’টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, এই সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।

বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দিক থেকে এই সোনার বিস্কুট ছোড়া হয় ভারতের সীমান্তের দিকে। বিএসএফের কাছে আগাম খবর ছিল, টুঙ্গি সীমান্তে দিয়ে সোনার বিস্কুট পার হতে পারে। তৈরি ছিলেন বিএসএফের জওয়ান ও আধিকারিকরা।

এরপরই দেখা যায়, ওপার থেকে দু’জন সোনার বিস্কুট ভারতের দিকে ছুড়ে দেন। এদিকে ভারত সীমান্তে এক ব্যক্তি সেগুলি কুড়োতে থাকেন। কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীরা তাঁদের তাড়া করলে পালিয়ে যান তিনি। তবে বিস্কুট দু’টি বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করেন।

বারবারই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাচারকারীদের দাপটের অভিযোগ ওঠে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও অতন্দ্র প্রহরায় সর্বক্ষণ। ফলে শেষ অবধি আর পাচারকারীরা সফল হতে পারে না। কিছুদিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা পাচারের পরিকল্পনা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন কয়েকজন। তবে বিএসএফের তাড়া খেয়ে পালান পাচারকারীরা। প্রায় ৮২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকারও বেশি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। আবারও সেই এক ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল টুঙ্গি।

লোকসভা ভোটের আগে আবারও বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার প্রচার পর্বের লাস্ট ল্যাপে ঝড় তুলেছেন তিনি। ডাক দিয়েছেন 'সোনার বাংলা' গড়ার। নতুন ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন মিঠুন।

 জলঢোঁড়া, বেলেবোরা, জাত গোখরো কোনওটিই নয়, মিঠুনের সঙ্গে অন্য সাপের তুলনা কুণালের
কুণাল ঘোষ ও মিঠুন চক্রবর্তী


জলপাইগুড়ি: বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে এবার লোকসভা ভোটের মুখে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারসভায় নিজের অভিনীত সিনেমার জনপ্রিয় ডায়লগ শোনাতে দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। তাঁর মধ্যে একটি বহুল ব্যবহৃত ডায়লগ, যা মিঠুন একুশের বিধানসভা ভোটে একাধিকবার ব্যবহার করেছেন… ‘ আমি জলঢোঁরাও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো।’ এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘লাউডগা সাপ’ বলে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।


এবারের লোকসভা ভোটের আগে আবারও বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার প্রচার পর্বের লাস্ট ল্যাপে ঝড় তুলেছেন তিনি। ডাক দিয়েছেন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার। নতুন ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন মিঠুন। তবে এবার বিজেপির তারকা প্রচারককে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলে দিলেন, ‘তিনি আসলে একজন লাউডগা সাপের মতো। তাঁর পর্দার অভিনয়ের থেকে রাজনৈতিক অভিনয় বেশি হয়ে যাচ্ছে।’ বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে যে এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তবে একইসঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর নিশানায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী নয়, রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তী।


উল্লেখ্য, এর আগেও তৃণমূলের দেব ও বিজেপির মিঠুন অভিনীত একটি বাংলা সিনেমা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সময়েও কুণাল ঘোষ একহাত নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। ওই সিনেমাটিতে মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় ‘ফ্লপ’ বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন কুণাল। আর এবার লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার বিজেপির তারকা প্রচারককে বিঁধে ‘লাউডগা সাপের’ সঙ্গে তুলনা কুণালের।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বদর তলা এলাকার ঘটনা। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল। ঘটনায় রোগীর আত্মীয় পরিজন নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করেন।

প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে চরম উত্তেজনা বসিরহাটে, কাঠগড়ায় নার্সিংহোম
বসিরহাটে প্রসূতির মৃত্যু


