WEATHER

Top News


দর্শক আসনের গোল টেবিলে বসে ছিলেন করিনা। সেখান থেকে উঠে এসে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এবং ওই গোল টেবিল থেকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পর্যন্ত উঠে আসার সময় করিনা যেভাবে হেঁটেছিলেন, তা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।

অভিনয়ে আসার আগে কেমন ছিলেন করিনা কাপুর খান, 'পুরো ছেলেদের মতো!'
করিনা কাপুর খান।

সেই সময় অভিনয় জীবন শুরু হয়নি কাপুর খানদানের কন্যা করিনা কাপুর খানের। দিদি করিশ্মা কাপুরের একদা প্রেমিকা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘রেফিউজি’ ছবিতে ডেবিউ করেননি করিনা। ‘ফিজ়া’ ছবিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য করিশ্মা পেয়েছিলেন একটি অ্যাওয়ার্ড। সেই অ্যাওয়ার্ড নিজে নিতে আসেননি করিশ্মা। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তাঁরই ছোট বোন করিনা কাপুর (তখনও খান হননি তিনি)। দর্শক আসনের গোল টেবিলে বসে ছিলেন করিনা। সেখান থেকে উঠে এসে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এবং ওই গোল টেবিল থেকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পর্যন্ত উঠে আসার সময় করিনা যেভাবে হেঁটেছিলেন, তা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।


ভিডিয়ো পোস্ট হতেই নেটিজ়েনদের মন্তব্য, “এ তো পুরো ব্যাটা- ছেলেদের মতো হাঁটে। এ কী কাণ্ড! এমন করে হাঁটছে কেন।” পরবর্তীকালে কিন্তু নিজেকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেছিলেন করিনা। তাঁর চলাফেরায় আসে নমনীয়তা, পেলবতা। ‘রেফিউজি’ সিনেমায় আত্মপ্রকাশের পর বেশকিছু ভাল ছবিতে নিজের অভিনয়ের সাক্ষর রেখেছেন করিনা। ‘জব উই মেট’ থেকে শুরু করে ‘চমেলি’ করিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দর্শক। এখন তিনি পতৌদি পরিবারের বধূ। এই নবাব পরিবারের পুত্র অভিনেতা সইফ আলি খানকে বিয়ে করেছেন তিনি। স্বামী এবং দুই পুত্র তৈমুর এবং জেহর জননীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অভিনয়ও। খুবই বেছে কাজ করেন করিনা।

এই গরমে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র দিলেন কিছু টিপস। না, নিজের মুখে কোনও টিপস দেননি তিনি। পোস্ট করেছেন এক ভিডিয়ো। তা দেখে শরীর শীতল হয়ে যেতে পারে এই দগ্ধ উত্তাপেও।

এই তপ্ত গরমে নিজের শরীরটাকে কীভাবে 'কুল' রাখছেন শ্রীলেখা, রইল ভিডিয়ো
শ্রীলেখা মিত্র।

বাইরে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখলেই হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। ফলে শরীর ঠান্ডা রাখার একাধিক টোটকা গুগলে ঘুরছে। দিদিমা-ঠাকুমাদের পুরনো দিনের টোটকাও রয়েছে একাধিক। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র দিলেন কিছু টিপস। না, নিজের মুখে কোনও টিপস দেননি তিনি। পোস্ট করেছেন এক ভিডিয়ো। তা দেখে শরীর শীতল হয়ে যেতে পারে এই দগ্ধ উত্তাপেও।


টালিগঞ্জের এক আবাসনে নিজের মনের মতো করে শ্রীলেখা সাজিয়েছেন একটি ফ্ল্যাট। গোলাপি, সবুজ দেওয়ালে ফ্লোরাল প্যাটার্ন করা শ্রীলেখার। কন্যা ঐশী এবং বহুদিনের মাসি ছাড়াও অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকে তাঁর পাঁচ চারপেয়ে সন্তান। এই গরমে মানুষের যত না কষ্ট হয়, অন্যান্য প্রাণীদের হয় তার চেয়ে আরও অনেক বেশি। ফলে চারপেয়ে সন্তানদের কষ্ট লাঘব করতে তাঁদের জন্য একটি পোর্টেবল সুইমিং পুল কিনেছিলেন শ্রীলেখা।

একটি প্রোফাইল থেকে ধোনির ছবি পাঠিয়ে নিজেকেই ধোনি বলে দাবি করছেন। রাঁচিতে তিনি ওয়ালেট ছাড়াই চলে আসায় সমস্যায় পড়েছেন। বাড়ি ফেরার জন্য ৬০০ টাকা প্রয়োজন। 

রাঁচিতে 'আটকে' পড়েছেন ধোনি, ৬০০ টাকা চাই তাঁর! ভাইরাল মেসেজ
মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ঈপ্সা চ্যাটার্জী
ঈপ্সা চ্যাটার্জী
রাঁচি: আইপিএল চলছে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এবারই শেষ খেললেন ধোনি। তাই এবারের আইপিএলে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা চরমে। কিন্তু আইপিএলের মাঝেই নাকি মহা বিপদে পড়েছেন ধোনি। রাঁচিতে নাকি আটকা পড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। রাঁচি থেকে নিরাপদভাবে ফিরে আসার জন্য তাঁর টাকার দরকার।


সম্প্রতিই এমন একটি মেসেজ আসছে অনেকের মেসেঞ্জার-ইন্সটাগ্রামে। সেখানে একটি প্রোফাইল থেকে ধোনির ছবি পাঠিয়ে নিজেকেই ধোনি বলে দাবি করছেন। রাঁচিতে তিনি ওয়ালেট ছাড়াই চলে আসায় সমস্যায় পড়েছেন। বাড়ি ফেরার জন্য ৬০০ টাকা প্রয়োজন।



সোশ্য়াল মিডিয়ায় অনেকেই এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। আসলে ধোনি নয়, তাঁর পরিচয় নকল করেই প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে এবং তাদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করছে। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ধোনির সেলফি ও চেন্নাই সুপার কিংসের স্লোগান “হুইসেল পোডু”-ও লিখে পাঠাচ্ছে প্রতারক।

ধোনির নামেই ওয়ালেট বানিয়েছে প্রতারকরা। সেটাও ধোনির অফিসিয়াল হ্যান্ডেলকে নকল করেই। শুধু অদল-বদল হয়েছে কয়েকটি নম্বর। মাহির অফিসিয়াল আইডি যেখানে “mahi7781”, সেখানেই প্রতারকদের ইউজার আইজি হল “mahi77i2″।

প্রতারকের কাছ থেকে এক ব্যক্তি এই মেসেজ পেতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। রাতারাতি তা ভাইরাল হয়। ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ সেই পোস্ট দেখেছেন।

১৩ বছর পর কি ট্রফির খোঁজ দিতে পারেন রোহিত শর্মা? দু-একদিনের মধ্যেই দল ঘোষণা করা হবে। তার আগে নানা অঙ্ক কষা হচ্ছে নানা মহলে। প্রাক্তনরা তাঁদের পছন্দের টিম দিচ্ছেন। কেউ কেউ একেবারে হিসেবের বাইরে গিয়ে এমন দল সাজাচ্ছেন, যা বেশ চমকে দেওয়ার মতো। বিরাট কোহলি কি ভারতের বিশ্বকাপ টিম থেকে বাদ পড়তে চলেছেন? রিঙ্কু সিং কি সুযোগ পাবেন না?


বিশ্বকাপ টিম থেকে বাদ বিরাট কোহলি, রিঙ্কু সিং? এ কেমন স্বপ্নপূরণের দল!
 বিশ্বকাপ টিম থেকে বাদ বিরাট কোহলি, রিঙ্কু সিং? এ কেমন স্বপ্নপূরণের দল!