বসিরহাট: সন্তানসম্ভবাকে ভর্তি করা হয়েছিল বেসরকারি নার্সিংহোমে। পরে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হতেই বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নার্সিংহোমের তরফে এমনই অভিযোগ। এলাকাবাসীর বিক্ষোভ বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। তবে এই বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বদর তলা এলাকার ঘটনা। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল। ঘটনায় রোগীর আত্মীয় পরিজন নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করেন। পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম আসমা বিবি (৩৪)। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার আজিজনগরের বাসিন্দা। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রবিবার সকাল নটা নাগাদ বসিরহাটে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ তিনি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পরিবারের দাবি, সন্তান প্রসবের সময় আসমা সুস্থ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন।

অভিযোগ, রাত দেড়টা নাগাদ নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোন যায় তাঁদের রোগী অবস্থা খারাপ। রোগীকে না বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজন। নার্সিংহোমের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ প্রতিবাদে করেন। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।


ইতিমধ্যে বসিরহাটের স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তার আগেই মৃত্যু হয় এই রোগীর। এর সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও দায় নেই।

অপরদিকে, মৃত গৃহবধূর স্বামী শফিকুল গাজি বলেন, “আমাদের না জানিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। রোগী সুস্থ ছিল। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি চাই।” তবে অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে নির্যাতিতা মহিলা বলেন, "আমি বাচ্চাদের নিয়ে শুয়েছিলাম। খিল কখন খুলেছে টের পাইনি। আমি দেখি আমার হাত দুটো ধরেছে। চল তোকে তুলে নিয়ে যাব। যদি না যাস তোকে মেরে দেব। আবার বলছে চিৎকার করবি না। হাতে ভোজালি ছিল।"

জিতলে তোকে তুলে নিয়ে যাব', দুই সন্তানের মাকে হুমকি দিয়ে গ্রেফতার 'BJP নেতা'
নির্যাতিতা মহিলা


জাঙ্গিপাড়া: তফসিলি মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে হেনস্থার অভিযোগ। বিজেপি জিতলে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি। গ্রেফতার অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। অপরদিকে, বিজেপিও জানিয়েছে কোনও রকম অন্যায় তারা সমর্থন করবে না।


হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, পয়লা বৈশাখের রাতে এক যুবক তফসিলি এক মহিলার বাড়ির খিল খুলে ঢুকে পড়ে। যেই সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় মহিলা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। অভিযোগ, গলায় ভোজালি ধরে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। মহিলার চিৎকারে পরিবারের লোকজন উঠে পড়লে ওই যুবক পালিয়ে যায়। অভিযোগ, যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়, “বিজেপি জিতলে তুলে নিয়ে যাব।” ঘটনায় জাঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযুক্ত এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে নির্যাতিতা মহিলা বলেন, “আমি বাচ্চাদের নিয়ে শুয়েছিলাম। খিল কখন খুলেছে টের পাইনি। আমি দেখি আমার হাত দুটো ধরেছে। চল তোকে তুলে নিয়ে যাব। যদি না যাস তোকে মেরে দেব। আবার বলছে চিৎকার করবি না। হাতে ভোজালি ছিল। আমায় বলছে,তোকে আগে তুলব। বিজেপি জিতলে তোর বাড়ির একে-একে সকলকে তুলব।” তিনি আরও বলেন, “ওই লোকটা এই এলাকায় থাকে। আমি খুব ভয় পাচ্ছি। আমার পরিবারের সকলকে মেরে ফেলবে বলেছে। ও নেশা করেছিল বলে মনে হয়। তবে কেন এমন করল বলতে পারছি না। আর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় গালিগালাজ করেছে।” তিনি এও জানান, তাঁর সঙ্গে এই প্রথমবার এই ঘটনা ঘটিছে।


প্রতিবেশীরা বলেন, “বিজেপি জিতলে তুলে নিয়ে যাব এটা কেমন কথা। পার্টি যে যা খুশি করতে পারে,তাই বলে বিজেপি জিতলে তুলে নিয়ে যাব এই কথার প্রতিবাদ জানাই। আমরা গরিব মানুষ কোনও দল করি না। যে দল আসে তাদের সঙ্গে থাকি। কেন এমন বলবে। মেয়েরা থাকবে এমন অত্যাচার করবে এটা ভাল?”

এ প্রসঙ্গে জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা তমাল শোভন চন্দ্রের অভিযোগ, “বিজেপি মুখে সন্দেশখালির ঘটনা বলে মিথ্যে প্রচার করে বেড়ায়। আর তাদের দলের লোকেরা এই সব কান্ড করে। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ধরে টানাটানি করে। আমরা অভিযুক্তর শাস্তি চাই।”

জাঙ্গিপাড়ার বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ বাগ বলেন, “কোনও মানুষই এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। রাজনৈতিক দিক বাদ দিলেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই ঘটনাকে সমর্থন করি না। এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোনও সদস্য জড়িত থাকলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করার ব্যবস্থা করা হবে। বিজেপি ওই মহিলার পাশে আছে।” আজ জাঙ্গিপাড়া থানায় মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ ভারতীয় রেলের তরফে প্রথমবার এই ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়। সপ্তাহে সাতদিনই মিলবে পরিষেবা। দু’টি ট্রেনের একটি চারদিন অন্যটি সপ্তাহে তিনদিন চলবে বলে খবর।

হয়ে গেল উদ্বোধন, বালুরঘাট থেকে দিল্লি চলল নতুন ফারাক্কা এক্সপ্রেস
চালু হয়ে গেল নতুন ট্রেন

বালুরঘাট: আগেই মিলেছিল নির্বাচন কমিশনের সবুজ সংকেত। অবশেষে বালুরঘাট স্টেশন থেকে রওনা দিল ফারাক্কা এক্সপ্রেস। এদিন বিকাল পাঁচটার সময় দিল্লির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই যে এই নতুন ট্রেন আসছে সেই খবর আগেই মিলেছিল। ট্রেনের দাবিও ছিল দীর্ঘদিন থেকে। অবশেষে তা মেলায় খুশি জেলার বাসিন্দারা। এদিকে নির্বাচনী বিধি লাঘু থাকায় এদিন নতুন ট্রেনের যাত্রা উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে বালুরঘাটবাসী হিসাবে স্টেশনে ছিলেন বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এবারেও কিন্তু, তিনি বিজেপির টিকিটেই বালুরঘাট থেকে লড়ছেন।

ট্রেনের যাত্রাকালে ফুল ছুঁড়ে চালক থেকে যাত্রীদের অভিবাদনও জানাতে দেখা যায় সুকান্তকে। প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই ফের বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যোগ দেবেন বালুরঘাটের জনসভায়। সভা করার কথা রয়েছে রায়গঞ্জেও। ঠিক তার আগের দিনই চালু হয়ে গেল এই নতুন ট্রেন। 



প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ ভারতীয় রেলের তরফে প্রথমবার এই ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়। সপ্তাহে সাতদিনই মিলবে পরিষেবা। দু’টি ট্রেনের একটি চারদিন অন্যটি সপ্তাহে তিনদিন চলবে বলে খবর। কিন্তু, এরইমধ্যে ঘোষণা হয়েছিল ভোটের নির্ঘণ্ট। নির্বাচনী বিধি লাঘু থাকায় ট্রেন চলাচল শুরু করতে গিয়ে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়েছিল রেলকে। যদিও শেষ পর্যন্ত মেলে নির্বাচন কমিশনের গ্রিন সিগন্যাল। ৩৫ ঘণ্টায় বালুরঘাট থেকে দিল্লি যাবে ট্রেনটি। ৪২ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবে ভাতিন্ডা। নতুন ট্রেন পেয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গেল যাত্রীদের মধ্যে। একজন তো বললেন, আগে তো অনেক ভেঙে ভেঙে যেতে হত। এখন এক ট্রেনেই দিল্লি যেতে পারব। খুব ভাল লাগছে। আমাদের অনেক উপকার হল। 

জটিলতা কাটিয়ে প্রথম ধাপে ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন দুর্গতরা। তারপর সোমবার আবার তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল দ্বিতীয় দফার টাকা। এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ হাজার টাকা ঢুকল ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাকি টাকাও পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা।