কলকাতা: ২০১১ সালের পর আর স্বপ্নপূরণ হয়নি ভারতের। আইসিসির টুর্নামেন্টে টানা হার। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল টিম। খেতাব আসেনি। তার আগে দু’বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও গিয়েছিল ভারতীয় দল। তাও হয়নি। ১৩ বছর পর কি ট্রফির খোঁজ দিতে পারেন রোহিত শর্মা? দু-একদিনের মধ্যেই দল ঘোষণা করা হবে। তার আগে নানা অঙ্ক কষা হচ্ছে নানা মহলে। প্রাক্তনরা তাঁদের পছন্দের টিম দিচ্ছেন। কেউ কেউ একেবারে হিসেবের বাইরে গিয়ে এমন দল সাজাচ্ছেন, যা বেশ চমকে দেওয়ার মতো। বিরাট কোহলি কি ভারতের বিশ্বকাপ টিম থেকে বাদ পড়তে চলেছেন? রিঙ্কু সিং কি সুযোগ পাবেন না?

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর যে বিশ্বকাপ দল সাজিয়েছেন ভারতের, তা বেশ চমকে দেওয়ার মতো। বিরাট কোহলিকে টিম থেকে বাদ দিয়েছেন তিনি। এ বারের আইপিএলে বিরাট যথেষ্ট সফল। ৯ ম্যাচে ৪৩০ রান করেছেন। একটা সেঞ্চুরি রয়েছে তালিকায়। এই বিরাটকে বাদ দেওয়া উচিত? এমনিতে বিরাটকে নিয়ে একটা বিতর্ক চলছেই। বলা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযুক্ত স্ট্রাইক রেট তাঁর নেই। তাই টিমে না রাখাই ভালো। সেই যুক্তিই কি কাজ করেছে মঞ্জরেকরের ক্ষেত্রে। হার্দিক পান্ডিয়াকেও রাখেননি টিমে। এতেই শেষ নয়, নেই-য়ের তালিকায় রয়েছেন শুভমন গিল, শিবম দুবেও। এ কেমন টিম, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকেই।

মঞ্জরেকরের টিমে তা হলে কারা রয়েছেন? আইপিএলের পারফরম্যান্সের উপর জোর দিয়েই তিনি সাজিয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপ দল। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব। তিন উইকেট কিপারকে জায়গা দিয়েছেন দলে। ঋষভ পন্থ, সঞ্জু স্যামসন, লোকেশ রাহুল। অলরাউন্ডার হিসেবে রেখেছেন, রবীন্দ্র জাডেজা, ক্রুণাল পান্ডিয়া। পেসার হিসেবে টিমে রেখেছেন, জসপ্রীত বুমরা, হর্ষিত রানা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, আবেশ খান, মহম্মদ সিরাজ। দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব।
 মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থীর ব্যানারই ছেঁড়া হয়নি, ঘাসফুল শিবিরের বেশ কিছু দলীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শাসক দলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে পদ্ম শিবির।

জুনের ছবি থেকে খুবলে নেওয়া হল চোখ-কান-ঠোঁট!
জুনের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ


মেদিনীপুর: লোকসভা ভোটের ময়দানে ফের পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া ঘিরে বিতর্ক। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে। শুক্রবার সকালে দেখা যায় সেখানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জুন মালিয়ার ব্যানার কেউ বা কারা ছিঁড়ে দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে বেশ শোরগোল পড়ে যায় নারায়ণগড়ের রানীসরাই এলাকার শালাজপুরে। শুধু মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থীর ব্যানারই ছেঁড়া হয়নি, ঘাসফুল শিবিরের বেশ কিছু দলীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শাসক দলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে পদ্ম শিবির।


উল্লেখ্য, গতকালই মেদিনীপুরের দাঁতনে জুন মালিয়ার সমর্থনে জনসভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলি-ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসার পরও জুন যে এলাকার রাজনীতিতে ও এলাকার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে, সে কথা তুলে ধরে জুনের প্রশংসাও করেছেন মমতা। গতকালের জনসভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার জুনের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের নারায়ণগড়ে। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল কোষাধ্যক্ষ স্বপন দত্তের বক্তব্য, ‘বিজেপির কিছু হার্মাদ এসে আমাদের কিছু পতাকা মাটিতে ফেলে দিয়েছে ও ব্যানারটি সম্পূর্ণভাবে ছিঁড়ে দিয়েছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।’


যদিও শুক্রবারের এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর জানা। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এই ধরনের কাজে বিজেপি বিশ্বাস করে না। বললেন, ‘বিপক্ষ দলের ঝান্ডা-পোস্টার ছেঁড়ার কালচার বিজেপির নেই। সেই সময়ও নেই বিজেপির কাছে। তৃণমূল হার নিশ্চিত জেনে নিজেদের প্রচারের আলোয় আনতেই এইসব নাটক করছে। বিজেপির কর্মীরা কখনোই এসব নোংরামিতে বিশ্বাসী নয়।’

সুকান্ত পতিরামপুরের বুথে যেতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি যাতে কোনও ভাবে ওই এলাকায় ঢুকতে না পারে, তাঁকে ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তোলেন সুকান্ত। সেটি তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠান।

আমাদের মহিলা কর্মীকে সেক্স ওয়ার্কার বলছে, আপনারা কী করছেন?', পুলিশের সঙ্গে বচসায় সুকান্ত, রিপোর্ট তলব
পুলিশের সঙ্গে বচসায় সুকান্ত

বালুরঘাট: তপনের পতিরামপুরে বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। আক্রান্ত নেতার নাম জ্যোতিষ রায়। তাঁকে বুথের বাইরেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যাম্প বসানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


সুকান্ত পতিরামপুরের বুথে যেতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি যাতে কোনও ভাবে ওই এলাকায় ঢুকতে না পারে, তাঁকে ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তোলেন সুকান্ত। সেটি তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাটের আইসি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, “প্রার্থীকেই বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ কিচ্ছু করছে না। পুলিশ চুপচাপ বসে আছে। ১০০ মিটারের মধ্যে থেকে ক্যাম্প অফিস না ওঠালে আমি এখানেই থাকব। এখান থেকে আমরা লিড পাব, সেটা ওরা জানে। তাই আমাদের মহিলা কর্মীকে সেক্ট ওয়ার্কার বলছে।” পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন সুকান্ত।


নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে। এক ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।

যদিও বয়স্কদের সঙ্গে ভোট দিতে যাওয়া সেই 'সেকেন্ড পার্সন'-এর বক্তব্য, বয়স্ক ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারছেন না, তাই তাঁদের ধরে তাঁরা বুথের ভিতর নিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণেই দু’জন করে ভিতরে যাচ্ছেন, EVM এ ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।

বয়স্কদের সঙ্গে বুথে ঢুকে ভোট দিচ্ছেন অন্য কেউ? গোয়ালপোখরে বাহিনী ঘেরা একাধিক বুথে 'বেনিয়মে'র ছবি
দোলুয়ায় বৃদ্ধকে নিয়ে ভোট দিতে ঢুকছেন অন্য কেউ!


রায়গঞ্জ: বিশেষভাবে সক্ষমদের ভোট দিয়ে দিচ্ছে সঙ্গে থাকা লোকেরা। নিয়ম অনুযায়ী, ভোট দিতে না পারলে প্রিসাইডিং অফিসারদের সাহায্য করার কথা। দলুয়ায় তা হচ্ছে না। দলুয়ার ভোটে হচ্ছে বেনিয়ম। আর অভিযোগ পাওয়া মাত্রই রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। দার্জিলিঙের দলুয়ার ২০০ নম্বর বুথ দলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে একাধিক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে ঢুকছেন আরও একজন।


যদিও বয়স্কদের সঙ্গে ভোট দিতে যাওয়া সেই ‘সেকেন্ড পার্সন’-এর বক্তব্য, বয়স্ক ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারছেন না, তাই তাঁদের ধরে তাঁরা বুথের ভিতর নিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণেই দু’জন করে ভিতরে যাচ্ছেন, EVM এ ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, কমিশনের নির্দিষ্ট গাইড লাইনেই রয়েছে, কোনও ভোটার যদি বলেন, তিনি ভোট দিতে পারছেন না, কোথায় ভোট দেবেন তা বুঝতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে কেবল প্রিসাইডিং অফিসারই তাঁর হয়ে ভোট দিয়ে দেবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সে ছবি ধরাই পড়েনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই রয়েছে এই বুথ। তবুও এই ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা কমিশনের সামনে আসতেই রিপোর্ট তলব করা হয়।