অ্যাকাউন্টে ঢুকল আরও ৪০ হাজার, বুকে বল পাচ্ছেন টর্নেডোয় দুর্গতরা
জলপাইগুড়িতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ছবি (ফাইল চিত্র)


জলপাইগুড়ি: ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য বর্তমানে আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এর মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন ঘিরে বিস্তর চর্চা চলেছে। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে প্রথম ধাপে ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন দুর্গতরা। তারপর সোমবার আবার তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল দ্বিতীয় দফার টাকা। এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ হাজার টাকা ঢুকল ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাকি টাকাও পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা।


গত মাসের শেষে আচমকাই এক মিনি টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল উত্তরবঙ্গে। তাতে জলপাইগুড়ি জেলার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রাণহানি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অনেকেরই বাড়ি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কোথায় থাকবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না দুর্যোগে বিপর্যস্ত পরিবারগুলি। এবার দ্বিতীয় ধাপে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকায় কিছুটা স্বস্তিতে টর্নেডোর ঘূর্ণিতে দুর্গত মানুষরা।

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহুতপাড়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ রায়ের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডবে। এদিন তাঁর অ্যাকাউন্টেও ঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে। সন্তোষ রায় বলেন, ‘দুবার মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা পেলাম। এই টাকাটা পাওয়ায় আমরা মোটামুটি একটা ঘর বানিয়ে আপাতত থাকতে পারব। আমার পুরো বাড়িটাই তছনছ হয়ে গিয়েছে। একটা সাজানো বাড়ি ভেঙে গেলে কী হয়, বোঝেনই তো। আজ অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার খবর পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত লাগছে।’ জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভিনও এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছেন, যাদের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের আরও ৪০ হাজার টাকা বণ্টন শুরু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার মিউজিক ভিডিয়োর শুটিং করার জন্য বকখালিতে যায় একটি প্রোডাকশন টিম। রাতে বকখালির একটি হোটেলে ওঠে ওই প্রোডাকশন টিমের সদস্যরা। সেই টিমেই ছিলেন ওই মহিলা মেক-আপ আর্টিস্ট।

মিউজিক ভিডিয়ো শুট করতেই বকখালি যাওয়া, হোটেলের ঘরে এমনটা ঘটবে ভাবতেও পারেননি মেক-আপ আর্টিস্ট
বকখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ


বকখালি: হোটেলের ঘরে ধর্ষণের অভিযোগ। দিঘার পর এবার রাজ্যের আরও এক পর্যটন স্থল বকখালির নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। সমুদ্র সৈকত থাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জায়গায় অনেকেই যান। সেখানেই মিউজিক ভিডিয়ো বানানোর জন্য গিয়েছিল একটি টিম। আর তারই মধ্যে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। খোদ প্রোডাকশন ম্যানেজারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুললেন মেক আপ আর্টিস্ট। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন মহিলা।


গত রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই প্রোডাকশন ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ সোমবার কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। এই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিল কি না, সে দিকটাও ভাল করে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার মিউজিক ভিডিয়োর শুটিং করার জন্য বকখালিতে যায় একটি প্রোডাকশন টিম। রাতে বকখালির একটি হোটেলে ওঠে ওই প্রোডাকশন টিমের সদস্যরা। সেই টিমেই ছিলেন ওই মহিলা মেক-আপ আর্টিস্ট। তাঁর অভিযোগ, শনিবার রাতে হোটেলেই তাঁকে ধর্ষণ করে প্রোডাকশান ম্যানেজার। এই অভিযোগ ঘিরে প্রোডাকশন টিমের সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের হোসনা বাজারে তামার কারখানায় এদিন রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা কারখানায় সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন।