তবে রিপোর্ট পেয়ে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, দলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে অন্যের সঙ্গে ভোট দিতে যাচ্ছিল, তাঁদের ২ জনের কাছেই অনুমতিপত্র ছিল। আগে ফর্ম ফিলাপ করে অনুমতি নেওয়া ছিল।



হুগলির সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, কয়েকদিন আগেই বলাগড়ে বিধায়ককে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার শ্রীরামপুরে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হল।

 'কাঞ্চনের সঙ্গে যা হয়েছে, রচনার সঙ্গেও...', কী উত্তর দিলেন অভিনেত্রী?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঞ্চন মল্লিক


হুগলি: গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে যেন কাঞ্চন না আসেন, সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েও দেন কল্যাণ। দলেরই বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন বিদায়ী সাংসদ! দিনভর এই নিয়ে চর্চা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এমন ঘটনা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটবে না তো? পোস্টারে এমন বার্তা দেওয়া হল হুগলির তৃণমূল প্রার্থীকে। কাঞ্চন ও রচনা দুজনেই অভিনেতা, একজন বিধায়ক হয়েছেন ২০২১ সালে আর অপরজন এবারই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে।


হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গেল সেই পোস্টার। তাতে লেখা, “আজকে কাঞ্চনের সঙ্গে যা হয়েছে, আগামীতে আপনার সঙ্গে তা হতে পারে। এই বাংলায় শিল্পীদের কোনও দাম নাই।” নীচে লেখা আছে ‘জয় বাংলা’। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এই প্রসঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কাঞ্চন আর কল্যাণ দার মধ্যে কী হয়েছে জানি না। তাই এ বিষয়ে বলতে পারব না। তবে সব শিল্পীরই সম্মান পাওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাঞ্চন বা কল্যাণদা কাউকেই সমর্থন করছি না।’ আর রচনার সঙ্গে যদি এমনটা হয়, এ কথা শুনে দিদি নম্বর ওয়ানের সঞ্চালিকা বলেন, ‘এর মধ্যে আবার আমি কী করব, আমার সঙ্গে তো হয়নি!’


হুগলির সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “কয়েকদিন আগেই বলাগড়ে বিধায়ককে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার শ্রীরামপুরে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হল। আমরা তো আগেই বলেছি তৃণমূলে শিল্পী সাহিত্যিকদের সম্মান নেই। আর এখন তৃণমূলের লোকজনই পোস্টার মেরে সেটা জানিয়ে দিচ্ছে।”

ভোটের সকালে এমন একটি লিফলেট ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনায়। বিতর্কিত এই লিফলেটের খবর পেয়ে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রও। কী বলছেন তিনি?

 'আমার দলে প্রচুর গুপ্ত শত্রু... চাইলে বিজেপিকেও ভোট দিন', তৃণমূল প্রার্থীর নামে লিফলেট ঘিরে বিতর্ক
বিপ্লব মিত্র

বালুরঘাট: দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হতে না হতেই এবার লিফলেট ঘিরে বিতর্ক। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের ছবি-সহ লিফলেট ছড়িয়েছে বালুরঘাটের বেশ কিছু অঞ্চলে। বিতর্কিত ওই লিফলেটে লেখা, ‘ নমস্কার, আমি বিপ্লব মিত্র… লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও ইচ্ছেই আমার ছিল না।’ সেখানে আরও লেখা আছে, দলের ভিতরেই ‘প্রচুর গুপ্ত শত্রুর’ কথা, যাঁরা নাকি তাঁকে ‘হারানোর চক্রান্ত’ চালাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিতর্কিত ওই লিফলেটে আবেদন জানানো হয়েছে, ‘আপনারা চাইলে বিজেপিকেও ভোট দিতে পারেন…’