 রাতে প্রচার সেরে ফিরছিলেন দেব, পথে সে এক কাণ্ড...
ঘটনাস্থলে দেব।


ঘাটাল: প্রচার সেরে ফিরছিলেন দেব। হঠাৎই দেখেন রাস্তার ধারে একটি কারখানা থেকে আগুনের ঝলকানি। সামনে দাঁড় করানো দমকলের গাড়ি। এলাকার লোকজন এদিক ওদিক ছুটছেন। এরপরই গাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যান ঘাটালে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব অধিকারী। সোমবার রাতে দাসপুরে একটি তামার কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে।


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের হোসনা বাজারে তামার কারখানায় এদিন রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা কারখানায় সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন। দমকল বাহিনীর দু’টি ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভিতরে অনেক দাহ্যবস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। এদিকে এলাকায় জলের অভাব থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয় দমকল আধিকারিকদের।


দেব বলেন, “ধোঁয়ায় এলাকা ভরে গিয়েছে দেখলাম। দমকলের গাড়িও দাঁড়িয়ে আছে। আহত কেউ হননি। ভিতরে যাঁরা ছিলেন, বের করে আনা হয়েছে। একটা সিলিন্ডার ভিতরে ফেটেছে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে।” দমকল ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন দেব। জানান, “দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দমকলকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। আশেপাশের লোকজনও ছিলেন সঙ্গে।” আমি দমকলের গাড়ি দেখে দাঁড়ালাম। আমার এলাকায় এরকম ঘটনা, এটা তো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।




এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে পাপিয়াকে বলতে শোনা যায়, "আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন বাংলার আবাস যোজনায়। তার একটা ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার আর কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।"


 ফর্ম হাতে তৃণমূল প্রধান ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি, ভোটের মুখে কোন তথ্য নিচ্ছেন?
প্রধান পাপিয়া দে সরকার

জলপাইগুড়ি: টেবিল চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবিরের ধাঁচে চলছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া। উদ্যোক্তা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ভোটের সময় এমন ঘটনা নির্বাচনী বিধি ভাঙার সামিল বলে দাবি বিজেপির। এই ঘটনা ঘিরে রাজগঞ্জে জোর চর্চা। ১৯ এপ্রিল এ রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তালিকায় আছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। অভিযোগ, ভোটের মুখে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে পানিকৌড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে ক্যাম্প করে আবাস যোজনার আবেদনপত্র পূরণ করাচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি।

সোমবার দুপুরে রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া দে সরকার অনুগামীদের নিয়ে এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। হাতে কাগজ কলম ও ফর্ম। এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে পাপিয়াকে বলতে শোনা যায়, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন বাংলার আবাস যোজনায়। তার একটা ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার আর কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।”

পাপিয়া দে সরকারের কথায়, ২০১৮ সালে তাঁদের তরফে ঘরের সার্ভে হয়েছিল। তবে ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় অনেকে ঘর পাননি বলে দাবি তাঁর। পাপিয়া মনে করিয়ে দেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নিয়মই হল কেন্দ্র ঘরের জন্য ৬০ শতাংশ ও রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দেবে।” প্রধান বলেন, কেন্দ্রের ৬০ শতাংশর জন্য গরিব মানুষ ৬ বছর ধরে বঞ্চিত।

পাপিয়ার কথায়, “দিদি ১০০ দিনের টাকা যেমন দিয়েছেন, এবার লোকসভা ভোট মিটলে দিদি আবাসের টাকাও দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। ২০১৮ সালে যাঁদের নাম তালিকায় ছিল, প্রকৃত গরিব, তাঁরা যাতে ঘর পান সেটাই আমরা দেখছি। সঙ্গে আমাদের প্রার্থীর হয়ে ভোটপ্রচারও করছি।”


শেষবেলার প্রচারে আজ জলপাইগুড়িতে মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জলপাইগুড়ি: ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আগামিকাল ১৭ তারিখ প্রথম দফার ভোটের শেষ প্রচার। আজ ময়নাগুড়িতে ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফায় এ রাজ্যের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট। জলপাইগুড়িতে প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তাঁরই সমর্থনে মঙ্গলবার ময়নাগুড়িতে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রস্তুতি সারা। দারুণ উন্মাদনায় ফুটছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে সমর্থকরা। ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ সংলগ্ন পশ্চিম শালবাড়ি ফুটবল মাঠে এদিনের জনসভা হবে। নিরাপত্তার যাবতীয় বিষয়-সহ প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ। মঞ্চের পাশেই রয়েছে হেলিপ্যাড। সেখানেই সকাল ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর নামার কথা বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