ভোটের সকালে এমন একটি লিফলেট ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনায়। বিতর্কিত এই লিফলেটের খবর পেয়ে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রও। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার কথায়, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম এই ঘটনায়।’ তৃণমূল প্রার্থীর সন্দেহ, বিজেপির থেকেই কেউ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বললেন, ‘বিজেপি প্রার্থীর নজরে বিষয়টি এলে, সঙ্গে সঙ্গে এর নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া উচিত।’ বিপ্লব মিত্রর দাবি, এই বিতর্কিত লিফলেট থেকে বিজেপির ফায়দা হচ্ছে। তারা তো কথায় কথায় সিবিআইয়ের কথা বলেন, এবার এটা সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করে দেখুক।


উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রার্থীর নামে এমন একটি বিতর্কিত লিফলেট ছড়ানোর খবর চাউর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপর একটি লিফলেটও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। দ্বিতীয় বিতর্কিত লিফলেটটি আবার বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের নামে। বিপ্লব মিত্রের সন্দেহ, প্রথম লিফলেটটি যে ড্রাফ্ট করেছেন, দ্বিতীয়টিও একই ব্যক্তি ড্রাফ্ট করেছেন। এমন ঘটনা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অতীতে কখনও দেখেননি বলেও দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।

ভোট দিতে যাওয়ার আগে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী।কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, "বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।"

রাহুল কোন দিকে? বলেন, 'সায়নী আমার বউয়ের বন্ধু, আর সৃজনকে আমার ভাল লাগে'
(বাঁ দিকে) লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, মাঝখানে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (ডান দিকে) যাদবপুরেরই তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ


রাহুল অরুণাদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন দারুণ অভিনেতা। সম্প্রতি যাত্রার মঞ্চে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি রাহুলের আরও এক পরিচয়–তিনি বই পোকা। অনেক ছোট বয়স থেকে বইয়ের পাহাড়ের ভিতর ঢুকে থাকতে ভালবাসেন রাহুল। প্রচুর বই পড়েন। সমাজ সচেতন মানুষ তিনি। এবং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁর দুর্বলতা গোড়া থেকেই। সেই ভালবাসা বদলায়নি এতগুলো বছরেও। রাহুলের পরিবার কংগ্রেসের সমর্থক। মূলত তাঁর বাবা-মা। কিন্তু রাহুল তা নন। তিনি বরাবরই বাম-প্রিয়। ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাঁর মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী। 
 কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, “বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।”


বিষয়টা আরও একটু খোলসা করা যাক। রাহুলের স্ত্রী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার একটি অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক। রাহুল যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, সে কেন্দ্রটি হল যাদবপুর। গতবার, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই কেন্দ্রে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ‘গানের ওপারে’র পুপে, তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবার স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে। প্রার্থী হননি যাদবপুরে। সেই জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। সায়নী এবার প্রিয়াঙ্কা দারুণ বন্ধু। অর্ণব মিদ্দার ‘অন্দরকাহিনী’ ছবিতে একসঙ্গে সমকামী জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। রাহুল বলেছেন, “আমি কিন্তু আমার স্ত্রীকে কখনও জিজ্ঞেসই করি না ও কাকে ভোট দেবে। আমি সবটাই জানি, বুঝতে পারি। ওর সঙ্গে সায়নীর একটা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যতই রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকুক না কেন, সায়নীকে আমি মানুষ হিসেবে খুব সম্মান করি এবং তিনি বহুদিন ধরে আমার সহকর্মী-বন্ধু। আমার আবার ভাল লাগে বাম-প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে। তা হলেই বুঝুন।”

অভিনয় করার সময় তাঁকে যেন কেউ টাচ না করে, এটাই ছিল মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মন্ত্র। তবে চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেরকম দৃশ্য থাকলে সুচিত্রা টাচ করতে দিতেন কখনও-সখনও। সে অন্য কথা! অধিকাংশ সময়ই টাচ না করার নির্দেশ থাকত তাঁর। এ হেন সুচিত্রার সঙ্গে প্রোটোকল ভেঙে দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন এক অভিনেতা। ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেটে!

সুচিত্রা সেনের পিঠে আচমকা চুমু ধর্মেন্দ্রর, শুটিংয়ের সেটে ধুন্ধুমার মহানায়িকার
সুচিত্রা সেন এবং ধর্মেন্দ্র, মমতা ছবির শুটিংয়ে...


‘অভিনয় করার সময় ও যেন আমাকে টাচ না করে’, ‘সপ্তপদী’ ছবিতে রিনা ব্রাউনরূপী সুচিত্রা সেনের সেই সংলাপ আজও ভুলতে পারেনি বাংলার দর্শক। ছবির প্রথম অংশে সুচিত্রার যে ভাবমূর্তি তুলে ধরা হয়েছিল পর্দায়, সেটাই নাকি ছিল তাঁর স্বরূপ। মহানায়িকা তিনি। পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে নিজের ইউএসপি তৈরি করবেন, সেই ধাতুর মানুষ ছিলেন না মোটে। সত্যি-সত্যি মনে করতেন, অভিনয় করার সময় তাঁকে যেন কেউ টাচ না করে। তবে চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেরকম দৃশ্য থাকলে সুচিত্রা টাচ করতে দিতেন কখনও-সখনও। সে অন্য কথা! অধিকাংশ সময়ই টাচ না করার নির্দেশ থাকত তাঁর। এ হেন সুচিত্রার সঙ্গে প্রোটোকল ভেঙে দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন এক অভিনেতা। ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেটে!


১৯৬৬ সালে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মুম্বইয়ের সুদর্শন-প্রতিভাবান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। সেই ছবির নাম ছিল ‘মমতা’। বাঙালি পরিচালক অসিত সেনের নির্দেশনায় তৈরি হয়েছিল ছবি। বাংলা ছবি ‘উত্তর ফাল্গুনী’র হিন্দি রিমেক ছিল ‘মমতা’। সেই সময় বাংলার ব্লকবাস্টার ছবির হিন্দি রিমেক হত খুবই। ‘উত্তর ফাল্গুনী’র এই বলিউডি রিমেকে নায়কের টুপি মাথায় দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। এবং সেই ছবির শুটিং করতে গিয়েই নায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রতি একটু বেশিই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। যার পর খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মহানায়িকা। যাচ্ছে তাই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ছবির সেটে।

‘মমতা’ ছবিতে মা এবং মেয়ে দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা। মা দিব্যানী এবং মেয়ে সুপর্ণা। সুপর্ণা চরিত্রটির প্রেমিকের নাম ইন্দ্রনীল, তাতে কাস্ট করা হয় ধর্মেন্দ্রকে। এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন সুচিত্রা সেনকে তাঁর চুমু খাওয়ার ঘটনা। বলেছিলেন, “‘দেবদাস’ ছবিতে প্রথমবার দেখেছিলাম সুচিত্রা সেনকে। সেই থেকে আমি মনে-মনে পছন্দ করতাম তাঁকে। ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে আমি এবং সুচিত্রা আউটডোরে গিয়েছিলাম। ছবির কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল দার্জিলিংয়ে।”



মূলত দুটি প্রশ্ন করেছিল এই খ্যাতনামীদের। প্রশ্ন এক : কী বিচার করে কোনও প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেন? প্রশ্ন দুই : ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের থেকে তাঁদের কী প্রত্যাশা? চাঁচাছোলা উত্তর এসেছে দোলন, খরাজ এবং ভাস্করের থেকে।