সেখান থেকে সভামঞ্চে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়ের সমর্থনে প্রচার করবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই সভা থেকে গত ৩১ মার্চ জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা যে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল, তা নিয়ে কিছু বলতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

গত ৩১ মার্চ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাংশ এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ, মাধবডাঙা-২ এবং ধর্মপুর এই তিন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বিধ্বংসী টর্নেডো আছড়ে পড়ে। তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়। চারজন মারা যান। বহু মানুষের ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সেদিন রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন।

প্রথম ধাপে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর সোমবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পান, যাঁদের বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরইমধ্যে আজ মুখ্যমন্ত্রী নতুন কী বার্তা দেন, মুখিয়ে সকলে। তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, “১৭ তারিখ বিকাল ৫টায় প্রচার শেষ। তার আগে আজ মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন ময়নাগুড়িতে। দারুণ উন্মাদনা সকলের মধ্যে।”

জলপাইগুড়িতে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী। আজ বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে জোড়া সভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। বালুরঘাটে প্রথম সভা করবেন তিনি। বিকেলে রায়গঞ্জে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। ফলত, প্রথম দফা ভোটের আগে এই মেগা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রথম দফা ভোটের আগে প্রচারের 'ঝড়', আজ উত্তরবঙ্গে মোদী-মমতা
আজ মেগা সভা মোদী-মমতার




শিলিগুড়ি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা সভা উত্তরবঙ্গে। একদিকে উত্তর দিনাজপুরে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে জলপাইগুড়িতে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী। আজ বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে জোড়া সভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। বালুরঘাটে প্রথম সভা করবেন তিনি। বিকেলে রায়গঞ্জে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। ফলত, প্রথম দফা ভোটের আগে এই মেগা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এ দিকে, মোদীর সভাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে রায়গঞ্জ শহর। চারিদিকে বিজেপি-র পোস্টার এবং গেরুয়া রঙে ভরে গিয়েছে রাস্তাঘাটের একাংশ। এই প্রথম রায়গঞ্জে তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলত, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা চোখে পড়ছে। এক কর্মী বললেন, “যখন থেকে শুনেছি প্রধানমন্ত্রী আসছেন জেলাতে সেদিন থেকে রাত দিন পার্টি অফিসেই কাটছে। আর আজ কর্মসূচি বলে আমরা এখানে নেই। দশ-বারো দিন ধরেই চলছে প্রস্তুতি।”


অপরদিকে, বালুরঘাটের রেলস্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিকেলে মোদীর সভা রয়েছে। তবে বিকেলে সভা হলেও উৎসুক জনতার ভিড় চোখে পড়ার মতো। কেউ কেউ দেখতে আসছেন কেমন ভাবে সাজানো হয়েছে মাঠ। এ দিন, দুপুর দু’টোর পর তাঁর হেলিকপ্টার নামার কথা রয়েছে রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে। মূলত, বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রচারেই তিনি।

এ দিকে, মোদীর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে ভোটের প্রচারে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে ময়নাগুড়িতে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সভা থেকে গত ৩১ মার্চ জলপাইগুড়ির যে বিস্তীর্ণ এলাকা যে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল, তা নিয়ে কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সোমবার দাসপুরের কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে করেন দেব। সেখান থেকেই কার্যত তোপ দাগেন দলবদলুদের উপর। বলেন, "আপনারা সবাই দেখছেন ভোটের আগে সব দলবদল করছে। কেউ টিকিট পাওয়ার জন্য, কেউ টাকার জন্য, কেউ আবার নিজের ক্রিমিনাল কেস ঢাকার জন্য।"