রেগে আগুন খরাজ-ভাস্কর-দোলনরা, কেন চাইছেন রাষ্ট্রপতি শাসন?
খরাজ-দোলন-ভাস্কর


প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে চলছে ২০২৪ সালের ভোট পর্ব। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটদান। ইতিমধ্যেই ভোট হয়ে গিয়েছে দেশের বেশ কিছু জায়গায়। ১ জুন পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন দফার ভোট পর্ব। ৪ জুন জানা যাবে ফলাফল। জানা যাবে, কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য। এই মুহূর্তে চায়ের দোকানে, বিভিন্ন আড্ডায় বিষয় বাতাসে তাপমাত্রা কত এবং এই লোকসভা ভোট। খ্য়াতনামীরাও এই নিয়ে অহোরাত্র আলোচনা চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ-কেউ আবার বীতশ্রদ্ধ। বীভৎস বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। চারদিকের রাজনৈতিক ডামাডোল, রাজ্যের এবং দেশের চুরিচামারি, জালিয়াতি দেখে সব রাজনৈতিক দলের থেকেই আশা হারিয়েছেন তাঁরা। বিরক্তি প্রকাশ করতে কুণ্ঠা প্রকাশ করছেন না অভিনেত্রী দোলন রায়, অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায় এবং ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁদের বিরক্তি শুনল 

 মূলত দুটি প্রশ্ন করেছিল এই খ্যাতনামীদের। প্রশ্ন এক : কী বিচার করে কোনও প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেন? প্রশ্ন দুই : ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের থেকে তাঁদের কী প্রত্যাশা? চাঁচাছোলা উত্তর এসেছে দোলন, খরাজ এবং ভাস্করের থেকে।



টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হয় আজিঙ্ক রাহানের উইকেটে। টিমকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি ঋতুরাজ। একদিক থেকে ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। জাডেজা, শিবম দুবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ম জুটি গড়েন। শিবম দুবে মাঠে আসতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু ঋতুরাজেরও। ইনিংসের শুরুটা তুলনামূলক মন্থর হলেও গিয়ার শিফ্ট করতে সময় লাগেনি ঋতুরাজের। ছয় মেরে ৫৫ বলে ৯৯-তে পৌঁছন।

 স্ত্রী উৎকর্ষার চ্যালেঞ্জ! CSK-এর নস্টালজিয়ার দিনে সেঞ্চুরি ঋতুরাজের


প্রথম দিন! চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে আজকের দিনটা তেমনই। ২০০৮ সালে শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। আজকের দিনেই এই মাঠে প্রথম হোম ম্যাচ খেলেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই দিনটা সেঞ্চুরিতে স্মরণীয় করে রাখলেন চেন্নাই সুপার কিংসের নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। আইপিএলে কেরিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চেন্নাই জার্সিতে একের পর এক ভরসাযোগ্য ইনিংস উপহার দিচ্ছেন ঋতুরাজ।


টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হয় আজিঙ্ক রাহানের উইকেটে। টিমকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি ঋতুরাজ। একদিক থেকে ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। জাডেজা, শিবম দুবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ম জুটি গড়েন। শিবম দুবে মাঠে আসতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু ঋতুরাজেরও। ইনিংসের শুরুটা তুলনামূলক মন্থর হলেও গিয়ার শিফ্ট করতে সময় লাগেনি ঋতুরাজের। ছয় মেরে ৫৫ বলে ৯৯-তে পৌঁছন।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে অবশেষে স্বপ্নপূরণ। আইপিএল কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হলেও ভারতের মাটিতে প্রথম! কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরিটি এসেছিল দুবাইতে। এ বার ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে। ৫৬ বলে বাউন্ডারি সেঞ্চুরি পার করেন। কয়েক দিন আগেই চেন্নাই সুপার কিংস সোশ্যাল মিডিয়ায় মিষ্টি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিল। ঋতুরাজ ও তাঁর স্ত্রী উৎকর্ষার ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ। স্ত্রী উৎকর্ষাও ক্রিকেটার। উৎকর্ষার সেই চ্যালেঞ্জের পরই সেঞ্চুরি!


শেষ অবধি ৬০ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ বলে মাঠে নামেন মাহি। বাউন্ডারি মারেন। লখনউকে ২১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় চেন্নাই সুপার কিংস।