 এই একটা কারণের জন্যই ঘাটাল থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন দেব
দেব অধিকারী


ঘাটাল: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী তথা দেব। এবার দলবদলকারীদের নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, “এক দল থেকে অন্য দলে যাওয়া ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এও জানালেন কেন তিনি অন্য কোনও কেন্দ্র নয়, ঘাটাল থেকেই দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।


সোমবার দাসপুরের কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে করেন দেব। সেখান থেকেই কার্যত তোপ দাগেন দলবদলুদের উপর। বলেন, “আপনারা সবাই দেখছেন ভোটের আগে সব দলবদল করছে। কেউ টিকিট পাওয়ার জন্য, কেউ টাকার জন্য, কেউ আবার নিজের ক্রিমিনাল কেস ঢাকার জন্য। কিন্তু আমি আবার রাজনীতি ছেড়ে যখন রাজনীতিতে ফিরলাম দিদিকে বলেছিলাম আমার টিকিট চাই না। দলের কর্মী হিসাবে কাজ করে নেব। সেই সময় দিদি প্রশ্ন করেছিলেন, তোমার কি ঘাটালে অসুবিধা হচ্ছে? অন্য কোথাও থেকে দাঁড়াবে? আমি বলেছিলাম, আমি অন্য কোনও দল বা জায়গা থেকে দাঁড়াব না। ঘাটাল থেকেই লড়ব। কারণ, এই কেন্দ্র গত ১০ বছরে যা দিয়েছে পরের জন্ম মনে রাখব। এই দশ বছরে এখানকার মানুষ প্রচুর ভালবাসা দিয়েছেন। যা কখনও ভোলার নয়।”


দেব প্রচারে গিয়ে এ দিন বলেছেন, “আমি টাকা রোজগার করতে আসিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করতে এসেছি। দেব পালিয়ে যাওয়ার ছেলে নয়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবেই।” একই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে ভোট প্রচারে এসে একশো দিনের কাজের টাকার বঞ্চনার অভিযোগও করেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এরপর দাসপুরের দেবকুল ভুবনেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎই পোলট্রি ফার্মটিতে আগুন দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। দ্রুত তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুনের কবলে চলে যায় পুরো পোল্ট্রি ফার্ম । পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ১৩০০ মুরগী।

মধ্যরাতে আগুন জ্বলল ফার্মে, পুড়ে ছাই ১৩০০ মুরগী
আগুনে পুড়ে ছাই ফার্ম


হেলেঞ্চা: আচমকা দাউদাউ করে জ্বলল পোলট্রি ফার্ম। মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনায় কার্যত পুড়ে ছাই বহু মুরগী। আনুমানিক দশ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই খবর মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।


মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎই পোলট্রি ফার্মটিতে আগুন দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। দ্রুত তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুনের কবলে চলে যায় পুরো পোল্ট্রি ফার্ম । পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ১৩০০ মুরগী। শুধু তাই নয় , একটি মোটর বাইক ,মটর সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও নষ্ট হয়ে গিয়েছে ।

আজ সকালে ভষ্মীভূত পোল্ট্রি ফার্ম পরিদর্শণে আসেন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি উপপ্রধান স্বপন হাওলাদার ও বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা। ঘটনার বিষয়ে ফার্মের মালিক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “এই ফার্মের আমার রুটি রুজি। গতকাল রাত দু’টো নাগাদ হঠাৎ করে পোলট্রি ফার্মে আগুন দেখতে পাই। প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।”


এই বিষয়ে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানিয়েছেন, “আমরাও আগুন নেভানোর কাজে গতকাল রাতে হাত লাগিয়েছিলাম। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।” বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা জানিয়েছেন, শুনেছি দশ লক্ষ টাকারও অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। আমরা আলোচনা করে দেখছি ওকে কীভাবে সাহায্য করা যায়।” তবে ফার্মে কীভাবে আগুন লাগল, বা কেউ ইচ্ছা করে এই আগুন লাগিয়েছে কি না সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।